১ ফুট কত সেন্টিমিটার?
দৈর্ঘ্য পরিমাপের প্রাচীন এই একক ফুট, আজও আমাদের জীবনে গভীরভাবে প্রচলিত। প্রতিদিনের নানান পরিমাপকাজে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আর তাই ফুট থেকে সেন্টিমিটার রূপান্তর জানা অত্যন্ত জরুরি। সহজ এবং নির্ভুল এই রূপান্তর পদ্ধতি হল, ১ ফুট সমান ৩০.৪৮ সেন্টিমিটার। এই জ্ঞান আমাদেরকে যেকোনো দৈর্ঘ্য মাপার কাজে অত্যন্ত নির্ভুলতা দিতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ, ১৩১ ফুটের দৈর্ঘ্য হলো ৩৯৯২.৮৭ সেন্টিমিটার যা ব্যবহৃত হতে পারে বড় স্কেলের নির্মাণ কাজে। একইভাবে, স্বাস্থ্য মাপার জন্য তৈরি করা বিভিন্ন চার্টে, যেমন গড় উচ্চতা ও ওজন চার্টে ও বিএমআই কনভার্সন টেবিলে ফুট থেকে সেন্টিমিটার রূপান্তর জানা গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিমাপ পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যগত কারণে ওজনের বিভিন্ন সীমা এবং সম্ভাব্য জটিলতার ঝুঁকি সম্বন্ধে সচেতন হতে পারি।
সংখ্যা নির্ধারণের পদ্ধতি
ফুট এবং সেন্টিমিটারের মধ্যে সংখ্যাগত সম্পর্ক গণিতগত ও বাজারগত বিস্তারের প্রেক্ষাপটে দৈর্ঘ্য এককের সম্পর্ক নির্ণায়ক। ১৯৫৯ সালে ধার্য করা আন্তর্জাতিক একক চুক্তি অনুযায়ী, এক ফুট হল ০.৩০৪৮ মিটার যা সেন্টিমিটারে রূপান্তরিত হলে ৩০.৪৮ সেন্টিমিটার হয়। এই রূপান্তর বিশ্লেষণ করার সময় ইউনিট রূপান্তরের গুরুত্ব প্রধান।
ফুট এবং সেন্টিমিটারের মধ্যে সম্পর্ক
ফুট থেকে সেন্টিমিটারে রূপান্তরের প্রক্রিয়া বিশেষভাবে দৈর্ঘ্য এককের সম্পর্ক এবং মানদণ্ড উন্নীত করে। এই ধরনের রূপান্তর ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে বিভিন্ন দেশের মান অনুযায়ী এক একক বিভিন্ন ভাবে গণনা করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য এই জ্ঞান অপরিহার্য।
আন্তর্জাতিক একক ব্যবস্থা
আন্তর্জাতিক একক ব্যবস্থা (SI ইউনিট) বৈশ্বিকভাবে ব্যবহৃত পিমান ব্যবস্থা যা বৈজ্ঞানিক এবং প্রকৌশলিগ কর্মে সংখ্যাগত নির্ভুলতা নিশ্চিত করে। এটি সেন্টিমিটারের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ প্রতিটি ফুটকে ঠিক ৩০.৪৮ সেন্টিমিটার হিসাবে মান্যতা দেয়। এই ব্যবস্থা ত্রুটি মুক্ত এবং সুনির্দিষ্ট ইউনিট রূপান্তর সাহায্য করে, যা বিশ্বজুড়ে গবেষণা ও কর্মক্ষেত্রে সহজতা সৃষ্টি করে।
ফুট থেকে সেন্টিমিটারে রূপান্তর
ফুট থেকে সেন্টিমিটারে রূপান্তর ক্যালকুলেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা নানা পরিমাণিক কার্যকলাপে প্রযোজ্য হয়। অনেক সময়, এই রূপান্তর ক্যালকুলেশন আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রমেও প্রয়োজন হতে পারে, যেমন: নির্মাণ কাজ, মেশিনেরি সেট আপ অথবা কোনো দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে।
রূপান্তরের গাণিতিক সমীকরণ
দৈর্ঘ্য রূপান্তরের গাণিতিক ফর্মুলাটি হলো, ১ ফুট সমান ৩০.৪৮ সেন্টিমিটার। এই সমীকরণ ব্যবহার করে আপনি যে কোন ফুটের মাত্রাকে সহজেই সেন্টিমিটারে রূপান্তর করতে পারেন। এটি বিশেষ করে উপযোগী হয় যখন আপনাকে প্রেসিশনের সাথে দৈর্ঘ্য মাপতে হবে।
উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা
উদাহরণ স্বরূপ, যদি আপনাকে ৫ ফুট দৈর্ঘ্য সেন্টিমিটারে পরিণত করতে হয়, তবে আপনি ৫ সংখ্যাটিকে ৩০.৪৮ দিয়ে গুণ করবেন, যার ফলাফল হলো ১৫২.৪০ সেন্টিমিটার। এই রূপান্তর ক্যালকুলেশন প্রক্রিয়াটি না শুধুমাত্র যথাযথ নির্মাণ সাহায্য করে, বরং বিভিন্ন গবেষণা ও ডিজাইনিং কাজেও অপরিহার্য।
সঠিক দৈর্ঘ্য রূপান্তর আপনার প্রকল্পের সাফল্য নিশ্চিত করতে পারে।
দৈর্ঘ্য পরিমাপের বিভিন্ন একক
দৈর্ঘ্য পরিমাপ ও পরিমাপের একক প্রকৃতিক ও তান্ত্রিক কার্যক্রম সমূহের জন্য অপরিহার্য। যেমন, একটি ছোট মিটারিয়ে প্রায় এক সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধ ধারণ করতে পারে, যেখানে প্রত্যেকটি মিটারিয়াইটে শত কোটি কোশ থাকতে পারে। পরিমাপের একক হিসেবে ফুট এবং সেন্টিমিটারের প্রচলন সর্বত্রই দেখা যায়।
ফুট এবং সেন্টিমিটার: তুলনা
ফুট একটি ইম্পেরিয়াল এবং মার্কিন প্রচলিত পরিমাপের একক, যেখানে সেন্টিমিটার মেট্রিক সিস্টেমের অংশ। নানা শিল্প ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য পরিমাপের সঠিকতা নিশ্চিত করতে এই দুই এককের চলন সবচেয়ে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, যে কোনো ভবন নির্মাণের জন্য দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা পরিমাপ অত্যন্ত জরুরী।
অন্যান্য দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক
- মিলিমিটার: খুব সূক্ষ্ম পরিমাপের জন্য ব্যবহারিত, যেমন গহনা তৈরি।
- ইঞ্চি: আন্তর্জাতিক ব্যবসায় প্রচলিত, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্রে।
- মিটার: একাডেমিক এবং পেশাদার পর্যায়ে ব্যবহারিত, বিশেষ করে ভূগোল ও আর্কিটেকচার নির্মাণে।
- কিলোমিটার: মহাসড়ক ও দীর্ঘ দূরত্ব পরিমাপে ব্যবহারিত।
সব মিলিয়ে, দৈর্ঘ্য পরিমাপ ও পরিমাপের একক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা নির্ভর করে প্রয়োগের পরিসর এবং পরিমাপের নির্ভুলতা উপর।
প্রাকৃতিক এবং আর্কিটেকচারাল ব্যবহার
দৈর্ঘ্য পরিমাপন প্রাকৃতিক ও আর্কিটেকচারাল ক্রিয়াকলাপের অপরিহার্য অংশ। দৈনিক নির্মাণ কার্যক্রম থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জটিল গবেষণা পর্যন্ত— প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্ভুল দৈর্ঘ্য পরিমাপ অত্যাবশ্যক।
নির্মাণে দৈর্ঘ্য পরিমাপের গুরুত্ব
নির্মাণ শিল্পে দৈর্ঘ্য পরিমাপ না কেবল নিরাপদ ভবন গড়ার নিশ্চয়তা দেয়, বরং এটি সঞ্চালন খরচ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্পদ সংরক্ষণেও সহায়ক। প্রকল্পের প্রাথমিক নকশা থেকে চূড়ান্ত নির্মাণ পর্যন্ত, প্রতিটি ধাপে সঠিক দৈর্ঘ্য পরিমাপ প্রকল্পের মান এবং দৃঢ়তা নিশ্চিত করে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন ভবনের ভিত্তি নির্মাণ করা হয়, তখন ফুট ও সেন্টিমিটারের মাপের নির্ভুলতা ভবনের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মূল ভূমিকা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে, দৈর্ঘ্য পরিমাপন পরীক্ষাগারের গবেষণা থেকে মহাকাশ যানবাহনের নির্মাণে প্রযুক্তিগত নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। প্রতিটি যান্ত্রিক উপাদান ও ইলেকট্রনিক চিপের নির্মাণে সূক্ষ্ম দৈর্ঘ্য পরিমাপ না কেবল ডিভাইসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, বরং অতিরিক্ত সামগ্রীর অপচয় রোধ করে।
সামগ্রিকভাবে, ফুট এবং সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য পরিমাপ ইউনিট হিসেবে ভূমিকা রাখে, এতে করে প্রযুজ্যক্তির উন্নয়নে এবং নির্মাণ প্রকল্প সাফল্যে অবদান রাখা সম্ভব হয়।
দৈনন্দিন জীবনে ফুট এবং সেন্টিমিটার
পরিমাপ হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ফুট এবং সেন্টিমিটারের মাধ্যমে আমরা অনেক দৈনন্দিন কার্যাদির সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করি, যেমন ঘরের আসবাবপত্রের মাপ নির্ণয়, কাপড় কাটাকুটি, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় পরিমাপ।
দৈনন্দিন পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে পরিমাপ এর প্রয়োজনীয়তা অনেকরকম। নিম্নলিখিত কিছু উদাহরণে এর ব্যবহার দেখা যায়:
- আসবাবপত্রের সঠিক মাপ নির্ণয় করা।
- ঘর বা অ্যাপার্টমেন্টের মেঝের প্ল্যান তৈরি করা।
- কাপড় বা পোশাক তৈরির সময় সঠিক মাত্রায় কাপড় কাটা।
শিক্ষাগত কার্যক্রমে গুরুত্ব
শিক্ষার ক্ষেত্রে ফুট এবং সেন্টিমিটারের ব্যবহার খুবই প্রচলিত। বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও গণিতের পাঠে এই মাত্রাগুলি নিরন্তর ব্যবহৃত হয়। তাদের জন্য এখানে কিছু মৌলিক ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:
- বিজ্ঞান প্রযোগের প্রয়োগিক কাজে সঠিক দৈর্ঘ্য মাপা।
- গণিতের প্রজেক্টে পরিমাণগত তথ্য নির্ণয়ে ফুট ও সেন্টিমিটারের ব্যবহার।
সবমিলিয়ে, ফুট এবং সেন্টিমিটার হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পরিমাপের এক অনিবার্য একক যা আমাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম থেকে শিক্ষাগত প্রকল্প পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করা
সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার একটি অপরিহার্য বিষয়। দৈনন্দিন পেশাগত কাজে যেমন আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান গবেষণায় সঠিক পরিমাপ অত্যন্ত জরুরি।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
- টেপ মাপ: এটি যেকোনো পরিমাপ কাজের জন্য অত্যন্ত প্রচলিত এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। টেপ মাপ দিয়ে দীর্ঘ এবং প্রশস্ত পরিমাপ সহজে করা যায়।
- ক্যালিপার: খুবই সূক্ষ্ম পরিমাপের জন্য ক্যালিপার ব্যবহার করা হয়, যা খুবই নির্ভুল ফলাফল দেয়।
- মাইক্রোমিটার: এটি আরও নির্ভুল এবং সংবেদনশীল পরিমাপ যন্ত্র, যাকে ব্যবহার করে খুবই ছোট পরিমাণের ব্যবধান মাপা সম্ভব।
- ডিজিটাল লেজার মিটার: দূরবর্তী পরিমাপ করতে এই প্রযুক্তিগত যন্ত্রটি অনন্য। এটি দ্রুত এবং সহজে পরিমাপ করতে সাহায্য করে।
যথাযথ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পরিমাপের কাজের নির্ভুলতা বৃদ্ধি পায় এবং ভুলের সম্ভাবনা কমে যায়। পরিমাপের সঠিকতা নিশ্চিত করা শুধুমাত্র আমাদের পেশাগত জীবনেই নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ।
ফুট এবং সেন্টিমিটারের ইতিহাস
দৈর্ঘ্য পরিমাপের ঐতিহাসিক উন্নয়নের ধারায় ফুট এবং সেন্টিমিটারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অনন্য। এই দুই পরিমাপের এককের উদ্ভব ও বিকাশমান পর্ব পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতার পরিমাপ পদ্ধতির বিকাশে অবদান রেখেছে।
ফুটের উৎপত্তি
প্রাচীন সময়ে পরিমাপ সাধারণত মানুষের শরীরের অংশগুলি দ্বারা করা হতো, যার মধ্যে ‘ফুট’ পরিমাপের একক অন্যতম। ‘ফুট’ প্রথম কোথা থেকে আসে তা নির্দিষ্ট করা কঠিন, তবে এর ব্যবহার প্রাচীন মিসরীয় এবং গ্রিক সভ্যতায় দেখা যায়। ঐতিহাসিকভাবে, ফুট ছিল রাজার পা থেকে মেপে নেওয়া একটি দৈর্ঘ্য, যা সময়ের সাথে সাথে আরও নির্দিষ্ট ও সাধারণীকৃত হয়।
সেন্টিমিটারের বিকাশ
সেন্টিমিটারের বিকাশ পরিচিতি পায় মেট্রিক সিস্টেমের অধীনে, যা ১৭৯০ সালে ফ্রান্সে প্রথম প্রবর্তিত হয়। সেন্টিমিটারে দৈর্ঘ্য পরিমাপ আরও নির্দিষ্টভাবে করা যায়, যা ১০০তম অংশে এক মিটারকে বিভক্ত করে। এর বিকাশ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত নির্ভুলতার দাবী মেটানোর লক্ষ্যে সাহায্য করেছে, এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে এক স্বীকৃত মান হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
সেন্টিমিটার থেকে ফুটে রূপান্তর
আন্তর্জাতিক দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক হিসেবে সেন্টিমিটার এবং ফুট দুটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই দুই এককের মধ্যে সহজে রূপান্তর সম্ভব। এখন, আমরা সেন্টিমিটার থেকে ফুটে রূপান্তরের গাণিতিক সুত্র এবং তার বাস্তবিক জীবনের প্রয়োগ সম্পর্কে জানবো।
গাণিতিক সুত্র
সেন্টিমিটার থেকে ফুটে রূপান্তর করার জন্য সাধারণ গাণিতিক সুত্র হলো, ১ ফুট সমান 30.48 সেন্টিমিটার। এই সূত্র অনুসারে, যে কোনো সেন্টিমিটারের মানকে 30.48 দিয়ে ভাগ করে ফুটে রূপান্তর করা যায়। ফলস্বরূপ গাণিতিক রূপান্তর খুবই সহজ এবং সঠিক হয়।
বাস্তব জীবনের উদাহরণ
বাস্তব জীবনে, এই রূপান্তর সুত্রের প্রয়োগ নানা প্রকারের। যেমন:
- নির্মাণ কাজে স্থাপনার উচ্চতা এবং দৈর্ঘ্য নির্ণয়ে।
- স্বাস্থ্য খাতে, রোগীর উচ্চতা এবং ওজন মাপার সাথে।
- ক্রীড়া জগতে, দৌড়ের ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য পরিমাপ এবং তুলনা।
এইসব ক্ষেত্রে, সেন্টিমিটার থেকে ফুটে রূপান্তর সাহায্য করে সঠিকভাবে দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে এবং বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকল্পে ডেটা প্রদানে।
ফলত, সেন্টিমিটার থেকে ফুটে রূপান্তর প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং ব্যবহারিক।
বিভিন্ন দেশের পরিমাপ ব্যবস্থা
পরিমাপের ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন দেশে কীভাবে বিভিন্নরূপ ধারণ করে। প্রত্যেক দেশ তাদের ঐতিহ্য, প্রযুক্তির উন্নয়নের স্তর এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে পরিমাপ পদ্ধতি গঠন করে থাকে। এই পার্থক্যগুলি বোঝা এবং স্বীকার করা বৈশ্বিক মাত্রায় সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ফুট ও সেন্টিমিটারের ব্যবহার
বেশিরভাগ দেশে মেট্রিক সিস্টেমের অধীনে সেন্টিমিটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়, যা 11 মিলিমিটারের সমান। এর পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু দেশ ফুট ব্যবহার করে থাকে, যা প্রায় 30.48 সেন্টিমিটারে পরিণত হয়। এই দুই পরিমাপ এককের মধ্যে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা বেশ অনন্য এবং কৌশলগত প্রয়োজন রাখে।
অন্যান্য দেশে পরিমাপ মান
- যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র: এখানে ইম্পেরিয়াল সিস্টেম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত হিসাবে মেট্রিক সিস্টেমের প্রয়োগ দেখা যায়।
- ভারত ও বাংলাদেশ: এখানে প্রধানত 11 মেট্রিক সিস্টেম প্রচলিত, যেখানে দৈনন্দিন পরিমাপে সেন্টিমিটার এবং মিটার ব্যবহৃত হয়।
- অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়া মেট্রিকায়নের প্রক্রিয়া শুরুর 11 পর থেকে সম্পূর্ণরূপে মেট্রিক সিস্টেমে চলে আসে।
বিভিন্ন দেশের পরিমাপ পদ্ধতির এই বৈচিত্র্য আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য আদান-প্রদান, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং শিল্প কার্যক্রমের জন্য সঠিক জ্ঞান এবং বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
সাধারণ ভুল এবং তাদের প্রতিকার
যেকোনো দৈর্ঘ্য পরিমাপের সময় সাধারণত কিছু সাধারণ ভুল হতে পারে যা প্রকল্পের মান এবং সঠিকতা ব্যাহত করতে পারে। এই ধরণের ভুলগুলোর কারণ এবং তাদের প্রতিকার খুঁজে বের করা জরুরি।
ভুল পরিমাপের কারণ
- অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ: পরিমাপকারী ব্যক্তির যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব।
- ভুল যন্ত্রপাতির ব্যবহার: অনুপযুক্ত বা অক্ষম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা।
- মানসিক চাপ: কর্মক্ষেত্রে চাপ এবং তাড়াহুড়ো ভুল সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারে।
- অসম্পূর্ণ তথ্য: প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব বা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করা।
সমাধানের উপায়
- প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষানবিশি: নির্মাণ এবং পরিমাপের জড়িত সকলের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
- সঠিক যন্ত্রপাতির নির্বাচন: পরিমাপের জন্য উপযুক্ত ও সঠিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উচিত।
- চাপ হ্রাস: কর্মক্ষেত্রে চাপ কমিয়ে আনতে যথেষ্ট বিরতি এবং সহকারী সমর্থনের ব্যবস্থা করা।
- তথ্যের পুনঃপরীক্ষা: কোনো প্রকল্প শুরু করার আগে সকল তথ্য যাচাই করা এবং নিশ্চিত করা যে সব তথ্য সঠিক ও হালনাগাদ।
উভয় ইউনিট সম্পর্কে আরও তথ্য
পরিমাপের জন্য ফুট এবং সেন্টিমিটারের প্রয়োগ বিস্তারিত ভাবে জানার পর আমরা এখন আরও কিছু অতিরিক্ত তথ্যের দিকে নজর দেব। এই তথ্য সবিস্তারে জানতে এবং বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে অথবা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও নিখুঁত ও দক্ষ হতে পারব। একটি Google অ্যাকাউন্টের সাহায্যে Blogger.com এর ফ্রি সাবডোমেন হোস্টিং সেবা কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে ধারাবাহিক ধাপগুলিও আলোচনা করা হয়েছে।
ফ্যাক্ট শিট
অন্যান্য সফটওয়্যারের কথা চিন্তা করলে, WavePad, Audacity, এবং Photoshop এর মতো প্রোগ্রামগুলি নানা উদ্দেশ্যে ব্যবহিত হয়। যেমন, অডিও রেকর্ডিং, নয়েজ অপসারণ, শব্দের মানোন্নয়ন, Photoshop -এ Marquee Selection Tool ব্যবহার করে নির্বাচন ও স্তর তৈরির কৌশল, ডোমেইন পরিচালনা এবং ব্লগার সাইট পুনঃনির্দেশনের তথ্য রয়েছে।
উপকারী রিসোর্স ও লিঙ্ক
এছাড়াও, বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে, নতুনযুগের বস্ত্রপণ্য কোম্পানির বৈদ্যুতিন নেটওয়ার্ক পরিদর্শন, প্ল্যান বা পরীক্ষার সাপেক্ষে বিভিন্ন দুর্বলতা চিহ্নিত করেছে, এবং এর দ্বারা BNBC-2006, NFPA70-2011 জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানোন্নয়ন নীতির ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে। সেইসাথে বিভিন্ন ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে মোট শূন্য়পদের সংখ্যা, আসন্ন পরীক্ষার নির্ঘণ্ট এবং প্রার্থীদের বিশেষ নির্দেশাবলি সমন্বিত তথ্য এই অনুচ্ছেদে সাজানো হয়েছে।