দক্ষিণ: একটি বিস্তৃত পরিচিতি

দক্ষিণের পরিচিতি হল একটি চমকপ্রদ বিষয়ে পূর্ণ। দক্ষিণ আমেরিকা তার বিশাল ভূখণ্ড এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। এই মহাদেশটির আয়তন প্রায় ১,৭৮,৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার, যেখানে ৪২,৩৫,৮১,০৭৮ জন লোকের বাস। এই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশ এবং আঞ্চলিক বিশেষত্ব রয়েছে যা উদ্যাপন ও চর্চার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।

দক্ষিণের বৈশিষ্ট্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করে এর জীবন্ত অধ্যায়সমূহ এবং প্রাচীন সভ্যতার অবদান। এই মহাদেশটি উত্তর থেকে ৭,৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে যার উত্তর অংশ ক্যারিবিয়ান সাগর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে কেপ হর্ন পর্যন্ত পৌঁছেছে। ইতিহাস এবং সংস্কৃতিতে পূর্ণ, দক্ষিণ আমেরিকা বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মিশ্রণ যা প্রতিটি অঞ্চলে আলাদা আলাদা সুর তৈরি করে।

Contents show

দক্ষিণের ভূগোল ও জলবায়ু

দক্ষিণাঞ্চলের ভূগোল এবং জলবায়ু অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এবং বিস্তৃত। অঞ্চলটি বিভিন্ন ধরণের ভূমিরূপ এবং জলবায়ুগত পরিবেশের বৈচিত্র্য প্রস্তাব করে। দক্ষিণাঞ্চলের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সুউচ্চ পর্বতমালা, গভীর উপত্যকা এবং বিস্তীর্ণ সমতল অঞ্চল, যা ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ু এবং কৃষির জন্য পরিচিত।

দক্ষিণে প্রধান ভূদৃশ্য

দক্ষিণের ভূগোলের অন্তর্গত আছে বিস্তীর্ণ পর্বতমালা, যেমন দক্ষিণ আমেরিকার আন্দেস পর্বতশ্রেণী। এখানে উল্লেখ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং চিলির মত বৃহৎ দেশগুলোতে নানা ধরনের ভূদৃশ্য দেখা যায়। দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তৃত ভূমিসমূহের মধ্যে রয়েছে:

  • ব্রাজিলের আউটরিওর ইউপ্ল্যান্ড
  • আর্জেন্টিনার পাম্পাস সমভূমি
  • গুয়ানার উচ্চভূমি

এই সমস্ত ভূদৃশ্য এলাকাগুলি দক্ষিণের ভূগোল এবং প্রাকৃতিক শোভা সমৃদ্ধ করে।

আবহাওয়ার বৈচিত্র্য

দক্ষিণাঞ্চলের জলবায়ু ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে বেশ বৈচিত্র্যময়। এখানে উষ্ণমণ্ডল এবং তাপমাত্রামণ্ডল উভয়ই উপস্থিত রয়েছে। অঞ্চলটি নিচের পরিসংখ্যান অনুসারে বিভক্ত:

  • উত্তর হিমমণ্ডল: ৪.১২% অঞ্চল আচ্ছাদন
  • উত্তর তাপমাত্রামণ্ডল: ২৫.৯৯% অঞ্চল
  • টরিড মণ্ডল: ৩৯.৭৮% অঞ্চল
  • দক্ষিণ তাপমাত্রামণ্ডল: ২৫.৯৯% অঞ্চল
  • দক্ষিণ হিমমণ্ডল: ৪.১২% অঞ্চল

এই জলবায়ুগত বৈচিত্র্যের ফলে দক্ষিণাঞ্চল ভিন্ন ভিন্ন কৃষি ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যে ধনী হয়।

কৃষি এবং পরিবেশ

দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি মূলত স্থানীয় জলবায়ু এবং ভূগোলের উপর নির্ভরশীল। এখানে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার ফসল উৎপন্ন হয়। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলির বিশাল কৃষি জমি এবং সবুজায়নের উদ্যোগগুলি প্রধান ভূমিকা পালন করে। কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষিণের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • ব্রাজিলে কফি ও সোয়া বিনের বিশাল উৎপাদন
  • আর্জেন্টিনায় গম এবং মাংস উৎপাদন
  • চিলিতে আঙ্গুর এবং ওয়াইন উৎপাদন
আরও পড়ুনঃ  Hazaribagh

দক্ষিণের ভূগোল এবং জলবায়ুর বৈচিত্র্য এই অঞ্চলের কৃষিকে অনন্য ও সমৃদ্ধ করে তুলেছে।

দক্ষিণের ইতিহাস ও সংস্কৃতি

দক্ষিণের ইতিহাস নবজাগরণের সূচনা থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বিবর্তন এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার প্রতিচ্ছবি জায়গা করে নিয়েছে। দক্ষিণ ভারতে প্রাচীন সভ্যতার সূচনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন যুগের সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ধারা এক মনোরম গল্প বলে।

অচিহ্ন সভ্যতার সূচনা

দক্ষিণের ইতিহাসে সিন্ধু সভ্যতার উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সিন্ধু সভ্যতা তার প্রাথমিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত ছিল এবং এই সভ্যতার শহরগুলো এখনও চিত্তাকর্ষক ধ্বংসাবশেষ রেখে গেছে। অত্যাধুনিক নগর পরিকল্পনা, সেচ ব্যবস্থা এবং শিল্পকলা তাদের ভাষায় মূর্ত হয়েছিল। ইসলামি অনুপ্রবেশ পরবর্তীতে ৮ম শতাব্দীতে শুরু হয় এবং এটিও দক্ষিণের ইতিহাসের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

সাংস্কৃতিক বিবর্তন

সংস্কৃতি বিভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়ে এসেছে। চোল, চেরা, পল্লব, পান্ড্য প্রমুখ রাজবংশগুলির অধীনে দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতির এক একটি নিদর্শন স্থাপন হয়েছে। বিশেষ করে, চোল রাজবংশের শীর্ষ শাসকরা রাজা রাজা প্রথম চোল এবং প্রথম রাজেন্দ্র চোল দক্ষিণের সংস্কৃতির ইতিহাসে চিরসংজীবিত। এই রাজত্বের অধীনে শিক্ষা, সঙ্গীত এবং শিল্পকলার বিশেষ উন্নতি হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের ঘাতক পতনের একটি কারণ ছিল শিখদের সাথে সংঘাত। মহারাষ্ট্রের মারাঠা সাম্রাজ্যের উত্থান এবং পেশওয়াদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া দক্ষিণের ঐতিহাসিক বিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রধান ঐতিহাসিক ঘটনার বিশ্লেষণ

প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত দক্ষিণের ইতিহাস বহু পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে। প্রাচীন মৌর্য সাম্রাজ্যে অশোকের শাসন সহ শান্তি এবং সমৃদ্ধির একটি যুগ আসন্ন হয়। গুপ্ত সাম্রাজ্যের মধ্যে নামুক্কি মণিপুর এবং আহোমরা উল্লেখযোগ্য রাজবংশ রূপে স্বীকৃত। চোলদের একত্রীকরণের পাশাপাশি চালুক্য, রাষ্টাকূট এবং বিজয়নগর রাজাদের রাজত্বও দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। দক্ষিণের একাধিক যুগের প্রতিটিই স্বকীয় সমৃদ্ধি এবং ঐতিহ্য দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।

দক্ষিণের খাদ্য সংস্কৃতি

দক্ষিণের খাদ্য সংস্কৃতি খুবই বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলের খাদ্যদ্রব্য মানবসৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর সমন্বয়ে তৈরি হয়, যা দক্ষিণের সম্প্রদায়ের ইতিবাচক সামাজিক ব্যাপ্তি ও তাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের প্রণালীতে যেসব নব সৃষ্টি হয়েছে, তা খুবই মনোমুগ্ধকর এবং প্রতিবেশী অঞ্চলেও প্রভাব ফেলেছে।

জনপ্রিয় দক্ষিণী খাবার

চুইঝাল এবং মলিদা হলো দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে চুইঝালের মাংস দক্ষিণবঙ্গে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে ইলিশ মাছ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাদ্য, বিশেষত বরিশালের তারিতে রেসিপি অনন্যতার জন্য পরিচিত। আরও একটি প্রচলিত খবার হচ্ছে মহিষের দই, যা মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি। সাতক্ষীরার সন্দেশ মিষ্টান্ন খাবার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

খাদ্য প্রস্তুতির পদ্ধতি

দক্ষিণী খাদ্য প্রস্তুতি একাধিক ধাপে সম্পন্ন হয়, যা প্রতিটি খাবারকে অনন্য করে তোলে। ইলিশ মাছ রান্নায় বরিশালের মানুষ বিশেষ নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেন। চুইঝালের মাংস প্রস্তুতির সময় তাজা মসলার ব্যবহার গরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণবঙ্গের মুরগির তরকারি প্রৃনালীতে মসলা ও গত্র জাতীয় উপাদানগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে মেশান। মহিষের দই প্রস্তুতিতে মহিষের দুধ উচ্চায়ত্ম মানের দই তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুনঃ  উত্তরপ্রদেশ

খাদ্য ও সংস্কৃতির সম্পর্ক

দক্ষিণী খাদ্য শুধুমাত্র খাবার নয়, এটি একটি খাদ্য সংস্কৃতি বহন করে, যা অঞ্চলটির মানুষের আচার-আচরণ এবং সামাজিক জীবনধারার পরিচয় বহন করে। নিজেদের সাংস্কৃতিক নিদর্শন এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উৎসব এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে এসব খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষিণের সন্দেশ যেমন মিষ্টি খাদ্যদ্রব্যে সাধারণত বিবাহ এবং পূজা-পার্বণে প্রাধান্য পায়। এভাবে, দক্ষিণের খাদ্য সংস্কৃতি এবং খাদ্য প্রস্তুতি একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

দক্ষিণের লোকজন ও ভাষা

দক্ষিণের অঞ্চলটি বিভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ অঞ্চলের মানুষের ভাষার মধ্যে প্রধানত দেখা যায় বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা। এলাকা ভিত্তিক ব্যবধানে ভাষায় স্পষ্ট পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।

ভাষার বৈচিত্র্য

বানারীপাড়া উপজেলায় প্রধানত বরিশালের ভাষা প্রচলিত, যেখানে বিল এলাকা বিশেষভাবে পিরোজপুরের ভাষার প্রভাব দেখা যায়। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কিছু নির্দিষ্ট শব্দ যেমন “পেয়ারা-হব্রি”, “নারিকেল-নাহোইল”, “রান্নাঘর-ওশ্যা”, “পাতিল-পাইলা” ব্যবহৃত হয়। এই আঞ্চলিক ভাষার অনন্যতা বোঝাতে পারে কথোপকথনের উদাহরণগুলি, যেমন “কোথায় যাস?” এবং “উঠান-উডান”।

সামাজিক কাঠামো

এখানকার সামাজিক কাঠামো বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। উপাজিলা শিল্পকলা একাডেমি ও নতুনমুখ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর মধ্যে অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানগুলি স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার এবং প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। সমাজের সকল স্তরে সংস্কৃতির উপস্থিতি দক্ষিণের সামাজিক কাঠামোকে দৃঢ় ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

দক্ষিণী সংস্কৃতির মানবিক দিক

দক্ষিণের মানবিক দিক তার সংস্কৃতির মধ্যেই প্রতিফলিত হয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশ্রিত আধ্যাত্মিক প্রবৃত্তি এখানে গ্রহণযোগ্য। বানারীপাড়ার অনুশীলন সংস্কৃতি কেন্দ্রও এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব ও প্রচারের কাজে নিয়োজিত। সামগ্রিকভাবে, দক্ষিণের মানুষের সামাজিক কাঠামোমানবিক দিক অভ্যন্তরীণ শক্তি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।

বিশ্বের প্রায় ৬৫০০ ভাষার মধ্যে ২০০০টির বেশি ভাষা এক হাজারের কম মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সাংস্কৃতিক এবং ভাষার ব্যতিক্রম দেখা যায় বিভিন্ন অঞ্চলে। যেমন, রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিশেষ ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। ভাষার বৈচিত্র্য দক্ষিণের সামাজিক কাঠামো এবং মানবিক দিকে প্রভাব ফেলেছে, যা এখানে ভাষার প্রচলন এবং ব্যবহারকে এক ধরণের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিক হিসেবেই ব্যাখ্যা করা যায়।

দক্ষিণের পর্যটন স্পট

দক্ষিণ ভারত একটি অসাধারণ ভ্রমণ গন্তব্যস্থল, যেখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলির বিস্তার রয়েছে। এই অঞ্চলের স্থানীয় আকর্ষণগুলি পর্যটকদের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধি দক্ষিণের পর্যটনকে আরও অভিজাত করে তুলেছে।

প্রাকৃতিক দৃশ্যের স্থান

দক্ষিণের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলি বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এবং মনোরম। যেমন, কুরাগ পাহাড় বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এবং মাত্র ৬ ঘণ্টার বাস যাত্রায় সহজেই পৌঁছানো যায়। কুরাগ পাহাড়ে অভিযাত্রা, জল ক্রীড়া এবং বিভিন্ন প্রকৃতির স্বাদ উপভোগের সুযোগ রয়েছে। কোরাক পাহাড়ের মতোই কোডাইক্যানাল তামিলনাড়ুর অন্যতম আকর্ষণীয় পাহাড়ি অঞ্চল যেখানে মনোমুগ্ধকর জলবায়ু এবং সবুজ বনভূমি পর্যটকদের আকর্ষিত করে।

ঐতিহাসিক স্থানসমূহ

দক্ষিণ ভারত ইতিহাসের দিক থেকে সমৃদ্ধ একটি স্থান। কর্ণাটকের হাম্পি একটি প্রাচীন শহর যা ১৫ এবং ১৬ শতকের নিদর্শনের ভান্ডার। এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত এবং এর মন্দিরগুহাগুলি ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়াও চেন্নাইতে পুরাতন এবং আধুনিক যাপনের সমন্বয় দেখা যায়, যেখানে মেরিনা বিচ, সরকারি জাদুঘর, কপালেশ্বর মন্দির, এমজিএম ডিজি ওয়ার্ল্ড এবং ফোর্ট সেন্ট জর্জ পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ।

আরও পড়ুনঃ  মুজিবনগর: ইতিহাস ও গুরুত্ব

স্থানীয় আকর্ষণ

দক্ষিণে পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান ওoty এবং কোটাইক্রোনাল। এই স্থানের স্নিগ্ধতা এবং চা বাগানের প্রচলন হিসেবে এটি পর্যটকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও, ওoty দিয়ায় কুনুর পর্যন্ত খেলার ট্রেন যাত্রা একটি ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা। কেরালায় ওয়ানাড পাহাড়ি এলাকা প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বন্যপ্রাণী আশ্রয়স্থলের কারণে প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রিয় স্থান। এটি ট্রেকিং এবং প্রাচীন মন্দির পরিদর্শনের জন্য আদর্শ স্থান। এসব আকর্ষণীয় স্থানের সমন্বয়ে দক্ষিণের পর্যটন আরো হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠেছে।

FAQ

দক্ষিণের ভূদৃশ্য কেমন?

দক্ষিণের ভূদৃশ্য খুবই বৈচিত্র্যময়। এখানে সমুদ্র তট, পাহাড়, উপত্যকা এবং সমতল ভূমি সবই বিদ্যমান।

দক্ষিণের আবহাওয়া কেমন?

দক্ষিণের আবহাওয়ার বৈচিত্র্য খুবই লক্ষণীয়। বার্ষিক তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অঞ্চল অনুযায়ী ভিন্ন হয়।

দক্ষিণের কৃষি ও পরিবেশ কেমন?

দক্ষিণের কৃষি প্রধান অর্থনীতি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে সবুজায়ন প্রকল্প এবং স্থানীয় প্রজাতির সংরক্ষণ কার্যক্রমও চালু আছে।

দক্ষিণের প্রাচীন সভ্যতার উৎপত্তি কোথায়?

দক্ষিণ ভারত এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীন সভ্যতার সূচনা হয়েছিল। এখানে বহু প্রাচীন সভ্যতা তাদের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

দক্ষিণের সাংস্কৃতিক বিবর্তন কেমন?

দক্ষিণের সাংস্কৃতিক বিবর্তন মূলত বিভিন্ন যুগের প্রভাব এবং বহিরাগত সংস্কৃতির মিশ্রণে গড়ে উঠেছে। এটি অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে।

দক্ষিণের ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যে কোনটি উল্লেখযোগ্য?

দক্ষিণের ইতিহাসে চোল, চেরা এবং পান্ড্য সাম্রাজ্যের উত্থান এবং পতন অন্যতম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এখানে বিভিন্ন রাজবংশের শাসনকালও ইতিহাসের অংশ।

দক্ষিণের জনপ্রিয় খাদ্যদ্রব্য কি কি?

দক্ষিণের জনপ্রিয় খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে দোসা, ইডলি, সাম্বর, রাসাম, এবং নারকেল চাটনি উল্লেখযোগ্য।

দক্ষিণে খাদ্য প্রস্তুতির পদ্ধতি কেমন?

দক্ষিণের খাদ্য প্রস্তুতির পদ্ধতি খুবই বৈচিত্র্যময় এবং সুনিপুণ। এখানে স্টিমিং, ফ্রাইং এবং সিজনিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন খাবার তৈরি করা হয়।

খাদ্য ও সংস্কৃতির সম্পর্ক কী?

দক্ষিণের খাদ্য সংস্কৃতি জাতীয় এবং আঞ্চলিক উৎসব, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে গভীরভাবে মিশে আছে।

দক্ষিণের ভাষার বৈচিত্র্য কেমন?

দক্ষিণে তামিল, তেলুগু, কান্নাডা, মালায়ালাম এবং আরও অনেক আঞ্চলিক ভাষার বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়।

দক্ষিণের সামাজিক কাঠামো কেমন?

দক্ষিণের সামাজিক কাঠামো খুবই শক্তিশালী এবং এখানে পারিবারিক ও সম্প্রদায়িক বন্ধন মজবুত।

দক্ষিণী সংস্কৃতির মানবিক দিক কী?

দক্ষিণী সংস্কৃতির মানবিক দিক প্রধানত পারস্পরিক সম্মান, সহানুভূতি এবং একতা নির্ভর করে।

দক্ষিণের প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রধান স্থানগুলি কোনগুলি?

দক্ষিণের প্রধান প্রাকৃতিক দৃশ্যের স্থানগুলির মধ্যে কোদাইকানাল, মুন্নার, ওটি এবং কোর্গ উল্লেখযোগ্য।

দক্ষিণে কোন ঐতিহাসিক স্থানগুলি উল্লেখযোগ্য?

দক্ষিণের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে মহাবলিপুরাম, হামফি, মাইসোর প্যালেস এবং পদ্মনাভস্বামী মন্দির অন্যতম।

স্থানীয় আকর্ষণ কি কি?

দক্ষিণের স্থানীয় আকর্ষণের মধ্যে কেরলের ব্যাকওয়াটার, তামিলনাড়ুর মন্দির নগরী এবং কর্ণাটকের পালল্য সবুজায়ন প্রকল্পগুলি উল্লেখযোগ্য।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button