গলায় আটকা পড়া অনুভূতি দূর করার উপায়

আপনি কি কখনো গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি অনুভব করেছেন? এটি একটি খুবই সাধারণ সমস্যা যা গলায় অস্বস্তি সৃষ্টি করে। অনেক সময়, গলায় জমাট বাঁধা অনুভূতি হতে পারে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার প্রতিফলন। আপনার দেহের সঠিক যত্ন এবং কিছু সাধারণ টিপস অনুসরণ করে আপনি এই অস্বস্তি দূর করতে পারেন। আজ আমরা এই বিষয়ে বিশদ আলোচনা করব, যাতে আপনি জানতে পারেন কীভাবে এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং পুনরায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।

Contents show

গলায় আটকা পড়া অনুভূতির সাধারণ কারণসমূহ

গলায় আটকা পড়া অনুভূতির প্রচলিত কিছু কারণ আছে যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই অনুভূতি সাধারণত গলায় অস্বস্তির কারণ হয় এবং অনেক সময় এটি অন্য শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এখানেই আমরা প্রধান দুটি কারণ উদাহরণ হিসেবে দেখাবো, যা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।

রিফ্লাক্স এবং সুপ্ত রিফ্লাক্স

পাকস্থলীর এসিড যখন খাদ্যনালিতে উঠে আসে তখন গলায় রিফ্লাক্স হয়, যা গলায় চাপা অনুভূতির জন্য দায়ী হতে পারে। এটি সাধারণত গ্যাসট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর একটি লক্ষণ, যা প্রায়শই বুক জ্বালা, গলা ব্যথা এবং খাওয়ার পর অসন্তুষ্টির মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।

গলার শ্লেষ্মা জমে থাকা

গলার শ্লেষ্মা জমে যাওয়ার ফলে কাশি এবং অস্বস্তি হতে পারে। এটি সাধারণত শীতকালে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে যখন ঠাণ্ডা ও ফ্লু সংক্রমণে শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পায়। গলার শ্লেষ্মা জমে গেলে কথা বলতে অসুবিধা এবং গলা ব্যথা দেখা যায় যা গলায় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

গ্লোবাস ফেরিনজিস কি?

গ্লোবাস ফেরিনজিস হলো গলায় কিছু আটকে আছে মনে হওয়ার একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকেই অনুভব করেন। এটি মূলত সাইকোসোম্যাটিক বা শারীরিক কারণের দ্বারা হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে গলায় চাপা বোধ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মানসিক চাপের সময় বেশি হয়।

লক্ষণ এবং কারণ

গ্লোবাস ফেরিনজিসের লক্ষণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত গলায় চাপা বোধ বা আটকে যাওয়ার অনুভূতি এর প্রধান উপসর্গ। গবেষণায় দেখা গেছে:

  • ৯৬% মানুষ মানসিক চাপের সময় এই অনুভূতির তীব্রতা বেশি অনুভব করে।
  • ২৩-৬৮% গ্লোবাস ফেরিনজিসের রোগীরা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) ও আক্রান্ত।
  • গলা, কান ও নাকের চিকিৎসকদের কাছে নতুন রোগীর মধ্যে প্রায় ৪% এই সমস্যার জন্য আসে।
আরও পড়ুনঃ  ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়?

গ্লোবাস ফেরিনজিসের কারণে:

  • গলোয়ার শ্লেষ্মার জমে থাকা
  • হার্টবার্ন এবং GERD
  • গলার পেশীর স্প্যাজম
  • সাইকোসোম্যাটিক কারণ

চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা

গ্লোবাস ফেরিনজিসের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন:

  • কগনিটিভ বেহেভিয়র থেরাপি (CBT) এবং এন্টিডিপ্রেসেন্ট
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর জন্য প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPIs) ব্যবহার করা
  • স্পিচ থেরাপি: এক গবেষণায় দেখা গেছে ৭২% গলা চাপা বোধ সম্পূর্ণভাবে দূর হয়
  • রিলাক্সেশন টেকনিক

গ্লোবাস ফেরিনজিসের ক্ষেত্রে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

How to Relieve Feeling of Something Stuck in Throat বিষয়ক টিপস

আমাদের গলায় আটকে থাকার অনুভূতি কখনো কখনো অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এই অনুভূতি দূর করার জন্য কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে যা আপনাকে গলা স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারে। নিম্নে উল্লেখিত কিছু কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো যা আপনার গলায় চাপা বোধ মুক্তির উপায় হতে পারে:

ধারণা এবং উপায়

  • গরম পানি পান: সকালে ও রাতে গরম পানি পান করলে গলার অস্বস্তি অনেকাংশে কমে যেতে পারে। এটি গলা স্বাচ্ছন্দ্যে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত ভাপ নেওয়া: দিনের মধ্যে একাধিকবার গরম পানির ভাপ নেওয়া গলার শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এতে গলায় আটকে থাকার অনুভূতি কমে যায়।
  • বিরতি বিরতি গলা পরিষ্কার করা: বারংবার গলা পরিষ্কার করা বা কাশি দিয়ে গলার জমাট বাঁধা অংশগুলি দূর করা গলা স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান ক‍্য সদা সুবিধা যরে।

ধূমপান ও অ্যালকোহলের প্রভাব

ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব গলায় জ্বালা পোড়া এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টির প্রধান কারণ হতে পারে। ধূমপান গলার মিউকাস মেমব্রেনে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা গলায় খুবই অস্বস্তি এনে দেয়। স্টাডি অনুসারে, ধূমপান ফুসফুস এবং গলার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণা ও অসুবিধা বৃদ্ধি করে।

অন্যদিকে, অ্যালকোহল এবং গলা সম্পর্কেও কিছু গুরুতর সমস্যা সম্পর্কিত। অ্যালকোহল পানের ফলে গলার মিউকাস মেমব্রেনের প্রদাহ এবং শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। এটি গ্লোবাস ফেরিনজিস নামে পরিচিত এক ধরণের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে গলায় আটকে থাকার মতো অনুভূতি হয়। এ ধরনের অনুভূতি সাধারণত অ্যালকোহল পানের ফলে বেশি দেখা যায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান শ্লেষ্মা জমে থাকা এবং গলাবন্ধের অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।

স্বাস্থ্যকর এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। এই দুটি অভ্যাস শুধু যে গলা নয়, পুরো দেহের জন্যই ক্ষতিকারক। ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব এবং অ্যালকোহল এবং গলার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে জীবনের মান বজায় থাকে।

টাইট কাপড় পরার বিপদ

টাইট কাপড় পরার অভ্যাস অনেক সময়েই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আধুনিক জীবনে ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে টাইট কাপড় বেছে নেওয়া হয়, কিন্তু এটি অনেক সুক্ষ্ম বিপদের কারণ হতে পারে।

গলার স্বস্ব চলাচলে বাধা

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় টাইট কাপড়ের ক্ষতিকর প্রভাব সরাসরি গলার স্বস্ব চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। টাইট কলার বা স্কার্ফ পরার ফলে গলায় অস্বস্তি ও চাপ অনুভূত হতে পারে, যা স্বাস্খ্য উদ্যোগের জন্য ক্ষতিকর। ফ্যাশন ট্রেন্ডে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টায় শরীরের স্বাভাবিক ব্যবহারকে দমন না করাটা অত্যন্ত জরুরি।

আরও পড়ুনঃ  কি খেলে পায়খানা হবে?

শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা

টাইট জামা বা ব্লাউজ পরা কেবল অস্বস্তিরই কারণ নয়, বরং এর ফলে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসেও বাধা সৃষ্টি হতে পারে। গলায় স্বস্বতার বাধা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা এই ধরনের টাইট কাপড়ের ক্ষতিকর প্রভাবের উদাহরণ। বিশেষত গলায় আটকে থাকার মতো অনুভূতি হতে পারে যা দৈনন্দিন কাজকর্মে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। তাই স্বাস্খ্যের দিকে নজর দিয়ে ফ্যাশনের পাশাপাশি আরামও নিশ্চিত করা উচিত।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। এ ধরনের খাবার গ্রহণের ফলে রিফ্লাক্স বা এসিডিটির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা গলায় আটকে থাকা অনুভূতির একটি সাধারণ কারণ। এছাড়া, চর্বিযুক্ত খাবার গলার স্বাস্থ্য খারাপ করতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

রিফ্লাক্স বা এসিডিটি শুধুমাত্র গলার স্বাস্থ্যের উপরেই প্রভাব ফেলে না, বরং তা গলার শ্লেষ্মা জমার কারণও হয়ে উঠতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী এসিডিটির সমস্যা গলার সংবেদনশীল এলাকায় ক্ষতির সৃষ্টি করে, যা সাধারণত গ্লোবাস ফেরিনজিস নামে পরিচিত।

  • চর্বিযুক্ত খাবারের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্সকেও ত্বরান্বিত করে, যা গলায় যন্ত্রণা ও অসুবিধা সৃষ্টি করে।
  • তাই, চর্বিযুক্ত খাবার পরিমাণমত গ্রহণ করলে রিফ্লাক্সের ঝুঁকি কম থাকে এবং গলার স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • চর্বি কমিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

গলার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ও চর্বিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকার জন্য সঠিক ডায়েট প্রণয়নের পরামর্শ নেয়া উচিত। তেমনি, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার বদলে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং কম চিনি ও লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ, এই অভ্যাসগুলো আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী গলার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

খাওয়ার পরপরই না শোয়া

খাওয়ার পরপরই শোয়া উচিত নয়, কারণ এটি রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। খাওয়ার পর শরীরের অভ্যাসগত কর্মকাণ্ডে মন্দ প্রভাব ফেলতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, খাওয়ার পর কিছু সহজ অভ্যাস মানলে রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করা সহজ হয় এবং খাওয়ার পর সঠিক অভ্যাসের অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।

রিফ্লাক্স প্রতিরোধে করণীয়

সকলের উচিত খাওয়ার পরপরই শোয়ার পরিবর্তে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা বা সোজা হয়ে বসা। এতে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে এবং রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়া, খাবারের পর পানি পান করা, সময়মতো সুষম খাবার গ্রহণ করা এবং অত্যধিক চর্বিজাতীয় খাবার এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা

খাওয়ার পর সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করা যায়। খাওয়ার পরপরই না শোয়া ছাড়া কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যেমন:

  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করা
  • খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম বা হালকা ব্যায়াম করা
  • সুষম ও স্বাস্থ্যকর আহার

এই অভ্যাসগুলো আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে রিফ্লাক্স প্রতিরোধ এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ

অনেক সময় গলায় আটকা পড়া বা অস্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বাংলাদেশে অনেকেই গলায় এবং কান সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। উদাহরণস্বরূপ, এক ২২ বছর বয়সী নারী গলার সংক্রমণের সমস্যায় ৪ দিন ধরে ভুগছিলেন। সোমবার সকালের দিকে তিনি ক্লিনিকে পরামর্শ নিতে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়?

তার উপসর্গগুলোর মধ্যে দেহে ব্যথা, ঠান্ডা, মাথাব্যথা এবং ২ দিনের জন্য জ্বর ছিল। তার টনসিলে লাল, ফোলা এবং সাদা প্যাচ দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবার ডাক্তার তাকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন, এবং তিনি পরবর্তীতে অনেকটাই ভালো বোধ করেন।

৫৮ বছর বয়সী এক নারী কানের বন্ধাভাব, গলা ব্যথা, কাশি এবং নাক বন্ধ থাকার মতো উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন। তার ফলে গলায় স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। একজন ২৬ বছর বয়সী নারী ৫ দিনের জন্য কানের ব্যথা এবং চোয়ালের ব্যথার কারণে পরামর্শ নেন।

এছাড়া, একজন ২৩ বছর বয়সী নারী গলায় কিছু আটকে থাকার সংবেদন এবং বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন। এ ধরনের জটিল সমস্যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। দীর্ঘস্থায়ী বা অসহনীয় ব্যথা এবং অস্বস্তি থাকলে সময়মতো চিকিৎসা নিয়ে সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে। নিজের শরীরের ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং প্রয়োজনীয় চেক-আপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

FAQ

গলায় কিছু আটকে থাকার সাধারণ কারণগুলি কি কি?

গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতির পেছনে কিছু সাধারণ কারণ হতে পারে: গলায় শ্লেষ্মা জমে থাকা, রিফ্লাক্স এবং সুপ্ত রিফ্লাক্স, এবং গ্লোবাস ফেরিনজিস।

রিফ্লাক্স এবং সুপ্ত রিফ্লাক্স কি?

পাকস্থলীর এসিড যখন খাদ্যনালিতে উঠে আসে তখন রিফ্লাক্স হয়। এটি গলায় চাপে অনুভূতি, শ্বাসকষ্ট, এবং কাশি তৈরি করতে পারে।

গ্লোবাস ফেরিনজিস কি?

গ্লোবাস ফেরিনজিস হলো গলায় কিছু আটকে আছে মনে হওয়ার অনুভূতি, যা বিভিন্ন সাইকোসোম্যাটিক বা শারীরিক কারণের দ্বারা হতে পারে।

গ্লোবাস ফেরিনজিসের লক্ষণ কি কি?

গ্লোবাস ফেরিনজিসের লক্ষণ হল গলায় চাপা বোধ, শ্বাস নিতে কষ্ট এবং গলায় কিছু আটকে আছে এমন অনুভূতি।

গলায় শ্লেষ্মা জমার কারণে কী সমস্যা হতে পারে?

গলায় শ্লেষ্মা জমে গেলে কাশি হতে পারে, এবং গলায় অস্বস্তি ও চাপা বোধ করতে পারেন।

গলায় আটকে থাকার অনুভূতি মুক্তির জন্য কী টিপস আছে?

গরম পানি পান করা, নিয়মিত ভাপ নেওয়া এবং গলা পরিষ্কার করে রাখা গলার চাপা বোধ মুক্তি দিতে পারে।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল কীভাবে গলায় অস্বস্তি তৈরি করে?

ধূমপান এবং অ্যালকোহল গলার মিউকাস মেমব্রেনের প্রদাহ আর জ্বালা পোড়া বাড়ায়, যা গলায় অস্বস্তি এবং চাপা বোধ তৈরি করতে পারে।

টাইট কাপড় পরার কারণে কি সমস্যা হতে পারে?

টাইট কাপড় আপনার গলার স্বস্ব চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা তৈরি করতে পারে।

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার কেন এড়িয়ে চলা উচিত?

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার রিফ্লাক্স বা এসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি পারে, যা গলায় চাপা বোধ হতে সহায়তা করে।

খাওয়ার পরপরই শোয়া উচিত নয় কেন?

খাওয়ার পরপরই শোয়া উচিত নয় কারণ এতে রিফ্লাক্সের সম্ভাবনা বাড়ে। খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা বা সোজা হয়ে বসা এ সমস্যাকে এড়াতে সাহায্য করে।

গলায় অস্বস্তি হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

যদি গলায় অস্বস্তি দীর্ঘসময় ধরে থাকে তবে অবশ্যই পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিয়মিত চেক-আপ এবং পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button