কিডনিতে পাথর আছে কিনা বুঝবেন কীভাবে

কিডনি পাথরের সমস্যাটি অত্যন্ত ব্যথাদায়ক এবং অসুবিধাজনক হতে পারে। এটি বিশেষত পুরুষদের, গর্ভবতী মহিলাদের এবং ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কিডনি পাথরের লক্ষণগুলি যেমন তলপেট ও কোমরে ব্যথা এবং প্রস্রাবে রক্তক্ষরণ নিয়ে আসে যা প্রতিদিনিক জীবনে বিশাল কষ্টের কারণ হতে পারে।

কিছু নির্দিষ্ট রোগ যেমন গাউট, ডায়াবেটিস, এবং হাইপারক্যালসিউরিয়া শুধু নয়, নির্ধারিত অস্থিরতা যেমন দীর্ঘমেয়াদী অ্যান্টাসিড ও মূত্রবর্ধক সেবন কিডনিতে পাথর গঠনের সম্ভাবনা বাড়ায়। সঠিকভাবে কিডনি পাথর নির্ণয় জরুরি কারণ এর চিকিৎসা দ্রুততম সময়ে শুরু করতে হয়।

কিডনি পাথরের লক্ষণ গুলো জানা থাকলে এবং প্রাথমিক স্তরে সনাক্ত করা গেলে, উপযুক্ত চিকিৎসা নিয়ে সহজে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তাই, কিডনি পাথরের চিকিৎসা এবং নির্ণয় সর্ম্পকে জানতে এবং শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। নিম্নোক্ত অংশে কিডনি পাথর সনাক্তকরণের পদ্ধতি এবং লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

Contents show

কিডনিতে পাথর কী?

কিডনি পাথর, অথবা নেফ্রোলিথিয়াসিস, হল কিডনি বা মূত্রনালীর মধ্যে কঠিন এবং স্ফটিক খনিজ পদার্থের গঠন। কিডনি পাথরের ধরন বিভিন্ন রকমের হয় এবং তাদের গঠন পাথরের প্রকারভেদ উপর নির্ভর করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, বিশ্ব জুড়ে ১% থেকে ১৫% মানুষ জীবনকালে নেফ্রোলিথিয়াসিস দ্বারা আক্রান্ত হন।

কিডনি পাথরের প্রকারভেদ

শারীরিক প্রকৃতি এবং গঠনের উপর ভিত্তি করে কিডনি পাথরের ধরন চার রকম হতে পারে:

  • ক্যালসিয়াম পাথর: এটি সব থেকে সাধারণ পাথর যা ক্যালসিয়াম অক্সালেট অথবা ক্যালসিয়াম ফসফেট এর মিশ্রণে গঠিত হয়।
  • স্ট্রুভাইট পাথর: পদার্থের সংমিশ্রণে যেমন ম্যাগনেসিয়াম অ্যামোনিয়াম ফসফেট দিয়ে গঠিত এই পাথর ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ফলে দেখা যায়।
  • ইউরিক অ্যাসিড পাথর: যাদের শরীর থেকে প্রচুর ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হয় তাদের মধ্যে এই পাথর গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
  • সিস্টাইন পাথর: এটি অনেক কমন নয়, এবং জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কারণে গঠিত হয় যা সিস্টাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিডের স্ফটিক আকার ধারণ করে।

কিডনি পাথর গঠনের কারণ

কিডনি পাথর গঠনের কারণ বা নেফ্রোলিথিয়াসিস এর কারণ কী হতে পারে তা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেফ্রোলিথিয়াসিস এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

  • অপর্যাপ্ত পানি পান বা ডিহাইড্রেশন, যা শরীরের অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ এবং ইউরিক অ্যাসিড কে কনসেন্ট্রেট করে।
  • অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন, সোডিয়াম, শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহন।
  • কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্যের অভ্যাস এবং কম ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ খাদ্যে।
  • অতিরিক্ত ওজন, ব্যবহৃত ঔষধ, বংশগত কারণ ইত্যাদি।
  • নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার কারণে এবং মূত্রনালীর সমস্যা থাকলে এই পাথর গঠিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
আরও পড়ুনঃ  কিভাবে দ্রুত Achilles Tendonitis সারাবেন

বিশ্বব্যাপী, রোগের প্রাদুর্ভাব ও কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। কিডনি পাথর একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে তবে সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনধারার পরিবর্তনে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ ও উপসর্গগুলো

কিডনি পাথরের লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং পাথরের আকার, স্থান এবং সংক্রমণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। প্রায় ৮-১৫% মানুষ তাদের জীবদ্দশায় কিডনি পাথরের সম্মুখীন হন। প্রথম ঘটনার পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে এটি পুনরায় ঘটার ৫০% সম্ভাবনা থাকে।

প্রস্রাবে রক্তক্ষরণ

কিডনি পাথরের লক্ষণের মধ্যে অন্যতম হলো হেমাটুরিয়া, যা সাধারণত প্রস্রাবে রক্তক্ষরণ হিসেবে পরিচিত। কিডনি পাথর প্রস্রাবের নালীতে স্ক্র্যাচ করে এবং রক্ত মিশে যায়। এটি হওয়ার ফলে প্রস্রাবের রং লালচে বা গোলাপি হতে পারে। কাজেই, প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি অবশ্যই উপেক্ষা করা উচিত নয়।

তলপেট এবং কোমরে ব্যথা

রেনাল কোলিক অর্থাৎ তলপেটে ও কোমরে তীক্ষ্ণ ব্যথাও কিডনি পাথরের সাধারণ উপসর্গ। এটি সাধারণত পিঠের নিচ থেকে পেটের নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিডনি পাথর যখন মূত্রনালীতে আটকে যায়, তখন তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়, যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হতে পারে।

প্রস্রাবের রং পরিবর্তন

কিডনি পাথরের জন্য প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে। এটি ঘোলাটে, লালচে বা ধূসর হতে পারে। এছাড়াও, কখনও কখনও পাথরের টুকরো প্রস্রাবের সঙ্গে বের হতে পারে, যা সহজেই চোখে ধরা পড়ে। অতিরিক্ত স্নেহবহুল এবং দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব ও রেনাল কোলিক এর লক্ষণ হতে পারে।

বমি এবং বমিভাব

কিডনি পাথরের কারণে বমি বা বমিভাব হওয়াও একটি সাধারণ সমস্যা। ব্যথার কারণে এবং শরীরের বিভিন্ন রসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এই ঘটনা ঘটে। এটি কষ্টদায়ক হওয়ার পাশাপাশি পরিশ্রান্তির কারণও হতে পারে।

যদি কিডনিতে পাথর সন্দেহ করেন, কবে ডাক্তার দেখাবেন

কিডনিতে পাথর থাকার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত হলে, আপনার লক্ষণ ও উপসর্গগুলো গুরুত্ব সহকারে নজরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে অবিলম্বে নেফ্রোলজিস্ট বা কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:

  • তীব্র ব্যথা, যা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে
  • উচ্চ জ্বর সহ বমি হওয়া
  • প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিলে

এই উপসর্গগুলো উপস্থিত হলে, অবিলম্বে কিডনি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে, কিডনি পাথর পরামর্শ নেওয়া এবং সময়মত চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

কিডনি পাথর নির্ণয়ের পদ্ধতি

কিডনি পাথর নির্ণয়ে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। প্রধানত, ইমেজিং পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা এবং মূত্র নমুনা পরীক্ষা ব্যবহার করা হয় কিডনি পাথরের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে।

আরও পড়ুনঃ  আক্কেল দাঁত সেরে ওঠতে কতক্ষণ লাগে?

ইমেজিং পরীক্ষা

ইমেজিং পরীক্ষা কিডনি পাথর নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মধ্যে আল্ট্রাসাউন্ড এবং নন-কনট্রাস্ট সিটি স্ক্যান প্রধান। আল্ট্রাসাউন্ড সহজে উপলব্ধ এবং ব্যয়বহুল না হওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে, সিটি স্ক্যান আরও নির্ভুল ফলাফল প্রদান করে, যা জটিল কেসগুলোর জন্য প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।

রক্ত পরীক্ষা

কিডনি পাথর নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরে ক্যালসিয়াম, ইউরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের মাত্রা নির্ধারণ করে। উচ্চ মাত্রায় এই উপাদানগুলো কিডনিতে পাথর গঠনের সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করতে পারে।

মূত্র নমুনা পরীক্ষা

মূত্র নমুনা পরীক্ষা একাধিক কারণে কিডনি পাথর নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রস্রাবে খনিজ উপাদানের পরিমাণ নির্ধারণ করে এবং সংক্রমণের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সহায়ক। বিশেষ কিছু লোকের প্রস্রাবে সিস্টাইন নির্গত হয়, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

কিডনি পাথরের চিকিৎসা পদ্ধতি

কিডনি পাথরের চিকিৎসা নির্ভর করে পাথরের আকার, অবস্থান এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা। চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য পাথর অপসারণ করা এবং পুনরায় পাথর গঠন প্রতিরোধ করা। উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে মেডিকেল থেরাপি এবং সার্জিক্যাল পদ্ধতি।

মেডিকেল থেরাপি

কিছু ক্ষুদ্র কিডনি পাথর এমনভাবে তৈরি হয় যা বিশেষ কোনো সার্জিক্যাল পদ্ধতির প্রয়োজন ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বের হয়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ডাক্তাররা পাথর অপসারণে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু মেডিকেশন প্রদান করেন। উদাহরণস্বরূপ:

  • পেন কিলার: তলপেট এবং কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য।
  • আলফা ব্লকার: মূত্রনালীকে প্রশস্ত করে মূত্রের মাধ্যমে পাথর বের করতে সাহায্য করে।
  • পানীয়: প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে কিডনি পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।

সার্জিক্যাল অপশন

বড় এবং জটিল কিডনি পাথরের ক্ষেত্রে, সার্জিক্যাল চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। এই প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

  • লিথোট্রিপ্সি: এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপ্সি (ESWL) দ্বারা অডিও শক ওয়েভের সাহায্যে পাথর ভেঙে ছোট টুকরা করে দেওয়া হয়, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যেতে পারে।
  • নেফ্রোলিথটোমি: পেরকিউটেনিয়াস নেফরোলিথটোমি (PCNL) একটি মাইনর সার্জারির মাধ্যমে কিডনির পাথর সরানো হয় যা অন্য পদ্ধতিতে সম্ভব নয়।

এছাড়াও, কিছু সহজ প্রাকৃতিক প্রতিকার যেমন তুলসী পাতা এবং মধুর সাথে পানীয়, তরমুজের পানি এবং লেবুর রসও প্রায়শই কিডনি পাথরের ব্যথা উপশম এবং ক্ষুদ্র পাথর ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই, চিকিৎসা পদ্ধতির সঠিক নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ গ্রহণ একান্ত জরুরি।

কিডনি পাথর অপসারণের উপায়সমূহ

কিডনি পাথর অপসারণের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে যা রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লিথোট্রিপ্সি, যেখানে উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে পাথরগুলো ভেঙে ছোট অংশে পরিণত করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনো সার্জারি ছাড়াই কিডনি পাথর অপসারণ করা সম্ভব হয়, যা রোগীদের জন্য অনেক কম ঝুঁকি পূর্ণ হয়।

আরও পড়ুনঃ  ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ - জানুন সতর্কতার উপায়

লিথোট্রিপ্সি ছাড়াও, এন্ডোস্কোপিক পদ্ধতির ব্যবহার করে কিডনি পাথর অপসারণ করা যেতে পারে। এখানে ডাক্তার একটি ছোট টিউব ব্যবহার করে কিডনির মধ্যে প্রবেশ করেন এবং পাথরটি সরিয়ে ফেলেন। আরেকটি বিকল্প হলো পারকুটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটমি, যা বড় আকারের পাথর অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়ায় একটি ছোট কাটের মাধ্যমে কিডনিতে প্রবেশ করে পাথরটি সরানো হয়।

যদি পাথরগুলো খুব ছোট হয়, তবে সেগুলো নিজের থেকেই প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন যে প্রতিদিন ১২ গ্লাসেরও বেশি পানি পান করা উচিত, যা কিডনি পাথর তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

কিন্তু যদি কিডনি পাথর অত্যন্ত বড় বা সংক্রমণের কারণ হয়, তবে সার্জিক্যাল অপশন প্রয়োজন হতে পারে। সার্জারির মাধ্যমে পাথর অপসারণ সম্ভব, তবে এটি কিছুটা জটিল হতে পারে এবং পুনর্বাসন সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। তাই কিডনি পাথরের যে কোন সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে যথাসময়ে সঠিক পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়।

FAQ

কিডনিতে পাথর আছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?

কিডনিতে পাথর আছে কিনা বুঝতে আপনি কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখবেন, যেমন তীব্র তলপেট ও কোমরে ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত এবং প্রস্রাবের রং পরিবর্তন। অবশ্যই দ্রুত নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

কিডনিতে পাথর কী?

কিডনি পাথর বা রেনাল ক্যালকুলি হল কিডনি বা মূত্রনালীর মধ্যে গঠিত শক্ত, স্ফটিক খনিজ পদার্থ। এরা ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিড ও সিস্টাইন জাতীয় হতে পারে।

কিডনি পাথরের প্রকারভেদ কী কী?

কিডনি পাথরের প্রকারভেদের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিড এবং সিস্টাইন পাথর অন্তর্ভুক্ত।

কিডনি পাথর গঠনের কারণ কী?

কিডনি পাথর গঠনের কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হল কম জল পান, উচ্চ প্রোটিন ও সল্টের ডায়েট, এবং পারিবারিক ইতিহাস।

কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কী?

কিডনিতে পাথর হওয়ার সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে তলপেট ও কোমরে ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন, এবং বমি ও বমিভাব।

কিডনিতে পাথর সন্দেহ হলে কবে ডাক্তার দেখাবেন?

তীব্র ব্যথা, উচ্চ জ্বর সহ বমি করা বা প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিলে অবিলম্বে নেফ্রোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

কিডনি পাথর নির্ণয়ের পদ্ধতি কী কী?

কিডনি পাথর নির্ণয়ের প্রধান পদ্ধতিগুলো হল রক্ত পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা যেমন আল্ট্রাসাউন্ডসিটি স্ক্যান এবং মূত্র নমুনা পরীক্ষা।

কিডনি পাথরের চিকিৎসার পদ্ধতি কী?

ছোট পাথরের জন্য মেডিকেল থেরাপি এবং বড় পাথরের জন্য সার্জিক্যাল অপশন যেমন লিথোট্রিপ্সি (এলইউডিএস), বা নেফ্রোলিথটোমি ব্যবহার করা হয়।

কিডনি পাথর অপসারণের উপায়সমূহ কী কী?

কিডনি পাথর অপসারণের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেমন শারীরিক পদ্ধতি, লেজার থেরাপি এবং সার্জিক্যাল অপশন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button