অ্যান্ড্রয়েডে প্রাইভেট ব্রাউজিং করার সহজ উপায়

আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইন গোপনীয়ভাবে ব্রাউজ করতে চান, তাহলে বিভিন্ন ব্রাউজারের প্রাইভেট মোড ব্যবহার একটি সহজ সমাধান হতে পারে।

এই প্রাইভেট মোডগুলি, যেমন গুগল ক্রোমের ইনকগনিটো মোড অথবা মোজিলা ফায়ারফক্সের প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড, আপনাকে কোনো ট্র্যাক বা হিস্ট্রি ছাড়াই অনলাইনে ব্রাউজ করতে সাহায্য করে।

এসব মোডে ব্রাউজিং করলে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কুকিজ ও ক্যাশ সংরক্ষিত হয় না, ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে। অ্যান্ড্রয়েড প্রাইভেট ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনি নিশ্চিন্তে প্রাইভেট ইন্টারনেট সার্ফিং করতে পারবেন এবং গোপনীয়তা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েডে প্রাইভেট ব্রাউজিং কি?

প্রাইভেট ব্রাউজিং হল সেই সুবিধা যা ব্যবহারকারীদের তাদের অনলাইন কার্যক্রম গোপন রাখতে সাহায্য করে। এটি মূলত ব্রাউজারকে ব্রাউজিং ইতিহাস, কুকি ও টেম্পোরারি ফাইল সংরক্ষণ থেকে বিরত রাখে এবং তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকারদের দ্বারা ট্র্যাক হওয়া থেকে মুক্ত রাখে।

প্রাইভেট ব্রাউজিং এর সংজ্ঞা

প্রাইভেট ব্রাউজিং মূলত একটি ব্রাউজিং প্রক্রিয়া যা ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট গোপনীয়তা রক্ষা করতে সহায়তা করে। এই মোড সক্রিয় থাকলে, ব্রাউজার কোন ব্রাউজিং ইতিহাস, কুকি বা টেম্পোরারি ফাইল সংরক্ষণ করে না। প্রাইভেট মোড ব্যবহার করে, আপনি ইন্টারনেট গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেন এবং তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকিং থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

কেন প্রাইভেট ব্রাউজিং প্রয়োজন?

প্রাইভেট ব্রাউজিং বিভিন্ন কারণে প্রয়োজন। প্রথমত, এটি ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও ইন্টারনেট গোপনীয়তা নিশ্চিত করে। দ্বিতীয়ত, এটি সেফ ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে যেখানে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্রাউজিং সম্ভব। অ্যাড ব্লকার এর মাধ্যমে সকল ধরনের বিজ্ঞাপন যেমন পপ-আপ, ব্যানার ও ভিডিও বিজ্ঞাপন ব্লক করে, যা একে প্রাইভেট মোডের আরো কার্যকরী করে তোলে। আপনার নিরাপদ ও সুরক্ষিত ব্রাউজিং অভিজ্ঞতার জন্য প্রাইভেট ব্রাউজিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড ব্যবহার আপনাকে অনাকাঙ্খিত বিজ্ঞাপন থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে এবং আপনার ব্রাউজিং ইতিহাস তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করা থেকে রক্ষা করে।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে ইমেইল অ্যাকাউন্ট যোগ করার পদ্ধতি

প্রাইভেট ব্রাউজিং এর সুবিধা

অনলাইন ব্রাউজিং এর সময় প্রাইভেট ব্রাউজিং ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে অনেকগুলি সুবিধা এবং নিরাপত্তা প্রদান করে। নিচে কয়েকটি মূল সুবিধা উল্লেখ করা হলো:

  • অনলাইন গোপনীয়তা: প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড ব্যবহার করলে আপনার ব্রাউজিং ইতিহাস, কুকিজ এবং ওয়েব ক্যাশ ব্রাউজার বন্ধ করার পর সংরক্ষণ করা হয় না, যা আপনার অনলাইন নিরাপত্তাকে বাড়িয়ে দেয়।
  • ডেটা সুরক্ষা: ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখতে প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড সহায়ক। এটি আপনার পাসওয়ার্ড, ফর্ম পুরণ এবং সার্চ বারের তথ্য সংরক্ষণ করে না, ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
  • সুরক্ষিত ব্রাউজিং: প্রাইভেট ব্রাউজিং কুকিজ এবং ট্র্যাকারদের প্রতিহত করে, যা আপনাকে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এটি দ্বারা আপনি আপনার অনলাইন দাগমুক্ত রাখতে পারেন এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পরিবর্তিত কনটেন্ট পেতে পারেন।

উপরোক্ত সুবিধাগুলি অ্যান্ড্রয়েডে প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড ব্যবহারের সময় আপনার অনলাইন অভিজ্ঞতা উন্নত করে এবং নিরাপদ রাখে। বিভিন্ন ব্রাউজার যেমন গুগল ক্রোম এবং মোজিলা ফায়ারফক্সে প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড চালু করে আপনি এগুলি উপভোগ করতে পারেন। অনলাইন নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার জন্য প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড ব্যবহার করা অপরিহার্য।

কিভাবে চেক করবেন আপনি প্রাইভেট মোডে আছেন কি না

প্রাইভেট মোড বা ইনকগনিটো মোডে ব্রাউজ করার সময় সাধারণত একটি বিশেষ ভিজ্যুয়াল কনফার্মেশন থাকে যা আপনাকে জানাতে সাহায্য করে যে আপনি প্রাইভেট মোডে আছেন। এই প্রাইভেট মোড ইন্ডিকেটরগুলি সহজে শনাক্তযোগ্য হয়। সাধারণত ব্রাউজারের ইউআই এ পরিবর্তন আসে এবং সেটিংসে কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

ভিজ্যুয়াল ইন্ডিকেটর

যখন আপনি প্রাইভেট মোডে থাকবেন, তখন ব্রাউজারের উপরের দিকে একটি বিশেষ চিহ্ন বা আইকন দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, গুগল ক্রোমে এটি একটি কালো বা গাঢ় ধূসর রঙের থিম থাকে এবং ব্রাউজার ট্যাবে একটি ছোট হ্যাট এবং কাচের ছবিটি প্রদর্শিত হয়। ফায়ারফক্সে স্পষ্টভাবে লেখা থাকে “Private Browsing”। এই ভিজ্যুয়াল কনফার্মেশন দ্বারা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি প্রাইভেট মোডে আছেন।

  • গুগল ক্রোমে কালো বা গাঢ় ধূসর থিম
  • ফায়ারফক্সে “Private Browsing” লেখা

ব্রাউজার সেটিংস চেক করা

যদি আপনি নিশ্চিত হতে চান যে আপনি প্রাইভেট মোডে আছেন কিনা, তবে আপনি ব্রাউজারের সেটিংস মেনুতে গিয়ে এটি যাচাই করতে পারেন। প্রায় সব ব্রাউজারেই প্রাইভেট মোড সক্রিয় থাকার সময় সেটিংস মেনুতে একটি প্রাইভেট মোড ইন্ডিকেটর থাকে। এটি বিশেষ করে অ্যাপ ব্যবহারের সময় অধিক কার্যকর প্রমাণিত হয়। মাসে ১০০ হাজার নতুন ব্যবহারকারী প্রতিমাসে এই ফিচার ব্যবহার করেন, আর ৭৫% ব্যবহারকারী এটিকে দৈনন্দিনে ৩৫-৪৫ মিনিট সময় ব্যয় করেন।

আরও পড়ুনঃ  ব্লুস্ট্যাকস থেকে APK এক্সপোর্ট করার পদ্ধতি জানুন

এই ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি প্রাইভেট মোডে আছেন এবং ভিজ্যুয়াল কনফার্মেশনব্রাউজার সেটিংস দ্বারা এটি যাচাই করতে পারবেন।

গুগল ক্রোমে প্রাইভেট ব্রাউজিং

গুগল ক্রোমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় আপনার প্রাইভেসি রক্ষা করতে ইনকগনিটো মোড বা ক্রোম প্রাইভেট ব্রাউজিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই মোডটি আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কুকিজ বা সাইট ডেটা কোনটি সংরক্ষণ করে না, ফলে আপনার ব্রাউজিং এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি নিরাপদ হয়ে ওঠে।

ইনকগনিটো মোড চালু করা

গুগল ক্রোম ইনকগনিটো মোড চালু করার জন্য, ব্রাউজারের উপরের ডান কোণে তিনটি বিন্দু চিহ্নে ক্লিক করুন। এরপর মেনু থেকে ‘নতুন ইনকগনিটো উইন্ডো’ নির্বাচন করুন। এভাবে, আপনি দ্রুত ইনকগনিটো মোডে ব্রাউজিং শুরু করতে পারবেন।

ইনকগনিটো মোড বন্ধ করা

যখন আপনি ইনকগনিটো মোড থেকে বের হতে চান, তখন সমস্ত ইনকগনিটো উইন্ডো বন্ধ করে দিন। এজন্য প্রতিটি উইন্ডোর উপরের ডান কোণে ‘x’ চিহ্ন ক্লিক করে করুন বা কিবোর্ড থেকে ‘Ctrl + W’ চেপে বন্ধ করুন।

ইনকগনিটো মোডের মাধ্যমে ক্রোম প্রাইভেট ব্রাউজিং নিশ্চিত করতে পারেন। গুগল ক্রোম ইনকগনিটো মোড ব্যবহার করে আপনি ব্রাউজ করলে আপনার কোন পছন্দ ও সেশন তথ্য ব্রাউজারের মধ্যে থাকবে না, ফলে সেটি আপনার প্রাইভেসি বাড়াতে সাহায্য করবে।

মোজিলা ফায়ারফক্সে প্রাইভেট ব্রাউজিং

মোজিলা ফায়ারফক্স প্রাইভেট মোড ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ এবং কার্যকর। এটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপ গোপন রাখতে সাহায্য করে। মেনু বার থেকে ‘নতুন প্রাইভেট উইন্ডো’ নির্বাচন করলেই প্রাইভেট ব্রাউজিং শুরু হয়। প্রাইভেট ব্রাউজিং এর সময়, আপনার ব্রাউজার কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন, সার্চ হিস্ট্রি, কুকিজ, বা কেশ সংরক্ষণ করে না।

ফায়ারফক্স সুরক্ষা উন্নত করতে, নিয়মিতভাবে ব্রাউজার আপডেট করা জরুরি। সাম্প্রতিক সংস্করণগুলি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা ফিচার যোগ করে। উদাহরণস্বরূপ, Firefox এর 72.0.1 এবং ESR 68.4.1 সংস্করণসমূহে চিহ্নিত ত্রুটিগুলি দূরীকরণের মাধ্যমে নিরাপত্তা উন্নত করা হয়েছে।

ফায়ারফক্স সুরক্ষা আরও বাড়াতে, ব্যবহারকারীরা ‘মাস্টার পাসওয়ার্ড’ সেট করতে পারেন। এটি ব্রাউজারে সংরক্ষিত লগইন তথ্যগুলিকে রক্ষা করে এবং অ-authorised access প্রতিরোধ করে। তবে যদি আপনি আপনার মাস্টার পাসওয়ার্ড ভুলে যান, তাহলে পুরো ফায়ারফক্স আনইনস্টল ও রিইনস্টল করতে হবে।

অবশেষে, অনলাইন তথ্য চুরির ক্রমবর্ধমান ঘটনাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহারকারীদের নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত। উন্নত ট্র্যাকিং প্রোটেকশন এবং অন্যান্য ফিচাররাজি নিয়ে, মোজিলা ফায়ারফক্স প্রাইভেট মোড ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুনঃ  পিক্সেল এক্সপেরিয়েন্স রম ইনস্টল করার নিয়ম জানুন

How to Browse Privately on Android

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে প্রাইভেট ব্রাউজিং করার জন্য প্রথমেই বিভিন্ন ব্রাউজার এবং গোপনীয়তা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রাইভেট মোড ব্যবহারে কোনও ব্রাউজিং ইতিহাস বা ডেটা সংরক্ষণ করে না, যা বাড়তি গোপনীয়তা প্রদান করে।

বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করা

অ্যান্ড্রয়েড প্রাইভেট ব্রাউজিং এর সুবিধা নিতে, আপনি বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন। গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স এবং মাইক্রোসফট এজ এই তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। ক্রোমের ইনকগনিটো মোডে ব্রাউজিং ইতিহাস বা ফরমের ডেটা সংরক্ষিত হয় না, কিন্তু কুকিজ এবং সাইট ডেটা রাখা হয়। ফায়ারফক্স প্রাইভেট ব্রাউজিং মোডও সমহারি ভাবে কার্যকর, যেখানে আপনার ব্রাউজিং তথ্য শুধুমাত্র আপনার ব্রাউজার সেশন শেষে মুছে দেয়।

প্রাইভেট ব্রাউজিং এর বিকল্প পদ্ধতি

গোপনীয়তা বজায় রাখতে আরও কিছু বিকল্প পদ্ধতি আছে। আপনি ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনার ডেটা সার্ভারের মাধ্যমে পুনরুত্তীর্ণ করে এবং তৎসঙ্গে এনক্রিপ্ট করে। এটি নিশ্চিত করে যে কোনও ব্রাউজিং ট্রেস অবশিষ্ট থাকে না। এছাড়াও, বিজ্ঞাপন ব্লকার্স এবং ট্র্যাকিং প্রতিরোধক টুল ব্যবহার করে গোপনীয়তা বজায় রাখা সম্ভব।

সুপার ব্রাউজার হিসেবে সুপারিশকৃত অ্যাপস

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাঁরা নিরাপদ ও দ্রুত ব্রাউজিং করতে চান, তাঁদের জন্য অনেকগুলো সুপার ব্রাউজার অ্যাপ উপলব্ধ। এই টপ মোবাইল ব্রাউজারগুলো শুধু আপনার প্রাইভেসি সুরক্ষাই করবে না, যথেষ্ট দ্রুতগতিতে ব্রাউজিংয়ের সুবিধাও দেবে।

প্রথমেই নাম আসে গুগল ক্রোমের। এটি একটি জনপ্রিয় নিরাপদ অ্যান্ড্রয়েড ব্রাউজার, যা ‘ইনকগনিটো মোড’ দিয়ে সুরক্ষিত ব্রাউজিংয়ের সুবিধা দেয়। এছাড়া মাইক্রোসফট এজ এবং মোজিলা ফায়ারফক্সও রয়েছে এই তালিকায়। মাইক্রোসফট এজ, যা একসময় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার নামে পরিচিত ছিল, এখন আরও উন্নত ও নিরাপদ।

অন্যদিকে, মোজিলা ফায়ারফক্স কিনতে চাইলে এর প্রাইভেট ব্রাউজিং সেশনগুলো সবথেকে বেশি সুফল মিলে। এছাড়া ভারী ব্রাউজিংয়ের সময়ও এটি বেশ গতিসম্পন্ন।

ফাইনালি, যদি আপনি একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার চান, তবে ব্র্যাভ জোরালো সুপারিশ পাওয়ার মতো একটি অ্যাপ। এটি অ্যান্টি-ট্র্যাকিং ফিচার এবং দ্রুতগতির জন্য জনপ্রিয়। এই সমস্ত সুপার ব্রাউজার অ্যাপ সফটওয়্যারগুলো তাদের নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের জন্য সেরা হয়েছে। আপনার নিরাপদ অ্যান্ড্রয়েড ব্রাউজিং নিশ্চিত করতে এখনই এগুলোর একটি ব্যবহার করে দেখুন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button