উত্তরা (City): ঢাকার আধুনিক প্রগতিশীল এলাকা

উত্তরা ঢাকার একটি অনন্য আধুনিক আবাসিক এলাকা, যা সম্পূর্ণ প্রগতিশীলতার প্রতীক। ঢাকা নগরের উত্তরের প্রান্তে অবস্থিত উত্তরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাধ্যমে সহজেই সংযুক্ত। এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া মেলে প্রতিটি কোণে, যেখানে শপিং মল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এবং বিনোদন কেন্দ্র সমৃদ্ধ। মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রায় ২১.১ মিলিয়ন লোকের বসবাস সুনিশ্চিত করে যে, এই অঞ্চলটি ঢাকার অন্যতম জনবহুল এবং ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে পরিচিত।

উত্তরা উদ্ভাবনী নগর পরিকল্পনা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধ। আধুনিক আবাসিক এলাকা হিসেবে এটি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তার অবস্থানকে আরও মজবুত করেছে। ‘পুর্বাচল রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউন’ প্রকল্পের আওতায় ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৃষ্ট আধুনিক সুযোগ-সুবিধাগুলো এটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে ঢাকার আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের জন্য। পরবর্তীকালে, বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ পরিবেশ শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষা প্রদান করতে সহায়তা করছে।

Contents show

উত্তরার ইতিহাস: ভিত্তি থেকে আধুনিকতা

উত্তরার ইতিহাস বহু পুরনো। ঢাকার এই অঞ্চলটি পূর্বে মূলত কৃষি এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল।

উত্তরার প্রাচীন সময়

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে এলাকাটি আবাসিক অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়েছে।

এই সংস্কার ও আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে ১৯৯২ সালে প্রথম পর্যায় সম্পন্ন হয়েছিল। সেসময়ে ৬০০০ প্লট সেক্টর ১ থেকে ১০-এ বণ্টন করা হয়।

আধুনিক উন্নয়নের শুরু

বর্তমান উত্তরা আধুনিক উত্তরা হিসেবে পরিচিত এর উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয় ১৯৯২ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯৮ সালে, সেক্টর ১১ থেকে ১৪-এ। তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ২,১৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে প্রায় ১০,০০০ আবাসিক প্লট ও ২,২৫,৫১২ অ্যাপার্টমেন্ট সরবরাহ করা হয়।

উত্তরা ইতিহাসের দিকে তাকালে বোঝা যায় কিভাবে ধাপে ধাপে উন্নয়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে উত্তরা আজকের আধুনিক উন্নয়নের প্রতীক।

উত্তরা: একটি পরিকল্পিত নগরী

উত্তরা ঢাকার অন্যতম পরিকল্পিত নগরী হিসেবে উল্লেখযোগ্য। একসময় নির্জন এবং শহরতলির এলাকা হিসেবে পরিচিত থাকলেও, বর্তমানে আধুনিক ঢাকার অন্যতম প্রধান অংশ হয়ে উঠেছে। নাগরিক সুবিধা এবং উন্নত সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উত্তরা একটি অন্যতম পছন্দনীয় স্থান হয়ে উঠেছে বসবাস এবং ব্যবসার জন্য।

আরও পড়ুনঃ  মহাখালী - ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা

সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি

উত্তরার সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য উন্নতির মধ্যদিয়ে গেছে। উত্তরা থেকে ঢাকার কেন্দ্রস্থলে যাতায়াতের জন্য বেশ কয়েকটি উন্নত সড়ক ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলে থাকা এবং এখানে কাজ করা বেশ সহজ হয়েছে। উত্তরা থেকে ঢাকার জিরোপয়েন্টে দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার, যা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সহজে অতিক্রম করা যায়।

নাগরিক সুবিধা ও পরিকল্পনা

উত্তরায় নাগরিকদের জন্য রয়েছে উন্নত মানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা। এখানে বাংলাদেশে ডেকাথলনের একমাত্র শোরুম সহ ২০টির মধ্যে একটি এইচ.এস.বি.সি ব্রাঞ্চ রয়েছে, যা উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত। এ ছাড়া উত্তরা-দিকে স্থাপন করা অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র এবং বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সাশ্রয়ী এবং মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এই সমস্ত কারণেই উত্তরা ঢাকার অন্যতম পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গণ্য হয়।

উত্তরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

উত্তরা একটি উন্নত ও পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা যেখানে উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমাবেশ রয়েছে। উত্তরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও কলেজের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পথ সুগম করেছে।

স্কুল ও কলেজের গুরুত্ব

উত্তরার অন্যতম প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ। এটি সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে এবং ১১-১৮ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে। কলেজটিতে ১৩৫ জন শিক্ষক এবং ৪৮৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৪.৫ একর ক্যাম্পাস নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে। উল্লেখযোগ্য অবস্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি ও মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, যা শিক্ষার মানের দিক থেকে বিশেষ প্রভাব রাখে।

বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চ শিক্ষা

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে উত্তরার প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন ঢাকা নর্দার্ন সিটি কলেজ, বিশেষ অবদান রাখছে। ঢাকা নর্দার্ন সিটি কলেজটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি উচ্চমানের ও সাশ্রায়ী মূল্যের শিক্ষা সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি মূলত শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই অঞ্চলের স্কুল ও কলেজগুলি জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে এবং তাদের লাইব্রেরীতে প্রায় ১৫,০০০ বই রয়েছে। অর্থাৎ উত্তরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য দরকারি সকল উপকরণ বিদ্যমান।

আরও পড়ুনঃ  শ্যামলী, ঢাকা - আকর্ষণীয় এলাকার সকল তথ্য

উত্তরা: ব্যবসায় ও অর্থনীতি

উত্তরা ঢাকার অন্যতম বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। এই এলাকার অর্থনীতিতে স্থানীয় ব্যবসার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রকাশ পাচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসার বৃদ্ধি

উত্তরা ব্যবসা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিএফআইর রিপোর্টে উত্তরা অর্থনীতির অসঙ্গতি প্রকাশ পেলে, স্থানীয় ব্যবসায় প্রভাব পড়ে। তবে, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই সমস্যার মোকাবিলা করে আবার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩০% লভ্যাংশ পেয়েছিল, যা ২০১৮ সালে ২০% এ নেমে আসে।

বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর ভূমিকা

উত্তরার অর্থনীতিতে বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলে বিভিন্ন বড় বড় কর্পোরেট অফিস ও সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বরযারা পেইন্টস বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উত্তরা ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার ফলে এলাকাটি আরও উন্নত সড়ক পরিকাঠামো ও নাগরিক সুবিধা পেয়েছে, যা বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে আরো সহজতর করছে।

উত্তরার স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা

উত্তরা ঢাকার অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত, এখানে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ। উন্নত মানের হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখানে বিদ্যমান যা এই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে।

সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র

উত্তরায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে যা সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ভূমিকা রাখছে। যেমন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। এখানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকেন।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজে জরুরি ও ডায়াগনস্টিক সুবিধাসহ বহির্বিভাগের জন্য ১৭ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন শত শত রোগীকে সেবা প্রদান করে আসছে।

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান

উত্তরাতে বেশ কিছু প্রখ্যাত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, যা রবীন্দ্র সরণীতে অবস্থিত, বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যেমন মেডিসিন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল, নিউরো মেডিসিন, কার্ডিয়াক স্পেশালিস্ট ও ডায়াবেটিস স্পেশালিস্ট সহ প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এই হাসপাতাল উত্তরা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম।

উইমেনস মেডিকেল কলেজ, উত্তরার মডেল টাউনে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের প্রথম বিশেষায়িত মহিলা মেডিকেল কলেজ। এছাড়া, জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকেই আইসিইউ সুবিধা ও কম খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদানে বিশেষভাবে পরিচিত।

লুবনা জেনারেল হাসপাতাল উত্তরায় সুপরিচিত, বিশেষ করে সার্জিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্টে বিশেষজ্ঞ। এই হাসপাতাল রোগীদের উচ্চমানের চিকিৎসা সেবা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি, ব্র্যাক হেলথ সেন্টার একটি উত্তরায় জনপ্রিয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র যা পরিবার, প্রথমিক চিকিৎসা সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করে।

আরও পড়ুনঃ  ধানমন্ডি রেসিডেনশিয়াল এরিয়া - ঢাকার সেরা আবাসিক এলাকা

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম

উত্তরা, ঢাকার একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক নগরী হিসেবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই অঞ্চলের মানুষ তাদের নানা বিশ্বাস, আচরণ এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, উত্তরায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে মানুষের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা হয়।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক যুগে বিভক্ত। ১৮ শতক থেকে ১৯ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে সাহিত্যের ব্যাপক উন্নতি হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন লোকজ ও আধুনিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন বৈশাখী মেলা, শ্রাবণী মেলা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানগুলি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।

সামাজিক অবদান

উত্তরার মানুষ সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রাখে। বিভিন্ন এনজিও এবং স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারগুলির সহায়তায় মানুষকে সহায়তা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের সেবামূলক কার্যক্রমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

সাংস্কৃতিক বহুমুখিতা

উত্তরার সংস্কৃতিতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। মুসলিমদের জন্য আরবী শিক্ষা এবং পূর্ববর্তী সময়ে প্রশাসনিক কাজে ফার্সী ভাষার ব্যবহার সাধারণ ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে ফার্সি ভাষার বদলে ইংরেজি হয়ে ওঠে প্রশাসনিক ভাষা, যা সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। এই পরিবর্তন প্রকৃতপক্ষে আমাদের সমাজের সংস্কৃতিকে একটি একানব্বই সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করেছে।

উত্তরার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে পাশাপাশি আলোচিত হয় বিভিন্ন শিল্পকর্ম, নাটক, সঙ্গীত এবং নৃত্যকলা। এই সমস্ত কর্মকাণ্ড উত্তরাকে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

FAQ

উত্তরা ঢাকার কোন ধরনের এলাকা?

উত্তরা ঢাকার এক জীবন্ত ও আধুনিক আবাসিক এলাকা, যেখানে শপিং, শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য এটি বিখ্যাত।

উত্তরার ইতিহাস কেমন?

উত্তরা প্রাচীন সময় থেকেই একটি আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এটি একটি আধুনিক প্রগতিশীল এলাকায় পরিণত হয়েছে।

উত্তরা কি সুপরিকল্পিত নগরী হিসেবে গন্য হয়?

হ্যাঁ, উত্তরা ঢাকার মধ্যে একটি সুপরিকল্পিত নগরী হিসেবে গণ্য হয়, যেখানে সড়ক ও যোগাযোগের উন্নতির ফলে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উত্তরায় শিক্ষার সুযোগ কেমন?

উত্তরায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার সাথে সাথে মৌলিক শিক্ষার চাহিদা মেটাচ্ছে।

উত্তরা কি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরা একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে উত্থান করেছে, যেখানে স্থানীয় ব্যবসা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষণীয়।

উত্তরায় কি ধরনের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা রয়েছে?

উত্তরা ঢাকার একটি প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, যেখানে বেসরকারি ও সরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানই উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button