উইন্ডোজ ১০-এ কপি করার দ্রুত উপায় | বাংলা গাইড

উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের জন্য এই গাইডটি কিভাবে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে ফাইল কপি করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করে। উইন্ডোজ ১০ দ্রুত কপি কৌশল এবং ফাস্ট ফাইল কপি টেকনিকস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এখানে উল্লেখ করা নিয়মাবলী এবং টিপস দ্রুত কপি করার প্রক্রিয়াকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।

বর্তমানে তথ্য স্থানান্তরের প্রয়োজন সকলের মধ্যে বিদ্যমান। ফাইল ম্যানেজমেন্ট এবং ইফেক্টিভ কপি মেথডস উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াতে এবং আপনার সময় সাশ্রয় করতে, আমাদের এই পরামর্শসমূহ সহায়ক হতে পারে। শুরুতেই দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার কাজকে সহজ এবং কার্যকর করতে পারেন।

উইন্ডোজ ১০ দ্রুত কপি কৌশল সম্পর্কে জানতে আজই এই গাইডটি অনুসরণ করুন এবং আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্স বাড়ান।

ইন্ট্রোডাকশন – দ্রুত কপির গুরুত্ব

বর্তমান যুগে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কার্যকারিতা বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত কপি পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি কাজের গতি বাড়িয়ে তুলতে পারেন এবং সময় সাশ্রয় করতে পারেন। উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১ তুলনামূলকভাবে উইন্ডোজ ৭ থেকে অধিক দ্রুত কপি ইন্টারফেস প্রদান করে।

প্রতিদিনের কাজে ফাইল কপি করার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর অনেক উপায় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কিবোর্ড শর্টকাট যেমন Ctrl + C, Ctrl + V এবং Ctrl + X দ্রুত কপি করার কার্যকর পদ্ধতি। এছাড়াও মাউসের সাহায্যে একাধিক ফাইল নির্বাচন করে কপি করাও সহজ এবং দ্রুত হয়।

একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হলো ‘টেরাকপি’ মত কপি করার সফটওয়্যার ব্যবহার করা, যা শুধু কপির গতি বাড়ায় না বরং ফাইল যাচাইকরণ এবং নিশ্চিতকরণের সুযোগও দেয়। এছাড়াও, শক্তিশালী কপি করার রোবোকপি এর মতো টুল ব্যবহার করে অধিকতর কার্যকর ফাইল কপি করতে পারেন।

হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রেও পার্থক্য লক্ষ্যণীয়। যেমন, সলিড-স্টেট ড্রাইভ (SSD) হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) এর তুলনায় দ্রুততর ডাটা কপি করতে সক্ষম। ইউএসবি ৩.০ ড্রাইভ ইউএসবি ২.০ বা পুরনো ড্রাইভের চেয়ে দ্রুত ডাটা স্থানান্তর করতে পারে।

ফাইল কপি করার গতি বাড়ানোর জন্য আরও কিছু কম্পিউটার ফাইলস কপি টেকনিকস অবলম্বন করতে পারেন যেমন, ফাইল কম্প্রেশন এবং সার্চ ইন্ডেক্সিং ডিসেবল করা। বড় ফাইলগুলোকে ভাগ করে কপি করার মাধ্যমে ফাইল স্থানান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে, ছুটের টেকনিকস উইন্ডোজ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। নিশ্চিত করুন আপনার হার্ডড্রাইভ পর্যাপ্ত স্থানের, সুস্থ এবং ত্রুটিমুক্ত। এছাড়া ড্রাইভার আপডেট করাও উল্লেখযোগ্য।

কী-বোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে কপি

কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ করার গতি এবং দক্ষতা বাড়ানো যায়। টেক্সট কপি শর্টকাট এর মধ্যে কীবোর্ডের Ctrl + C এবং Ctrl + V বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকর। এই সহজ টেক্সট কপি শর্টকাট এর মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে পারেন।

Ctrl + C এবং Ctrl + V

Ctrl + C এবং Ctrl + V হল দুটি প্রধান কীবোর্ড শর্টকাট যা বেশিরভাগ ইউজার ব্যবহার করেন। Ctrl + C দিয়ে আপনি যেকোনো নির্বাচিত লেখা বা ডাটা কপি করতে পারবেন, আর Ctrl + V দিয়ে সেই কপিকৃত ডাটা পেস্ট করতে পারবেন। এটি টেক্সট কপি শর্টকাট এর মধ্যে সবচেয়ে ব্যবহৃত।

আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ১০ পার্টিশন মুছে ফেলার সহজ পদ্ধতি

এছাড়াও, টেক্সট কপি শর্টকাট হিসেবে Ctrl + A আছে যা সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট বা উইন্ডোর সব কিছু সিলেক্ট করতে ব্যবহার হয়।

অন্যান্য শর্টকাট কী

কেবল Ctrl + C এবং Ctrl + V নয়, আরও বেশ কিছু কীবোর্ড শর্টকাট আছে যা আপনার কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।

  • Ctrl + X: কাটা (Cut) করার জন্য
  • Ctrl + B: টেক্সট বোল্ড করার জন্য
  • Ctrl + I: টেক্সট ইটালিক করার জন্য
  • Ctrl + Z: পূর্ববর্তী কর্ম ফিরয় আনার জন্য (Undo)
  • Ctrl + Y: পূর্ববর্তী কর্ম পুনরায় করার জন্য (Redo)
  • Alt + Tab: খোলা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে দ্রুত স্যুইচ করার জন্য

এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলির ব্যবহারে আপনার কাজের সময় ও পরিশ্রম অনেকটাই কমে আসবে। তাই কখনো সময় ও কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করাটা একান্তই দরকার।

মাউসের ব্যবহার থেকে সময় বাঁचানো

উইন্ডোজ ১০-এ কপি করার সময় মাউসের সঠিক ব্যবহার আপনাকে অনেক সময় সাশ্রয় করতে পারে। মাউসের ডাবল ক্লিক, মাউস স্ক্রোল বাটন এবং মাউস এলার্ট সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ফাইল কপি করার প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ হয়ে ওঠে।

ডাবল ক্লিক সক্ষম করুন

মাউসের ডাবল ক্লিক সক্রিয় করার মাধ্যমে আপনি সহজেই ফোল্ডার খুলতে এবং ফাইল নির্বাচন করতে পারেন, যা আপনার কাজের গতি বৃদ্ধি করে। ডাবল ক্লিক সেটিংস কাস্টমাইজ করে নিন যাতে আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী সেটিংস সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য হয়।

স্ক্রোল বাটন ব্যবহার

মাউসের স্ক্রোল বাটন ব্যবহার করে দ্রুত নেভিগেশনের সুবিধা পাবেন। মাউস স্ক্রোল বাটন আপনাকে সহজেই অনেক বড় ডকুমেন্ট বা ওয়েব পেজের মধ্যে দ্রুত মুভ করতে সাহায্য করবে, যা সময় বাঁচাতে কার্যকর।

কিভাবে মাউস এলার্ট দেখে বুঝবেন

মাউস এলার্ট সিস্টেম আপনাকে ইন্টারফেসের মাধ্যমে অবিলম্বে জানায় যে কোন অপারেশন বা ক্লিক প্রশিক্ষণে সম্পন্ন হয়েছে। মাউস ব্যবহারের টিপস এর মধ্যে একটি হলো মাউস এলার্ট সিস্টেমের সঠিক ব্যবহার করে কাজের গতিবেগ বাড়ানো। ফাইল কপি করার সময় এলার্ট সিস্টেম আপনাকে জানিয়ে দেবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে কিনা।

How to Copy Fast in Windows 10

একটি সাধারণ এবং কার্যকরী উপায় অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই উইন্ডোজ ১০-এ দ্রুত ফাইল কপি করতে পারেন। উইন্ডোজ ১০ এবং তার পরবর্তী সংস্করণগুলিতে কপি ইন্টারফেস উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুত হয়েছে। নিচে বিশেষ কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো যেগুলো আপনাকে সাহায্য করবে দ্রুত ফাইল কপি করতে।

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার সেরাচার্জ ব্যবহার

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের সার্চ ফাংশন সহজে ফাইল খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়, যা ফাইল ব্রাউজ এবং ম্যানেজমেন্টকে দ্রুততর করে। Keyboard shortcuts যেমন Ctrl + C (কপি) এবং Ctrl + V (পেস্ট) ব্যবহার করে আপনি দ্রুত কফি অপারেশন সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া, উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার সিরাজার্জ ফাংশনগুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার ফাইল ম্যানেজমেন্ট অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করবে।

ফাইল এক্সপ্লোরার শর্টকাট সমূহ

ফাইল এক্সপ্লোরারে দ্রুত ফাইল অ্যাকসেসের জন্য বিভিন্ন শর্টকাট ব্যবহার করলে অনেক সময় সংরক্ষণ করা যায়। উইন্ডোজ ১০ দ্রুত কপি সম্পাদনের ক্ষেত্রে Ctrl + C, Ctrl + V-এর পাশাপাশি আরও কিছু কার্যকর শর্টকাট রয়েছে। যেমন: Ctrl + X (কাট)। এই শর্টকাটগুলো ব্যবহারে সিস্টেম নেভিগেশন সহজ হয় এবং অনেকগুলি উইন্ডো পরিচালনার প্রয়োজন কমে যায়। উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১-এ একাধিক ফাইল সেট একত্রে কপি করা যায়, যা সম্পাদনা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ  টাস্কবার হাইড করার সহজ পদ্ধতি | উইন্ডোজ টিপস

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলির সঠিক প্রয়োগে আপনি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে খুব সহজেই দ্রুত কপি অপারেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ দ্রুত কপি ব্যবস্থা উন্নত করতে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করুন এবং আগের চেয়ে আরও কার্যকরীভাবে আপনার কাজ সম্পাদন করুন।

ক্লিপবোর্ড ব্যবহারের সুবিধা

উইন্ডোজ ক্লিপবোর্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং কর্মপ্রবাহে আপনার কাজের দক্ষতা অনেকগুন বাড়াতে পারেন। উইন্ডোজের ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি ফিচার আপনাকে একাধিক তথ্য কপি এবং পেস্ট করার সুযোগ দেয়, যা সময় বাঁচাতে ও কাজের গতি বাড়াতে সহায়ক।

ক্লিপবোর্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি আপনাকে বিভিন্ন উপায়ে সুবিধা প্রদান করে:

  • একাধিক আইটেম সংগ্রহে রাখার সুবিধা
  • এপ্লিকেশনের মধ্যে সহজ ডাটা ট্রান্সফার
  • পূর্বে কপি করা আইটেম দ্রুত পুনরায় ব্যবহার

ব্যবহারকারীরা সাধারণত অ্যাডভান্সড কপি পেস্ট ফিচার থেকে সুবিধা পান, যা কাজের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করে এবং ডেটার হেরফের কমিয়ে আনে।

উইন্ডোজ ক্লিপবোর্ডের মাধ্যমে তথ্য সন্নিবেশ করতে সক্ষম হওয়া, সমস্ত ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে এবং তাদের কর্মক্ষমতা দ্রুত উন্নতি করতে সহায়ক হয়।

অফলাইন সিঙ্ক্রোনাইজ টুলস

অফলাইন সিঙ্ক্রোনাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা ব্যবহারকারীদের ডেটা সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সুবিধা দেয়, বিশেষ করে যখন তারা ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে না। এটি ফাইল সিঙ্ক সফ্টওয়্যার অথবা ডেটা সিঙ্ক টুলস ব্যবহার করে সঞ্চালিত হয়, যা কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অফলাইন সিঙ্ক্রোনাইজেশন আপনাকে আপনার ডেটা অ্যাক্সেস করার সুযোগ দেয় এমনকি যখন আপনি অনলাইনে নেই। এটি আপনার ফাইলের স্থানীয় কপি তৈরি করে যাতে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলেও জীবনে ক্ষতি না হয়।

ফাইল সিঙ্ক সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে:

  1. আপনি সহজেই সময় ও শ্রম বাঁচাতে পারেন।
  2. এটি ব্যবহারকারীর কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যেকোনো অবস্থায়।
  3. ব্যবহারকারী ডেটার প্রতিলিপি ছাড়াই সঠিক হিসাব রাখতে পারে, যা মারাত্মক দক্ষতা বাড়ায়।

ডেটা সিঙ্ক টুলস আপনাকে আপনার ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত সুরক্ষা প্রস্তাব করে। যেমন, ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ, ওয়ানড্রাইভ সহ অনেক জনপ্রিয় বিকল্প আছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা অফলাইনে কাজ করতে পারেন এবং নেটওয়ার্ক সংযোগ ফিরে আসলে ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপলোড হয়।

ফাইল ট্রান্সফারের ত্রুটিগুলো কমানোর উপায়

ফাইল ট্রান্সফার ত্রুটি কমানোর জন্য, বিভিন্ন ইউটিলিটি সফটওয়্যার এবং টেকনিকস ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ। ডেটা ট্রান্সফার সমস্যা এড়ানোর জন্য সঠিক ভাবে ফাইল ভেরিফিকেশন, চেকসাম এবং নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ চ্যানেল নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। সুরক্ষিত ফাইল ট্রান্সফার নিশ্চিত করার জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • ফাইল ভেরিফিকেশনের জন্য চেকসাম ব্যবহার করুন।
  • ফাইল ট্রান্সফার ত্রুটি কমাতে C Cleaner, WinRAR, 7-Zip ইত্যাদি ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
  • ব্যাকআপ টুল যেমন Recuva কিংবা Defraggler ব্যবহার করে ডেটার সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
  • ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ডেটা ট্রান্সফার সমস্যা এড়াতে পারেন।

এছাড়াও, অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারের সুরক্ষা বাড়ান; এটি ডেটা ট্রান্সফারের সময় ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পেতে সহায়ক। বিভিন্ন কম্প্রেশন টুল যেমন WinRAR এবং 7-Zip দ্বারা সুরক্ষিত ফাইল ট্রান্সফার আরও নির্ভরযোগ্য করা যেতে পারে। এই সকল পদ্ধতি অনুসরণ করলে ফাইল ট্রান্সফার ত্রুটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব।

বেশি ডেটার ক্ষেত্রে দ্রুত কপি করার টিপস

যখন বড় ডেটা কপি করতে হয়, তখন এফিসিয়েন্ট ডেটা হ্যান্ডলিং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বড় ফাইল কপি করার সময় কিছু বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করে আপনি আপনার কাজের গতি বাড়াতে পারেন। নিচে কিছু কার্যকরী টিপস দেয়া হলো যা আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ইউজার তৈরি করবেন যেভাবে - কমপ্লিট গাইড

ফাইল কমপ্রেশন ব্যবহার

বড় ফাইলগুলি কপি করার ক্ষেত্রে ফাইল কমপ্রেশন টুলস ব্যবহার করা একটি সুবিধাজনক পন্থা। কমপ্রেশন টুলগুলির মাধ্যমে আপনি ডেটার আকার হ্রাস করতে পারেন, যা এফিসিয়েন্ট ডেটা হ্যান্ডলিং এর জন্য অপরিহার্য। এই পদ্ধতির ফলে ট্রান্সমিশনের সময় কমে আসে এবং ফাইল স্থানান্তরিত করা সহজ হয়। বিভিন্ন কমপ্রেশন সফটওয়্যার যেমন WinRAR, 7-Zip ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

বড় ফাইল ভাগে ভাগ করে কপি

বড় ফাইল কপি করার সময় একটানা একটি ফাইল কপি না করে, তা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেয়া উচিত। এই পদ্ধতিতে বড় ফাইল কপি করা সহজ হয় এবং ডেটা কপিতে কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আপনি বিভিন্ন অংশে ভাগ করে ছোট ফাইলগুলি ত্বরিত কপি করতে পারেন এবং তারপর প্রয়োজন অনুসারে জোড়া লাগাতে পারেন। এই কৌশলটি বিশেষত তখন কার্যকর যখন ফাইল ট্রান্সফারের ত্রুটি কমানোর উদ্দেশ্য থাকে।

উপরোক্ত টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি বড় ফাইল কপি দ্রুত করতে সক্ষম হবেন। প্রতিদিনের ডেটা হ্যান্ডলিং সহজ করতে এই ধরনের কৌশলগুলো অত্যন্ত কার্যকর।

অটোকরেক্ট এবং অন্যান্য সহায়ক টুলস

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সহ আরও অনেক আধুনিক টেক্সট এডিটর আজকাল অটোকরেক্ট ফাংশন সমর্থন করে। এই ফাংশনগুলি দ্রুত টাইপিং এর ত্রুটি সংশোধন করতে সহায়তা করে। টাইপিং ত্রুটি সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে স্পেলিং এরর চেকিং এর অটোকরেক্ট ফাংশন।

বিশেষত, বাংলা লেখা বা অন্যান্য স্থানীয় ভাষায় লেখার সময় অটোকরেক্ট ফাংশন ব্যবহার করে টাইপিং ত্রুটি সংশোধন করা সহজ।

  • ডুব্লিকেট কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট: অটোকরেক্ট ফাংশন কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টে অপচয় কমানো সহজ করে তোলে।
  • কন্টেন্ট শুদ্ধতার গ্যারান্টি: অটোকরেক্ট ফাংশন ব্যবহার করে কন্টেন্ট শুদ্ধ রাখা সহজ হয়, যেহেতু এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্পেলিং এরর চেকিং করে।
  • ভাষাগত সহায়তা:বিভিন্ন টেক্সট এডিটিং টুলস ব্যবহার করে বাংলা সহ অন্যান্য ভাষায় সহজে এবং শুদ্ধভাবে লেখা যায়।

এই টুলসগুলি ব্যবহারের ফলে কন্টেন্ট রাইটারগণ কম সময়ে বেশি প্রোডাক্টিভ হতে পারেন। অটোকরেক্ট ফাংশনের মাধ্যমে টাইপিং ত্রুটি সহজেই শুদ্ধ করা যায় এবং স্পেলিং এরর চেকিং টুলস লেখাকে আরও নির্ভুল করে তোলে। এছাড়াও, উন্নত টেক্সট এডিটিং টুলস লেখাকে পেশাদার মানের করে তোলে।

প্রপার মেইনটেনেন্স এবং হার্ড

উইন্ডোজ ১০-এ দ্রুত কপির মাধ্যম হিসাবে প্রপার মেইনটেনেন্স এবং হার্ডওয়্যার এর অবদান অসামান্য। প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত ডিভাইস ও সফটওয়্যারকে দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োগে আটকে রাখার জন্য এ বিষয়গুলি জানা অত্যন্ত জরুরি।

হার্ডওয়্যার-এররের ক্ষেত্রে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের জন্য ট্রাবলশুটিং অপশন রয়েছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব। যেমন, যদি আপনার অডিও বা হেডফোন বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সেটি লগ ইন করে আবার চেষ্টা করতে পারেন।

অন্যান্য ইনপুট ডিভাইস যেমন মাউস বা কীবোর্ডে সমস্যা হলে ‘গ্রুপ টাস্কে’ টাস্কবার কাস্টমাইজেশন অপশন ব্যবহার করে তা সহজেই সমাধান করা যায়। এছাড়া, রিমোট ডিভাইসের সমস্যাও সহজে সমাধান করা যায় সঠিক ট্রাবলশুটিং অনুসরণ করলে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও রিমোট কাজের জন্য ওয়ারেন্টি সেবার সুবিধা নিয়ে নিন। প্রয়োজনীয় মেইনটেনেন্স এবং সিকিউরিটি ব্যবহার করে আপনার উইন্ডোজ ১০ এর অভিজ্ঞতা আরো মসৃণ ও নিরাপদ করতে পারবেন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button