অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা সীমিত করার উপায়

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বিভিন্ন কাজে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে অপ্রয়োজনীয় ডেটা ব্যবহার ও ব্যাটারি লাইফ কমে যাওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের বিভিন্ন সেটিংস এবং অ্যাপস ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডেটা সীমিত করা যায়, যা ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা নিয়ন্ত্রণ এবং মোবাইল ডেটা সাশ্রয়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

সাধারণ উপায়সমূহের মধ্যে একটি হলো ডেটা সেভার মোড চালু করা, যা অবিলম্বে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। এই মোড চালু করলে আপনার মোবাইল ডেটার ব্যবহার কমে আসবে এবং ব্যাটারি লাইফও প্রলম্বিত হবে।

আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হলো ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করার মাধ্যমে মোবাইল ডেটা সাশ্রয় করা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস এবং অন্যান্য অ্যাপস অবিরত সার্ভারের সাথে সংযোগ রাখতে চায়, যা মোটা ডেটা ও ব্যাটারি খরচ করে।

ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি অনাবশ্যক অ্যাপ আনইনস্টল করে এবং শুধুমাত্র WiFi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কন্টেন্ট ডাউনলোড করে ডেটা ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারেন। এছাড়া ক্যাশে ও ডেটা ক্লিয়ার এবং এসডি কার্ডে অ্যাপ ট্রান্সফার করেও আপনি ডিভাইসের কার্যকারিতা বাড়াতে পারেন।

ডেটা সেভার মোড ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা সীমিত

অনেক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী তাদের ডেটা ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে ডেটা সেভার মোড ব্যবহার করেন। ডেটা সেভার মোড কীভাবে সক্রিয় করবেন তা জানলে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহারকে সীমিত করে অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে পারবেন।

ডেটা সেভার মোড সক্রিয় থাকার সময়, এটি মোবাইল ডিভাইসে ইনস্টল করা অ্যাপসমূহের ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার সীমিত করে, যার ফলে মেসেজ, ইমেইল এবং অন্যান্য ইন্টারনেট নোটিফিকেশন মিস হতে পারে। তবে কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ যেমন ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের ক্ষেত্রে অ্যাপের সেটিংসে ডেটা সেভার মোড নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারেন।

নির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে ডেটা সেভার মোড কীভাবে সক্রিয় করবেন তা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস থেকে নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট অপশনে গিয়ে, ডেটা সেভারে এক্সেস করে সেটিংস টগল করে সক্রিয় করা যায়।

  1. সেটিংসে যান
  2. নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট অপশন নির্বাচন করুন
  3. ডেটা সেভার টগল করুন

কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোনে উইজেট সরবরাহ করা হয় যা প্রধান পর্দা থেকে সহজেই ডেটা সেভার মোড চালু বা বন্ধ করতে পারে। যারা সীমিত ডেটা প্ল্যান ব্যবহার করেন বা ভারী ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন তাদের জন্য ডেটা সেভার মোড সক্রিয় করা বিশেষ উপযোগী নয়।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড থেকে কম্পিউটারে ফটো ট্রান্সফার করুন

নিয়মিত মোবাইল ডেটা সীমা সেট করা

আপনার মোবাইল ডেটার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খরচ কমাতে, আপনি মোবাইল ডেটা সীমা সেট করতে পারেন। আপনি আপনার ডেটা ব্যবহারের সীমা কনফিগার করুন এবং এটি আপনাকে মবাইলে ডেটা মনিটরিং করতে সাহায্য করবে। এছাড়া, নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানো মাত্র একটি অ্যালার্ট পাবেন যা আপনাকে সতর্ক করবে যাতে অতিরিক্ত ডেটার খরচ এড়ানো যায়।

আসুন কিভাবে মোবাইল ডেটা সীমা সেট করবেন তা ব্যাখ্যা করা যাক:

  1. প্রথমে আপনার ফোনের Settings মেনুতে যান।
  2. তারপর Network & Internet বিকল্পে ক্লিক করুন।
  3. এখন Data Usage অপশনটি নির্বাচন করুন এবং Data warning & limit সেটিংস চালু করুন।
  4. আপনি আপনার ডেটা ব্যবহারের সীমা কনফিগার করুন, নির্দিষ্ট সীমা রিপোর্ট করার জন্য Set data limit সেট করুন।

এছাড়া, আপনি আপনার ডেটার অতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করতে ডেটা ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কিছু জনপ্রিয় ডাট্য ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন আছে যা আপনার মাসিক ডেটা ব্যবহারের পরিসংখ্যান দেবে এবং মোবাইল ডাটা সীমা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। মোবাইল ডেটার নিয়ন্ত্রণাধীন করে রাখলে আপনি আপনার মবাইলে ২৫% থেকে ৩৫% পর্যন্ত ইন্টারনেট ডেটা সেভ করতে পারবেন।

নীচে কয়েকটি টিপস উল্লেখ করা হলো যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:

  • সফটওয়্যারের আটো আপডেটেশন বন্ধ রাখলে একটি স্থায়ী ৫% থেকে ১০% ইন্টারনেট ডেটা সেভ করা যাবে।
  • অ্যাপগুলোর আটো আপডেটেশন বন্ধ রাখলে ২০% থেকে ৩০% ডেটা সেভ করা যাবে।
  • ভিডিও দেখার সময় High quality থেকে Medium quality-তে দেখলে ১৫% বা তার ওপর ইন্টারনেট ডেটা সেভ হতে পারে।
  • আপনি Google Chrome এবং Opera Mini এর Data Saving ফিচার ব্যবহার করে ডেটা ব্যবহার কমাতে পারেন।

মোবাইল ডেটা ব্যবহারের নিয়মিত সীমা সেট করলে এবং আপনার ডেটা ব্যবহারের সীমা কনফিগার করলে, আপনি ইন্টারনেট খরচ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারবেন।

ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ করতে গ্রামীণ সিমপ্লিকেশন

ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য এমন একটি প্রক্রিয়া যা অ্যাপগুলো সক্রিয় না থাকলেও মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে। কীভাবে সেটিংসে এটি করবেন তার জন্য প্রথমে যেতে হবে Settings > Network & internet > Mobile network এবং নির্দিষ্ট অ্যাপগুলোর জন্য Background data টগল অফ করতে হবে।

ডেটা সেভার মোড সমগ্র ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা নিষিদ্ধ করতে সাহায্য করে, যা সমস্ত অ্যাপ থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহারের অনুমতি কেড়ে নেয়।

যদিও গ্রামীণ এলাকায় মোবাইল ডেটা ব্যয়নিরোধ করার জন্য এটি উপযোগী, কিন্তু এটি সমগ্র ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফেও তেভাবে প্রভাব ফেলে।

কীভাবে সেটিংসে এটি করবেনজানতে গেলে, আরও সহজভাবে বিবেচনা করুন কিছু দিক:

  • ডেটার ব্যবহার কমানোর জন্য নিষ্ক্রিয় অ্যাপ মুছে ফেলুন।
  • গ্রামীণ সিমের সেটিংস মেনুতে যান।
  • সেখান থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করুন।
আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে উবুন্টু ইনস্টল করার সহজ উপায়

অ্যাপ এজেন্টদের দ্বারা ডেটা অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটার ব্যবহার কমানো সহজ হতে পারে। এর ফলে, বিশেষ করে সামাজিক মিডিয়া অ্যাপগুলো, যেমন Facebook, TikTok, Twitter, এবং Instagram গুলো ডেটা সঞ্চয় করতে পারবে।

শুধুমাত্র WiFi নেটওয়ার্কে কন্টেন্ট ডাউনলোড করা

বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অধিকাংশ সময়ে WiFi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কন্টেন্ট ডাউনলোড করে থাকেন। এই পদ্ধতিতে কন্টেন্ট ডাউনলোড অপশন অফ রাখুন বিষয়টি অনেক সহজ হয়।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কন্টেন্ট ডাউনলোডের উচ্চ শতাংশই WiFi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, WiFi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কন্টেন্ট ডাউনলোডের পরিমাণ মোবাইল ডেটা ব্যবহারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

  1. WiFi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডাউনলোড করা কন্টেন্টের গড় ফাইলের আকার খুব বড় হয়।
  2. WiFi উপর ডাউনলোড করার সময় দ্রুত গতি এবং ভালো সংযোগের জন্য ব্যবহারকারীরা এই পদ্ধতি পছন্দ করেন।
  3. WiFi নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরতা বাড়ছে, যা স্থিতিশীল এবং আরও বেশি গতির ইন্টারনেট সংযোগের দিকে নির্দেশ করে।
  4. বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী বড় ফাইল এবং মিডিয়া কন্টেন্ট ডাউনলোড করতে WiFi নেটওয়ার্ককে মোবাইল ডেটার উপরে রাখেন।

এই ধরনের প্রবণতা নির্দেশ করে যে, WiFi নেটওয়ার্কে কন্টেন্ট ডাউনলোড অপশন অফ রাখুন এবং শুধুমাত্র WiFi ব্যবহারকারীরা কন্টেন্ট ডাউনলোডের সময় আরও সুবিধা ভোগ করেন, যেহেতু এটি উচ্চ গতির এবং ভালো সংযোগ প্রদান করে।

ক্যাশে ও ডেটা ক্লিয়ার করা

স্মার্টফোনে একসঙ্গে অনেক অ্যাপ ও ট্যাব ওপেন থাকলে প্রত্যেক অ্যাপ ও ট্যাবের জন্য ডেটা প্রয়োজন হয়, যা ইন্টারনেট স্পিড স্লো করে দেয়। নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় ক্যাশে তথ্য সরান এবং ডেটা ক্লিয়ার করলে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পায়।

খারাপ 4G অথবা Wi-Fi কানেকশন থাকলে ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাওয়ার সমস্যা ঘটে থাকে। তাই ডিভাইসের ক্যাশে মেমোরি সময়মতো ক্লিয়ার করার প্রয়োজন। স্মার্টফোনের ব্রাউজারের ক্যাশে মেমোরি ভরে গেলে ইন্টারনেটের স্পিড কমে যায়, এজন্য নিয়মিতভাবে এটি সাফ করতে হবে।

ফোনের Airplane Mode/Flight Mode অন করে অফ করলেও ইন্টারনেটের স্পিড ঠিক করা যায়। অপ্রয়োজনীয় ক্যাশে তথ্য সরান এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা থাকা অ্যাপগুলোর ডেটা ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনলে ভালো ইন্টারনেট স্পিড পাওয়া সম্ভব।

  • অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইনস্টল করুন
  • স্যামসাং বা অন্য বড় ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনে নিয়মিত ক্যাশে ক্লিয়ারিং টুলস ব্যবহার করুন
  • সবসময় কমপক্ষে ১০-২০% ফোন স্টোরেজ ফ্রি রাখুন
  • আপনার ডিভাইসের ডেটা ব্যবস্থাপনা নিয়মিত চেক করুন

ফ্যাক্টরি রিসেটের আগেই সব ডেটা ব্যাকআপ করুন এবং অপ্রয়োজনীয় ক্যাশে তথ্য সরান, যাতে ফোনের স্পিড ঠিক থাকে।

How to Restrict Background Data on Android

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা রেস্ট্রিকশন আপনার ডেটা উপলব্ধতা ও ব্যাটারি জীবনকে বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা দেখব কিভাবে আপনি সহজে সেটিংস পরিবর্তন করে এটি করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করুন

Steps to Restrict Background Data on Android:

  1. প্রথমেই আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড কনট্রোল সেটিংসে যান।
  2. সেখান থেকে ‘ডেটা ইউজেজ’ (Data Usage) নির্বাচন করুন।
  3. যে অ্যাপ্লিকেশনগুলির ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা আপনি সীমিত করতে চান, সেগুলি নির্বাচন করুন।
  4. ‘ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা’ অপশনটি বন্ধ করে দিন।

এছাড়া, আপনি নির্দিষ্ট সময়ে ডেটা সেভার মোড চালু করতে পারেন যা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা রেস্ট্রিকশন করার আরও একটি উপায়।
এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের মাধ্যমে, আপনি খরচ কমানোর পাশাপাশি ডেটা উপলব্ধতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

আসুরিয়নের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ডিভাইসের বিশদ পরিবর্তনে তাদের পরিদর্শনের সংখ্যা খুবই বেশি, যা প্রমাণ করে যে ডিভাইস অপটিমাইজেশনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার অত্যন্ত চাহিদা রয়েছে।

এই নিবন্ধটি নির্দেশ করে যে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে দিতে পারে এবং অনাকাঙ্খিত ডেটা ব্যবহারের ফলে ব্যয়বহুল বিলও হতে পারে। এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে, অ্যান্ড্রয়েড কনট্রোল আরও সহজ হবে এবং ডেটার খরচ কমাতে সাহায্য করবে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করা

অ্যানড্রয়েড ডিভাইসে ডেটা ও ব্যাটারি সাশ্রয়ে অন্যতম কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি হল অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করা। দৈনন্দিন ব্যবহারে আমরা অনেক সময় এমন কিছু অ্যাপ ইনস্টল করি যা বাস্তবে খুব কমই ব্যবহার হয়। এই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি ফোনের প্রদর্শনী এবং পারফর্মেন্স কমিয়ে দিতে পারে এবং ব্রাউজিং এর সময় ডেটা এবং ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে।

একটি অ্যানালাইসিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বোঝা যায় কোন অ্যাপগুলি আপনার প্রসেসর এবং ইন্টারনেট ডেটার অধিক ব্যবহার করছে। এই অ্যাপগুলি আপনার ফোনের মেমরি এবং স্টোরেজ স্পেস বেশি খরচ করে, যার ফলে ফোনটি স্লো হয়ে যায়। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করলে আপনি এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাবেন এবং আপনার ফোনের পারফর্মেন্স দ্রুত হবে।

অ্যাপ অ্যানালাইসিস টুলসের ব্যবহার করে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন অ্যাপগুলি আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক এবং ব্যাটারির সার্ভিস বেশি ববাদ করছে। যেমন, Facebook, Instagram, Twitter ইত্যাদি অ্যাপগুলি অনেক ডেটা ব্যবহার করে। যদি আপনি এই অ্যাপগুলির নির্দিষ্ট কাজের জন্য বিকল্প খুঁজে পান বা কম ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ফোনের ব্যাটারি এবং স্টোরেজ স্পেস সাশ্রয় হবে।

সম্পূর্ণ ডিভাইস পুনরায় সেটআপ এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করার মাধ্যমে আপনি আরও ভালো ইন্টারনেট গতি এবং ডিভাইসের পারফর্মেন্স উপভোগ করতে পারবেন। এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের ফলে, আপনার ফোনের জীবনকালও বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা থাকে, এবং ফোনটি নতুনের মতই কাজ করতে *শুরু করবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button