মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঢাকা শহরের অন্যতম প্রধান বাস স্টেশন যা বিভিন্ন জেলার মধ্যে বাস সংযোগ প্রদান করে। এটি মহাখালী পরিবহন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে পরিচিত এবং দৈনিক হাজার হাজার যাত্রীকে সেবা প্রদান করে। ঢাকা বাস টার্মিনাল হিসেবে মহাখালী প্রধান স্থান দখল করে আছে, কারণ এখান থেকে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় যাতায়াত করা যায়।

এই বাস টার্মিনালটি বিভিন্ন ধরনের আধুনিক সুবিধা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং আরাম নিশ্চিত করতে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, উন্নত সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Contents show

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পরিচিতি

১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মহাখালী বাস টার্মিনাল ঢাকার অন্যতম প্রধান পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এটি সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে ২০০৫ সালে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছিল, যার জন্য ১৫ কোটি টাকা ($২.৩ মিলিয়ন) খরচ হয়। মহাখালী এলাকায় অবস্থিত এই টার্মিনালটি ৩৬,৪০০ বর্গমিটার (৯.০ একর) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। টার্মিনালটির সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট প্রশংসনীয়, যেখানে ৩০০টি বাসের অবকাঠামো রয়েছে।

২০১৫ সালের হিসাবে, টার্মিনালটি থেকে দৈনিক ৮০০টি ট্রিপ পরিচালিত হয় ৬০টি ভিন্ন রুটে। ঢাকা পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই টার্মিনাল, যা ঢাকার কেন্দ্রস্থলে আট একরের বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থিত।

জনসাধারণের সুবিধার্থে ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি পরিকল্পিত বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম সঞ্চালনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রথমবারের মতো একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতির আওতায় এই পরিবহন সুবিধার জন্য অর্থায়ন এবং পরিচালনার কথা বিবেচনা করছে। HR&A মহাখালী বাস টার্মিনালের জন্য রিয়েল এস্টেট বাজার, জনমিতি ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছে।

বিশ্লেষণের পরিসংখ্যানগুলো পিপিপি কাঠামোর উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন প্রোগ্রামের জন্য সুপারিশ প্রদান করেছে। রিপোর্টে টার্মিনালের পরিচালনা ও প্রাইভেট ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন পার্টনারশিপ কাঠামোর জন্য সম্ভাব্য আর্থিক ফলাফল উল্লেখ করা হয়েছে।

অবস্থান এবং সহজ যাতায়াত

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি ঢাকার মহাখালী এলাকায় অবস্থিত যা রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

লোকেশন এবং অবস্থান

মহাখালী টার্মিনাল অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে ক্যাম্পাস, মসজিদ এবং হাসপাতালের নিকটবর্তী। মহাখালী টার্মিনালের সঠিক অবস্থান ২৩.৭৭ উত্তর ৯০.৪০ পূর্বে, যা পান্থপথ, ইন্দিরা রোড, বেগম রোকেয়া সরণির মতো প্রধান রাস্তাগুলির কাছাকাছি অবস্থিত। এই অবস্থানটি শহরের যেকোনো স্থান থেকে সহজেই পৌঁছাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ  ঘনীভবন কাকে বলে?

পরিবহন ব্যবস্থাপনা

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পেঁৗছানো অত্যন্ত সহজ। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, রিকশা, সিএনজি এবং ট্যাক্সি সম্ভবপর। পরিবহন সংযোগের সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থানে যাতায়াতের জন্য সুবিধাজনক। এর আওতায় আপনি পাবেন:

  • নিয়মিত বাস সার্ভিস
  • ট্যাক্সি এবং রাইডশেয়ার অপশন
  • স্থল রেলের সুবিধা

মহাখালী টার্মিনাল অবস্থান এবং পরিবহন সংযোগের সাপেক্ষে, এটি ঢাকা মহানগরের সাথে মসৃণ যানবাহন ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করে।

কিভাবে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছাবেন

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছানোর বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যাতে ঢাকা মেট্রোরেল, আন্তঃনগর বাস এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের সেবা অন্তর্ভুক্ত। এই বিভাগে আমরা এই মাধ্যমগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ঢাকা মেট্রোরেল সুবিধা

ঢাকা মেট্রোরেল এখন একটি প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। মেট্রোরেল স্টেশন থেকে আপনি খুব সহজেই মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছাতে পারেন। লাইন ৫উ, ৫দ, এবং ৬ নম্বর লাইনগুলি বিশেষভাবে এই জন্য উপযোগী। মেট্রোরেল স্টেশনগুলি বসুন্ধরা, উত্তরা, এবং মোহাম্মদপুরের মতো প্রধান এলাকাগুলিতে অবস্থিত, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক।

আন্তঃনগর বাস সেবা

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে বিভিন্ন আন্তঃনগর বাস সেবা পাওয়া যায়। এসব বাসগুলি রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলার মধ্যে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়। আন্তঃনগর বাসগুলি সরাসরি টার্মিনালে আসে এবং এখান থেকে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। উচ্চ মানের সেবা ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এই বাস সেবাগুলি অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

রেলওয়ে পরিষেবা

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছানো আরও একটি সহজ উপায়। রেলওয়ে দিয়ে যাত্রা করে আপনি স্টেশন থেকে সহজেই বাস টার্মিনালে যেতে পারেন। এই রুটটি বিশেষত দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাস ও রেলওয়ের সমন্বিত সেবা অত্যন্ত কার্যকর।

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোন কোন জেলা গন্তব্যে যাওয়া যায়

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলা পরিষেবা পাবেন। এই টার্মিনাল থেকে বাস গন্তব্যে পৌঁছানো একদম সহজ এবং সুবিধাজনক। বিভিন্ন বাস পরিষেবার মাধ্যমে যাত্রীদের দেশের প্রায় প্রতিটি কোনায় যাওয়ার সুযোগ আছে। মহাখালী টার্মিনাল থেকে প্রায় সমস্ত জেলা পরিষেবা খুঁজে পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

  • চট্টগ্রাম
  • সিলেট
  • খুলনা
  • রাজশাহী
  • বরিশাল
  • রংপুর
  • কুমিল্লা

এছাড়াও, মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে থাকার সুব্যবস্থা, নামাজের জন্য মসজিদ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন বাস গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে জেলা পরিষেবা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডিসট্রিক্ট পরিষেবা হিসেবে এখানে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য ভ্রমণের জন্য অনেক সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বাস টার্মিনালের বাস সার্ভিস এবং সময়সূচী

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ভ্রমণকারী যাত্রীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন বাস সার্ভিস প্রদান করে থাকে। দৈনিক বাস চলাচলের সময়সূচীও এখানে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাতে যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশ সচিবালয়

বাস কোম্পানির তালিকা

মহাখালী টার্মিনাল থেকে নিম্নলিখিত বাস কোম্পানির বাস সার্ভিস পাওয়া যায়:

  • শ্যামলী পরিবহন
  • সোহাগ পরিবহন
  • এনা পরিবহন
  • একুশে পরিবহন

দৈনিক বাস চলাচলের সময়সূচী

এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন সময়সূচী অনুযায়ী বাস চলাচল করে:

  • শ্যামলী পরিবহন: সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত
  • সোহাগ পরিবহন: সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত
  • এনা পরিবহন: সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত
  • একুশে পরিবহন: সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সুযোগ সুবিধা

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টার্মিনালটির বিভিন্ন সুবিধার মধ্যে মসজিদ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুবিধাসমূহ উল্লেখযোগ্য।

মসজিদ ও নামাজের ব্যবস্থা

যাত্রীদের জন্য মহাখালী টার্মিনালে একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে তাঁরা তাদের নামাজ আদায় করতে পারেন। এটি একটি প্রধান সুবিধা, যা যাত্রীদের মানসিক শান্তি এবং সুকঠোর ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণতা রক্ষা করতে সহায়ক।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

মহাখালী বাস টার্মিনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। টার্মিনাল এলাকায় পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে যা যাতায়াতকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও, বিভিন্ন নিরাপত্তা কর্মী সার্বক্ষণিক পরিদর্শনে নিয়োজিত থাকেন। অন্যান্য টার্মিনাল সুবিধা যেমন বহুমুখী পরিবহন সুবিধা এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে সিস্টেম এই নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কাজ করে।

এই সুবিধাগুলির মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল একটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পরিবহন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সম্প্রসারণ এবং সংস্কার কার্যক্রম

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সম্প্রসারণ এবং সংস্কার প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক কাজ চলছে। এই বাস টার্মিনাল উন্নয়ন কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো যাতায়াতকারীদের জন্য আরও আধুনিক এবং উন্নত সুবিধা প্রদান করা।

এসিস্ট্যান্ট ড্রাইভার দেলোয়ার উল্লেখ করেন যে, মহাখালী থেকে খিলক্ষেত যাতায়াতে প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্টের জন্য তারা আগে দৈনিক ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা আয় করতে পারতেন। তবে নতুন ‘গেট লক’ সিস্টেম চালুর ফলে রাজধানী, বিশেষ করে মহাখালী বাস টার্মিনালের আশেপাশে যানজট কমানোর লক্ষ্যে বড় অগ্রগতি এসেছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নতুন নিয়মাবলী, যেমন নির্দিষ্ট স্থানে প্যাসেঞ্জার ওঠা-নামা করানোর ফলে শৃঙ্খলা ফিরেছে বলে অনেকেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। সহকারী কমিশনার মো. সায়েম এ বিষয়টির কড়া নজরদারির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যাতে সব পক্ষে এই গেট লক সিস্টেম মেনে চলে। যদি কোনো পরিবহন অপারেটর এই সিস্টেম না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহৎ আকারের সংস্কার প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১১,২০০.৬৯ কোটি টাকা বলে অনুমান করা হয়েছে। নতুন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো: হেমায়েতপুর, বাঘাইর, কাঁচপুর দক্ষিণ, ভুলতা এবং গ্রাম ভাটুলিয়া। আর বাস ডিপো হিসেবে প্রস্তাবিত স্থানগুলো: আরটি বাজার, কাঁচপুর উত্তর, কাঁচান, বাইপাইল এবং গাজীপুর। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ টার্মিনালগুলো শহরের বাস ডিপো হিসেবে পুনঃব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু সেতু

সংস্কার প্রকল্পে নতুন টার্মিনালে বহুমুখী পরিবহন সুবিধা, বাসদের জন্য নাইট-পার্কিং, ডরমিটরি, বাস ধোয়ার সুবিধা, মেরামতের ওয়ার্কশপ, ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এছাড়াও, পার্কিং স্পেস, ওয়েটিং লাউঞ্জ, ব্রেস্টফিডিং সেন্টার, টয়লেট, নামাজের ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধীদের সুবিধা, সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াইফাই, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, ক্যাশলেস টার্মিনাল চার্জ, ই-টিকিটিং, গেমস এবং বইয়ের দোকান, এটিএম, এসকেলেটর এবং লিফটের সুবিধা থাকবে।

  • বাস ক্রুদের জন্য পৃথক ডর্মিটরি ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, কিচেন এবং নামাজের স্থান।
  • পরিবহন সমিতি ও টার্মিনাল কর্মকর্তাদের জন্য অফিস স্পেস, লোকার্স, মনিটরিং রুম, সিকিউরিটি রুম এবং ওয়ে-ফাইন্ডিং ইনফরমেশন সিগন্যাল।

এই বাস টার্মিনাল উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় টেকসই বৈশিষ্ট্যগুলো যেমন সৌর শক্তি, প্রাকৃতিক আলো, বর্জ্য-জল ব্যবস্থাপনা, রেইন-ওয়াটার-হারভেস্টিং, নিষ্কাশন ব্যবস্থা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বাস ধোয়ার বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট উল্লেখযোগ্য।

নিরাপত্তা সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকবে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, ফার্স্ট এইড, জরুরি পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ফাইটিং গাড়ি পার্কিং স্পেসের ব্যবস্থা। এভাবে, মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বহুমুখী ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রবর্তন হচ্ছে।

Mohakhali Inter District Bus Terminal

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঢাকার অন্যতম প্রধান আন্তঃনগর পরিবহন হাব হিসেবে পরিচিত। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই টার্মিনালটি ২০০৫ সালে ঢাকার আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় ১৫ কোটি টাকার ব্যয়ে পুনর্নবীকরণ করা হয়। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নততর অবকাঠামো এবং উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের প্রচেষ্টা করা হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাংকের ঋণ দ্বারা ক্রিয়ান্বিত হয়। টার্মিনালটি বর্তমানে ৩৬,৪০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং মোট ৩০০টি বাসের স্থান ধারণ করতে সক্ষম।

আধুনিক সুবিধা এবং নিরাপত্তা

মহাখালী আন্তঃজেলা টার্মিনাল যাত্রীদের জন্য আধুনিক সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি রেখেছে। প্রতি বছর ৮০০টি দৈনিক ট্রিপ পরিচালিত হয়, যা ৬০টি ভিন্ন রুটে ছড়িয়ে থাকে। এতে করে যাত্রীদের নানা সুবিধা দেওয়া হয়, যেমন নিরাপত্তা কন্ট্রোল রুম, বিশ্রামের স্থান, খাবার দোকান এবং তথ্য প্রদানের বুথ। নিরাপত্তার 측ের দিকে লক্ষ্য রেখে এক বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে মালিক ও ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত আছেন, যারা নতুন আইনগুলোর সঠিকভাবে পালনের নিশ্চয়তা দেন।

পুরানো এবং নতুন অবকাঠামো

মহাখালী আন্তঃজেলা টার্মিনাল তার পুরানো অবকাঠামো থেকে নতুন অবকাঠামোর একটি অনন্য সংমিশ্রণে পরিণত হয়েছে। বাসের সংখ্যার সাথে সাথে যাত্রীসংখ্যাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু 2015 সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে নতুন নীতিমালা কার্যকর হবার প্রথম দিনে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। নীতির ফলে অধিকাংশ বাসে ৫-৬ জন যাত্রী ছিল এবং কিছু বাস সম্পূর্ণ খালি ছিল। এই কারণে, পরিবহন কর্মীরা আয়ের সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন। তাদের ধারনা অনুযায়ী, দৈনিক আয় ১০০০ টাকা থেকে কমে ৬০০ টাকায় নেমে এসেছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button