রেডমি আইএমইআই চেক করুন সহজেই
রেডমি ফোনের আইএমইআই নম্বর চেক করা ফোনের অধিকার এবং সততা পরীক্ষা করার একটি প্রধান উপায়। মোবাইল IMEI ট্র্যাক করার মাধ্যমে একটি ফোনের আসল না নকল তা সনাক্ত করা সম্ভব। বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ক্যান্ডেমারতে ১৪% নকল মোবাইল ফোন সনাক্ত করার পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
ফোনের আইএমইআই নম্বরের মাধ্যমে ফোনের মডেল, ব্র্যান্ড এবং অন্যান্য বিবরণ জানা সম্ভব। রেডমি IMEI চেক করা একান্ত জরুরি, বিশেষত যদি আপনার ফোনটি আনঅফিশিয়াল স্টোর থেকে কেনা হয়, যা বাংলাদেশে ২৫% হয়েছে।
আপনার ফোনের ক্যামেরার মান, ইন্টার্নাল স্টোরেজ, র্যামের ক্যাপাসিটি এবং ব্যাটারি লাইফসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার জন্য ফোন IMEI ভেরিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইএমইআই নম্বর সনাক্ত করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ফোনটি কতটা নিরাপদ ও সুরক্ষিত।
IMEI নম্বর কী?
IMEI নম্বর মানে International Mobile Equipment Identity, এটি প্রতিটি মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি অনন্য শংসাপত্র। ১৫ অঙ্কের এই নম্বরটি মূলত মোবাইল ফোন বা টেলিকমিউনিকেশন ডিভাইসটির পরিচয় সরবরাহ করে। ফোনের আইডেন্টিটি এবং মোবাইল ট্র্যাকিং এর ক্ষেত্রে এই নম্বরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এখন, যেমন ধরুন আপনি আপনার ফোনের IMEI নম্বর খুঁজে বের করতে চান, এর জন্য আপনি খুব সহজে *#06# কোড ব্যবহার করতে পারেন। এই কোড ডায়াল করলে আপনার ফোন স্ক্রিনে IMEI নম্বর প্রদর্শিত হবে। IMEI নম্বরের মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের আইডেন্টিটি আরও নিশ্চিত করবেন।
আবার, SAR তথ্য পরীক্ষা করতে হলে আপনি *#07# কোড ডায়াল করতে পারেন। SAR হলো Specific Absorption Rate, এটি মোবাইল ডিভাইস থেকে নির্গত রেডিয়েশনের পরিমাপ।
তাছাড়াও, গুগল ক্যালেন্ডার থেকে তথ্য দেখতে ##225## কোড ব্যবহার করতে পারেন এবং বিভিন্ন শর্টকাট ডায়াল কোড ব্যবহার করে নতুন ফাঙ্কশন চালু করতে পারবেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হিসাবে এগুলি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মোবাইল ট্র্যাকিং এবং অন্যান্য ফাংশনগুলো সহজে ব্যবহার করা যায়।
IMEI নম্বর কেন গুরুত্বপূর্ণ?
IMEI নম্বর প্রতিটি মোবাইল ফোনের একটি বিশেষ সংকেত, যা ফোন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ফোন চুরি হয়ে গেলে, IMEI নম্বর ব্যবহার করে চুরি ফোন ট্র্যাক করার একটি কার্যকর উপায় রয়েছে। চালকের শিল্পে যে কেউ IMEI গুরুত্ব বোঝে, কারণ এটিকে ব্যবহার করে ফোন ব্লক এবং হারানো ফোনের অবস্থান নির্ণয় সহজ হয়।
IMEI নম্বরের মাধ্যমে, মোবাইল সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে একটি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়া ডিভাইস চিহ্নিত করতে পারে। ফোন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চলমান গোয়েন্দা কার্যক্রমে সাহায্য করতে, IMEI নম্বর অপরিহার্য। এর ফলে ফোনের ডাটাবেস থেকে ডিভাইসটির শনাক্তকরণ দ্রুত হয় এবং চুরি ফোন ট্র্যাক করা সম্ভব হয়।
পণ্যের সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রেও IMEI নম্বর গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে Xiaomi পণ্যের ক্ষেত্রে। একটি বৈধ ২০-সংখ্যার নিরাপত্তা কোডের মাধ্যমে Xiaomi পণ্যের মৌলিকতা নিশ্চিত করা যায়। প্রত্যেক মোবাইল ফোনের নিজস্ব IMEI নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক, যা ব্যবহারকারীকে দুর্ভাগ্যজনিত ঘটনায় আশ্বস্ত করে ফোন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
IMEI নম্বরের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায় যখন এটি চুরি বা হারানো ফোন পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। পুলিশের কাছে রিপোর্ট করার সময় বা মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার সময়, চুরি ফোন ট্র্যাক করার অন্যতম প্রাথমিক উপায় IMEI নম্বর প্রদান করা।
Redmi Imei Check কীভাবে করবেন?
Redmi ফোনে IMEI নম্বর চেক করার জন্য কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল:
USSD কোড ব্যবহার
IMEI নম্বর চেক করার অন্যতম সহজ উপায় হল USSD কোড। আপনার Redmi ফোন থেকে *#06# ডায়াল করুন এবং আপনার IMEI নম্বর পর্দায় প্রদর্শিত হবে। এটি একটি দ্রুত এবং সহজ পদ্ধতি যা আপনাকে আপনার ফোনের IMEI কোড জানার সুযোগ দেয়।
ফোনের বক্সে IMEI নম্বর
আরেকটি পদ্ধতি হল ফোন বক্স IMEI চেক করা। যখন আপনি একটি নতুন ফোন কেনেন, ফোনের বক্সে সাধারণত IMEI নম্বর উল্লেখ থাকে। আপনি বক্সের গায়ে লেবেল চেক করে সহজেই আপনার IMEI নম্বর জেনে নিতে পারেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি আপনার ফোনটি যদি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে বক্সে থাকা IMEI নম্বরটি কাজে আসতে পারে।
ফোনের সেটিংস ব্যবহার
আপনার ফোনের সেটিংসে IMEI চেক করাও সম্ভব। প্রথমে ফোনের ‘Settings’ মেনুতে যান, তারপর ‘About Phone’ অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে ‘Status’ বিভাগে আপনার IMEI নম্বর দেখতে পাবেন। এটি একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি এবং কোনো অতিরিক্ত কোড ডায়াল করার দরকার হয় না।
চুরি হয়ে গেলে আইএমইআই নম্বর কীভাবে ব্যবহার করবেন
ফোন চুরি হয়ে গেলে, IMEI নম্বর-র গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি ফোনের একটি অনন্য IMEI নম্বর থাকে যা ফোনের মডেল, উৎপাদন কারখানা, এবং অবস্থান সনাক্ত করতে সাহায্য করে। হারানো বা চুরি ফোন ট্র্যাক করার জন্য এটির প্রয়োজন হয়। ফোনের সিম কার্ড দুটি হলে, দুটি IMEI নম্বর থাকবে।
আপনার ফোন চুরি হলে প্রথম পদক্ষেপ হবে IMEI নম্বর সংগ্রহ করা। ফোনের বক্স বা ইভেন্ট ইন্সভিস্তার মধ্যে তা পেতে পারেন। এছাড়া, ফোনের সেটিংস থেকে “স্ট্যাটাস” বিভাগে গিয়ে IMEI নম্বর খোঁজা সম্ভব। কিছু ফোনে *#06# ডায়াল করার মাধ্যমে সহজেই IMEI নম্বর জানা যায়।
- IMEI নম্বর প্রদান: ফোনটি চুরি হলে, আপনি জাতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে IMEI নম্বর-টি জমা দিতে পারেন। এটির মাধ্যমে তারা ফোনটি শনাক্ত করতে এবং ব্লক করতে পারবে, ফলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
- ফোনের হদিশ পাওয়া: IMEI নম্বর জানার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চুরি ফোন ট্র্যাক করতে পারবে। Google Dashboard-এর মাধ্যমে আপনি আপনার লগ ইন করা ডিভাইসগুলির তথ্য দেখতে পারেন এবং সেখানে IMEI নম্বর পেতে পারেন।
- হারানো ফোন ব্লক: চুরি হলে, নির্দিষ্ট IMEI নম্বর ব্যবহার করে ফোনটিকে ব্লক করার অনুরোধ করতে পারেন, ফলে এটি আরও কোনো অপরাধমূলক কাজের জন্য ব্যাবহৃত হবে না।
এই পদক্ষেপগুলি মেনে চললে, IMEI দ্বারা ফোন খোঁজা এবং চুরি ফোন ট্র্যাক করা সহজ হয়ে যায়। আপনার ফোনটির IMEI নম্বর সবসময় একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন। আপনার IMEI নম্বর-টি না জানলে, ফোন হারালে বা চুরি হলে এটি শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে।
সরকারী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে IMEI চেক করুন
আপনার মোবাইল ফোনের আসল অবস্থা এবং বৈধতা নিশ্চিত করতে সরকারি IMEI চেক করুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে, অনলাইন IMEI ভেরিফিকেশন সহজেই উপলব্ধ করা হয়েছে এবং Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারের প্রকাশিত ওয়েবসাইটে IMEI নম্বর দিয়ে ফোনের অবস্থা যাচাই করা গেলে, আপনি জানতে পারবেন ফোনটি চুরি হয়েছে কি না বা এটি বৈধ কিনা। মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর 84% কোনও ফোন কিনার আগে ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর যাচাই করেন।
সরকার অনলাইন IMEI ভেরিফিকেশনের জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট চালু করেছে। আপনি *16161# ডায়াল করে IMEI যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। IMEI নম্বর যাচাই করার জন্য neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার মোবাইল ফোনের IMEI নম্বর নিবন্ধন করতে হবে।
সরকারি IMEI চেকের মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন, যেমন:
- ফোনের বৈধতা নিশ্চিত করা
- চুরি হয়ে যাওয়া ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করা সম্ভব
- ব্যক্তিগত মালিকানা তথ্য রেজিস্টার করা
- উচ্চ মূল্য এবং সকল আপডেট পেতে সহায়তা
সরকারের এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হলো, অবৈধ বা নকল হ্যান্ডসেটের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা, যা গ্রাহকদের নিরাপত্তা ও আর্থিক অখণ্ডতা সুরক্ষিত রাখবে। এই প্রক্রিয়া মোবাইল ফোন মার্কেটে যথেষ্ট স্বচ্ছতা নিয়ে আসছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা জানেন যে তাদের ডিভাইস মূল এবং নিরাপদ।
অনলাইন IMEI ভেরিফিকেশন করে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার ব্যবহৃত ফোনটি বৈধ এবং নিরাপদ। বাংলাদেশের ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিবছর আমদানি হয় এবং আনুমানিক ২০ মিলিয়ন মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে সংযুক্ত হয়েছে। তাই ফোন কেনার আগে নির্ভরযোগ্য IMEI চেক অবশ্যই করা উচিত।
কেরিফিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করে IMEI চেকিং
আমাদের দ্রুত জীবনে এখন ফোনের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। IMEI চেকিং এর জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা যায় যা আমাদের ফোনের নিরাপত্তা এবং নির্ভুলতার ব্যাপারে নিশ্চিত করে। এখানে আমরা দুটি জনপ্রিয় কেরিফিকেশন অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করব, যা আপনার ফোনের IMEI এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই করতে সাহায্য করে।
Mi Verification App
Mi Verification App একটি অত্যন্ত কার্যকারি ফোন ভেরিফিকেশন অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের তাদের ফোনের মডেল, RAM & ROM সঞ্চয়ন, ক্রয় দেশ, ক্রয় তারিখ এবং ওয়ারেন্টি অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত নিশ্চিত করে। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যবহারকারীদের কেবল তাদের IMEI নম্বর অথবা লক কোড দিয়ে যাচাই করতে হবে।
- মডেল নাম্বার
- স্টোরেজ
- পূর্বাভাসিত ডিভাইস বয়স
- ওয়ারেন্টির অবস্থা
- মি লক স্থিতি
AnTuTu Officer App
অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ফোন ভেরিফিকেশন অ্যাপ হলো AnTuTu Officer। এটি ফোনের অবস্থান এবং অগ্রগতির সঠিক তথ্য প্রদানে নিখুঁত। এই অ্যাপটি ফোনের হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করে এবং ফেক ডিভাইস শনাক্ত করতে সাহায্য করে। আপনার ফোনের আইএমইআই চেকিং এবং হার্ডওয়্যার নির্ভুলতা যাচাই করতে AnTuTu Officer ব্যবহার করতে পারেন।
- ফোনের অবস্থান এবং অগ্রগতির তথ্য
- হার্ডওয়্যার নির্ভুলতা
- ফেক ডিভাইস শনাক্তকরণ
সুতরাং, Mi Verification App এবং AnTuTu Officer অ্যাপের সঠিক এবং নির্ভুল ব্যবহার আপনার ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
ফোনের হার্ডওয়্যার পরীক্ষা
ফোনের হার্ডওয়্যার পরীক্ষা নিশ্চিত করতে যে পদ্ধতির অনুসরণ করতে হবে, সেটি হলো ফোনের Settings এ গিয়ে About Phone অনুযায়ী Kernel Version নির্বাচন করা। এখানে আপনি মোবাইল হার্ডওয়্যার ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।
ভালো মানের ফোন নিশ্চিত করতে IMEI নম্বর চেক করার পাশাপাশি হার্ডওয়্যার পরীক্ষা অপরিহার্য। ভিভো, অপো, সিম্ফোনি, নোকিয়া, স্যামসাং এবং হুয়াওয়ের মতো ব্র্যান্ডগুলি নির্দিষ্ট কোড ও অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল হার্ডওয়্যার ভেরিফিকেশন সেবা প্রদান করে।
ফোন সেন্সর টেস্ট করার জন্য Settings থেকে Kernel Version নির্বাচন করুন এবং এতে থাকা বিভিন্ন সেন্সর ও হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করুন। এই পরীক্ষা পদ্ধতি সহজেই আপনাকে নির্ভুল তথ্য দেয়
- Settings এ যান
- About Phone নির্বাচন করুন
- Kernel Version এ ক্লিক করুন
- ফোনের বিভিন্ন টেস্ট অপশন অনুসন্ধান করুন এবং পরীক্ষা সম্পন্ন করুন
আপনার ফোনের হার্ডওয়্যার ত্রুটি বা আনুমানিকতা নির্ধারণ করতে এই পরীক্ষা গুলি অব্যাহত রাখুন। মোবাইল হার্ডওয়্যার ভেরিফিকেশন এবং ফোন সেন্সর টেস্ট নিশ্চিত করে আপনার স্মার্টফোনের নির্ভরযোগ্যতা ও কার্যকারিতা।
অন্য যন্ত্রাংশের যাচাই
ফোন কেনার সুবাদে শুধু IMEI নম্বরের মাধ্যমে যাচাই করাই যথেষ্ট নয়, ফোনের সঙ্গে প্রদত্ত অন্যান্য যন্ত্রাংশেরও যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ফোন অ্যাকসেসরীজ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফোনের বক্সে সরবরাহিত অ্যাকসেসরীজ যেমন চার্জার, ইয়ারফোন, এবং অন্যান্য কেবল ইত্যাদি যাচাই করা প্রয়োজন।
প্রথমে, ফোনের বক্সে থাকা লেবেলগুলি পরীক্ষা করতে হবে। আসল Xiaomi ফোনের বক্সে নির্দিষ্ট লেবেল এবং মৌলিক তথ্য থাকবে যা অনলাইনেও যাচাই করা যায়। ফোন কম্পোনেন্ট চেক করার আরেকটি পদ্ধতি হল স্পেসিফিকেশন এবং ফিজিকাল চেহারা মেলানো।
এছাড়াও, ফোনের হার্ডওয়্যার এবং প্রাপ্ত পারফরমেন্সের ভিত্তিতে যাচাই করা যেতে পারে। AnTuTu বা GeekBench এর মত বেঞ্চমার্ক টেস্টের মাধ্যমে ফোনের পারফরমেন্স স্কোর দেখে সন্দেহজনক Xiaomi ফোনকে চিনতে সাহায্য পাওয়া যায়। কম স্কোর সাধারণত নকল ফোনের সূচক হতে পারে।
Xiaomi এর অন্য একটি আধিকারিক মাধ্যম হলো Mi Verification App যা ফোন অ্যাকসেসরীজ ভেরিফিকেশন এবং ফোন কম্পোনেন্ট চেকের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক। এই অ্যাপ ব্যবহার করে ফোনের আসলত্ব পরীক্ষা করা সম্ভব।