পেলভিক ওয়াল মজবুত করার উপায়

পেলভিক ওয়াল শক্তিশালী করা বর্তমানে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পেলভিক ফ্লোর মজবুত করার কৌশল নিয়ে আমরা এই নিবন্ধে আলোচনা করব যা আপনার পেলভিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক হবে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং দৈনন্দিন জীবনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য পেলভিক ওয়াল মজবুত করা একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।

পেলভিক ভিত্তি পেশী মজবুত হলে প্রসবকালীন সহায়তা পাওয়া যায়, মূত্রসংক্রান্ত এবং যাত্রাকালীন স্বস্তি বজায় থাকে। এছাড়া, এটি শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয়। নিয়মিত কিগেল ব্যায়ামের মাধ্যমে পেলভিক ফ্লোর পেশি মজবুত করা সম্ভব এবং এটি অন্তত দুই থেকে তিনবার দৈনিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে এর পরিমাণ ও সময় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন যাতে তা কার্যকরী হয়।

Contents show

পেলভিক ওয়ালের গঠন ও ভূমিকা

পেলভিক ওয়ালের গঠন এবং এর ভূমিকা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহে অবদান রাখে। একই সঙ্গে পেলভিক ফ্লোর পেশি আমাদের শরীরকে শক্তিশালী একটি ভিত্তি প্রদান করে যা মূত্র এবং মল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি নিয়মিত ব্যায়ামে প্রশিক্ষিত করলে পেলভিক স্বাস্থ্য এবং শরীরের ভারসাম্য উন্নত হয়।

পেলভিক ফ্লোর পেশির কার্যকারিতা

পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি গুরুত্বর্পূণ কার্জ করে, যা আমাদের মূত্রনালির স্বাস্থ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের সময় এবং পুরুষদের প্রস্টেট সার্জারির পর এই পেশিগুলি অতীব উপকারী। যাঁরা মূত্রনালির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা পেলভিক ফ্লোর পেশি ব্যায়ামের সুবিধা নিতে পারেন। সঠিক নিয়মে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করলে, ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার উন্নতি দেখা যায়।

শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা

পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতেও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে, এই পেশিগুলি পেলভিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপের সময় শক্তিশালী ভিত্তির রূপরেখা তৈরি করে। পেলভিক ফ্লোর পেশির নিয়মিত ব্যায়াম পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই মুত্র এবং মল নিয়ন্ত্রণের উন্নতি আনতে পারে, এবং এতে পেলভিক অঞ্চলের ব্যথার গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৬৮% ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।

সুতরাং, পেলভিক ফ্লোর পেশি এবং শরীরের ভারসাম্য উন্নত করতে নিয়মিত ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কেবল মাত্র পেলভিক ফ্লোর স্বাস্থ্য বৃদ্ধি পায় না, বরং সম্পূর্ণ পেলভিক অঞ্চলে সুস্থতার অভিজ্ঞতা হয়।

কেন পেলভিক ওয়াল শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ

পেলভিক ওয়াল শক্তিশালী করার মাধ্যমে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র গর্ভকালীন পরিস্থিতিতে মহিলাদের সহায়তা করে না বরং তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সুবিধাও প্রদান করে।

প্রসবকালীন সহায়তা

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পেসার পেশিকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। প্রসবকালীন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডিপ স্কোয়াট করা মহিলাদের পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যা প্রসব প্রক্রিয়ার সময় সহায়তা করে। এর ফলে প্রসব সহজতর হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সংখ্যা কম হয়।

আরও পড়ুনঃ  হাঁচি আনার উপায় – দ্রুত টিপস

মূত্রসংক্রান্ত ও যাত্রাকালীন স্বস্তি

শক্তিশালী পেলভিক ওয়াল মূত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মূত্রসংক্রান্ত সমস্যাগুলি কমায়। এটি মূত্র নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে যা অপ্রত্যাশিত মূত্রাধার রেহাই দেয়। এছাড়াও, নির্বিঘ্ন যাত্রার জন্য শক্তিশালী পেলভিক ওয়াল গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যাত্রাকালীন স্বস্তি দেওয়ার মাধ্যমে এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।

কিগেল ব্যায়াম

কিগেল ব্যায়াম পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি শক্তিশালী করতে সহায়ক এবং এটি মূত্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়মিত অনুশীলন করলে এটি প্রসবের পর বা প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে।

কিভাবে কিগেল ব্যায়াম করবেন

কিগেল ব্যায়ামে সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত ও সঠিক উপায়ে এই ব্যায়াম করা জরুরি। পদ্ধতি নিম্নরূপ:

  1. প্রথমে আরামদায়কভাবে বসুন এবং পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি শনাক্ত করুন।
  2. পেশিগুলি টাইট করুন এবং ৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এরপর পেশিগুলি শিথিল করুন এবং ৩ সেকেন্ড পর্যন্ত বিশ্রাম নিন।
  3. এই প্রক্রিয়া ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন এবং একদিনে ৩-৫ বার এই চক্র পুনরাবৃত্তি করুন।

কিগেল ব্যায়ামের সুবিধা

কিগেল ব্যায়াম নিয়মিত চর্চা করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

  • মূত্র নিয়ন্ত্রণ: এই ব্যায়াম মূত্র নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রস্রাবের সময় প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
  • পেলভিক অর্গান প্রোলাপস প্রতিরোধ: শক্তিশালী পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি পেলভিক অর্গান প্রোলাপস প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
  • প্রসব পরবর্তী সহায়তা: প্রসবের পরে স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স সমস্যা কমাতে কিগেল ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকর।
  • অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা: কিগেল অনুশীলনের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ পাওয়া যায় যা নিয়মিত অনুশীলনে সহায়ক হতে পারে।

উল্লেখ্য, নিয়মিত কিগেল ব্যায়ামের মাধ্যমে ৩-৬ সপ্তাহের মধ্যে অথবা কিছু ক্ষেত্রে ৬ মাসের মধ্যে উন্নতি দেখা দেয়।পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ যেমন গ্লুট ব্রিজ এবং বার্ড ডগ কিগেল ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

How to Strengthen Pelvic Wall

Pelvic floor exercises play a crucial role in enhancing pelvic health. By incorporating a routine focused on these exercises, one can strengthen pelvic wall and ensure pelvic health improvement. Weak pelvic floor muscles can lead to issues such as incontinence, lower back pain, and reduced core strength. Here’s a guide on how to strengthen your pelvic wall efficiently.

কিগেল ব্যায়াম:

  1. অনুশীলনগুলি লম্বাভাবে বসে বা শুয়ে করুন।
  2. আপনার পেলভিক ফ্লোর পেশি চেপে ধরুন এবং পাঁচ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখুন, তারপর রিল্যাক্স করুন।
  3. এটি অন্তত ১০-১৫ বার অনুশীলন করুন, দিনে তিনবার করুন।

ব্রিজ ব্যায়াম:

  1. পিছনে শুয়ে পড়ুন, হাঁটু বাঁকিয়ে রাখুন এবং পা মাটিতে রাখুন।
  2. পেলভিক উত্তোলন করুন এবং এমনভাবে রাখুন যেন কাঁধ, হিপ এবং হাঁটু একটি সরল রেখায় থাকে।
  3. এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং আস্তে আস্তে নেমে আসুন।

হ্যাপি বেবি পোজ:

  1. মেঝেতে শুয়ে পড়ুন এবং হাঁটুগুলি বুকে আনুন।
  2. পা দুই হাতে ধরে রাখুন এবং ধীরে ধীরে পা প্রশস্ত করুন।
  3. ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট ধরে এই অবস্থানে থাকুন।

এই সমস্ত ব্যায়ামগুলি নিয়মিত করলে আপনি পাবেন pelvic health improvement এবং শক্তিশালী পেলভিক ওয়াল। তাছাড়া, যথাযথভাবে অনুশীলন করলে এইসব ব্যায়াম আপনার মূত্রসংক্রান্ত ও যাত্রাকালীন সহায়তা দিতে পারে, এবং পেলভিক অঙ্গসমূহের সমস্যার ঝুঁকিও কমাতে পারে।

বসে বসে কিগেল ব্যায়াম

কিগেল ব্যায়াম করার সময় আপনার নিতম্ব ও অন্যান্য পেশী শিথিল রাখুন। চেয়ারে বসে কিগেল ব্যায়াম করলে মূত্রনিয়ন্ত্রণ এর সমস্যার সমাধানে বিশেষ ভাবে উপকৃত হওয়া যায়। নিচে দুই ধরনের কিগেল ব্যায়াম সম্পর্কিত প্রাথমিক নির্দেশনাগুলি দেওয়া হল:

প্রাথমিক কিগেল ব্যায়াম

প্রাথমিক কিগেল ব্যায়াম করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ:

  • অবস্থান: একটি সমান পিঠের চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন।
  • প্রথম ধাপ: আপনি যে পেশী সংকোচন করবেন তা চিহ্নিত করুন, এটি মূত্রধারার ধারা থামানোর সময় যে পেশীগুলি ব্যবহার করেন সেই পেশীগুলি।
  • সংকোচন: এই পেশীগুলিকে ৫ সেকেন্ড ধরে শক্ত করে রাখুন।
  • শিথিলকরণ: তারপর পেশীগুলিকে ৫ সেকেন্ডের জন্য শিথিল করুন।
  • পুনরাবৃত্তি: এই প্রক্রিয়াটি ১০-১৫ বার করুন, দিনে তিন সেট পর্যন্ত করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ  প্লাজমা দান করতে কত সময় লাগে?

চটপট কিগেল ব্যায়াম

সাধারণত ত্বরিত কিগেল ব্যায়াম দ্রুত ফলাফলের জন্য উপকারী। এটি দিন বা রাতের যেকোনো সময় করা যায়:

  • সংকোচন ও শিথিলকরণের হার: ২ সেকেন্ডের জন্য পেশীগুলি সংকুচিত করুন ব্যায়াম শুরু করার পর, এরপর ২ সেকেন্ডের জন্য শিথিল করুন।
  • পুনরাবৃত্তি: এটি ২০ বার পুনরাবৃত্তি করুন, দিনে অন্তত তিন সেট চর্চা করুন।
  • বুঝে নেওয়া: যদি আপনি ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না কোথায় সংকোচন করতে হবে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কিগেল ব্যায়াম করার নিয়ম মানার ফলে মূত্রনিয়ন্ত্রণের সাথে সঙ্গে পেলভিক ফ্লোরের সমর্থন বাড়ে। এসব ব্যায়াম নিয়মিত করলে ত্বরিত কিগেল ব্যায়াম এর মাধ্যমে দ্রুত সমাধান পাবেন।

পেট তোলার ব্যায়াম

পেট তোলার ব্যায়াম শরীরের ভারসাম্য ও পেলভিক শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সহায়ক, বিশেষ করে অ্যাবডোমিনিস পেশির কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে তোলে।

শ্বাস ও পেট প্রক্রিয়া

প্রতিদিনের শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস পেট তোলার ব্যায়ামের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস সঠিকভাবে পালন করলে বৃহদন্ত্র পেশীর ব্যায়াম আরও কার্যকর হয়। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় পেটের প্রক্রিয়া সঠিক রাখায় অ্যাবডোমিনিস পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়। মূলত, শ্বাস ও পেট প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে শরীরের ভারসাম্য এবং শক্তি বাড়ানো যায়।

অ্যাবডোমিনিস পেশির কার্যকারিতা

অ্যাবডোমিনিস পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পেট তোলার ব্যায়াম অপরিহার্য। এই ব্যায়ামগুলো বৃহদন্ত্র পেশীর ব্যায়ামের মতোই কার্যকরী, যা অ্যাবডোমিনিস পেশির শক্তি বাড়িয়ে শরীরের সাধারণ কার্যক্ষমতাকে উন্নত করে। আংশিক পেট তোলার ব্যায়াম এবং পূর্ণ পেট তোলার ব্যায়াম, উভয়ই অ্যাবডোমিনিস পেশির কার্যকারিতার উন্নতিতে সহায়তা করে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস সঠিক রাখতে এবং পেশির শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে।

স्बস্তির নিঃশ্বাস ছাড়া

দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিঃশ্বাস ব্যায়াম খুবই কার্যকর একটি উপায়। নিশ্বাস ও পেলভিক ফ্লোরের পেশি শিথিলকরণের মাধ্যমে শরীর ও মন উভয়কেই সুস্থ রাখা যায়।

নিঃশ্বাস ও পেশি শিথিলকরণ

সঠিকভাবে নিশ্বাস নেওয়া নিঃসন্দেহে পেলভিক ফ্লোরের পেশি শিথিলকরণের অন্যতম প্রধান উপায়। গভীর নিশ্বাস ব্যায়াম করলে পেশিগুলি ধীরে ধীরে শিথিল হয়, যা মানসিক চাপ কমানোতে সাহায্য করে। এর জন্য আপনাকে গভীর নিশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ফুসফুস পূর্ণ করতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে।

চাপ কমানোর পদ্ধতি

বিভিন্ন পদ্ধতিতে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব। এর মধ্যে অন্যতম হল নিশ্বাস ব্যায়াম। ব্যায়ামের মাধ্যমে শুধু পেলভিক ফ্লোরের পেশি শিথিলকরণ নয়, বরং মনেরও প্রশান্তি আসে। সঠিক নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমিয়ে আপনি দৈনন্দিন জীবনের নানা ঝামেলা সহজভাবে মোকাবেলা করতে পারবেন।

সাঁতারের সময় নিশ্বাস নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অনুসরণ করলে শুধুমাত্র শারীরিক শক্তি পাওয়া যায় না, বরং পেলভিক ফ্লোরের পেশিগুলিও শিথিল হয়। ফলে মানসিক চাপও কমে যায়। এছাড়া, প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে কিছু সময় ধরে নিশ্বাস ব্যায়ামের অভ্যাস করলে শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

জিম ও যোগব্যায�â�œ্ম

জিমে যাওয়া এবং যোগব্যায়াম করা পেলভিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। জিমের ব্যায়াম যেমন স্কোয়াট এবং ডেডলিফট পেলভিক ফ্লোরের পেশিগুলোকে মজবুত করার জন্য কার্যকর হয়। এর মাধ্যমে পেলভিক ফ্লোরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা প্রস্রাব এবং মলধারণে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, যোগব্যাযâ�œ্ম পেলভিক স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষ কিছু আসন, যেগুলো প্রাকটিস করা হয়, পেলভিক ফ্লোরের পেশিগুলিকে শক্ত করে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। যেমন, মালাসন এবং বালাসন আসন গুলি সরাসরি পেলভিক ফ্লোরের পেশিগুলিকে টোন করতে সাহায্য করে। নিয়মিতভাবে এগুলি অভ্যাস করলে পেলভিক ফ্লোরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুনঃ  মেনিনজাইটিস কেন হয়?

জিমের ব্যায়াম এবং যোগব্যাযâ�œ্ম উভয়ই পেলভিক ফ্লোরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা পেলভিক স্বাস্থ্যকে বাড়াতে এবং ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হওয়ার জন্য একটি শক্ত বেস তৈরি করতে পারে। ছোটখাটো সমস্যার জন্য ব্যায়ামগুলির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হলে, শেষ পর্যন্ত একজন পেশাদার থেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

সমাপ্তি

এই নিবন্ধে, আমরা পেলভিক ওয়াল দূর্বল হওয়ার পেছনে কারণগুলি এবং কিভাবে পেলভিক ওয়াল মজবুত করা যায় তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। পেলভিক ফ্লোর পেশির কার্যকারিতা এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর সাথে, কিগেল ব্যায়াম এবং অন্যান্য ব্যায়ামের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে যা পেলভিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক।

পেলভিক ওয়াল মজবুত করার জন্য বিভিন্ন ব্যায়াম যেমন কিগেল, পেট তোলার ব্যায়াম এবং নিঃশ্বাসের মাধ্যমে পেশি শিথিলকরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিয়মিত অনুশীলন ও সঠিক তথ্য শেখার মাধ্যমে, যে কেউ তাদের পেলভিক স্বাস্থ্যে উন্নতি করতে পারেন। এটি প্রসবকালীন সহায়তা থেকে মূত্রসংক্রান্ত ও যাত্রাকালীন স্বস্তি প্রদান করতে পারে। ফলে, পেলভিক ওয়াল শক্তিশালী করার অতীব প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হয়েছে।

অবশেষে, জিম ও যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যা পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। পেলভিক স্বাস্থ্য রক্ষায় এই ধরনের পদ্ধতিগুলি খুবই কার্যকরী। সামগ্রিকভাবে, আপনি যদি এই উপায়গুলো অনুসরণ করেন, তবে পেলভিক সমস্যাগুলি অনেকাংশে কমানো যেতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে আরও স্বস্তি পাওয়া যাবে।

আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পেলভিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় সাহায্য করবে। নিয়মিত অনুশীলন এবং সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন আরো সুস্থ ও স্বস্তিদায়ক জীবন।

FAQ

পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি কি কি কাজ করে?

পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলি মুত্র ও পায়ু নিয়ন্ত্রণে জড়িত, পেলভিক অঙ্গগুলির সমর্থন প্রদান করে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

পেলভিক ফ্লোর পেশি কি ভাবে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে?

পেলভিক ফ্লোর পেশি শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয় কারণ এটি পেলভিক অঙ্গগুলিকে সমর্থন দেয় এবং শারীরিক অবস্থানকে স্থিতিশীল রাখে।

কেন পেলভিক ওয়াল শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ?

শক্তিশালী পেলভিক ওয়াল প্রাক প্রসব সুবিধা প্রদান করে, মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা কমায় এবং দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনে।

কীগেল ব্যায়াম কিভাবে করবেন?

কীগেল ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে মূত্রস্থল বন্ধ করার চেষ্টা করুন, তারপর সেই গতিবিধি অভ্যাস করুন। এটি দৈনিক কয়েকবার এবং প্রতিবার কয়েক সেকেন্ড ধরে করুন।

কীগেল ব্যায়ামের সুবিধা কী?

কীগেল ব্যায়াম পেলভিক ফ্লোর পেশিগুলির টোন বৃদ্ধি করে এবং মূত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

বসে বসে কিগেল ব্যায়াম কিভাবে করবেন?

চেয়ারে বসে আরাম করুন, তারপর কীগেল ব্যায়ামের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ অনুসরণ করুন। এটি দৈনন্দিন জীবনে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

চটপট কিগেল ব্যায়াম কি?

চটপট কিগেল ব্যায়াম মানে দ্রুত কীগেল করতে অভ্যাস করা। এটি আপনি দিনের যেকোনো সময়ে করতে পারেন, যেমন কাজের ফাঁকে বা টিভি দেখার সময়।

পেট তোলার ব্যায়ামের মাধ্যমে পেলভিক ফ্লোর কিভাবে মজবুত করা যায়?

পেট তোলার ব্যায়াম শরীরের ভারসাম্য সহায়ক এবং পেলভিক ফ্লোর শক্তিশালী করার জন্য সহায়ক। এর মাধ্যমে অ্যাবডোমিনিস পেশির কার্যকারিতা বাড়ে।

নিঃশ্বাসের ব্যায়াম কিভাবে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে?

সাঁতারের সময়ে নিঃশ্বাসের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সাধারণ নিঃশ্বাসপ্রস্থ ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য হয়।

কি ধরনের জিম ও যোগব্যায়াম পেলভিক স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে?

যেসব ব্যায়াম পেলভিক ফ্লোর পেশিকে টার্গেট করে, যেমন, কীগেল, তোলার ব্যায়াম, এবং নিঃশ্বাসের অনুশীলন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button