উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করার পদ্ধতি

উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্যগুলি পিসি ব্যবহারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং এর মধ্যে ক্যালেন্ডার অ্যাপের নতুন ইন্টারফেস ও কার্যক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ধাপে ধাপে নির্দেশিকা আপনাকে আপনার উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডারকে কতটা সহজে পরিবর্তন করা যায় তা দেখাবে। উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডার কনফিগারেশন এর মাধ্যমে আপনার দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা করতে পারবেন আরও সহজে।

উইন্ডোজ ক্যালেন্ডার টিপস মেনে চললে আপনি বিভিন্ন সময় ব্যবস্থাপনা করতে পারেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলি মিস করবেন না। উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডার কনফিগারেশন যথাযথভাবে সেট আপ করলে আপনার জন্য এটি হবে একটি নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী সরঞ্জাম।

Contents show

উইন্ডোজ ১১ এ ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের সুবিধা

উইন্ডোজ ১১ এর ক্যালেন্ডার অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রচুর সুবিধা নিয়ে আসে। নিম্নে এই অ্যাপের কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা উপস্থাপন করা হলো।

কাস্টমাইজযোগ্য বৈশিষ্ট্য

উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডার অ্যাপে কাস্টমাইজেশন এর ব্যাপক সুবিধা রয়েছে। ব্যবহারকারীরা তাদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী কাস্টম থিম, রঙ, এবং লেআউট পরিবর্তন করতে পারেন। এতে করে ক্যালেন্ডারটি আরও ব্যক্তিগত এবং আরামদায়ক হয়ে ওঠে।

বিভিন্ন ক্যালেন্ডার একত্রিতকরণ

উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডার অ্যাপটি বিভিন্ন ক্যালেন্ডারের ইন্টিগ্রেশন এর সুবিধা দেয়। ব্যবহারকারীরা সহজেই গুগল ক্যালেন্ডার, আউটলুক ক্যালেন্ডার, এবং অন্যান্য জনপ্রিয় ক্যালেন্ডার একত্রিত করতে পারেন। এটি সময় ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ এবং কার্যকর করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ  টাস্ক ম্যানেজার খোলার সহজ উপায় | উইন্ডোজ পিসি

ব্যবহারকারীদের তাঁদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সুযোগ

উইন্ডোজ ১১ এর ক্যালেন্ডার অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করে। স্বয়ংক্রিয়তা এর মাধ্যমে ইভেন্ট রিমাইন্ডার, টাস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং অন্যান্য ফিচারের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাজ আরও সুচারু ও সময়মত সম্পূর্ণ করতে পারেন।

উইন্ডোজ ১১ এর ক্যালেন্ডার ইন্টারফেস

উইন্ডোজ ১১ এর ক্যালেন্ডার ইন্টারফেসটি সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রতিক ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইনে আপডেট করা হয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং সহজে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ইভেন্টগুলি পরিচালনা করতে সাহায্য করে। ক্যালেন্ডার ভিউ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একটি আধুনিক এবং সরল উপায়ে তাদের নির্ধারিত সমস্ত সংস্থা এবং ইভেন্ট দেখতে পারেন।

এই ক্যালেন্ডার ইন্টারফেসটি আবির্ভূত করার জন্য মাইক্রোসফ্ট অনেক পরিশ্রম করেছে, যাতে এটি যথাসম্ভব ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ার পাশাপাশি Accessibility বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা যায়। এটির মাধ্যমে ব্যবহারের সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে যেন একজন নতুন ব্যবহারকারীও এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।

ক্যালেন্ডার ভিউ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একত্রিত ক্যালেন্ডার সমক্ষে আনতে সক্ষম, তাই আপনি সহজেই আপনার প্রতিদিনের বা মাসিক কার্যকলাপগুলি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। গতানুগতিক ক্যালেন্ডারদের তুলনায় উইন্ডোজ ১১ এর ক্যালেন্ডার সিস্টেমটি অনেক বেশি সুবিধাযুক্ত এবং আলাদা রকমের প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য সমন্বিত করা হয়েছে।

  • প্রতিদিন বা মাসিক ইভেন্ট সহজে যোগ করা সম্ভব
  • একটি ইন্টারফেস থেকে বিভিন্ন ক্যালেন্ডার এবং ইভেন্ট পরিচালনা করা যায়
  • Accessibility ফিচারসমূহের সাহায্যে সমস্ত ব্যবহারকারী তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালেন্ডারকে কাস্টমাইজ করতে পারবেন

উইন্ডোজ ১১ এর এই ক্যালেন্ডার ইন্টারফেসটি সত্যিই আধুনিক এবং সরল ব্যবহারযোগ্যে ডিজাইন করা হয়েছে যা যেকোনো ব্যবহারকারী সহজেই গ্রহন করতে পারেন।

কিভাবে উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডার অ্যাপ ওপেন করবেন

উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে ক্যালেন্ডার অ্যাক্সেস করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি। আপনি আপনার স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার ব্যবহার করে সহজেই ক্যালেন্ডার ওপেন করতে পারেন। নিচে এই প্রক্রিয়া দুটির বিস্তারিত দেখানো হলো।

আরও পড়ুনঃ  উইন্ডোজ ১০ এ ইন্টারনেট স্পিড দেখার উপায়

স্টার্ট মেনু থেকে ক্যালেন্ডার খোঁজা

উইন্ডোজ ১১ এ স্টার্ট মেনু অনেক সুবিধাজনকভাবে কুইক অ্যাক্সেস প্রদান করে। স্টার্ট মেনু খুলুন এবং সার্চ বারে ‘ক্যালেন্ডার’ লিখে অনুসন্ধান করুন। যখন ক্যালেন্ডার অ্যাপের আইকন প্রদর্শিত হবে, তখন সেটি ক্লিক করে অ্যাপটি ওপেন করুন।

টাস্কবারে ক্যালেন্ডার আইকন ক্লিক করে ওপেন করা

উইন্ডোজ ১১ এর টাস্কবার অনেক সহজ এবং কুইক অ্যাক্সেস মেনু হিসাবে কাজ করে। আপনার টাস্কবারে ক্যালেন্ডার আইকনটি খুঁজে পেতে পারেন। সেটা ক্লিক করুন এবং তৎক্ষণাৎ ক্যালেন্ডার অ্যাপটি ওপেন হয়ে যাবে। টাস্কবারের এই সুবিধাটি আপনি প্রতিদিনের কাজকে আরও সহজ করে তুলতে পারবেন।

ক্যালেন্ডারে নতুন ইভেন্ট সংযোজন করুন

উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডারে নতুন ইভেন্ট যোগ করা খুবই সহজ এবং দ্রুত। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর সুবিধার জন্য মোবাইল ডিভাইস এবং কম্পিউটারে একই সিস্টেমে কাজ করা যায়। এতে আপনার ইভেন্ট রিমাইন্ডার কার্যকরীভাবে ব্যবহৃত হয়, যাতে কোন মিটিং বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস না হয়। নিচে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:

দ্রুত ইভেন্ট যোগ করা

দ্রুত ইভেন্ট যোগ করার জন্য, ক্যালেন্ডারের ‘নিউ ইভেন্ট’ বাটনে ক্লিক করুন। একটি খালি উইন্ডো উঠে আসবে যেখানে ইভেন্টের সময় এবং তারিখ প্রদান করে দ্রুত একটি ইভেন্ট যোগ করতে পারবেন।

  • ইভেন্টের নাম লিখুন
  • তারিখ এবং সময় প্রদান করুন
  • সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করুন

বিস্তারিত তথ্য সহ ইভেন্ট তৈরি

বিস্তারিত তথ্য সহ একটি ইভেন্ট তৈরি করতে, আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ হয়ে ওঠে।

  1. প্রথমে ‘নিউ ইভেন্ট’ এ ক্লিক করুন
  2. ইভেন্টের নাম, সময়, এবং তারিখ উল্লেখ করুন
  3. ‘অড ডিটেইলস’ এ ক্লিক করে লোকেশন, বিবরণ, এবং ইভেন্ট রিমাইন্ডার সেট করুন
  4. সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করে ইভেন্টটি সেভ করুন

এই দুইটি প্রক্রিয়াতে আপনি খুব সহজেই উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডারে নতুন ইভেন্ট সংযোজন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের কার্যক্রম আরও ভালভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ  একাধিক RDP সেশন চালু করার নিয়ম জানুন এখানে

How to Change the Calendar in Windows 11

Changing the calendar settings in Windows 11 can help you customize your schedule management to better suit your needs. Whether for professional or personal use, adjusting the calendar settings ensures you stay organized and efficient.

সেটিংস অপশনে যাওয়া

প্রথমেই আপনাকে সি

ক্যালেন্ডারের সময় অঞ্চল আপডেট করুন

আপনার উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডারে সঠিক সময়ের নিশ্চয়তা পেতে সময় অঞ্চল আপডেট করার প্রয়োজন হয়। এটি বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ যখন আপনি বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন বা ভ্রমণ করছেন। সময় অঞ্চল সঠিক না হলে বৈঠক, পরিকল্পনা ও বিভিন্ন মিটিংয়ের সময়ে অসুবিধা হতে পারে। তাই, সময় অঞ্চলের পরিবর্তন করেন দেখা উচিত।

বিশ্বের বিভিন্ন সময় অঞ্চলের নির্বাচন

উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডারে সময় অঞ্চল পরিবর্তন করতে, প্রথমে সেটিংস অ্যাপ খুলুন। এরপর ‘টাইম অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ’ অপশনে যান এবং ‘ডেট অ্যান্ড টাইম’ নির্বাচন করুন। এখানে আপনি বিশ্বের বিভিন্ন সময় অঞ্চলের একটি বৃহৎ তালিকা পাবেন। আপনার বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী বা আপনার মিটিংয়ের সময় অনুযায়ী সঠিক সময় অঞ্চল নির্বাচন করুন। টাইম জোন সঠিকভাবে নির্ধারণ করলে আপনার ক্যালেন্ডারে প্রদর্শিত সমস্ত ইভেন্ট এবং রিমাইন্ডার সঠিক সময়ে প্রদর্শিত হবে।

গ্রীনউইচ মিন টাইম (GMT) দিয়ে সঠিক সময় নির্বাচন

গ্রীনউইচ মিন টাইম (GMT) ভিত্তিক সময় অঞ্চলে পরিবর্তন করতে, সেটিংস থেকে ‘টাইম জোন’ নির্বাচন করার পর ‘সেট টাইম জোন অটোম্যাটিক্যালি’ চালু করুন। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় অঞ্চল বেছে নিতে চান, তবে ম্যানুয়ালি সময় অঞ্চল নির্ধারণ করতে পারেন। GMT একটি স্ট্যান্ডার্ড টাইম, যেটি বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এবং আপনি সহজেই এটি ব্যবহার করে সঠিক সময় নির্ধারণ করতে পারেন।

উইন্ডোজ ১১ ক্যালেন্ডারে সময় অঞ্চল আপডেট করে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার সমস্ত সময় নির্ভুল এবং আপনার সময়সূচী সুচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button