মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইম্পেটিগো দূর করার উপায়
ইম্পেটিগো হলো একটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামক রোগ, যা বিশেষত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, তবে বয়স্কদেরও প্রভাবিত করতে পারে। যদিও এটি শোনা যায় যে ইম্পেটিগো সাধারণত ২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি হয়, তবে এ সংক্রমণ বাড়ন্ত গরমের মাসগুলোতে বেশি দেখা দেয়। ইম্পেটিগো দ্রুত নিরাময়ের জন্য সঠিক ইম্পেটিগো চিকিত্সা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রবন্ধে আমরা ইম্পেটিগো দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো যাতে আপনারা দ্রুত ত্বকের ইনফেকশন নিরাময় করতে পারেন।
ইম্পেটিগো সাধারণত প্রথমে রঙ পরিবর্তিত পিম্পল হিসেবে শুরু হয়, যা পরবর্তীতে তরল পূর্ণ ব্লিস্টারে পরিণত হয় এবং দ্রুত ফেটে যায়। সঠিক ইম্পেটিগো চিকিত্সা নিয়ে শুরু করলে সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে গুলো সেরে ওঠে। ইম্পেটিগো দ্রুত সমাধান দিতে গরম, সাবানের কাঁথা দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করতে হয়, এন্টিবায়োটিক ক্রিম প্রয়োগ করতে হয় এবং গজ বা ব্যান্ড-এইড দিয়ে সে স্থান ঢেকে রাখতে হয়।
ইম্পেটিগো দ্রুত নিরাময় করতে অবহেলা না করে প্রাথমিক ইম্পেটিগো চিকিত্সা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখি কীভাবে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইম্পেটিগো থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
ইম্পেটিগো কি?
ইম্পেটিগো হল এক ধরণের সংক্রমণ যা ত্বকের রোগ হিসেবে সারা বিশ্বের লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি প্রাথমিকভাবে ত্বকের ক্ষত স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং অত্যন্ত সংক্রামক। শিশু এবং ভগ্ন স্বাস্থ্য মানুষদের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
ইম্পেটিগোর প্রকারভেদ
ইম্পেটিগো প্রধানত দুই ধরণের হয়:
গোনোকোকাল এবং নন-গোনোকোকাল। গোনোকোকাল ইম্পেটিগো সাধারনত ত্বকের খুব ছোট ক্ষত স্থান থেকে শুরু হয় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বুলোস ইম্পেটিগো হল একটি প্রচুর বুদবুদি তৈরি করা প্রকার, যেখান থেকে হলুদ তরল নির্গত হয় এবং তা পরে শুঁকিয়ে শেঁক হয়ে যায়।
অন্যদিকে, নন-গোনোকোকাল ইম্পেটিগো ত্বকের ছামড়াসহ আরো গভীর ক্ষত তৈরি করে, যেগুলো গনোরিয়া ব্যাক্টেরিয়া ছাড়া অন্য ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়।
ইম্পেটিগোর লক্ষণ
ইম্পেটিগোর বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় যা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব:
- আঁচিলের মতো র্যাশ এবং ত্বকের চুলকানি
- ত্বকের ফোলা এবং ক্ষত হয়েছে
- ক্ষত থেকে হলুদ রঙের তরল নির্গত হয়, যা শুঁকিয়ে শেঁক হয়ে যায়
- মুখের চারপাশে, বিশেষত নাক এবং মুখের আশেপাশে বেশি প্রভাবিত হয়
- হাত এবং অন্যান্য খোলা ত্বকের জায়গায়ও ইম্পেটিগো দেখা যেতে পারে
ইম্পেটিগো কারণ হল প্রকৃতপক্ষে ত্বকের ক্ষতস্থান এবং সংক্রমণ সম্পর্কিত। এটি খুব সহজেই ত্বক থেকে ত্বকে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষত যখন ক্ষতস্থানগুলি খোঁচানো হয় বা স্পর্শ করা হয়।
ইম্পেটিগো কেন হয়?
ইম্পেটিগোর মূল কারণ হল দুটি ব্যাকটেরিয়া: Staphylococcus aureus এবং Streptococcus pyogenes। এই ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ সাধারণত ত্বকের ছোট কাটা বা আঘাতের স্থান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। ত্বকের ইনফেকশন এর যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে যদি সংশ্লিষ্ট ক্ষতগুলি সঠিকভাবে পরিশোধিত না হয়।
ইম্পেটিগো মূলত বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের বয়স ২ থেকে ৬ বছরের মধ্যে। ত্বরপুন এর পরিবেশ যেমন: স্কুল এবং ডে কেয়ার সেন্টারগুলোতে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আরও, গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া ইম্পেটিগো ছড়ানোর সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই কারণেই কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোতে ইম্পেটিগো বেশি প্রচলিত।
অপর্যাপ্ত হাইজিন যেমন অনিয়মিত হাত ধোয়া এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র শেয়ারিং ইম্পেটিগো কারণ হতে পারে। বিশেষ করে প্রি-এক্সিস্টিং ত্বক রোগ যেমন একজিমা বা ডার্মাটাইটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা ইম্পেটিগোতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে, কারণ তাদের ত্বক ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত।
এছাড়া, শিশু এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের মানুষেরা ইম্পেটিগোতে বেশি আক্রান্ত হন। যেখানে ব্যাকটেরিয়াগুলো সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণত ১-৩ দিনের মধ্যে রোগটির লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।
How to Get Rid of Impetigo in 24 Hours
ইম্পেটিগো দ্রুত সমাধান খুঁজতে, সঠিক চিকিত্সা অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত ইম্পেটিগো নিরাময়ের জন্য কিছু বিশেষ এন্টিবায়োটিক ও মলমের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে, ২৪ ঘণ্টায় ইম্পেটিগো মুক্তি সম্ভব:
- অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন ব্যবহার: প্রভাবিত অঞ্চলে হালকা অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন লাগানো উপকারী। এটি ত্বকের ইনফেকশন নিরাময় করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। একটি অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন যেমন হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা স্যালাইন ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এন্টিবায়োটিক মলম: এম্পেটিগো আক্রান্ত স্থানে মাপ্রোসিন বা ফুসিডিক অ্যাসিডের মতো এন্টিবায়োটিক মলম লাগান। এগুলি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দ্রুত রোগ নিরাময় করে।
- সাবান এবং পানি দিয়ে পরিষ্কার করা: প্রভাবিত স্থানগুলি সাবান এবং পানি দিয়ে পরিষ্কার করা ত্বকের ইনফেকশন নিরাময় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং রোগ ছড়ানো রোধ করে।
- ব্যক্তিগত দ্রব্য ভাগাভাগি না করা: বিবাহিত মানুষদের সাথে ব্যক্তিগত দ্রব্য ভাগ করে নেওয়া উচিত নয়। গামছা, চাদর, অথবা বালিশের কভার শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত যাতে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি কমে যায়।
এছাড়াও, বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বা উচ্চ ঝুঁকির দলেগুলির জন্য (যেমন, শিশু বা যারা কম ইমিউনিটি সম্পন্ন), এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেটের ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে। ইম্পেটিগো দ্রুত সমাধান পেতে এবং সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হওয়ার জন্য এসব পদক্ষেপ অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রাথমিক চিকিত্সা
ইম্পেটিগো দ্রুত নিরাময় করার জন্য প্রাথমিক চিকিত্সা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আক্রান্ত স্থানে প্রাথমিক চিকিত্সার প্রয়োগ করলে সংক্রমণ শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসে ও ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায়।
এন্টিবায়োটিক সেবন
ইম্পেটিগোর প্রাথমিক চিকিত্সায় এন্টিবায়োটিকের ভূমিকা অনেক বেশি প্রভাবশালী। যেমন, মুপিরোসিন বা রেটাপামুলিনের মতো এন্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করলে সংক্রমণের জীবাণু ধ্বংস হয়। এই প্রাথমিক চিকিত্সা শুধুমাত্র ইম্পেটিগো ঔষধ হিসেবে নয়, বরং ত্বকের যত্ন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ব্রণ হত্যাকারী মলম
ইম্পেটিগো ত্বকের ইনফেকশন হওয়ায় ব্রণ হত্যাকারী মলম প্রয়োগ করতে হয়। এটি ব্রণ প্রতিরোধক ঘায়ে লাগাতে হয় যা ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করে। যেমন মুপিরোসিন মলম, যা ইম্পেটিগো ঔষধ হিসেবে খুব কার্যকরী। ত্বকের যত্ন এর জন্য এই মলম প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হবে যাতে সংক্রমণ পুনরায় না হয়।
গৃহস্থালির প্রতিকার
যারা ইম্পেটিগো ঘরোয়া প্রতিকার খুঁজছেন, তাদের জন্য ঘরোয়া কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি আছে যা ত্বকের সংক্রামক রোগ এর উপশম করতে পারে। গরম পানির প্রলেপ এবং লবণজল দিয়ে প্রভাবিত এলাকা পরিষ্কার করলেই জীবাণুর বিস্তার রোধ করতে পারেন।
গরম পানির প্রলেপ
গরম পানির প্রলেপ ইম্পেটিগোর মোকাবেলায় কার্যকর হতে পারে। একটি পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে চুবিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে রাখুন।
- গরম পানির প্রলেপ জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
- এটি ত্বকের সংক্রামক রোগ মোকাবেলার জন্য নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
- অন্তত পক্ষে ১০ মিনিট এই প্রলেপ রাখুন এবং দিনে ৩-৪ বার করুন।
লবণজল দিয়ে পরিস্কার
লবণজল দিয়ে প্রভাবিত এলাকা পরিস্কার করাও ইম্পেটিগো ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বেশ উপযোগী। একটি পাত্রে হালকা গরম পানির সাথে কিছু লবণ মিশিয়ে নিন।
- লবণের প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক গুণ আছে যা সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে।
- লবণজল আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগের ফলে ত্বকের সংক্রামক রোগ কমে যায়।
- সপ্তাহে কয়েকবার লবণজল দিয়ে পরিস্কার করুন, কিন্তু খেয়াল রাখুন যাতে জায়গাটি শুষ্ক থাকে।
সঠিকভাবে ইম্পেটিগো ঘরোয়া প্রতিকার এবং ত্বকের সংক্রামক রোগের যত্ন নিলে দ্রুত সেরে উঠতে পারা সম্ভব। উপযুক্ত যত্ন এবং পূর্ব সতর্কতা বৃদ্ধি করে প্রতিদিন খেয়াল রাখতে হবে।
দৈনন্দিন যত্ন নিন
ইম্পেটিগো প্রতিরোধে দৈনন্দিন যত্ন অপরিহার্য। নিয়মিত ত্বকের যত্ন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা ইম্পেটিগো প্রতিরোধে বিশাল ভূমিকা রাখে। এখানে দৈনন্দিন যত্নের কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
ত্বক পরিস্কার রাখা
প্রত্যেকদিন ত্বক পরিস্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। আপনার ত্বক সবসময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ দিয়ে পরিস্কার করুন। এটি ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ইম্পেটিগো প্রতিরোধে সহায়তা করে। ত্বক পরিস্কার করার সময়, বিশেষভাবে প্রতিদিন গোসল করার জন্য খেয়াল রাখুন। এতে আপনার ত্বক সবসময় জীবাণুমুক্ত থাকবে।
টিস্যু ব্যবহার
ত্বক পরিস্কার করার পর, একবার ব্যবহারের পর টিস্যু ব্যবহার করুন। টিস্যু ব্যবহারের ফলে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি কমে এবং ত্বক শুকনো ও পরিচ্ছন্ন থাকে। ত্বকের যত্ন সম্পর্কে আরও জেনে নিন এবং প্রতিদিন ত্বক আবারো সংক্রমিত হওয়া প্রতিরোধ করুন।
ইম্পেটিগো নিরাময়ে সঠিক পোষাক নির্বাচিত করুন
ইম্পেটিগো বিভিন্ন ধরণের ত্বকের সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। ইম্পেটিগো নিরাময়ের জন্য বাংলাদেশে সঠিক পোষাক পরিধান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, ত্বককে শুষ্ক ও শ্বাসপ্রশ্বাসযুক্ত রাখতে হলে, সুতির তৈরি পোশাক বেছে নেয়া উচিত। এই ধরনের পোশাক ত্বককে আরাম দেয় এবং ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, নোংরা ও দূষিত কাপড় পরিধান ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, তাই এই ধরণের পোশাক তৎক্ষণাৎ পরিবর্তন করা আবশ্যক।
- এমন পোশাক ব্যবহার করুন যা ত্বকের ঘর্ষণ কমায়।
- একাধিক কাপড় নিয়ে কাজ করুন যাতে নোংরা কাপড় দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব হয়।
- শরীরকে শুষ্ক রাখার জন্য নিয়মিত কাপড় পরিবর্তন করুন।
ইম্পেটিগো নিরাময় ত্বরান্বিত করতে, পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে শুদ্ধতা ও সঠিকতা বজায় রাখার মধ্যেই অনেকাংশে সাফল্য নির্ভর করে। সুতির পোশাক এবং পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে ত্বকে সংক্রমণ মুক্ত রাখা সম্ভব।
পেশাগত চিকিত্সা
ইম্পেটিগোর ক্ষেত্রে পেশাগত চিকিত্সা হিসেবে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইম্পেটিগো শিশুদের বেশি হয়ে থাকে এবং দ্রুত ছড়ায়, তাই সঠিক সময়মত যথাযথ চিকিত্সা না করলে সমস্যাটি আরও গুরুতর হতে পারে। পেশাগত চিকিত্সার মাধ্যমে ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সমস্যাটিকে কার্যকরভাবে সমাধান করা সম্ভব।
চিকিত্সকের পরামর্শ
ইম্পেটিগোর চিকিত্সায় চিকিত্সকের পরামর্শ হচ্ছে অপরিহার্য। সাধারণত চিকিত্সকরা মিউপিরোসিন ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যা ১০০ জনের মধ্যে ৭৫ জনের ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। মিউপিরোসিন ক্রিম এক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই ইম্পেটিগো সমস্যাটি সমাধান হয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, যেমন এরিথ্রোমাইসিন সেবনের পরামর্শ দেন, যদিও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন বমি, বমিভাব, পেটব্যথা আর ডায়রিয়া হতে পারে।
বিশেষজ্ঞের নির্ধারিত ওষুধ
বিশেষজ্ঞের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম এবং অ্যান্টিসেপটিক লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে ইম্পেটিগো নিরাময়ে সহায়তা করা যায়। যদিও বিভিন্ন গবেষণায় এইসব অ্যান্টিসেপটিক লোশনের কার্যকারিতা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে, তবে ছোট পরিসরে করা গবেষণায় অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
ইম্পেটিগো একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ এবং একে সারিয়ে তুলতে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। সঠিক পেশাগত চিকিত্সা এবং রোগীর যত্নের মাধ্যমে, ইম্পেটিগো সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিরাময় করা সম্ভব।
FAQ
ইম্পেটিগো কী?
ইম্পেটিগো হলো একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ত্বকের সংক্রামক রোগ যা মূলত শিশুদের মাঝে দেখা যায় কিন্তু বয়স্কদেরও প্রভাবিত করতে পারে।
ইম্পেটিগোর প্রকারভেদ কী কী আছে?
ইম্পেটিগো প্রধানত দুই ধরণের হয়: গোনোকোকাল এবং নন-গোনোকোকাল।
ইম্পেটিগোর প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?
প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে আঁচিলের মতো র্যাশ এবং চুলকানি দেখা দেয় যা পরবর্তীতে ফুলে যায় ও ঘায়ে পরিণত হয়।
ইম্পেটিগোর কারণ কী?
ইম্পেটিগো মূলত দুটি ধরণের ব্যাকটেরিয়া, Staphylococcus aureus এবং Streptococcus pyogenes এর কারণে হয়।
কীভাবে ২৪ ঘণ্টায় ইম্পেটিগো নিরাময় সম্ভব?
দ্রুত ইম্পেটিগো নিরাময়ের জন্য কিছু বিশেষ এন্টিবায়োটিক ও মলম যেমন মুপিরোসিন বা রেটাপামুলিন ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী।
প্রাথমিক চিকিত্সা কী কী করা উচিত?
প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য এন্টিবায়োটিক সেবন এবং ব্রণ হত্যাকারী মলম প্রয়োগ অত্যন্ত কার্যকরী।
গৃহস্থালির প্রতিকার কী কী?
গৃহস্থালির প্রতিকার হিসেবে, গরম পানির প্রলেপ অথবা লবণজলে প্রভাবিত এলাকা পরিষ্কার করা জীবাণুর বিস্তার রোধ করে।
দৈনন্দিন ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া উচিত?
প্রতিদিন ত্বক পরিস্কার রাখা, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ দিয়ে গোসল এবং একবার ব্যবহারের পর টিস্যু ব্যবহার করা উচিত।
ইম্পেটিগো নিরাময়ে সঠিক পোষাক কীভাবে নির্বাচিত করবো?
শুষ্ক ও শ্বাসপ্রশ্বাসযুক্ত পোষাক পরিধান করা উচিত এবং নোংরা ও যে কোনো ভাবে দূষিত কাপড় সাথে সাথে পরিবর্তন করা উচিত।
পেশাগত চিকিত্সার জন্য কী করা উচিত?
পেশাগত চিকিত্সার জন্য চিকিত্সকের পরামর্শ নিন এবং বিশেষজ্ঞের নির্ধারিত ওষুধ ব্যবহার করুন।