অ্যান্ড্রয়েডে কুকিজ এনাবল করার পদ্ধতি | কম্পিউটার টিপস

কুকিজ হল একটি অপরিহার্য উপাদান যা অনলাইন ব্রাউজিং অভিজ্ঞতাকে ব্যক্তিগতকৃত এবং কার্যকর করতে সাহায্য করে। এই নিবন্ধে, আমরা বিশদভাবে আলোচনা করবো কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কুকিজ সক্রিয় করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডে কুকিজ সেটিংস পরিবর্তন করার দক্ষতা আপনাকে অনেক উপকারে আসতে পারে, যেমন ব্রাউজিং সহজ করা এবং আরও সুবিন্যস্ত করা।

এতে আপনি জানতে পারবেন কুকিজ কিভাবে চালু করবেন এবং বিভিন্ন মোবাইল ব্রাউজারে কুকিজ সক্রিয় করার পদ্ধতি। এভাবে আপনার অনলাইন ইন্টারঅ্যাকশন আরও সুসম এবং প্রায়োগিক হবে।

কুকিজ কি এবং এগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ

কুকিজ হলো ছোট, টেক্সট-ভিত্তিক ফাইল যা ওয়েবসাইটগুলি দ্বারা আপনার ডিভাইসে সংরক্ষিত হয়। এগুলো ওয়েবসাইটগুলিকে আপনার ব্রাউজিং সেশনগুলি ও পছন্দসমূহ মনে রাখতে সাহায্য করে। ইন্টারনেট ব্রাউজিং ক্ষেত্রে কুকিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে, কুকিজ ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ইম্প্রুভ করতে পারে এবং ওয়েবসাইটকে আরও কার্যকর করে তোলে।

কুকিজ এর সংজ্ঞা

কুকিজ সংজ্ঞা অনুযায়ী, কুকিজ হল এমন একটি ডেটা প্যাকেট যা ওয়েবসাইট আপনার ব্রাউজারে পাঠায় এবং আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ করে। এটি আপনার পরবর্তী ব্রাউজিং সময় ওয়েবসাইটকে আপনাকে সনাক্ত করতে সাহায্য করে। কুকিগুলো ইনফর্মেশন জমা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং তাদের ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো সেশন ম্যানেজমেন্ট, পারসোনালাইজেশন, ও ট্র্যাকিং।

কুকিজ এর প্রকারভেদ

কুকিজের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, এবং এগুলো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

  • সেশন কুকিজ: শুধুমাত্র ব্রাউজার বন্ধ করা পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এবং আপনাকে সাইটগুলোতে লগইন রাখতে সাহায্য করে।
  • পার্মানেন্ট কুকিজ: দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত থাকে এবং আপনার প্রিফারেন্স ও পছন্দগুলো মনে রাখে।
  • থার্ড-পার্টি কুকিজ: অন্যান্য সাইটের দ্বারা তৈরি হয় যা আপনাকে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখাতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনঃ  Android 9 থেকে 10 আপডেট করার পদ্ধতি | সহজ গাইড

কুকিজের উপকারিতা

কুকিজের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যা ওয়েব ব্যবহারকারীর জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে:

  • সাশ্রয় প্রয়োজনীয় তথ্য: কুকিজ যেমন লগইন ইনফো, ভাষা পছন্দ ইত্যাদি জমা রাখে, ফলে বারবার এই তথ্য এন্ট্রি করার প্রয়োজন হয় না।
  • ব্যক্তিগতকরণ: কুকিজ পছন্দ ও প্রিফারেন্স অনুযায়ী কন্টেন্ট প্রদর্শন করে, যার মাধ্যমে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত হয়।
  • ট্র্যাকিং ও অ্যানালিটিক্স: কুকিজ ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে ওয়েবসাইট পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কুকিজের সঠিক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং আরও নিরাপদ ও কার্যকর হতে পারে।

বিভিন্ন ব्रাউজার এ কুকিজ এনাবল করার পদ্ধতি

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বিভিন্ন ব্রাউজারে কুকিজ চালু করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে পারে। কুকিজ হল ছোট টেক্সট ফাইল যা আপনার ব্রাউজার ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় তৈরি করে। কুকিজ ব্যবহারকারীদের পছন্দ, লগইন তথ্য, পছন্দের ভাষা, শপিং কার্ট আইটেম, ফর্ম অটোফিল, এবং কাস্টম সেটিংস স্টোর করতে পারে। কুকিজ সেটিংস পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, কেননা এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে।

গুগল ক্রোম এ কুকিজ এনাবল করার পদ্ধতি:

  1. আপনার ব্রাউজারের সেটিংস খুলুন।
  2. ‘গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে যান।
  3. ‘কুকিজ’ সেটিং থেকে কুকিজ চালু করুন।

মোজিলা ফায়ারফক্স এ কুকিজ এনাবল করার পদ্ধতি:

  1. আপনার সোফটওয়্যারের সেটিংস খুলুন।
  2. ‘গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা’ বিভাগে যান।
  3. কুকিজ চালু করে সেটিংস সেভ করুন।

অ্যাপল সাফারি তেও কুকিজ চালু করার প্রক্রিয়া অনুরূপ। ব্যবহারকারীরা তাদের সেটিংস থেকে কুকিজ এনাবল করতে পারবেন, যা তাদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করবে। ব্রাউজারে কুকিজ চালু করা সাধারণত লগইন নির্দেশিকা, শপিং কার্ট, প্রিফারেন্স স্টোর এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে।

অনেক ব্রাউজার কুকিজ নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবহার করতে দেয়, যেমন তৃতীয় পক্ষ কোম্পানি গুলোর কুকিজ ব্লক করা অথবা নির্দিষ্টভাবে কাস্টমাইজ করা। কুকিজ ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন এবং আপনার নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি সেটিংস প্রতিনিয়ত চেক করুন।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড ফোনের লক খুলুন সহজ উপায়ে

প্রায় ৮০ শতাংশ ব্রাউজারগুলি ওয়েব ফাংশনালিটিজ এর জন্য কুকিজ প্রয়োজন। তবে বিভিন্ন ব্যবহারকারী তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কুকিজ চালু বা বন্ধ রাখতে পারে। তাছাড়াও, ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে কুকিজ সেটিংসগুলি এনাবল করার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং একই সাথে তাদের ব্রাউজার ব্যবহার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে পারে।

কিভাবে গুগল ক্রোম এ অ্যান্ড্রয়েডে কুকিজ এনাবল করবেন

গুগল ক্রোমে কুকিজ এনাবল করার জন্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। কুকিজ সেটিংস পরিবর্তন করে, আপনি আপনার ব্রাউজিং অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে পারেন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনার পছন্দ এবং লগইন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে নির্দেশিকা দেওয়া হল:

ধাপ ১: সেটিংস খোলা

প্রথমে গুগল ক্রোম অ্যাপটি খুলুন এবং উপরের ডানদিকে থাকা তিনটি ডট আইকনটিতে ট্যাপ করুন। মেনুটি খোলার পর “Settings” অপশনটি নির্বাচন করুন।

ধাপ ২: গোপনীয়তা ও সুরক্ষা বিভাগে যেতে হবে

সেটিংস মেনু থেকে “Privacy and Security” বিভাগটি খুঁজে বের করুন। এই বিভাগের ভেতরে গেলে আপনি বিভিন্ন সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা সম্পর্কিত সেটিংস পাবেন।

ধাপ ৩: কুকিজ সেটিং পরিবর্তন করা

গোপনীয়তা ও সুরক্ষা বিভাগে “Site Settings” অপশনে যান। এখানে আপনি “Cookies and Site Data” বিকল্পটি পাবেন। এই বিকল্পে প্রবেশ করে “Allow All Cookies” নির্বাচন করুন। এইভাবে আপনি অ্যান্ড্রয়েডে কুকিজ চালু করা সম্পন্ন করতে পারেন।

গুগল ক্রোমে কুকিজ সেটিংস পরিবর্তনের মাধ্যমে, আপনি আপনার ব্রাউজিং অভিজ্ঞতাকে কাস্টমাইজ করতে পারবেন, যা আপনাকে ওয়েবসাইটে লগইন অবস্থায় রাখতে, পছন্দ শোনা এবং শপিং কার্টের আইটেম সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।

মোজিলা ফায়ারফক্স এ কুকিজ এনাবল করার পদ্ধতи

মোজিলা ফায়ারফক্সে কুকিজ এনাবল করতে চাইলে আপনাকে খুব সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো:

ধাপ ১: সেটিংস খোলা

প্রথম ধাপে, ফায়ারফক্স ব্রাউজারটি খুলুন এবং ব্রাউজারের উপরের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট চিহ্ন থাকা মেনু বাটনে ক্লিক করুন। এরপর মেনু থেকে “সেটিংস” অপশনটি নির্বাচন করুন।

ধাপ ২: গোপনীয়তা এবং সিকিউরিটি বিভাগে যেতে হবে

সেটিংস ওপেন করার পর, “গোপনীয়তা ও সিকিউরিটি” ট্যাবে যান। এই বিভাগে আপনি আপনার কুকিজ সেটিংস নিয়ন্ত্রণ এবং আপডেট করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ  গুগল প্লে সার্ভিসেস ত্রুটি সমাধানের উপায়

ধাপ ৩: কুকিজ সেটিংস পরিবর্তন করা

“গোপনীয়তা ও সিকিউরিটি” ট্যাবে যাওয়ার পর, “কুকিজ এবং সাইট ডেটা” নামে একটি অপশন পাবেন। এখানে আপনি কুকিজ পরিচালনা ও পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন সেটিংস পাবেন। ফায়ারফক্সে কুকিজ এনাবল করতে চাইলে, নিশ্চিত করুন যে “Allow cookies” অপশনটি চালু রয়েছে।

কুকিজ ব্যবহার করে, আপনি আপনার ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করতে পারেন। কুকিজ চালু থাকলে, আপনার পছন্দসই সাইটগুলোতে দ্রুত লগইন করতে পারবেন এবং আপনার পছন্দসই সেটিংসগুলো সংরক্ষিত থাকবে।

অ্যান্ড্রয়েড ডি

অ্যান্ড্রয়েড ডি একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে সেবা প্রদানের জন্য। এই সেবার মান উন্নত করতে তা ব্যবহৃত হয়। এটির সাথে তৃতীয় পক্ষের সেবা যেমন Google Play Services, Google Analytics for Firebase এবং Firebase Crashlytics জড়িত থাকতে পারে, যেগুলি ব্যবহারকারীদের সনাক্তকরণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে লগ ডেটা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ডিভাইসের আইপি ঠিকানা, ডিভাইসের নাম, অপারেটিং সিস্টেমের সংস্করণ, কনফিগারেশন বিবরণ, ব্যবহার সময় এবং তারিখ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ ছাড়াও, তৃতীয় পক্ষের কোড বা লাইব্রেরি ব্যবহার করার সময় কুকিজের উপস্থিতি নির্দেশ করা হয়েছে, যা সেবার মান উন্নত করতে সহায়ক।

এই সেবাটি প্রদান করার জন্য তৃতীয় পক্ষীয় কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের কর্মরত করা হয়, যাদেরকে ব্যক্তিগত তথ্য প্রবেশাধিকারের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যদিও অ্যাপ্লিকেশনটি সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে এটি ১০০% নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।

অ্যান্ড্রয়েড ডি বিশেষভাবে ১৩ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে নয়, বরং এটি নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের আইন মেনে চলে। ব্যবহারকারীরা ডিভাইসের নিরাপত্তা রক্ষা করতে এবং মোবাইল ডেটা ব্যবহারের খরচ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে উৎসাহিত করা হয়। পরিশেষে, তাওহিদুর রহমান ডিয়ার সময়ে সময়ে প্রাইভেসি পলিসি এবং শর্তাবলী আপডেট করতে পারেন, যা ব্যবহারকারীদের সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠাগুলি দেখতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button