হাউজ বিল্ডিং, উত্তরা

উত্তরা, ঢাকার একটি অন্যতম উন্নত ও সমৃদ্ধ আবাসিক অঞ্চল, এখানে হাউজ বিল্ডিং এলাকা বিশেষভাবে পরিচিত বিভিন্ন আধুনিক ও বিলাসবহুল বাসস্থান নির্মাণের জন্য। এই এলাকার যারা বসবাস করেন তাদের জন্য উত্তরা বাড়ি নির্মাণ থেকে ঢাকা হাউজিং পর্যন্ত নানা সুবিধা উপলব্ধ করা হয়। এখানে পাওয়া যায় পৃথক পার্কিং সুবিধা ও লিফট পরিষেবা সহ বিভিন্ন আকারের অ্যাপার্টমেন্ট; আকার সাধারণত ৯০০ বর্গফুট থেকে শুরু হয় যার বিক্রয় মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।

এই এলাকায় ১০২০ বর্গফুটের প্রপার্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকার ও দামের অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়া যায়। যেমন, তিনটি বেডরুম, দুটি বাথরুম এবং দুটি বেলকনি সহ মোট চারতলা ভবনে ফ্ল্যাটের দাম ৳১.৬৭ কোটি থেকে ৳২.২৬ কোটি পর্যন্ত। উত্তরা বাড়ি নির্মাণ এলাকাটি শুধু মাত্র আধুনিক বাসস্থানই নয়, প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা সহ একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করে। লাক্সারি হোম সল্যুশন উত্তরা এলাকায় সাশ্রয়ী দামে উপলব্ধ বাস্তবতা সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দিচ্ছে।

হাউজ বিল্ডিং এলাকার পরিচিতি

উত্তরা লোকেশন-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হল হাউজ বিল্ডিং। ঢাকার উত্তরা বিভাগের মধ্যে হাউজ বিল্ডিং এলাকাটি বিশেষভাবে পরিচিত তার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামোগত উন্নতির জন্য।

অবস্থান এবং স্থানাঙ্ক

উত্তরা লোকেশন-এর বিশেষ একটি কেন্দ্রবিন্দু হল এই হাউজ বিল্ডিং এরিয়া। এলাকার উত্তরার স্থানাঙ্ক অনুযায়ী এই স্থানটির ভৌগোলিক অবস্থান ২৩°৫২′২৮″ উত্তর এবং ৯০°২৪′০১″ পূর্ব। উত্তরা মানচিত্র অনুযায়ী, এই এলাকাটি সমুদ্রতল থেকে প্রায় ২৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত যা এটিকে একটি অন্যতম উচ্চতা দেয়। উত্তরা মানচিত্র এর ভিত্তিতে হাউজ বিল্ডিং এলাকাটি উত্তরা মানচিত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সঙ্গে অবস্থিত।

উত্তরার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা

হাউজ বিল্ডিং এরিয়া উত্তরা লোকেশন-এর মধ্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে, এবং জায়গাটি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো যেমন রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স এবং বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের সঙ্গে ভাল সংযোগ রক্ষা করে। এটি বাসিন্দাদের জন্য একটি সুবিধাজনক এবং বহুগুণান্বিত স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে বসবাস এবং ব্যবসা উভয়ের সুযোগ রয়েছে। উত্তরা মডেল টাউন-এর ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের কারণে এই এলাকা বাসিন্দাদের সময় ব্যয় করার জন্য আদর্শ।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (BHBFC) হল একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা উত্তরা বিনিয়োগ এলাকায় অবস্থিত। এই সংস্থাটি হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স এবং বাসস্থান ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের বাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও গুরুত্ব

১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, যার মোট অনুমোদিত মূলধন ১১০ কোটি টাকা এবং মোট পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট ১৪টি আঞ্চলিক এবং ৬০টি শাখা অফিস রয়েছে সারা দেশে। এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল বাসস্থান নির্মাণের জন্য সাধারন মানুষের আর্থিক প্রয়োজন মেটানো।

সেবা ও কার্যক্রম

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের মূল সেবা হল বাসস্থান ঋণ প্রদান করা। এই ঋণ প্রদানের মাধ্যমে নাগরিকদের নিজ নিজ বাসস্থান নির্মাণে বা ক্রয়ে সহায়তা করা হয়। উত্তরা বিনিয়োগ এলাকার হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে চলেছে বছরের পর বছর ধরে।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের কিছু প্রধান সেবা অন্তর্ভুক্ত:

• বাসস্থান ঋণ
• অর্থনৈতিক পরামর্শ
• আর্থিক সহায়তা

এই সংস্থার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনকল্যাণে অবদান রেখেছে।

হাউজ বিল্ডিং বাস স্টেশন

হাউজ বিল্ডিং বাস স্টেশন উত্তরার প্রধান পরিবহন হাব হিসাবে কাজ করে, যেখান থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশে যাবার জন্য বাস সেবা পাওয়া যায়। উত্তরা পরিবহন ব্যবস্থার অংশ হিসাবে এই স্টেশনটির গুরুত্ব অপরিসীম।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

হাউজ বিল্ডিং বাস স্টেশনটি উত্তরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথচিহ্ন। এটি ২৩.৮৭৪৫৭৩° উত্তর এবং ৯০.৪০০৩৯৪° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত। উত্তরা বাস স্টেশন থেকে অন্য শহরে যাতায়াতের জন্য ঢাকা বাস সার্ভিস অন্যতম আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদান করে। প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে অসংখ্য বাস চলাচল করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনাবিল সুপার বাস। এই বাসটি সাইন বোর্ড থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি স্টপেজে যাত্রা করে।

বিভিন্ন রুটের বিবরণ

উত্তরা বাস স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে যাতায়াতের সঠিক বিবরণ জানা আবশ্যক। কিছু উল্লেখযোগ্য রুট নিম্নে দেওয়া হলো:

• অনাবিল সুপার: সাইন বোর্ড থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচল করে। রুটটি শনির আখড়া, বাঁশতলা, খিলক্ষেত, আব্দুল্লাহপুর এবং টঙ্গী সহ মোট ৩০টি বাসস্টপে যাত্রা করে। এই বাসটি সকাল ৬:০০ থেকে মধ্যরাত ১২:০০ পর্যন্ত চালু থাকে। যাত্রীদের থেকে ভাড়া সংগ্রহ ম্যানুয়ালি করা হয়।
• ঢাকা বাস সার্ভিস: এই সেবাটি উত্তরা পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বিশেষ সংযোজন। এটি বিভিন্ন রুটে যুক্ত থাকায় যাত্রীদের জন্য যাতায়াত সহজতর হয়।

উত্তরা বাস স্টেশনে বিভিন্ন বাস রুটের বিস্তারিত বিবরণ জেনে নিয়ে যাত্রা করা সুবিধাজনক। গুগল ম্যাপসের সাহায্যে যেকোনো রুটের মানচিত্র দেখতে পাওয়া যাবে, যা যাতায়াতের পরিকল্পনা করতে সহায়ক।

ইতিহাস ও সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন

উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকাটি বহু বছর ধরে বেশ কয়েকটি উত্তরা আন্দোলন এবং ঢাকা বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে এই অঞ্চলে শিক্ষার্থী, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ তাদের অধিকারের জন্য প্রতিবাদ করেছে, যা উত্তরা সামাজিক গুরুত্বকে আরও বৃদ্ধি করেছে। নিম্নে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:

২০১৫ সালের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ

২০১৫ সালে শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি’র উপর ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যাপক উত্তরা আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলন ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং উল্লেখযোগ্য সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করে।

২০১৮ সালের সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলন

২০১৮ সালে সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তরা আন্দোলনে যুক্ত হয়। উত্তরা সামাজিক গুরুত্বের এই আন্দোলনটি সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

২০১৯ সালের গার্মেন্টস শ্রমিক বিক্ষোভ

২০১৯ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির দাবিতে ঢাকা বিক্ষোভে নামেন। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এই বিক্ষোভের একটি বড় অংশ সংঘটিত হয়, যা শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২০২১ সালের ছাত্র বিক্ষোভ

২০২১ সালে ছাত্ররা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবারও উত্তরা আন্দোলন শুরু করে। এই ঢাকা বিক্ষোভ ছিল ছাত্র সমাজের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পরিবর্তনে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

উত্তরায় হাউজ বিল্ডিং অঞ্চলে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ করে দেয়। নিচে এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা উত্তরা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় শিক্ষানুষ্ঠান উত্তরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছরের মাস্টার অফ আর্টস ইন বাংলা প্রোগ্রামটি ৪১ ক্রেডিট ঘণ্টা ও ১৪টি কোর্স নিয়ে গঠিত। এছাড়াও, স্নাতকোত্তর (২ বছর) এর কাঙ্ক্ষিত শিখনফলগুলি একে অপরের সাথে ম্যাপিং করা হয়েছে।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা উত্তরা শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদান করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামটি ৪৭টি কোর্সের সমন্বয়ে গঠিত, যার মোট ক্রেডিট ঘণ্টা ১৪৩ এবং শিক্ষাকাল ৪ বছর। এখানে ক্লাস উপস্থিতি ও ক্লাস কর্মক্ষমতা ৫%, মিড টার্ম পরীক্ষা ২৫%, সেমেস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ৫০%, বিভ ভোক দফা ১০% হিসেবে মার্কস বিতরণ করা হয়।

রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা উত্তরার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম। এখানে শিক্ষার্থীরা সৃজনকলায় উচ্চতর বিদ্যা লাভ করতে পারে, যা তাদের শিল্পভাবে দক্ষ করে তুলতে সহায়ক। শিক্ষানুষ্ঠান উত্তরার এই প্রতিষ্ঠানটি সৃজনশীলতা ও চিন্তাশীলতার মনোভাব বিকাশের জন্য প্রসিদ্ধ।

স্বাস্থ্যসেবা ও হাসপাতাল

উত্তরা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাউজ বিল্ডিং এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকায় অবস্থিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য সুপরিচিত। উত্তরা স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত নানা সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মেডিকেল সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা বাসিন্দাদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করে।

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল

কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল অত্যন্ত উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে। এখানে উচ্চ মানের চিকিত্সা সুবিধা ও সরঞ্জামাদি রয়েছে, যা রোগীদের সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে তৎপর সেবা প্রদান করতে সক্ষম। হাসপাতাল উত্তরা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এক বিশাল সমাধানের নাম।

মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল

মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল বিশেষত মহিলাদের জন্য উচ্চ মানের চিকিত্সা সেবা প্রদান করে থাকে। এখানে মোডার্ন মেডিকেল সুবিধা উত্তরা এলাকার মান উন্নতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। এই হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্সেরা রোগীদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে।

উত্তরা স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতে এই হাসপাতালগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং এলাকার স্বাস্থ্যসেবা মানকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়তা করছে। এভাবে, উত্তরা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে, যা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় সুবিধা হয়ে উঠেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

উত্তরা এলাকা ঢাকা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল যেখানে রয়েছে উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উত্তরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিষ্ঠান হলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, স্কলাস্টিকা স্কুল এবং মাইলস্টোন কলেজ। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুণমানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সুপরিচিত।

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ উত্তরা শিক্ষার ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ। প্রতিষ্ঠাতা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা নিরলস পরিশ্রম করে উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নত রাখার জন্য উন্নত পাঠদান পদ্ধতি ও বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

স্কলাস্টিকা স্কুল

উত্তরা স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম একটি প্রাচীন ও বিখ্যাত স্কুল হলো স্কলাস্টিকা স্কুল। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চমানের শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমেও অত্যন্ত সক্রিয়। এখানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশে বিভিন্ন কর্মসূচী ও কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

মাইলস্টোন কলেজ

উত্তরা কলেজগুলির মধ্যে মাইলস্টোন কলেজ একটি বিখ্যাত নাম। উত্তরা এলাকায় উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মাইলস্টোন কলেজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এখানে শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য উন্নত পাঠ্যক্রম, প্রফেশনাল ট্রেনিং এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সংক্ষিপ্ত কথায়, উত্তরা এলাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্রবিন্দু।

বিনোদন ও সাংস্কৃতিক স্থান

উত্তরার বিনোদনমূলক ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলি স্থানীয় ও বহিরাগতদের জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। উত্তরা অঞ্চলে বিভিন্ন থিয়েটার, পার্ক, এবং বাজার বিনোদনের একটি বিস্তৃত পরিসর প্রদান করে, যেখানে মুগ্ধ মঞ্চ ও বউবাজার বিশেষ উল্লেখ করতে হয়।

মুগ্ধ মঞ্চ

মুগ্ধ মঞ্চ উত্তরা একটি সুপরিচিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র যা থিয়েটার এবং বিভিন্ন শিল্পকলা প্রদর্শনীর জন্য বিখ্যাত। এখানে নিয়মিত নাটক, গানের আসর এবং অন্যান্য সংস্কৃতিক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। উত্তরার বাসিন্দারা যেকোনো সাপ্তাহিক অন্তর মুগ্ধ মঞ্চে থিয়েটারের মুগ্ধতায় বিভোর হতে পারেন।

বউবাজার

বউবাজার উত্তরা নামে জনপ্রিয় এই স্থানটি ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি একটি আধুনিক বাজার যেখানে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক, গয়না এবং হস্তশিল্প পাওয়া যায়। এখানে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যা স্থানীয় ও পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

উত্তরার বিনোদন ক্ষেত্র ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগগুলি এই অঞ্চলের সামাজিক জিবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এগুলি শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যমই নয়, একটি সম্পৃক্ত ও পরিবেশ সচেতন সমাজ গঠনে সহযোগিতা করে চলেছে।