উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট বন্ধ করার সহজ উপায়
উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ টিপস এবং ট্রাবলশুটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট ফিচারটি যেমন অনেক সময় কাজে আসে, তেমনি এটি অনেক সময় ব্যবহারকারীদের বিরক্ত করার কারণও হতে পারে। এই গাইডটি আপনাকে উইন্ডোজ সাপোর্ট ডিসেবল বা হেল্প ফিচার বন্ধ করার সহজ উপায় সম্পর্কে তথ্য দেবে।
প্রায়শই দেখা যায় যে, উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট ফিচারটি ছাড়া অনেক ব্যবহারকারীর পিসি দ্রুত ও কার্যকরী ভাবে চলে। বিশেষ করে, যখন আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে, তখন এই ফিচারটি অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় পপ-আপ দিয়ে বিরক্ত করতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে কাজে লাগু হয় যাদের পিসির হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন তুলনামূলকভাবে কম।
শুধু তাই না, উইন্ডোজ ১০ & ১১ ব্যবহারকারীদের জন্য এই টিপসগুলি আরও বিশেষভাবে প্রযোজ্য। যেমন ২০১৮ সালে মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ ১০-এর একটি নতুন লাইট থিম চালু করেছে যা এই ফিচারটির কার্যক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই হেল্প ফিচারটি বন্ধ করলে পিসির রিসোর্স ব্যবহারে উন্নতি হতে পারে এবং আপনার কাজের গতি বৃদ্ধি হতে পারে।
উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট বন্ধ করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে, যা ধাপে ধাপে সহজে এবং কার্যকরীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে। চলুন শিখে নিই কীভাবে উইন্ডোজ ট্রাবলশুটিং সহজে করুন ও হেল্প ফিচার বন্ধ করে পিসিকে আরও দ্রুততর করব।
কেন উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট বন্ধ করবেন
উইন্ডোজ সিস্টেমের হেল্প এবং সাপোর্ট ফিচার বন্ধ করার অনেক কারণ রয়েছে। এটি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বা সিস্টেম পারফরমেন্স বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। যখন আপনি উইন্ডোজ হেল্প বন্ধ করেন, তখন এটি অপ্রয়োজনীয় মেমোরি খরচ কমাতে সাহায্য করে। এইভাবে সিস্টেম আরও দ্রুত কাজ করে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত হয়।
উপরন্তু, উইন্ডোজ হেল্প বন্ধ করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় প্রসেস থেকে মুক্তি পেতে পারেন, যা সিস্টেম পারফরমেন্সের উপর প্রভাব ফেলে। এটি বিশেষ করে আধুনিক হাই-এন্ড পিসিতে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে অপ্রয়োজনীয় প্রসেসগুলি সিস্টেমের গতি কমিয়ে দেয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিরাপত্তা। উইন্ডোজ ফাংশনালিটির বিভিন্ন অংশ বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে আপনি অপ্রীতিকর ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করতে পারেন। এর ফলে, সিস্টেম কম ভঙ্গুর হয় এবং আপনার ডেটা নিরাপদ থাকে।
How to Close Windows Help and Support
উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট বন্ধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারে যদি আপনি উইন্ডোজ ম্যানেজ অপটিক্স এবং সিস্টেম টুলস্ এর কার্যকারিতা বাড়াতে চান। এখন ধাপ গুলো পড়ে নিন কিভাবে আপনি এটি করতে পারেন।
ধাপ ১: কম্পিউটার ম্যানেজ অপশনে যাওয়া
প্রথমে, উইন্ডোজ সার্চ বারে ‘This PC’ টাইপ করুন। এতে, আপনার কম্পিউটারের আইকন আসবে। সেখানে রাইট ক্লিক করলে ‘Manage’ অপশনটি দেখতে পাবেন। ‘Manage’ নির্বাচন করুন এবং কম্পিউটার উইন্ডোজ ম্যানেজ অপটিক্স উপরে নিয়ে আসুন।
ধাপ ২: সার্ভিসেস এন্ড এপ্লিকেশনস
এখন, নতুন উইন্ডোতে বাম পাশে থাকা মেনু থেকে ‘Services and Applications’ খুঁজে বের করুন। সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট এর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনি বিভিন্ন সিস্টেম টুলস্ এবং সার্ভিস দেখতে পাবেন।
ধাপ ৩: সার্ভিসেস খুঁজে পাওয়া
এরপর, ‘Services’ সেকশনে যান। সার্চ বারের সাহায্যে ‘Windows Help and Support’ লিখে সার্ভিসটি খুঁজে বের করুন। মিলিয়ে এটি নির্বাচন করুন এবং সার্ভিসটির প্রপার্টিজে গিয়ে সেটি Disable করুন। উইন্ডোজ ম্যানেজ অপটিক্স কার্যকরী রাখতে এটি খুবই দরকারী।
উইন্ডোজ ১০ & ১১ এর হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট বন্ধ করার উপায়
উইন্ডোজ সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের মাঝে, সিস্টেমের নির্দিষ্ট ফিচারগুলি ডিসেবল করা অনেক সময় কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে উইন্ডোজ হেল্প অ্যান্ড সাপোর্ট ফিচারটি বন্ধ করা আপনাকে আপনার কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করতে সাহায্য করতে পারে। এখানে আমরা বিস্তারিতভাবে কিভাবে উইন্ডোজ 10 এবং 11 এ এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যায় তা আলোচনা করব।
উইন্ডোজ ১০
প্রথমেই, উইন্ডোজ 10 ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ 10 সেটিংস থেকে কাজ শুরু করতে হবে। নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
- Settings মেনুতে যান এবং System অপশনটি নির্বাচন করুন।
- এখানে এসে Notifications & Actions সেকশনে যান।
- ব্যবহারকারীরা এখান থেকে নির্দিষ্ট সাপোর্ট ফিচারগুলি খুঁজে বের করে সেগুলি ডিসেবল করতে পারেন।
উইন্ডোজ ১১
উইন্ডোজ 11 ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ 11 সাপোর্ট সেটিংস কিছুটা ভিন্ন হলেও একই পদ্ধতিতে কাজ করবে। ধাপগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল:
- প্রথমে Settings মেনুতে যান এবং System অপশনটি খুলুন।
- এরপর, Notifications & Actions সেকশনটি নির্বাচন করুন।
- এখানে আপনি নির্দিষ্ট উইন্ডোজ ফিচার ডিসেবল করে দিয়ে আপনার সিস্টেমকে আরও দ্রুত এবং কার্যকর করতে পারেন।
উপর্যুক্ত এই ধাপগুলি অনুসরণ করলে আপনি সহজেই উইন্ডোজ 10 সেটিংস কিংবা উইন্ডোজ 11 সাপোর্ট সেটিংস এর মাধ্যমে ডিসেবল উইন্ডোজ ফিচার করতে সক্ষম হবেন, যা আপনার সিস্টেমের স্পিড এবং পারফরম্যান্স বাড়িয়ে তুলবে।
অটোমেটিক আপডেট কীভাবে বন্ধ করবেন
অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করার জন্য আপনাকে কিছু সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। অনেক ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যয় কমানোর জন্য অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করতে চান। অটোমেটিক আপডেট চালু থাকলে ৫-১০ মিনিটে প্রায় ১ গিগাবাইট ডেটা খরচ হতে পারে, যা অনেকের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। সিস্টেম আপডেট নিয়ন্ত্রণ করতে এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:
সার্ভিসেস এন্ড এপ্লিকেশনস থেকে আপডেট অপশন
প্রথমে, Computer Management বা সার্ভিস ম্যানেজার অপশনে যান। এখানে আপনার সিস্টেমে চালু থাকা সব সার্ভিসগুলো দেখা যাবে। এরপর Services and Applications এর মধ্যে Windows Update সার্ভিসটি খুঁজে বের করুন।
ডিসএবল অপশনের নির্বাচন
Windows Update সার্ভিসটি খুঁজে পাওয়ার পর, তার উপর ডান-ক্লিক করুন এবং Properties এ যান। এখানে Startup Type এর ড্রপডাউন মেনু থেকে ‘Disabled’ নির্বাচন করুন। এইভাবে, অটোমেটিক আপডেট বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনার ইন্টারনেট ব্যয় কমবে। উইন্ডোজ আপডেট সেটিংস এ পরিবর্তন আনতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে আপনি সহজেই সিস্টেম আপডেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
সফটওয়্যার সমস্যার কারণ
অনেক সময় ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হন যা কম্পিউটার সফ্outing(موجود)ite-performance_gJ kQjfg& yrAcer-were”&ফটরি সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত, সফ্টওয়্যার ইস্যুট সালাহ দেওয়াbilimost-isটবাংলা নিয়ে এই সমস্যা গুলো সৃষ্টি হয়। সাধারণত, ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৭৫% সমস্যা হয় সফটওয়্যার ইনষ্টল বা এক্সটেনশান সরানোর কারণে। এছাড়া, প্রায় ৬০% ব্যবহারকারীরা হাত দিয়ে প্লাগ-ইন আনইনস্টল করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার কারণে তারা গাইডলাইন বিষয়ক প্রবন্ধগুলো খুঁজে বেড়ান।
সফ্টওয়্যার আপডেট প্রসঙ্গেও অনেক ব্যবহারকারীর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সফ্টওয়্যার সময়ে সময়ে আপডেটের জন্য চেক করতে পারে, যেটি নতুন আপডেট ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারে। কিন্তু অনেক সময় আপডেটসমূহ নিতে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয় যা ব্লু স্ক্রীন বা Blue Screen Error কারণ হতে পারে। বিভিন্ন সফ্টওয়্যার এবং ড্রাইভার ইনস্টলেশন বা আপডেট, পুরোনো সফ্টওয়্যার/ড্রাইভার সংস্করণ, ক্ষতিগ্রস্ত সিস্টেম ফাইল, এবং ভাইরাস/ম্যালওয়্যার ইনফেকশন এই ধরনের ইস্যুগুলির মূল কারণ হিসেবে লক্ষ করা যায়।
সফ্টওয়্যার सम्बन्धে Microsoft এর দেয়া কয়েকটি নির্দেশনার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো: সফ্টওয়্যার লাইসেন্সকৃত এবং বিক্রি নয়, তাই এটি রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা শেয়ার করা সীমিত। বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক আইন অনুসারে ব্যবহারের অধিকার বা বাধ্যবাধকতা আছে যা অঞ্চল ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এর নির্দিষ্ট আইন প্রযোজ্য, যেখানে আইন অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট কিছু অধিকার সুরক্ষিত থাকে। সফ্টওয়্যারটি “যেমন আছে” ভিত্তিতে লাইসেন্সকৃত, যা সকল প্রকট এবং প্রচ্ছন্ন ওয়্যারেন্টির বাইরে থাকে।
এই সফ্টওয়্যার সমস্যা সমাধানের জন্য পেশাদার সেবা কেন্দ্র যেমন 1000Fix এর সঙ্গে যোগাযোগ করা একটি ভালো সমাধান হতে পারে। ব্লু স্ক্রিন ইররের প্রতিটি নির্দিষ্ট কোড ব্যবহারকারীদের সমস্যাটি চিহ্নিত করতে এবং সেই অনুযায়ী সমাধানের পথ খুঁজে পেতে সহায়ক হতে পারে।