আইফোনে স্ক্রিন টাইম বন্ধ করার সহজ উপায়
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এই ফিচারটি আপনাকে ডিভাইসে কাটানো সময়ের উপর নজর রাখতে এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে অনেকেই আছেন যারা প্রতিদিনের কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিংবা ব্যক্তিগত সময়ের উপর বাড়তি চাপ কমানোর জন্য তাদের আইফোনের স্ক্রিন টাইম বন্ধ করতে চান।
আপনি যদি স্ক্রিন টাইম বন্ধ করতে চান, তাহলে এটি খুবই সহজ। আপনি কয়েকটি সাধারণ ধাপ অনুসরণ করেই স্ক্রিন টাইম বন্ধ করতে পারেন। নিম্নলিখিত ধাপগুলো পড়ুন এবং আপনার আইফোনে স্ক্রিন টাইম বন্ধ করার সহজ উপায় জানুন। এটি আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করতে এবং সময় ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে বিশেষভাবে কার্যকর হবে।
স্ক্রিন টাইমের আপাত প্রভাব
স্ক্রিন টাইম প্রভাব মানবজীবনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে আসছে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত দীর্ঘমেয়াদী স্ক্রিন সামগ্রীর সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে। ডিজিটাল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা যেমন ঘুমের সমস্যা ও চক্ষুস্বাস্থ্যে ক্ষতি দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও, স্ক্রিন টাইম শিশুদের মধ্যে আরো গুরুতর প্রভাব ফেলছে। এটি তাদের শিক্ষাগত দক্ষতা কমিয়ে দিতে পারে এবং সামাজিক আচরণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
America Academy of Pediatrics আখ্যায়িত করেছন, দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম শিশুদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের কারণে বাচ্চাদের মনোযোগ সমস্যা, স্থূলতা এবং ঘুম সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ক্রিন টাইম প্রভাব পরিমাপের জন্য দীর্ঘ দশ বছরের বেশী গবেষণা এবং অপরিসীম অর্থ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সরকারী সহযোগিতা ও বহু ভলেন্টিয়ারের ভিত্তিতে BioNTech/Pfizer এবং Moderna-র mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইফোনে স্ক্রিন টাইম বন্ধ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সর্বমোট, স্ক্রিন টাইম প্রভাব এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য এর সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন। সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সীমিত স্ক্রিন টাইম অচিরেই ভালো স্বাস্থ্য এবং প্রতিবেশ সম্মত জীবনধারণ নিশ্চিত করতে পারে।
How to Turn off Screen Time
স্ক্রিন টাইম বন্ধ করার জন্য, আইফোনের সেটিংস মেনুতে যেতে হবে। এরপর ‘স্ক্রিন টাইম’ অপশনে যান এবং এটি বন্ধ করে দিতে পারেন। এটি ব্যবহারকারী এবং পিতামাতাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক, কারণ এটি তাদের সন্তানদের জন্য ডিজিটাল ডিটক্স পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
স্ক্রিন টাইম প্রতিবেদনে আপনি কত সময় কী ধরনের অ্যাপ এবং ডিভাইস ব্যবহার করেছেন তার শতাংশ দেখতে পারবেন। পিতামাতারা তাদের শিশুদের ডিভাইস ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত বিষয়বস্তু এবং গোপনীয়তা সীমা নির্ধারণ করতে পারেন। ব্যবহারকারীরা মোস্ট ইউজড অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মধ্যে সাপ্তাহিক বা দৈনিক ডিভাইস ব্যবহারের সংক্ষেপ দেখতে এবং সীমা নির্ধারণ করতে পারেন। ‘ডাউনটাইম’ ফিচার দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অ্যাপ এবং বিজ্ঞপ্তি ব্লক করা যায়, শুরু হওয়ার আগে একটি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।
অ্যাপ লিমিটস আপনাকে দৈনিক সময়সীমা সেট করতে দেয়, যা প্রতিদিন রিফ্রেশ হয়। এছাড়াও, কমিউনিকেশন সেফটি ফিচারটি শিশুদের সংবেদনশীল বিষয়বস্তু শেয়ার করা থেকে রক্ষা করে এবং উপযুক্ত সামগ্রী সরবরাহ করে। এছাড়া, স্ক্রিন ডিস্টেন্স ফিচারটি ব্যবহারকারীদের সঠিক দেখার দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়, যা বিশেষত ছোট ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী।
ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট এবং প্রাইভেসি রestrিকশনস দ্বারা বিষয়বস্তু, অ্যাপ, এবং গোপনীয়তা সেটিংসগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অযৌক্তিক ডেটা ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় আইক্লাউড.কম/ফাইন্ড এর মাধ্যমে স্ক্রিন টাইম পাসকোড অপসারণ পদ্ধতির প্রস্তাব করা হয় না যদি ব্যাকআপ না থাকে। আইফোন সেটিংস থেকে স্ক্রিন টাইম একটি সহজ প্রক্রিয়া যা ডিভাইসের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসবে।
এখনি স্ক্রিন টাইম বন্ধ করে, ডিজিটাল ডিটক্স শুরু করে দিন এবং আপনার ডিভাইসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনুন।
সেটিংস পরিবর্তন করে স্ক্রিন টাইম বন্ধ
আপনার আইফোনে স্ক্রিন টাইম ডিসেবল করার জন্য কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। এভাবে আপনি আপনার ফোনের ব্যবহার কমাতে এবং ডিজিটাল ডিটক্সে সহায়তা পেতে পারেন। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
সেটিংস অ্যাপে যান
প্রথমে, আপনার আইফোন সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করুন। মেনুতে নেভিগেট করুন এবং আপনি স্ক্রিন টাইম অপশনটি খুঁজে পাবেন। আইফোন সেটিংস মেনু আপডেটের ফলে এই অপশনটি সহজে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
স্ক্রিন টাইম অপশন নির্বাচন
স্ক্রিন টাইম অপশন নির্বাচন করার পর আপনার সামনে বেশ কিছু বিকল্প আসবে। আপনি এখানে আপনার ফোনের স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন। এই অপশনগুলি আপনার ফোনের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
স্ক্রিন টাইম বন্ধ করে দিন
সবশেষে, স্ক্রিন টাইম অপশন থেকে ‘স্ক্রিন টাইম ডিসেবল’ করুন। এটি করে আপনার ডিভাইসে স্ক্রিন টাইম পরিমাপ বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনার ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যথাযথ সময় ব্যবহারের জন্য আইফোন সেটিংস এ পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল ব্যালান্স বজায় রাখতে স্মার্টফোন ব্যবহারের নীতি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, অধিকাংশ মানুষ তাদের ফোনে দৈনিক তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন। অধিক স্ক্রিন টাইম বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, স্মার্টফোন ব্যবহারের নীতি প্রয়োগ করলে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারি।
ফোনের অপব্যবহার কমাতে এবং ডিজিটাল ব্যালান্স বজায় রাখতে নিচের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে:
- অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তিগুলি নিয়ন্ত্রণ করে, সাউন্ড, ব্যানার এবং ভাইব্রেশন বন্ধ করে দিন।
- অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য সময় সীমা নির্ধারণ করুন এবং নির্দিষ্ট সময়ে ফোন থেকে দূরে থাকুন।
- ঘুমানোর সময় ফোন দূরে রাখুন এবং গ্রেস্কেল মোড ব্যবহার করুন।
- সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপগুলি লুকিয়ে রাখুন এবং ফোন আনলক করার পদ্ধতিতে জটিলতা আনুন।
- স্ক্রিন ব্রাইটনেস সর্বনিম্ন মাত্রায় সেট করুন, টাস্ক করার সময় ফোনের চেয়ে কম্পিউটার ব্যবহার করুন, এবং বাইরে গেলে ফোন ফেলে যাবার চেষ্টা করুন।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণা দেখিয়েছে যে, এই পন্থাগুলি গ্রহণ করলে ফোন ব্যবহার অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এর ফলে ঘুমের মানও উন্নত হতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারের নীতি এবং ডিজিটাল ব্যালান্স বজায় রাখতে এই পদ্ধতিগুলি অতি কার্যকর।
স্মার্টফোনে অ্যালার্মের বদলে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার
স্মার্টফোন পরিহার করার একটি কার্যকর উপায় হল ঐতিহ্যবাহী অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা। এটি শুধুমাত্র ঘুমের রুটিন উন্নত করে না, বরং স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের প্রবণতা থেকেও ব্যবহারকারীকে রক্ষা করে।
সকালে অ্যালার্ম অ্যাপ ব্যবহার না করা
সকালে জাগার পর যেন প্রথম কাজ স্মার্টফোন দেখা না হয়, সে জন্য অবশ্যই অ্যালার্ম অ্যাপের পরিবর্তে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। এটি ফোনের ডিসপ্লে এড়াতে সহায়ক এবং আরও মনোযোগ দেবে দৈনন্দিন কাজের ওপর।
অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার
স্মার্টফোন পরিহার এবং ব্যক্তিগত সুস্থতার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য অ্যালার্ম ঘড়ি একটি উৎকৃষ্ট বিকল্প। অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহারকারীকে তাদের মর্নিং রুটিনে শৃঙ্খলা এনে দিতে পারে এবং স্মার্টফোন আসক্তি থেকে সুরক্ষা দেয়। পাঠকবৃন্দের জন্য আস্তে আস্তে মোবাইলের সাথে সময় কমাতে এটি অত্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা হতে পারে।
ফোন বন্ধ করে ঘুমানো
রাতের বিশ্রামের জন্য ভালো ঘুম অত্যন্ত জরুরি। আধুনিক জীবনে স্মার্টফোনের সর্বক্ষণিক উপস্থিতি আমাদের ঘুমের মান প্রভাবিত করতে পারে। স্মার্টফোন পরিহার করার মাধ্যমে আমরা রাতে আরও ভালো ঘুম উপভোগ করতে পারি।
ঘুমের আগে ফোন বন্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের মনকে শিথিল করে এবং চারপাশের নীরব পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক। আপনার ফোনের নোটিফিকেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত যাতে কোনো বিরক্তি না ঘটে।
আরও ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়:
- সোশ্যাল মিডিয়া বা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- ফোনের স্ক্রীন টাইম বন্ধ করে রাখুন।
- ফোনের নোটিফিকেশনগুলি বন্ধ রাখুন।
এছাড়া, ফোনের পরিবর্তে বই পড়া বা ধ্যান করার মাধ্যমে মনকে শান্ত করতে পারেন। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য স্মার্টফোন পরিহার করে রাখা সম্ভব হলে আমরা নিঃসন্দেহে আমাদের ঘুমের মান উন্নত করতে পারি।
স্ক্রিন ব্রাইটনেস কন্ট্রোল
কাজের প্রয়োজন বিবেচনা করে বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী স্ক্রিন brightness control একটি অত্যাবশ্যক ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের আরামদায়ক উজ্জ্বলতা পাবেন এবং চোখের চাপ অনেকটাই কমানো যাবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক আইফোনের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার সম্পর্কে।
অটো-ব্রাইটনেস ফিচার
অটো ব্রাইটনেস ফিচার ব্যবহারকারীর পরিবেশ অনুযায়ী স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করে। এটি সেইন্টারের বাহ্যিক আলোকে স্ক্যান করে এবং স্ক্রিন brightness control করে, যা দিনের সময় কিংবা রাতে উভয় সময়ে চোখের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
ট্রু টোন ফিচার
ট্রু টোন ফিচারটি স্ক্রিনের রঙ এবং উজ্জ্বলতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানিয়ে নিয়ে, প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে স্ক্রিনের রঙকে সামঞ্জস্য করে। স্ক্রিন brightness control এর মাধ্যমে ট্রু টোন ফিচার আপনাকে প্রাকৃতিক এবং আরামদায়ক ভিউ প্রদান করে। এই ফিচারটির মূল উদ্দেশ্য হলো চোখের উপর চাপ কমিয়ে আরও স্বাভাবিক এবং প্রাণবন্ত কালার অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি প্রতিরোধ
আধুনিক যুগে স্মার্টফোনের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা শিশুদের উপরও প্রভাব ফেলছে। শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, শিশুদের জন্য প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচারগুলো ব্যবহার করা অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি।
প্রথমেই, শিশুরা কতটা সময় স্ক্রিনের সামনে কাটাচ্ছে সেটা মনিটর করা দরকার। অ্যাপল এবং গুগলের ডিভাইসগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন, যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এবার শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
দ্বিতীয়ত, তাদের ব্যস্ত রাখতে বিভিন্ন আনন্দময় এবং শিক্ষামূলক অ্যাকটিভিটি প্রবর্তন করতে হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং খেলার মাধ্যমে শিশুদের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর চেষ্টা করুন। এ ধরনের পদক্ষেপগুলো তাদের স্ক্রিন আসক্তি কমাতে এবং সুস্থ সামাজিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।
অবশেষে, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল নির্ধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করুন। এই ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাগুলি শিশুদের দৈনন্দিন রুটিনে শৃঙ্খলা আনতে অনেক সাহায্য করে এবং মানুষের সাথে সরাসরি যোগাযোগের বিকল্প হিসেবে স্মার্টফোনকে বেছে না নিতে অনুপ্রাণিত করে।