মহেরা জমিদার বাড়ি

মহেরা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ি, যা তার ঐতিহাসিক শৈলী এবং সুন্দর স্থাপত্যের জন্য সুপরিচিত। এটি প্রায় ৮ একর জমির উপর বিস্তৃত। ১৮৯০-এর দশকে কালীচরণ সাহা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই জমিদার বাড়িটি অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।

টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলির মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে মহেরা জমিদার বাড়িটি একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ১৯৯০ সালে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উন্নীত হয়।

মহেরা জমিদার বাড়ির ইতিহাস

মহেরা জমিদার বাড়ির ইতিহাসের শুরুটা ১৮৯০ দশকের আগে স্পেনের করডোভা নগরীতে। এই জায়গাটি দুই ভাই কালী চরণ সাহা এবং আনন্দ সাহা করেছেন যারা তখন কোলকাতার লবণ ও ডাল ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের প্রচুর পুঁজি থেকে তারা এই জমিদার বাড়ির স্থাপনা করেন।

স্থাপনার শুরু

মহেরা জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯০ দশকের আগে, স্পেনের করডোভা নগরীর আদলে। জমিদার বাড়ির স্থাপত্য শৈলী নির্ধারণ করে এর সৌন্দর্য এবং মহৎভাব। জমিদার বাড়ির প্রধান লজগুলি হল মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং রানি লজ। প্রতিটি লজের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মহেরা জমিদার বাড়ির ইতিহাসকে আরো বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন, এই জমিদার বাড়িটি পাক বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। যুদ্ধকালে পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ করে এবং পাঁচজন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মহেরা জমিদার বাড়ির ইতিহাসে এই ঘটনা একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় হয়ে রয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক বাহিনীর আক্রমণের ফলে জমিদার বাড়ির বেশ কিছু অংশ ধ্বংস হয়।

পরিত্যক্ত ও পুনঃ প্রতিষ্ঠা

স্বাধীনতার পরে, ১৯৭২ সালে মহেরা জমিদার বাড়িটি পুনরায় পুলিশের ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯০ সালে এটি আরো উন্নীত হয়ে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে রূপান্তরিত হয়। এই পুনঃ প্রতিষ্ঠার ফলে জমিদার বাড়িটি আবারো নতুন জীবন্ততা পেয়েছে, এবং বর্তমানে এটি গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে উঠেছে।

মহেরা জমিদার বাড়ির অবস্থান

মহেরা জমিদার বাড়ির অবস্থান বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে। এটি একটি ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্য চমকপ্রদ স্থান যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এই বাড়িটি প্রায় ৮ একর জমির উপর বিস্তৃত এবং এর সৌন্দর্য্য এবং ইতিহাস অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়।

আরও পড়ুনঃ  হাউজ বিল্ডিং, উত্তরা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবস্থিত

মহেরা জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে মির্জাপুরে অবস্থিত। এই স্থাপত্যটি টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। মহেরা জমিদার বাড়ির অবস্থান এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে এটি সহজেই বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে। বাড়িটির আসল স্থাপত্য এবং এর চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে মুগ্ধ করে।

ঢাকা থেকে যাতায়াত

ঢাকা থেকে মহেরা জমিদার বাড়ি যাতায়াত বেশ সহজ। সড়কপথে ঢাকা থেকে মাত্র ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক স্থানে যানবাহান সহজেই পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে মহেরা জমিদার বাড়ি যাতায়াতের জন্য বাস, প্রাইভেট কার এবং অন্যান্য গণপরিবহন সহজলভ্য। মহেরা জমিদার বাড়ির অবস্থান এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে পর্যটকদের জন্য যাতায়াত যোগ্য এবং নান্দনিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য

মহেরা জমিদার বাড়ির স্থাপত্য ও পরিবেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যা সবুজ বাগান ও প্রাচীন ভবন দ্বারা ঘেরা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই জমিদার বাড়িটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে উঠেছে। প্রায় ৮ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই স্থাপনাটি টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্য উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে বিশাখা সাগর পুকুর, দুইটি বিশাল প্রবেশদ্বার এবং প্রধান ভবন, যা দেখতে অত্যন্ত মোহনীয়। এর সাথে রয়েছে মনোরম গার্ডেন ও একটি প্রাচীন দুর্গ, যা ঐতিহাসিক স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। চৌধুরী লজ, মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, এবং কালীচরণ লজগুলো জমিদার বাড়ির মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে পড়ছে।

চৌধুরী লজে রোমান স্থাপত্যের ছোঁয়া স্পষ্ট, আর মহারাজ লজে রয়েছে ভিক্টোরিয়ান গথিক স্থাপত্যশৈলী। আনন্দ লজে রয়েছে নব্য-ধ্রুপদী স্থাপত্য, আর কালীচরণ লজে ইংরেজ স্থাপত্যের নিদর্শন পাওয়া যায়। মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যকে সমৃদ্ধ করেছে আম্র কানানের ফজলি, ল্যাংরা এবং গোপালভোগ আম গাছগুলো। এছাড়া, বিশাখা সাগরের পাশে সোনার তরী ও সপ্তডিঙ্গায় নৌবিহার সময় কাটানো যায়।

মহেরা জমিদার বাড়ির এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও স্থাপনা নিঃসন্দেহে যে কোনো পর্যটকের মনে দাগ কাটবে। শীতকালে এই স্থানটি ফোটোগ্রাফারদের জন্য আদর্শ, যখন নানা রঙের ফুল ফোটে এবং পুরো এলাকা এক স্বপ্নপুরীতে পরিণত হয়। মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যঐতিহাসিক স্থাপত্য দেখতে হলে এটি অবশ্যই ভ্রমণের তালিকায় রাখা উচিত।

বিশাখা সাগর এবং প্রধান গেট

মহেরা জমিদার বাড়ির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো বিশাখা সাগর এবং মহেরা জমিদার বাড়ির গেট। এই বিশাল দীঘিটি জমিদার বাড়ির মূল প্রবেশ পথের পাশে অবস্থিত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বে পূর্ণ। জমিদার বাড়ির প্রধান গেট দ্বার ভীষণ মনোরম, যা বিপুল দর্শনার্থী আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুনঃ  মহাখালী উড়ালসেতু

প্রবেশ পথ

মহেরা জমিদার বাড়ির গেট অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত। গেটটি থেকে ভিতরে প্রবেশ করলে বিশাখা সাগর আপনার দৃষ্টিগোচর হবে। গেটের নকশায় রোমান স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে, যা এক অভূতপূর্ব দৃষ্টিকোণ সরবরাহ করে। এর ভিতরে প্রবেশ করা মানে ইতিহাস এবং সৌন্দর্য্যের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার।

বিশাখা সাগর

বিশাখা সাগর মহেরা জমিদার বাড়ির একটি বিশাল দীঘি। এটি যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনই ঐতিহাসিক। দীঘিটির চারপাশে রয়েছে মনোরম পরিবেশ যা দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।

১৯৭১ সালে পাকবাহিনী এই স্থানে হামলা করেছিল এবং ১৯৭২ সালে এটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশাখা সাগরের পাশেই রয়েছে মহেরা জমিদার বাড়ির গেট, যা জমিদারের সৈন্দর্য্যের একটি বিশেষ নিদর্শন।

চৌধুরী লজ

মহেরা জমিদার বাড়ির অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ চৌধুরী লজ। এই স্থাপনাটি তার অসাধারণ সৌন্দর্য এবং রোমান স্থাপত্য শৈলীর জন্য বিখ্যাত। এসে দেখা যায়, ভবনের বিশাল রোমান স্থাপত্য শৈলী এবং গোলাপি রঙের সমাহার যেকোনো দর্শনার্থীকে মুগ্ধ করতে পারে।

রোমান স্থাপত্য শৈলী

চৌধুরী লজের রোমান স্থাপত্য শৈলীতে রয়েছে বিশাল স্তম্ভ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেগুলি ঐতিহাসিক কালের বৈভব প্রকাশ করে। স্তম্ভগুলোতে পাওয়া যায় প্রাচীন রোমের শিল্পের নিদর্শন, যা চৌধুরী লজকে একটি অনন্য সৌন্দর্য প্রদান করে। বিশেষ করে, ভবনের চমৎকার খোদাই এবং ক্ষুদ্রতর বিস্তারিত কাজগুলো রোমান স্থাপত্যের সুনিপুণ কৌশলের প্রমাণ।

গোলাপি রঙ এবং বাগান

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক হিসাবে চৌধুরী লজ তার গোলাপি রঙ এবং সুচারু বাগানের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। লজের চারপাশে বিস্তৃত বাগানে ফুলের রংধনু এবং সবুজ বনানী রয়েছে যা এক নান্দনিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ফুলের সৌরভ এবং সবুজ শ্যামলিমা এখানে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা চৌধুরী লজের দর্শনার্থীদের কাছে অতুলনীয় প্রশান্তির অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

মহারাজ লজ

মহেরা জমিদার বাড়ির অন্যতম মুকুটের গহনা হলো মহারাজ লজ। এই লজটি তার অনন্য বাইজেনটাইন স্থাপত্য শৈলীর জন্য বিখ্যাত। বিশাল চত্বর ও সূক্ষ্ম কারুকাজের মাধ্যমে মহারাজ লজ সত্যিই দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

বাইজেনটাইন স্থাপত্য

মহারাজ লজের অন্যতম আকর্ষণ হলো এর বাইজেনটাইন স্থাপত্য শৈলী। এটি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের স্থাপত্য কৌশল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত। এই শৈলীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বিশাল গম্বুজ, খিলান এবং মোজাইক কারুকার্য, যা মহারাজ লজেও দেখা যায়।

বারান্দা ও টেনিস কোর্ট

মহারাজ লজের সামনে রয়েছে একটি বিস্তৃত বারান্দা, যা দর্শকদের মনমুগ্ধ করে। এই লজটির টেনিস কোর্টও একটি প্রধান আকর্ষণ, যা দেখা যায় ঐতিহাসিকভাবে জমিদারদের জীবনের অংশ হিসেবে। সৃজনশীলতার সাথে নকশা করা এই অংশগুলো মহেরা জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

আনন্দ লজ

মহেরা জমিদার বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আনন্দ লজ। এটির পরিসর ও বৈশিষ্ট্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

নীল ও সাদা রঙের মিশ্রণ

আনন্দ লজের প্রধান আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে এর মোহনীয় নীল ও সাদা রঙের মিশ্রণ। এই রঙের সমন্বয়টি শুধু আকর্ষণীয় নয়, বরং জমিদার বাড়ির রুচি ও ঐতিহ্যের পরিচায়ক। নীলের শীতলতা এবং সাদার পবিত্রতা এই ভবনের আর্কিটেকচারাল চমককে সম্পূর্ণ করে তোলে।

দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য

বহির্ভাগে শিল্পসম্মত আর্টিস্টিক ভাস্কর্য এবং নকশা আনন্দ লজের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সৌন্দর্যকে আরও সমুন্নত করে। প্রাসাদের প্রতিটি কোণে আর্টিস্টিক ভাস্কর্যগুলি বিশদভাবে খোদিত, যা জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এই অনন্য ভাস্কর্যগুলি পর্যটকদের জন্য একটি অসাধারণ দৃষ্টিকোণ প্রদান করে।

কালীচরণ লজ

কালীচরণ লজ মহেরা জমিদার বাড়ির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপত্য নিদর্শন।

ইংরেজ স্থাপত্য শৈলী

ইংরেজ স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত এই লজটি তার অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পাশের অন্যান্য লজগুলোর থেকে এটির গঠনশৈলী সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে গম্বুজ, খাঁজকাটা দরজা, এবং উইন্ডোগুলির শিল্পকর্ম ইংরেজ শৈলীর প্রতিফলন ঘটায়।

ইউ আকারের গঠন

কালীচরণ লজের ইউ আকৃতির ভবন এটিকে অন্যান্য লজগুলির সঙ্গে ভিন্নতা প্রদান করে। এই ইউ আকৃতির বিশেষ দৃশ্যমানতা এবং ব্যবহারিকতার জন্যই স্থানীয় লোকদের কাছে এটি পরিচিতি পেয়েছে। কালীচরণ লজের অন্দরমহল এবং আলোকসজ্জার ধরন দর্শনার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতা।

Mahera zamindar house এর মূল আকর্ষণ

Mahera zamindar house এর মুখ্য আকর্ষণ হল এর স্থাপত্যিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক গুরুত্ব, এবং প্রাচীন স্থানগুলির সংরক্ষণ। এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ৮ একর জমির উপর অবস্থিত এবং টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত বিভিন্ন ভবন এবং ট্যাংক-ঝিলের সমন্বয়ে গঠিত যার মধ্যে বিশাল প্রবেশ গেট, চৌধুরী লজ, মহারাজ লজ, আনন্দ লজ এবং কালীচরণ লজ অন্যতম।

চৌধুরী লজের রোমান শৈলীর স্তম্ভ এবং গোছানো বাগানের মধ্যে সবুজ মাঠ যে কোন দর্শনার্থীর নজর কাড়ে। অন্যদিকে মহারাজ লজ একটি গোলাপি রঙের ভবন যেটিতে রয়েছে সূক্ষ্ম রেলিং এবং একটি টেনিস কোর্ট। আনন্দ লজের স্থাপত্য শৈলী অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক, যেখানে আটটি স্তম্ভ এবং তিন তলা বিল্ডিং সহ একটি ঝুলানো বারান্দা রয়েছে। ইংরেজ স্থাপত্যিক শৈলীতে তৈরি কালীচরণ লজের ইউ-আকৃতির গঠন এবং অভ্যন্তরীণ আলোকসজ্জাও বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করে।

Tangail জেলার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ধারা Mahera zamindar house এর যত্নে ফুটে উঠেছে। এই জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গনগুলি বিস্তৃত উদ্যান, বিশাল দীঘি এবং ঐতিহাসিক মাজার-সমাধির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। Tangail এর অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে মধ্যপুর জাতীয় উদ্যান, বাঙবন্ধু সেতু এবং Mawlana Abdul Hamid Khan Bhasani এর মাজার। স্থানীয় হস্তশিল্প এবং বয়নশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্যও এই অঞ্চলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button