স্ক্রিনের বাইরে উইন্ডো সরানোর উপায়
উইন্ডোজ ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা প্রায়ই স্ক্রিনের বাইরে উইন্ডো দেখার সমস্যার সম্মুখীন হই। এর কারণে উইন্ডোর প্রয়োজনীয় অংশে প্রবেশ করা কঠিন হয় এবং কাজের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই, এই সমস্যা সমাধান করার জন্য সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতিগুলির প্রয়োজন।
এই প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে আপনি স্ক্রিনের বাইরে উইন্ডো সরাতে পারেন, বিভিন্ন কৌশল এবং উইন্ডোজ ট্রাবলশুটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। স্ক্রিনের বাইরে উইন্ডো সরানোর কৌশলগুলি জানিয়ে আপনাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এই লেখাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রাথমিক প্রস্তুতি
আপনার উইন্ডোর অবস্থান নির্ধারণ করতে এবং মাউস এবং কীবোর্ড সেটিংস ব্যবহার করে এটি সরানোর জন্য কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। নিম্নে তা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।
উইন্ডো এর অবস্থান চিহ্নিত করা
উইন্ডো অবস্থান চিহ্নিত করা হলো প্রথম ধাপ। আপনার কাজটি শুরু করার আগে, স্ক্রিনে উইন্ডোর প্রদর্শনকৃত অংশ ভালোভাবে দেখুন। এটি কোথায় এবং কীভাবে অবস্থিত তা জানা মাউস এবং কীবোর্ড সেটিংস ব্যবহার করে উইন্ডোটির মূল অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোটি পূর্ণ চারপাশে দেখা যাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করুন।
মাউস এবং কীবোর্ড ব্যবহার
অসংখ্য স্ক্রিন তদারকির জন্য মাউস এবং কীবোর্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উইন্ডো অবস্থান সমস্যাগুলি ঠিক করার জন্য, মাউস এবং কীবোর্ড সেটিংস নির্ধারণ করুন। মাউসের মাধ্যমে অসংকল্পতাপূর্ণ উইন্ডোগুলিকে ছুটিয়ে আনুন এবং কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা Ctrl + F2 + F এবং ম্যাক ব্যবহারকারীরা Alt + E প্রেস করে ভিউ মেনুতে যেতে পারেন। নতুন ডকুমেন্ট খোলার জন্য উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা Ctrl + N এবং ম্যাক ব্যবহারকারীরা Cmd + N ব্যবহার করতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত প্রযুক্তিগত সমন্বয় করে, আপনি উইন্ডোর অবস্থান চিহ্নিত করতে এবং মাউস ও কীবোর্ডের সাহায্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে পারবেন।
কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার
অফ-স্ক্রিনে থাকা উইন্ডো সরানোর বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করা খুবই কার্যকর একটি উপায়। আসুন দেখি কীভাবে অল্ট+স্পেসবার এবং মুভ কমান্ড দিয়ে আমরা সহজেই উইন্ডো মুভ করতে পারি।
অল্ট + স্পেসবার
অল্ট+স্পেসবার প্রায় 77টি ইউনিক শর্টকাটের মধ্যে অন্যতম প্রধান। এটি চাপলে একটি খুদে মেনু খুলে যায় যেখানে আমরা বিভিন্ন অপশন দেখতে পাই। মেনু থেকে মুভ কমান্ড নির্বাচন করে অ্যারো কিস ব্যবহার করে উইন্ডো সরানো সম্ভব। এটি খুবই সহজ এবং দ্রুত একটি পদ্ধতি।
মুভ কমান্ড ব্যবহার
কীবোর্ড শর্টকাট এর প্রয়োজনীয়তার মধ্যে মুভ কমান্ড অন্যতম। অল্ট+স্পেসবার চাপার পর মুভ কমান্ড নির্বাচন করার মাধ্যমে আমরা উইন্ডোটিকে যেকোন দিকেই সরাতে পারি। বিশেষ করে যে সমস্ত উইন্ডো স্ক্রিনের বাইরে চলে গেছে সেগুলি সহজেই মুভ করা যায়।
- কীবোর্ডের অ্যারো কিস ব্যবহার করে উইন্ডো মুভ করা।
- শর্টকাট ক্লিক করলেই দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
এরো কিস ব্যবহার
কীবোর্ডের এরো কিস উইন্ডো মুভ করার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত শর্টকাট। যখন অল্ট+স্পেসবার এবং মুভ কমান্ড একসাথে ব্যবহার করি তখন এরো কিস ব্যবহার করে স্ক্রিনের বাইরে থাকা যেকোন উইন্ডো সহজেই সরানো যায়। এটি উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকর।
আপনার যদি আরও জানা থাকে, কীবোর্ড শর্টকাটগুলির মাধ্যমে দ্রুত এবং সহজেই কাজের গতি বাড়ানো সম্ভব।
মাল্টি মনিটর সেটআপ সমস্যাসমূহ
মাল্টি মনিটর সেটআপের সাথে কাজ করার সময় অনেক সময় আমাদের মধ্যে অনেকে একটি সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি যেখানে উইন্ডো স্ক্রিনের বাইরে চলে যায়। এটি সাধারণত ঘটে যখন একটি সেকেন্ডারি মনিটর ডিসকানেক্ট করা হয় কিন্তু উইন্ডোজের “extend desktop” সেটিং বন্ধ করা হয় না বা উইন্ডোগুলি মূল মনিটরে সরানো হয় না। উইন্ডোজ ১১ এর কিছু পরিবর্তনের ফলে এই সমস্যাগুলি সমাধানে আরও জটিলতা যুক্ত হয়েছে। তবে, সঠিক ডিসপ্লে সেটিংসের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ডিসপ্লে সেটিংস চেক করা
প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ হল ডিসপ্লে সেটিংস চেক করা। উইন্ডোজ ১১ এ অল্ট + ট্যাব এবং দিক নির্দেশক কী ব্যবহার করে ওপেন অ্যাপ্লিকেশন চেক করা যায়। এছাড়া, Win কী এবং এরো কী এর সংমিশ্রণ ব্যবহার করে উইন্ডো সরানো সম্ভব। এভাবে ডিসপ্লে সেটিংস ঠিক করে মাল্টি মনিটর সেটআপে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
মনিটর ডিসঅ্যাবল এবং রি-এনাবল
বিশেষ করে সেকেন্ডারি মনিটর ডিজাবল এবং রি-এনাবল করার মাধ্যমে সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। এটি করতে প্রথমে ডিসপ্লে সেটিংস এ প্রবেশ করে সঠিক মনিটর নির্বাচন করতে হবে এবং সেটি ডিসঅ্যাবল করতে হবে। তারপর তা পুনরায় এনাবল করলে স্ক্রিনের হারিয়ে যাওয়া উইন্ডো মূল মনিটরে ফিরে আসবে।
উপরের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে সহজেই মাল্টি মনিটর সেটআপের সমস্যাগুলি সমাধান করা যায় এবং ডিসপ্লে সেটিংস যথাযথভাবে চেক করলে স্ক্রিনের বাইরে উইন্ডো সরানোর ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। এছাড়া, কীবোর্ড শর্টকাট এবং তৈরি করা ফিচারগুলির মাধ্যমে দ্রুততর সমাধান পাওয়া যায়।
ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার
ডেস্কটপের উইন্ডো সরানোর সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা ব্যবহারকারীকে সহজ এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এই বিভাগে, আমরা আলোচনা করব কীভাবে টাস্কবার ম্যানেজার এবং অ্যাপ্লিকেশন রিকভারি ব্যবহার করে আটকে পড়া অ্যাপ্লিকেশনগুলির অবস্থান পুনরুদ্ধার করা যায়।
উইন্ডোজ টাস্কবার ম্যানেজার ব্যবহার
윈্ডোজ সিস্টেমে আটকে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলি সরানোর জন্য টাস্কবার ম্যানেজার একটি শক্তিশালী সরঞ্জাম। এটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই যেকোনো আটকে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলো ম্যানেজ করতে পারবেন। প্রথমে, টাস্কবার-এ ক্লিক করে Task Manager চালু করুন। তারপর যেই অ্যাপ্লিকেশনটি আটকে গেছে সেটি নির্বাচন করুন এবং End Task অপশনে ক্লিক করুন। এর ফলে অ্যাপ্লিকেশনটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনি পুনরায় এটি চালু করতে পারবেন।
অ্যাপ্লিকেশন স্ক্রীন পুনরুদ্ধার
কখনো কখনো, কোনো অ্যাপ্লিকেশন এমন জায়গায় আটকে যায় যেখান থেকে সরানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে, অ্যাপ্লিকেশন রিকভারি অপশন ব্যবহার করেও সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। প্রথমে, Alt + Tab কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে আটকে থাকা অ্যাপ্লিকেশনটি নির্বাচন করুন। তারপর, Windows + Arrow Keys ব্যবহার করে আটকে থাকা উইন্ডোটি পুনরুদ্ধার করুন। এটি না হলে, Shift + Right-Click করে Move অপশনে ক্লিক করুন এবং অ্যারো কিস ব্যবহার করে স্ক্রীন পুনরুদ্ধার করুন।
এই দুটি পদ্ধতি দ্বারা, আপনি সহজেই আটকে যাওয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলির অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে এবং ডেস্কটপ ব্যবহারের সময় অনায়াসে কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
How to Move Window That Is off Screen
ঘন ঘন মনিটর সংযোগ পরিবর্তনের কারণে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের উইন্ডোজ অফ স্ক্রীনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। উইন্ডোজ স্ন্যাপ এবং মনিটর রেজল্যুশন সামঞ্জস্যের মাধ্যমে আপনি সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এটি করা যায়:
উইন্ডোজ স্ন্যাপ ফিচার
উইন্ডোজ স্ন্যাপ হল এমন একটি কার্যকরী ফিচার যা আপনাকে কীবোর্ড শর্টকাটের মাধ্যমে উইন্ডো এক স্ক্রীন থেকে অন্য স্ক্রীনে সরানোর সুবিধা দেয়। উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীরা Windows key + left or right arrow key কীবোর্ড কম্বিনেশন ব্যবহার করে হারানো উইন্ডোকে পুনরায় স্ক্রীনে আনতে পারেন। এছাড়াও, আপনি Shift + Right-Click কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে টাস্কবারের উইন্ডো বাটনে ক্লিক করে “Move” কমান্ড নির্বাচন করতে পারেন এবং তারপর এরো কিস দিয়ে উইন্ডো পুনরায় স্থানান্তর করতে পারেন।
- Windows key + left or right arrow key কীবোর্ড কম্বিনেশন
- Shift + Right-Click করে “Move” কমান্ড এবং তারপর এরো কিস
মনিটর রেজল্যুশন সামঞ্জস্য
মনিটর রেজল্যুশনও উইন্ডো অফ স্ক্রীনের সমস্যার একটি মূল কারণ হতে পারে। বিশেষ করে দ্বিতীয় মনিটর ডিসকানেক্ট করার পর উইন্ডোজ সেটিংস সঠিকভাবে সামঞ্জস্য না করার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। উইন্ডোজ এর ডিসপ্লে সেটিংস মেনুতে গিয়ে আপনি আপনার মূল মনিটরের রেজল্যুশন ঠিক করে নিতে পারেন। যদি রেজল্যুশন সঠিক না থাকে, তবে এটি ঠিক করে নিন যাতে সমস্ত উইন্ডো আপনার প্রধান স্ক্রীনে দৃশ্যমান হয়। এছাড়াও তৃতীয় পক্ষের ইউটিলিটি যেমন WinLister by NirSoft ব্যবহার করে উইন্ডোগুলোকে মূল ডিসপ্লে স্ক্রীনে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
- ডিসপ্লে সেটিংস এ গিয়ে রেজল্যুশন ঠিক করুন
- তৃতীয় পক্ষের ইউটিলিটি যেমন WinLister ব্যবহার করুন
এই সহজ কৌশলগুলি অনুসরণ করে, আপনি সহজেই উইন্ডোজ স্ন্যাপ এবং মনিটর রেজল্যুশন সেটিংসের মাধ্যমে স্ক্রীনের বাইরে থাকা উইন্ডোগুলোকে পুর্নবিন্যাস করতে সক্ষম হবেন।
সিস্টেম রিস্টার্ট পদ্ধতি
অনেক সময় সফ্টওয়্যার বা হার্ডওয়্যারের সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের জন্য রিস্টার্ট করা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সঠিকভাবে সিস্টেম রিস্টার্ট করার পদ্ধতি এবং এর উপকারিতা নিয়ে সাধারণ ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কম্পিউটার রিস্টার্ট
যখন আপনার কম্পিউটার ধীরগতিতে কাজ করছে বা সাড়া দিচ্ছে না, তখন সিস্টেম রিস্টার্ট একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। কম্পিউটার রিস্টার্ট এর মাধ্যমে রিবুট পদ্ধতি এবং শর্টকাটগুলি পুনরায় সক্রিয় করা যায়। এটি শুধুমাত্র সফ্টওয়্যার সমস্যার পেছনে থাকা অস্থায়ী ফাইলগুলিকে মুছে দেয় না বরং মেমোরি ত্রুটিগুলি সমাধান করেও ডিভাইসকে আরো কার্যকরী করে তোলে।
- প্রথমে সব কাজ সেভ করুন এবং সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করুন।
- তারপর ‘স্টার্ট’ বাটনে ক্লিক করে ‘রিস্টার্ট’ অপশন সিলেক্ট করুন।
- কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে পুনঃওন হবে।
অ্যাপ্লিকেশন রিস্টার্ট
কিছু নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার সময় ত্রুটি বা অস্বাভাবিক অবস্থার মুখোমুখি হলে, অ্যাপ্লিকেশন রিস্টার্ট করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। প্রয়োজনে একটি অ্যাপ্লিকেশনকে বারবার রিবুট পদ্ধতি মাধ্যমে পুনরায় চালু করার সুবিধাও নিতে পারেন।
- টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন সিলেক্ট করুন।
- ‘এন্ড টাস্ক’ এ ক্লিক করুন যেন অ্যাপ্লিকেশন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়।
- তারপর আবার অ্যাপ্লিকেশন চালু করুন।
সঠিকভাবে সিস্টেম রিস্টার্ট এবং রিবুট পদ্ধতি ব্যবহার করে, আপনি দ্রুত এবং সহজেই বিভিন্ন সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের সমস্যাগুলি সমাধান করতে সক্ষম হবেন। তাই পরবর্তীবার সমস্যার মুখোমুখি হলে, এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে দেখুন।
তৃতীয়-পক্ষের প্রোগ্রামসমূহ
বাজারে অনেক ধরনের তৃতীয়-পক্ষের প্রোগ্রাম এবং সফটওয়্যার টুলস উপলব্ধ আছে যা স্ক্রিনের বাইরে চলে যাওয়া উইন্ডো সরানোর সমস্যা সমাধানে সহায়ক। কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার টুলস হলো:
- DisplayFusion: এটি মাল্টি-মনিটর সেটআপ ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়। স্ক্রিনের বাইরে থাকা উইন্ডোগুলি দ্রুত সরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং কীবোর্ড শর্টকাট প্রদান করে।
- WinMover: এই তৃতীয়-পক্ষের প্রোগ্রামটি উইন্ডোজ ইউজারদের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য। প্রোগ্রামটি সহজে কাস্টমাইজ করা যায় এবং ইনপুট ডিভাইস ব্যবস্থাপনার সুযোগ দেয়।
- Actual Window Manager: এটি অনেকগুলি বিশেষ সুবিধা সহ আসে, যেমন প্রোগ্রাম উইন্ডো রিসাইজ করা এবং একাধিক মনিটরের জন্য উইন্ডো ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট করা।
এই সমস্ত সফটওয়্যার টুলস আপনার উইন্ডোজ ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়াকে সহজতর করে এবং তৃতীয়-পক্ষের প্রোগ্রামগুলির জন্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই স্ক্রিনের বাইরে চলে যাওয়া উইন্ডোগুলি ফিরিয়ে আনতে পারবেন এবং মাল্টি-মনিটর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করবেন। এটি মনে রাখুন, তৃতীয়-পক্ষের প্রোগ্রাম ব্যবহারে সবসময় অরিজিনাল ওয়েবসাইট বা প্রামাণ্য উৎস থেকে ডাউনলোড করা নিরাপদ।
চোখের যত্ন
আজকের যুগে ডিজিটাল আই স্ট্রেইন একটি প্রচলিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী স্ক্রিন ব্যবহার চোখের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিচের পরামর্শগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল আই স্ট্রেইন এড়ানো
ডিজিটাল আই স্ট্রেইন এড়াতে কিছু সহজ এবং কার্যকর উপায় রয়েছে। প্রথমত, দুরত্ব নির্ধারণ করার সময় Distance-Hole-In-The-Card টেস্ট বেশ কার্যকর। এই টেস্টটি প্রায় ১০ ফুট দুরত্বে চোখের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে সহায়ক।
- নিয়মিত এই টেস্ট করা: Near-Hole-In-The-Card টেস্ট, কনভারজেন্স টেস্ট, Distance-Hole-In-The-Card টেস্ট।
- মোনোভিশন কন্টাক্টস এবং মডিফাইড মোনোভিশন এর ব্যবহারে চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- নিয়মিত কনভারজেন্স এক্সারসাইজ: দৃষ্টি পেশী শক্তিশালী করতে নিখুঁত।
২০-২০-২০ নিয়ম পালন
২০-২০-২০ নিয়ম পালন করা ডিজিটাল আই স্ট্রেইন হ্রাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। এটি চোখের মাংসপেশিকে শিথিল করতে এবং চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- এটি সহজে পালন করা যায় এবং এর ফলে চোখের ক্লান্তি কমে যায়।
- এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং দীর্ঘমেয়াদী স্ক্রিন ব্যবহার কমে যায়।
এই সুপারিশগুলি পালনে ডিজিটাল আই স্ট্রেইন ও চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব। নিয়মিত বিরাম এবং চোখের যত্নে সামান্য পরিবর্তন আনলে দৈনন্দিন জীবনে বড় পরিবর্তন দেখা যাবে।
স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য
দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করলে চোখে চাপ পড়ার সমস্যা হতে পারে। স্ক্রিন উজ্জ্বলতা যথাযথভাবে সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকটা কমানো যায়।
প্রথমেই, আপনার ডিভাইসের উজ্জ্বলতার সেটিংস খুঁজে বের করুন। অধিকাংশ ডিভাইসে, এটি সেটিংস মেনুতে পাওয়া যায়।
- উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করতে চাইলে, সেটিংস মেনু থেকে Bright বা Brightness অপশনে যান।
- এটি অটোমেটিক সেটিংসে থাকলে ম্যানুয়াল মুডে নিয়ে আসুন যেন আলোকসজ্জা সামঞ্জস্য করা যায়।
দ্বিতীয়ত, চোখের স্বাস্থ্যের জন্য Blue Light Filter ব্যবহার করুন। এতে চোখের উপর চাপ কম পরবে এবং রাতে ভালো ঘুম হবে।
তৃতীয়ত, আলোকসজ্জা সামঞ্জস্য করার জন্য বিভিন্ন ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক Night Mode বা Dark Mode ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে চোখে চাপ কমাতে সহায়ক।
সম্প্রতি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে প্রায় ৮ মিলিয়ন স্বয়ংক্রিয় বা অর্ধ-স্বয়ংক্রিয় যানবাহন রাস্তায় চলবে। Society of Automotive Engineers (SAE) ছয়টি স্বয়ংক্রিয় স্তরের ড্রাইভিং ডিফাইন করে, লেভেল ০ থেকে লেভেল ৫ পর্যন্ত। এর মধ্যে লেভেল ০ হল সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল এবং লেভেল ৫ হল সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।
সর্বশেষে, নিয়মিত বিরতিতে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও আলোকসজ্জা সামঞ্জস্য করে চোখের যত্ন নিতে হবে।
- ব্যবহার: সঠিক উজ্জ্বলতা মান রাখতে স্ক্রিন সময়ের নিয়মিত বিরতি নিশ্চিত করুন।
- আই ফ্রেন্ডলি: দীর্ঘদিন ধরে চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে সুপারিশকৃত স্ক্রিন আলোকসজ্জা মান ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা
ব্রাউজিং থেকে শুরু করে ওয়ার্কফ্লো, গেমিং, কিংবা সিনেমা দেখার সময় স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন স্ক্রিন পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র আপনার ডিভাইসটির জীবনকাল বাড়াতে পারবেন না, একই সাথে আপনার চোখেরও যত্ন নিতে পারবেন। এখানে কিভাবে স্ক্রিন পরিষ্কার করবেন তা নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার
স্ক্রিন পরিষ্কারের ক্ষেত্রে মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এই কাপড় খুব নরম এবং স্ক্রিনে কোনো স্ক্র্যাচ না দিয়েই সহজে পরিষ্কার করতে সহায়ক।
- স্ক্রিন পরিষ্কার করার আগে ডিভাইসটি বন্ধ করে নিন।
- মাইক্রোফাইবার কাপড়ে একটু পানি স্প্রে করুন।
- কাপড়টি দিয়ে স্ক্রিন মুছুন এবং সমস্ত ধুলো ও দাগ দূর করুন।
আঙ্গুলের ছাপ এবং ধুলা দূরীকরণ
স্ক্রিনে আঙ্গুলের ছাপ এবং ধুলা জমে গেলে সেটি দেখতে অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য নিয়মিত স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।
- মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করে আঙ্গুলের ছাপ পরিষ্কার করুন।
- ধুলো মুক্ত করতে স্ক্রিন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু, স্প্রেটি সরাসরি স্ক্রিনে নয় বরং মাইক্রোফাইবার কাপড়ে দিন।
এভাবে প্রতিদিন স্ক্রিন পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার চোখের জন্যও এটি স্বাস্থ্যকর হবে।
সমাপ্তি
আমাদের নিবন্ধের এই সমাপ্তি অংশে, আমরা উইন্ডো সরানোর সামগ্রী পরিসমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করব। প্রাথমিক প্রস্তুতিতে ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডো এর অবস্থান চিহ্নিত করা এবং মাউস ও কীবোর্ড ব্যবহার করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কীবোর্ড শর্টকাট, মাল্টি মনিটর সেটআপ সমস্যাসমূহ, এবং ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনগুলির বিভিন্ন ব্যাপক ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছি।
উইন্ডো সরানোর সামগ্রী পরিসমাপ্তি নির্দিষ্ট অংশগুলি যেমন কীবোর্ড শর্টকাটে অল্ট + স্পেসবার এবং মুভ কমান্ড ব্যবহারের পাশাপাশি সিস্টেম রিস্টার্ট পদ্ধতি, তৃতীয়-পক্ষের প্রোগ্রাম, চোখের যত্ন এবং স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করার উপরে আলোচনা করেছি। প্রতিদিন স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা এবং ডিজিটাল আই স্ট্রেইন এড়ানোর মতো প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে।
এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা উইন্ডো সরানোর সামগ্রী পরিসমাপ্তি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিতে চেয়েছি। সমাপ্তিতে, আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, উইন্ডো সরানোর জন্য সঠিক পদ্ধতি ব্যবহারে আপনি আপনার কাজকে আরও সহজ ও কার্যকর করতে পারবেন। নিয়মিত স্ক্রিন পরিষ্কার রাখা এবং চোখের যত্ন নেওয়া দ্বারাও আপনার দৈনন্দিন কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।