কানের ময়লা দূর করার উপায় – সহজ টিপস
কানের স্বাস্থ্য সবার জন্য অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় কানের ময়লা বা সেরুমেন জমে থাকার কারণে শ্রবণ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। কানের ময়লা পরিষ্কার এবং কান পরিষ্কারের নিরাপদ উপায় জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন অটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট যেমন ডঃ অনু গোয়াল, ডঃ মানীশ গুদেনিয়া, ডঃ মানীশ কুমার, এবং ডঃ অলিয়াথ আলি এবং তাদের অভিজ্ঞতা কানের ময়লা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে মূল্যবান সেবা প্রদান করে আসছে। কলকাতা, চেন্নাই, লখনউ, দিল্লি, জয়পুর ইত্যাদি শহরে সেরা কানের ডাক্তার পাওয়া যায় যারা কানের সমস্যা নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা দেন।
স্ট্যাটিস্টিক্স অনুযায়ী, প্রায় ১০% প্রাপ্তবয়স্ক লোকেরা এবং ৩০% বৃদ্ধ লোকেরা কানের ময়লা জমে থাকার সমস্যায় ভোগেন। সঠিক উপায়ে কান পরিষ্কার না করলে ইনফেকশন বা শ্রবণ সমস্যা হতে পারে। আরও জানা গেছে যে, অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন লবণ পানি বা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্রয়োগের মাধ্যমে কানের ময়লা পরিষ্কার করার প্রচেষ্টা করেন।
তবে, কানের সঠিক যত্ন সম্পর্কিত সব তথ্য পেতে এই প্রবন্ধের বিভিন্ন সেকশনগুলো পড়ে দেখুন। এখানে কিছু সহজ টিপস দেয়া হবে যা আপনাকে কান পরিষ্কার এবং কানের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
কানের ময়লা বা মোম আসলে কী?
কান থেকে সেরুমেন বা কানের মোম নিঃসৃত হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি আমাদের কানের স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ময়লা, জীবাণু এবং অন্যান্য বাইরের পদার্থ থেকে কানকে সুরক্ষা দেয় সেরুমেন।
সেরুমেনের ভূমিকা
কানের মোম এক প্রকারের প্রাকৃতিক সন্নিবেশ, যা কানের গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হয়। সেরুমেন কানের পথকে শুষ্ক রাখে, জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কানের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবর্তীত অবস্থায় এটি কানে জ্বালা বা ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।
কেন সেরুমেন নিঃসৃত হয়
সেরুমেনের উৎপত্তি মানবদেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ। এটি কানের পথে ঢুকে যাওয়া ময়লা, জীবাণু এবং ক্ষতিকারক উপাদানকে ফাঁদে ফেলে। আমাদের খাওয়া, চিবানো এবং কথা বলার সময় এই মোম কানের বাইরে নিম্নমুখী হতে পারে। কখনও কখনও অতিরিক্ত কানের মোম জমে ব্লকেজ হতে পারে, যা চিকিৎসকের দ্বারা সঠিক পরামর্শ নিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়াও, ওভার দ্য কাউন্টার ড্রপস এবং তেল যেমন বেবি অয়েল, নারকেল তেল ইত্যাদি ব্যবহার করে মোম নরম করা যেতে পারে।
কান পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা
কূহলাম কানের ময়লা অনেক সময় নিজে থেকেই বের হয়ে যায় কিন্তু অতিরিক্ত ময়লা কানের খোলা হ্রাস করতে পারে। এর ফলে হতে পারে শোনার সমস্যা এবং কানে অস্বস্তি। তাই কান পরিষ্কার রাখা জরুরি তাছাড়া এটি স্বাস্থ্যকর কান রক্ষায় সহায়ক।
খাই চিবিয়ে ময়লা দূর হওয়া
আমাদের শারীরবৃত্তির মধ্যে আন্তঃসম্পর্কিত নানান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কান পরিষ্কার হয়। শোনার নালীর মধ্যে চিবানোর সময় বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলি ময়লা বাহির দিকে ঠেলে দেয়। প্রতিদিন নিয়মিত খাদ্য চিবানোর মাধ্যমে ময়লা নি:সৃত হয় যা স্বাস্থ্যকর কান বজায় রাখতে সাহায্য করে।
নিজে থেকেই ময়লা বের হওয়া
অনেক ক্ষেত্রে, কানের ময়লা নিজের থেকেই বের হয়ে যায়। শরীরে থাকা অনেকগুলো গ্রন্থি সেক্রেশনের মাধ্যমে ময়লা বাইরে বের করে দেয়। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের প্রোটিন, যেমন কেরাটিন, ঠিকভাবে কাজ করে কান পরিষ্কার রাখে।
How to Remove Ear Wax
কানের ময়লা দূর করার উপায় সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল পদ্ধতির কারণে কানের আঘাত কিংবা কানের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। ইয়ার ওয়াক্স রিমুভাল এর জন্য কিছু সাধারণ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতির মধ্যে নিচে কিছু আলোচনা করা হলো।
- মেডিকেটেড ইয়ার ড্রপ: কারবামাইড পারঅক্সাইড (Debrox Earwax Removal Kit, Murine Ear Wax Removal System) সহ মেডিকেটেড ইয়ার ড্রপ গুলি কানের ময়লা নরম করার জন্য কার্যকর।
- তেল ব্যবহৃত এজেন্ট: স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীগণ নরম তেলের মতো স্যালাইন, মিনারাল অয়েল অথবা অলিভ অয়েল ইয়ার ওয়াক্স রিমুভাল জন্য সুপারিশ করেন।
- আলাদাভাবে কানের ময়লা খোঁচানোর পরামর্শ নেই: স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের মতে, কানের ময়লা দূর করার উপায় হিসেবে পেপার ক্লিপ, কটন সুয়াব, কিংবা হেয়ারপিন ব্যবহারের ফলে কানের মোম আরও গভীরে চাপা পড়ে যেতে পারে এবং ক্ষতির শঙ্কা থাকে।
- ইয়ার ক্যান্ডলিং ব্যবহার করবেন না: একটি ফাঁকা মোমবাতি কানে ঢুকিয়ে ব্যাবহার করার এই পদ্ধতিটি কার্যকর বলা হয়নি এবং এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
কানের ময়লা দূর করার উপায় সম্পর্কে অন্যান্য বিকল্প ব্যবস্থা প্রয়োগ করার পূর্বে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ওভার-দ্য-কাউন্টার ইয়ার ক্লিনিং ড্রপ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বা অন্য পার অক্সাইড সলিউশন প্রাথমিক স্তরের ময়লা পরিষ্কারে বেশ কার্যকর।
অতিরিক্ত বা শক্ত হয়ে পড়া কানের মোম পরিষ্কারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভুল পদ্ধতির ব্যবহারে কানের ড্রাম ফেটে যাওয়া কিংবা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে, যেমন ড. গুয়েন-হুহ্ন রোগীদের মধ্যে লক্ষ্য করেছেন।
শেষ বিকল্প হিসেবে, ঘরোয়া প্রতিকার ব্যর্থ হলে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া উচিত যদি কানে ব্যথা, শ্রবণ কমে যাওয়া, বা কানের অবরোধের মতো সমস্যা থেকে যায়। কানের ময়লা দূর করার উপায় হিসেবে পেশাদারি চিকিৎসা সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
কান পরিষ্কারের ঘরোয়া পদ্ধতি
আধুনিক জীবনে অনেকেই কানের ময়লা নিয়ে সমস্যায় ভুগে থাকেন। ঘরে বসেই সহজ কিছু উপায় ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। নিচে দু’টি পদ্ধতি উল্লেখ করছি যা কানের ময়লা দূর করতে সহায়ক।
বেকিং সোডা ব্যবহার
বেকিং সোডা কান পরিষ্কারের ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে জনপ্রিয় একটি উপাদান। এটি কানের ময়লা নরম করতে এবং সহজে বের করতে বিশেষভাবে কার্যকর।
- এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে একটি সমাধান তৈরি করুন।
- একটি ড্রপার ব্যবহার করে এই মিশ্রণ থেকে কয়েক ফোঁটা কানে ঢালুন।
- কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, তারপর কানের ময়লা নরম হয়ে গেলে কটন সোয়াব দিয়ে পরিষ্কার করুন।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্রয়োগ
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কানের ময়লা দূর করতেও বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতি।
- এক চা চামচ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড এবং এক চা চামচ পানি মিশিয়ে নিন।
- ড্রাপারের মাধ্যমে এই মিশ্রণ থেকে কয়েক ফোঁটা কানে ঢালুন।
- কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন এবং তারপর কানের ময়লা কটন সোয়াব দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে, আপনি সহজে এবং নিরাপদে কানের ময়লা দূর করতে পারবেন।
লবণ পানির সাহায্যে কানের মেলাসমূহ দূরীকরণ
কানে জমে থাকা ময়লা বা মোম অনেক সময় শুনতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কানের ময়লা পরিষ্কার রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া পদ্ধতির মধ্যে লবণ পানি দিয়ে কানের ময়লা দূরীকরণ একটি নিরাপদ ও কার্যকরী উপায়।
লবণ পানির প্রস্তুতি
লবণ পানি তৈরি করা খুবই সহজ ও সরল। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন:
- প্রথমে, এক কাপ হালকা গরম পানি নিন।
- এরপর, এক চামচ লবণ এতে মিশিয়ে নিন।
- লবণ সম্পূর্ণভাবে গলে যাওয়া পর্যন্ত ভালো করে মিশান।
ব্যবহারের পদ্ধতি
লবণ পানি দিয়ে কান পরিষ্কার করার পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- প্রথমে, একটি কটন বল বা আই-ড্রপার ব্যবহার করে লবণ পানি কান ঝরে দিন।
- লবণ পানি কানে প্রবেশ করাতে ৩-৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, যাতে এটি মোমকে নরম করে।
- এরপর, একটি নরম কাপড় বা ক্লিনিক্স ব্যবহার করে কানের ময়লা মুছে ফেলুন।
লবণ পানি কানের ময়লা নরম করার মাধ্যমে সহজে ময়লা বের করে আনতে সহায়তা করে। তবে, ঘরোয়া কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করার আগে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কানের যত্নে নিরাপদ এবং কার্যকর *কান পরিষ্কার করার পদ্ধতি* শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বেবি অয়েল ব্যবহারে কানের ময়লা দূরীকরণ
কানের ময়লা দূরীকরণের একটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি হল বেবি অয়েল ব্যবহার করা। এটি কানের ময়লাকে নরম করে এবং সহজে বের করতে সহায়তা করে।
ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
কানের ময়লা দূরীকরণের জন্য বেবি অয়েল ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিগুলি নিচে বর্ণনা করা হল:
- ১. প্রস্তুতি: প্রথমে মনের মতো একটি নিরীহ বেবি অয়েল নির্বাচন করুন। কান পরিষ্কার করার আগে, কানের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন।
- ২. প্রয়োগ: একটি পরিষ্কার কান শলাকা বা কটন বল বাছুন। এরপর বেবি অয়েলটি সামান্য গরম করে নিন। খুব গরম করবেন না কারণ এতে কানের কাছে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে। গরম করা বেবি অয়েলটি শলাকায় নিয়ে কানে প্রয়োগ করুন।
- ৩. অপেক্ষা: বেবি অয়েলটি কানে প্রয়োগ করার পর ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে ময়লাটি নরম হয়ে যায় ও সহজে বের হতে পারে।
- ৪. পরিষ্কার: অপেক্ষা করার পর, কোমলভাবে কাপড় বা কটন বল দিয়ে কানের ময়লাটি বের করুন। কানের সেন্সিটিভ স্থানগুলোতে আলতোতে প্রয়োগ করুন, বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না।
এই পদ্ধতিটি নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে কানের ময়লা সহজেই দূর করা সম্ভব। বেবি অয়েল ব্যবহৃত হওয়ার কারনে, এটি একাধিকবার ব্যবহারে কানের কোনও প্রকার সমস্যা সৃষ্টি করবে না, তবে প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অলিভ অয়েল দিয়ে কানের ময়লা পরিষ্কার
অলিভ অয়েল কানের যত্নের জন্য একটি কার্যকরী উপাদান হিসেবে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। এর প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এটি অনেক জনপ্রিয়। এর ব্যবহার কানের ময়লা নরম করে যা পরে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।
অলিভ অয়েল গরম করার প্রয়োজন
গরম অলিভ অয়েল কানের ময়লা আরও সহজে নরম করার জন্য প্রয়োজনীয়। হালকা গরম অলিভ অয়েল কানের ভিতরে দিয়ে অল্প অপেক্ষা করলে ময়লাটি নরম হয়ে যায় এবং পরে তা সহজেই বেরিয়ে আসে। পরিমাণে ৭০% লোক এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেন যা সফল এবং নিরাপদ।
গরম অলিভ অয়েল ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি হল:
- কাপের মধ্যে একটু অলিভ অয়েল নিয়ে সেটি হালকা গরম করুন।
- সেই গরম অলিভ অয়েল থেকে ২-৩ ফোঁটা ড্রপার দিয়ে কানে ঢালুন।
- কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কানের মোম নরম করতে দিন।
- সুতির বল বা কটন বাড দিয়ে ময়লা সাবধানে পরিষ্কার করুন।
শিশুদের ৫ বছর বা তার নিচের বয়সের ৫০% ছোট শিশুদের কানের মোম স্নানের পর সহজেই সরে যায়। কিন্তু কখনও সখনও কানের ময়লা জমে গেলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে তা পরিষ্কার করা যায়।
অলিভ অয়েল শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়, শিশুদের কানের যত্নেও সমান কার্যকরী।
কান পরিষ্কার করার সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
কান পরিষ্কারের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত, কান পরিষ্কারের জন্য মোটা জিনিস বা ধারালো বস্তু ব্যবহার একেবারেই এড়িয়ে চলুন। এটি কানের ভেতরের অংশে আঘাত করতে পারে এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
কান পরিষ্কারের প্রক্রিয়ায় নিরাপদ থাকতে নিচের কয়েকটি মেনে চলা উচিৎ:
- হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ব্যবহারে সতর্ক থাকা: নিয়মিত ব্যবহার করলে কানের যত্ন সুনিশ্চিত করতে পারে, তবে অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
- বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: নিজের পরিচ্ছন্নতার জন্য ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলা ভাল।
এছাড়া, কান পরিষ্কার করতে উষ্ণ পানি এবং বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত লিকুইড ব্যবহারের ফলে কানের সুস্থতা বিঘ্নিত হতে পারে।
কান পরিষ্কারের সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত দরকারি। এতে কানের যত্ন এবং সুস্থতা সঠিকভাবে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
মেডিকেটেড ইয়ারবাডের ব্যবহার
কানের ময়লা বা মোম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মেডিকেটেড ইয়ারবাড খুবই কার্যকর একটি উপায়। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করে এটি ব্যবহার করা জরুরি। মেডিকেটেড ইয়ারবাড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া প্রয়োজন এবং অবহেলা না করা উচিত। এটি আপনাকে সেরুমেন ইমপ্যাকশন থেকে রক্ষা করতে পারে, যা কানের ভিতর পূর্ণ হয়ে থাকতে পারে এবং এক বা উভয় কানে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইয়ারবাড ব্যবহারের পদ্ধতি
মেডিকেটেড ইয়ারবাড ব্যবহারের প্রথম ধাপ হল কানের ভিতরে ধীরগতি ও সঠিকভাবে প্রবেশ করা। ব্যবহারের সময় কখনোই গভীরভাবে ইয়ারবাড ঢোকাবেন না। কানের ময়লা পরিষ্কার করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল কানে কিছুক্ষন যাবত মেডিকেটেড ইয়ারবাড রাখা এবং তারপরে ধীরগতিতে সরানো। এটি সেরুমেনকে নরম করে ময়লা বের করতে সাহায্য করে। ফার্মেসী থেকে সহজেই পাওয়া যেতে পারে এমন হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কার্বামাইড পার অক্সাইড, অ্যাসেটিক অ্যাসিড বা সোডিয়াম বাইকার্বনেট ইয়ার ড্রপস এর সাথে মেডিকেটেড ইয়ারবাড ব্যবহার করে সেরা ফলান পাওয়া যায়।
সতর্কতা সময় ব্যবহারে
ইয়ারবাড ব্যবহার করার সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। ক্যাটন স্যাব বা কোন ছোট উপকরণ ব্যবহার করা উচিৎ না কিন্তু মেডিকেটেড ইয়ারবাডের বিশেষ সঠিক পরিমাপ মেনে চলা উচিৎ। কানের ময়লা পরিষ্কারের সময় আলতো করে ব্যবহার করা এবং কানের কোন ক্ষতি করে না তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ ছাড়া, কানে কখনোই বেশি চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়; যা কানের মাঝের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এছাড়াও, কানে যেকোনও ব্যথা বা অসুবিধা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। মেডিকেটেড ইয়ারবাড ব্যবহারের সময় নিয়মিত বিরতিতে কান পরীক্ষা করা উচিত, বিশেষ করে যারা শ্রবণ যন্ত্র বা কান প্লাগ ব্যবহার করেন।
FAQ
সেরুমেনের ভূমিকা কী?
সেরুমেন হল কানের মোম, যা কানের গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হয়। এটি কানের পথকে ময়লা ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে এবং শ্রবণ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে।
কেন সেরুমেন নিঃসৃত হয়?
সেরুমেন কানের গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হয়ে কানের ময়লা ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে এবং শ্রবণ ক্ষমতা ঠিক রাখে।
কান পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা কী?
অতিরিক্ত ময়লা কানের খোলা হ্রাস করতে পারে, তাই সঠিক পদ্ধতিতে কান পরিষ্কার করা জরুরি।
কিভাবে নিজে থেকেই কানের ময়লা বের হয়?
সাধারণত, খাই চিবিয়ে বা কান নাড়ানোর ফলে কানের ময়লা নিজে থেকেই বের হয়ে যায়।
বেকিং সোডার সাহায্যে কানের ময়লা দূর করার উপায় কী?
বেকিং সোডা কানের ময়লা নরম করে এবং সহজে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্রয়োগ করে কানের ময়লা দূর করার উপায় কী?
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কানের ময়লা নরম করে এবং তা সহজে বেরিয়ে আসে।
লবণ পানির সাহায্যে কানের ময়লা দূরীকরণের প্রস্তুতি কী?
এক কাপ উষ্ণ পানিতে এক চামচ লবণ মিশিয়ে লবণ পানি তৈরি করা হয়।
লবণ পানি ব্যবহারের পদ্ধতি কী?
লবণ পানি কানের মধ্যে দিয়ে ময়লা নরম করে এবং চাপ দিয়ে সহজে ময়লা বের করতে সাহায্য করে।
বেবি অয়েল ব্যবহার করে কিভাবে কানের ময়লা দূর করা যায়?
বেবি অয়েল কানে দিয়ে কিছু সময় রেখে দিয়ে ময়লা নরম করে সহজে বের করা যায়।
অলিভ অয়েল গরম করে কিভাবে কানের ময়লা পরিষ্কার করা যায়?
হালকা গরম অলিভ অয়েল কানের ময়লা নরম করে এবং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
কান পরিষ্কার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন কেন জরুরি?
ভুল পদ্ধতি কানের আঘাতজনিত হতে পারে, তাই যেকোনো মোটা জিনিস ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিৎ।
মেডিকেটেড ইয়ারবাডের সঠিক ব্যবহারের পদ্ধতি কী?
ইয়ারবাড কানে গভীরভাবে না ঢোকানো এবং সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিৎ।
মেডিকেটেড ইয়ারবাড ব্যবহারের সময় কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
ইয়ারবাড ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন কানে আঘাত না লাগে।