প্রসেসর নষ্ট হয়েছে কিনা জানার উপায়

আপনার কম্পিউটারে যদি হঠাৎ সমস্যার সম্মুখীন হন, যেমন সিস্টেম ক্র্যাশ বা তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেশি হয়ে যায়, তাহলে এটি হতে পারে প্রসেসর সমস্যা। সিপিইউ ত্রুটি পরীক্ষা করতে না জানলে আপনার পিসির পারফর্মেন্সে অনেক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এই ধরণের ডেড প্রসেসরের লক্ষণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করা খুবই জরুরি। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনি প্রসেসর নষ্ট হয়েছে কিনা তা সহজেই জানতে পারেন এবং সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন।

Contents show

কম্পিউটারের সাধারণ সমস্যা গুলি কী কী?

কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা উদ্ভূত হতে পারে কতিপয় কারণ যেমন পাওয়ার ইস্যু, হার্ডওয়্যারের ব্যর্থতা অথবা উপাদানের অসামঞ্জস্যতা। नीचे এই সমস্যাগুলি আলোচনা করা হলো এবং এগুলি কীভাবে প্রসেসর সমস্যার সাথে যুক্ত হতে পারে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

কম্পিউটার চালু না হওয়া

প্রথমে, কম্পিউটার বুটিং সমস্যা বেশ সাধারণ একটি সমস্যা। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য বড় চিন্তার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন কম্পিউটার চালু হতেই চায় না। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (PSU) অথবা মাদারবোর্ডে সমস্যা থাকলে এটি হতে পারে। তবে, অনেক সময় প্রসেসরের ব্যর্থতাও কম্পিউটার চালু না হওয়ার কারণ হতে পারে।

বারবার রিস্টার্ট হওয়া

ব্ল্যাক স্ক্রিন ইস্যু বা বারবার রিস্টার্ট হওয়া কম্পিউটারের সিস্টেম ইনস্টেবিলিটি বা স্থায়িত্বহীনতার একটি অন্যতম লক্ষণ। এর পেছনে প্রসেসরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা হার্ড ড্রাইভের ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। BIOS সেটিংস চেক করে এবং ফ্রেশ থার্মাল পেস্ট ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে।

মনিটরে কোন ডিসপ্লে না থাকা

যদি কম্পিউটার চালু হয় কিন্তু মনিটরে কোন ডিসপ্লে না থাকে, তবে এটি একটি গুরুতর ব্ল্যাক স্ক্রিন ইস্যু হতে পারে। এটি অনেক সময় পোস্ট BIOS অথবা গ্রাফিক্স কার্ড সম্পর্কিত সমস্যা নির্দেশ করে। তবে, প্রসেসর ঠিক মত কাজ না করলে মনিটরে কোন ডিসপ্লে না থাকার কারণ হতে পারে।

প্রসেসর নষ্ট হলে কী লক্ষণ দেখা যায়?

প্রসেসর নষ্ট হলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যেতে পারে যা কম্পিউটারের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। পরিচিত প্রসেসর ত্রুটির লক্ষণ যেমন: প্রসেসর ওভারহিটিং, কম্পিউটার ফ্রিজিং এবং অন্যান্য সিপিইউ ত্রুটির লক্ষণ সম্পর্কে জানাটা জরুরি। নিচের বিষয়গুলির মাধ্যমে আরো ভালোভাবে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।

আরও পড়ুনঃ  কম্পিউটারের বয়স জানবেন কীভাবে - সহজ উপায়

প্রসেসরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া

প্রসেসর নষ্ট হওয়ার প্রথম দিকের লক্ষণ হতে পারে তাপমাত্রার হঠাৎ বৃদ্ধি। প্রসেসর থেকে সঠিকভাবে তাপ নি:সরণ না হলে তা কার্যক্ষমতা প্রভাবিত করে এবং প্রসেসর ওভারহিটিং ঘটায়। এটি সাধারণভাবে কম্পিউটারের হ্যাং হওয়া এবং ধীর গতিতে কাজ করার কারণ হতে পারে।

কম্পিউটার হ্যাং বা স্থবির হয়ে যাওয়া

আরেকটি সাধারণ সিপিইউ ত্রুটির লক্ষণ হলো কম্পিউটার হ্যাং বা স্থবির হয়ে পড়া। এটি সিস্টেম প্রসেসকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ডাটা লসের সম্ভাবনা বাড়ায়। যদি নিয়মিত কম্পিউটার ফ্রিজিং লক্ষ্য করা যায়, তবে এটি প্রসেসর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে এবং সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রসেসর টেস্ট করার সহজ উপায়

কম্পিউটারের প্রসেসর টেস্টিং কিংবা পরীক্ষা করা সম্ভাব্যতার মধ্যে থাকা একটি অপরিহার্য অংশ। প্রসেসর ডায়াগনস্টিক করার দুটো মূল পদ্ধতি রয়েছে যা সহজেই অনুসরণ করা যায়, এবং এগুলি হলো বায়োস সেটআপ দ্বারা সরাসরি অথবা বিশেষায়িত হার্ডওয়্যার পরীক্ষণ টুল ব্যবহার করে।

বায়োস থেকে সিপিইউ পরীক্ষা করা

প্রথমত, বায়োস সেটআপ একটি সহজলভ্য এবং ব্যবহারবান্ধব পদ্ধতি যা প্রতিটি কম্পিউটারে অন্তর্নির্মিত থাকে। বায়োসের সাহায্যে আপনি কম্পিউটারের সিপিইউ পারফরমেন্স এবং তাপমাত্রা পর্দার সামনে দেখতে পারেন। বায়োসে প্রবেশ করতে সাধারণত কম্পিউটার চালু হবার সময় নির্দিষ্ট কীগুলি চাপতে হয়, যেমন ডেল বা এফ২। সেখানে আপনি বিভিন্ন প্রসেসর ডায়াগনস্টিক চেক করতে পারবেন, যা আপনাকে যেকোন সমস্যা নির্ধারণে সাহায্য করবে।

হার্ডওয়্যার ডায়াগনস্টিক টুল ব্যবহার করা

দ্বিতীয়ত, আপনি বিশেষায়িত হার্ডওয়্যার পরীক্ষণ টুল ব্যবহার করেও প্রসেসর পরীক্ষা করতে পারেন। এগুলি হল সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করতে এবং দ্রুততার সাথে সমস্যা নির্ণয় করতে সাহায্য করে। কিছু জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত হার্ডওয়্যার ডায়াগনস্টিক টুল হতে পারে CPU-Z, HWMonitor অথবা AMD Ryzen Master। এই টুলগুলো প্রসেসরের পাওয়ার ইউসেজ, তাপমাত্রা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে, যা আপনাকে সঠিক ডায়াগনস্টিকের কাজ সহজ করে দেয়।

সর্বাধিক সাধারণ প্রসেসর ভুলগুলি

প্রসেসর ভুল কোড হল সেই সংকেত বা বার্তা যা কম্পিউটার চালু করার সময় বা চালু অবস্থায় প্রদর্শিত হয়। এই ভুলগুলি সাধারণত হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা নির্দেশ করে। প্রসেসর ফেলিওর বা ত্রুটি সনাক্ত করার ক্ষেত্রে সিপিইউ ত্রুটি বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিচে কিছু সাধারণ প্রসেসর ভুলগুলির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে:

  • Machine Check Error: এটি একটি সাধারণ প্রসেসর ভুল কোড যা মদারবোর্ড বা প্রসেসরের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।
  • Illegal Instruction Error: এই ত্রুটি সাধারণত অসমর্থিত বা ভুলভাবে লেখা প্রোগ্রাম নির্দেশ করে।
  • CPU Over Temperature: এই ত্রুটি প্রসেসরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সময় দেখা দিতে পারে, যা সিপিইউ ত্রুটি বিশ্লেষণ করার সময় লক্ষ্য করা যায়।

এই ভুলগুলি নির্ণয় এবং মেরামতের জন্য সঠিকভাবে সিপিইউ ত্রুটি বিশ্লেষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রসেসর ফেলিওর থেকে কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে তাত্‍ক্ষনিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ  মাদারবোর্ডে USB কীভাবে সংযোগ করবেন - পূর্ণ গাইড

How to Know if the Processor Is Dead

কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সিপিইউ অকার্যক্ষমতা লক্ষ্য করলে তা নিশ্চিত মৃত প্রসেসর হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখতে পান, যা আপনাকে কম্পিউটার সিস্টেম ফেলিওর সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সহায়তা করবে।

প্রসেসর থেকে কোন শব্দ না আসা

প্রথমত, নিশ্চিত মৃত প্রসেসর চিহ্নিত করার জন্য সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম হল প্রসেসর থেকে একেবারেই কোন শব্দ না আসা। কম্পিউটার চালু করার পর যদি দেখতে পান কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না, তবে এটি হতে পারে সিপিইউ অকার্যক্ষমতার একটি স্পষ্ট লক্ষণ।

কম্পিউটার একদমই কাজ না করা

আরেকটি লক্ষণ হল, কম্পিউটার একদমই কাজ না করা। যখন একটি নিশ্চিত মৃত প্রসেসর থাকে, তখন কম্পিউটার স্টার্টআপেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে না। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত প্রসেসরের মোটামুটি বন্ধ হওয়ার পরপরই ঘটে।

প্রসেসর চেক করার সফটওয়্যার

বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসর মনিটরিং সফটওয়্যার পাওয়া যায় যা প্রসেসরের পারফর্ম্যান্স, তাপমাত্রা এবং অন্যান্য প্যারামিটারগুলিকে মনিটর করার জন্য প্রয়োজনীয়। নিচে কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করা হলো।

সিপিইউ-জেড

সিপিইউ-জেড একটি বিনামূল্যের সিপিইউ অ্যানালাইসিস টুল যা আপনার প্রসেসরের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এটি প্রসেসরের মডেল, স্পিড, কোর এবং থ্রেড সংখ্যা ইত্যাদি প্রদর্শন করে। সিপিইউ হেলথ চেক এর জন্য এটি একটি অত্যন্ত কার্যকরী সফটওয়্যার।

এইচডব্লিউমনিটর

এইচডব্লিউমনিটর একটি শক্তিশালী প্রসেসর মনিটরিং সফটওয়্যার যা আপনার সিস্টেমের তাপমাত্রা, ভোল্টেজ এবং ফ্যান স্পিড মনিটর করতে সাহায্য করে। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার সিপিইউ হেলথ চেক করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

আমডি রাইজেন মাস্টার

আমডি রাইজেন মাস্টার বিশেষত আমডি প্রসেসরের জন্য ডেভেলপ করা হয়েছে। এটি আপনার সিপিইউ এর ওভারক্লকিং সম্পাদন এবং মনিটর করার জন্য একটি দারুন সিপিইউ অ্যানালাইসিস টুল। এর সাহায্যে আপনি আপনার প্রসেসরের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্থিতিশীলতা সহজেই পর্যালোচনা করতে পারবেন।

প্রসেসর সমস্যা মেটানোর উপায়

প্রসেসর সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকটি কার্যকরতা পদক্ষেপ আছে যা পিসি পারফরমেন্স বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। এই উপায়গুলি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনি প্রয়োজনীয় উন্নতি দেখতে পারেন।

থার্মাল পেস্ট পুনরায় প্রয়োগ

আপনার প্রসেসরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য থার্মাল পেস্ট অ্যাপ্লিকেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। থার্মাল পেস্ট উচ্চ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং প্রসেসরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমায়।

কুলিং ব্যবস্থা উন্নত করা

সঠিক সিপিইউ কুলিং সমাধান এড়াতে পারে। উন্নতমানের কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা, অথবা লিকুইড কুলিং সিস্টেম ইনস্টল করা, আপনার পুরো কম্পিউটার সিস্টেমের জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে।

মাদারবোর্ড স্লট পরিষ্কার করা

প্রাসঙ্গিক মাদারবোর্ড মেইনটেনেন্স মদারবোর্ড স্লট পরিষ্কার করা। এটি পিন সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং প্রসেসরের সাথে মাদারবোর্ডের সংযোগ উন্নত করে।

প্রসেসর পরিবর্তন করার সময়

কখনো কখনো কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে বা নতুন সফটওয়্যার ঠিকমতো চলতে না চাইলে প্রসেসর আপগ্রেড করা প্রয়োজন হয়। অবস্থান বুঝে প্রসেসর পরিবর্তন করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  প্রসেসর জেনারেশন কিভাবে জানবেন

প্রসেসরের বয়স

প্রসেসরের সিপিইউ লাইফস্প্যান নির্ভর করে কাজের উপর এবং প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের উপর। গড় প্রসেসর বয়স সাধারণত ৫-৭ বছর পর্যন্ত হয়। তবে, যদি আপনার প্রসেসরটি পুরোনো হয়ে যায় বা নতুন টেকনোলজি সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে প্রসেসর আপগ্রেড করতে হতে পারে।

নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজন

আপনার কম্পিউটিংয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে এবং নতুন টেকনোলজি সমূহের সমর্থন প্রয়োজন হলে প্রসেসর পরিবর্তন করতে হবে। নতুন প্রসেসর আপগ্রেড করার মাধ্যমে না শুধু বর্তমান কর্মশক্তি বাড়বে, বরং ভবিষ্যতের আপগ্রেড গুলির জন্যও প্রস্তুত থাকবেন। প্রসেসর আপগ্রেড করার মাধ্যমে আপনি আরও অনেক উন্নত সুবিধা পাবেন যা আপনার কাজের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।

প্রসেসর নিয়ে বিভিন্ন মিথ

প্রসেসর বা সিপিইউ নিয়ে অনেক সিপিইউ মিথস এবং প্রসেসর গুজব প্রচলিত আছে যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।

একটি প্রচলিত মিথ হলো যে উচ্চতর ঘড়ির গতি মানেই সিপিইউ ভালো। যদিও ঘড়ির গতি গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি সবসময় প্রসেসরের পারফর্মান্সের পুরো ছবি তুলে ধরে না। প্রসেসরের আর্কিটেকচার এবং ইন্সট্রাকশন সেটের উপরও মিথবাস্তবতা নির্ভর করে।

এর পাশাপাশি, অনেকে মনে করেন যে সফটওয়্যার সবসময় সিপিইউ ম্যানুফ্যাকচারারের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। তবে আধুনিক প্রসেসরগুলি বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার সহ অবাধে কাজ করতে সক্ষম। এটি হার্ডওয়্যার মিথবাস্তবতা যে প্রসেসরের সামঞ্জস্যতা কভারেজ সীমিত নয়।

আরেকটি সাধারণ গুজব হলো যে তাপমাত্রা একটু বেশি হলেই সিপিইউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সত্যি বলতে, বর্তমান প্রসেসরগুলোতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অটোমেটিক মেকানিজম বিদ্যমান যা প্রসেসরকে সুরক্ষিত রাখে। এই ধরনের ভর্তিা সিপিইউ মিথস থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

অনেকেই মনে করেন যে পুরোনো প্রসেসর বিষাক্ত বা ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও এটি কিছু ক্ষেত্রে সত্য, তবে আধুনিক অর্থাৎ সাম্প্রতিক বছরগুলির প্রসেসরগুলো নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে এগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠে। প্রসেসর গুজব থেকে সত্যের ফারাক জানতে এ ধরনের মিথগুলিতে সঠিক বুদ্ধি প্রয়োগ করা জরুরি।

সমাপ্তি

কম্পিউটারের প্রসেসর নিরীক্ষণ এবং তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন থাকার মাধ্যমে আপনি উপযুক্তভাবে আপনার সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পারেন। এই প্রবন্ধে আলোচনা করা প্রসেসর চেকলিস্ট এবং সিপিইউ গাইডলাইন অনুসরণ করে, আপনি সহজেই আপনার সিপিইউ এর হেলথ পরীক্ষা করতে এবং কোন সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবেন।

সিপিইউ হেলথ টিপস সরবরাহের মাধ্যমে, আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে সহজে বোঝাতে কিভাবে কুলিং ব্যবস্থা উন্নত করা যায়, থার্মাল পেস্ট পুনরায় প্রয়োগ করা যায় এবং মাদারবোর্ড স্লট পরিষ্কার করা যায়। এই ধরণের ছোট ছোট রক্ষণাবেক্ষণ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রসেসরের আয়ু বাড়ানো সম্ভব।

অতীতে যা পড়েছেন তা সংক্ষিপ্তভাবে মনে রাখলে, সঠিকভাবে প্রসেসরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, হার্ডওয়্যার ডায়াগনস্টিক টুল ব্যবহার করা এবং প্রয়োজন অনুসারে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করা, সবকিছুই আপনার সিস্টেমের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। সবশেষে, এই প্রসেসর চেকলিস্ট এবং সিপিইউ গাইডলাইন মেনে চললে, আপনি আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর সমস্যার সমাধান করতে এবং তার দীর্ঘস্থায়ী কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পারবেন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button