মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন ঢাকার মিরপুর অঞ্চলে অবস্থিত, এবং এটি এমআরটি লাইন ৬-এর অন্তর্গত একটি প্রধান স্টেশন। এই স্টেশনটি ২০২৩ সালের ১৫ মার্চে উদ্বোধন হয়, যা ঢাকা মেট্রোরেল ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য সংযোজন। উড়ালপ্ল্যাটফর্মের তিনটি স্তর সম্বলিত এই স্টেশনটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিকরণের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার সহ অনেক সুবিধা নিয়ে আসে।

মিরপুর মেট্রো স্টেশন দুটি সাইড প্ল্যাটফর্ম নিয়ে গঠিত, যা যাত্রীদের যাতায়াতের অভিজ্ঞতাকে আরো সহজ করে। ঢাকার উল্লেখযোগ্য স্থানগুলির মধ্যে এই স্টেশনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, যা ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মজীবীদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসে, যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ের মতো বিখ্যাত দপ্তরের কাছে অবস্থিত। এছাড়াও, ১৫০০-ভোল্ট ডিসি ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে সহজে এবং নিরাপদে বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল করার সুবিধা পাওয়া যায়।

পরিচিতি

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনটি ঢাকা মেট্রোর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত হয় এবং ঢাকার একটি প্রধান মেট্রো স্টেশন পরিচিতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই স্টেশনটি মিরপুর এলাকার যাতায়াত এবং যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।

মালিকানা এবং পরিচালনায় দক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনে বিভিন্ন সেবা এবং সুবিধা প্রদান করা হয়। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করছে। নতুন সংযোগ, উন্নত সেবা এবং প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে মেট্রো স্টেশনটি নিয়মিতভাবে আপডেট করা হয়।

সম্প্রতি, মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনে একাধিক টেন্ডারের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজকর্ম পরিচালিত হয়েছে। গত ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে মোট ৫০টি টেন্ডার পরিচালিত হয়। এই টেন্ডারগুলোতে অন্তর্ভুক্ত ছিল অপারেশন ও মেইনটেনেন্স, ব্যানার সরবরাহ, ফ্লাইট ক্যালিব্রেশন, রেনোভেশন কাজ, ক্লিনিং সার্ভিস, সরঞ্জাম সরবরাহ, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ইনস্টলেশন কাজ।

অবস্থান এবং স্থানাঙ্ক

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনটি ঢাকার মিরপুর এলাকায় অবস্থিত। এটি মিরপুরের প্রধান যাতায়াত কেন্দ্র এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক এবং আবাসিক এলাকার সাথে যুক্ত। ঢাকা মেট্রোরেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হওয়ায়, এখান থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা অত্যন্ত সহজ।

অবস্থান

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের অবস্থান ঢাকার উত্তর-পশ্চিমাংশে। ঢাকার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানের মধ্যে থেকে এটি খুবই কাছে অবস্থিত। ঢাকা মেট্রোরেল অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে এই স্টেশনটি মিরপুর এলাকায় অধিক সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানাঙ্ক

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের বিশেষ স্থানাঙ্ক হলো ২৩°৪৭′২৭″ উত্তর এবং ৯০°২২′৩২″ পূর্ব। মিরপুর স্থানাঙ্ক এবং মিরপুর ১১ জিওকো কোর্ডিনিটেস বিবেচনায়, এই স্থানটি ঢাকার অন্যতম প্রধান ল্যান্ডমার্ক হিসেবে পরিচিত। মিরপুর ১১ স্থান নিয়ে আরও জানার ইচ্ছে থাকলে, এই স্টেশনের স্থানাঙ্কগুলোর পরিদর্শন করা যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  মহাখালী উড়ালসেতু

মালিকানা এবং পরিচালনা

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন মালিকানা এবং পরিচালনা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে জানানো হল। মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের মালিকানা রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (DMTCL) হাতে। ঢাকা মেট্রো পরিচালনা এবং উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল এই প্রতিষ্ঠান। DMTCL 2013 সালের ৩ জুন The Companies Act 1994 অনুযায়ী স্থাপিত হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সম্পূর্ণ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

বর্তমানে DMTCL-এর অধীনে মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো মেট্রো লাইন ৬। এই মেট্রো লাইনটি সম্পূর্ণভাবে চালু হতে ২০২৪ সালের কথা বলা হয়েছে। মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন মালিকানা এবং ঢাকা মেট্রো পরিচালনা এই বৃহৎ পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে কাজ করছে, যা ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকাগুলিতে ১২৮.৭৪১ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং যার মধ্যে রয়েছে ১০৪টি স্টেশন।

  • মেট্রো লাইন ১: ২০২৬ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • মেট্রো লাইন ৫-দক্ষিণ: ২০৩০ সালে সম্পূর্ণ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
  • মেট্রো লাইন ৬-এর দৈর্ঘ্য: ২১.২৬ কিলোমিটার।
  • প্রতিটি মেট্রো লাইনের দৈর্ঘ্য: ২০.২৬ কিলোমিটার।
  • দৈনিক যাত্রী সংখ্যা: ৬০,০০০ জন প্রতি ঘণ্টা।
  • মোট পরিকল্পিত মেট্রো লাইন: ১২৮ কিলোমিটার।
  • সক্রিয় অপারেশন স্টেশন সংখ্যা: ১৬টি।

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের ইতিহাস

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে, যা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চে সম্পন্ন হয়। এই স্টেশনটি “প্যাকেজ সিপি-০৪” প্রকল্পের অধীনে নির্মিত হয়েছে।

এই মেট্রো স্টেশনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকা মেট্রোরেল ইতিহাস এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মিরপুর ১১ ইতিহাস এর সংযোজন। স্টেশনের উদ্বোধনের প্রথম সপ্তাহে মেট্রোরেল দ্বারা উত্তরা এবং আগারগাঁও স্টেশন মিলিয়ে মোট সাত লাখ নব্বই হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়। অথবা ৪.৭৬ কোটি টাকার আয় হয়েছে এমআরটি পাস বিক্রি থেকে।

বর্তমান সময়ে মেট্রোরেল দৈনিক সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। যা মিরপুর ১১ স্টেশন সহ মোট সাতটি স্টেশনে যাত্রীরা সেবা গ্রহণ করেছেন। স্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও সুবিধাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উন্নত যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।

মিরপুর ১১ স্টেশনের ভাড়ার তালিকাও বেশ আকর্ষণীয়। উদাহরণস্বরূপ, মিরপুর ১১ থেকে মতিঝিলের ন্যূনতম ভাড়া ৭০ টাকা এবং আগারগাঁও থেকে মিরপুর ১১ স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা।

অবশেষে, মিরপুর ১১ ইতিহাস এবং ঢাকা মেট্রোরেল ইতিহাস উভয়ই মেট্রো স্টেশনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এতে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা আরও আধুনিক এবং সুশৃঙ্খল হয়েছে।

নির্মাণ এবং স্টেশন বিন্যাস

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশনের নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালে এবং একটি সম্পূর্ণ খরচ৳৩৩,৪৭২ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল ঢাকা শহরে একটি আধুনিক এবং কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। মিরপুর ১১ নির্মাণ পরিচালনা করে ইতালিয়ান-থাই উন্নয়ন কোম্পানি লিমিটেড, এবং এই স্থাপনা উত্তোলিত প্ল্যাটফর্ম এবং আর্কিটেকচারাল ডিজাইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন

নির্মাণ প্রক্রিয়া

ঢাকা মেট্রো স্টেশন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় উন্নত প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে Communication Based Train Control System এবং Automatic Train Operation, যা মেট্রো চলাচলকে ধারাবাহিক ও নিরাপদ করে তুলেছে। এছাড়াও, মেট্রোরেল স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে Sprinklers, Water Hydrant, এবং synchronized Platform Screen Doors যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য।

স্টেশন বিন্যাস

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন বিন্যাস তিনটি প্ল্যাটফর্ম স্তরের মাধ্যমে গঠিত, যা যাত্রাপথের উভয় দিক কেন্দ্রীভূত করে। দক্ষিণ ও উত্তরে দরজা খুলে, এটি যাত্রী চলাচল সহজ ও কার্যকর করে। মিরপুর ১১ বিন্যাস এভাবে গঠন করা হয়েছে যে এটি প্রতিদিন প্রায় ৫,০০,০০০ যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম। মেট্রোরেল লে-আউট প্রকল্পের আওতায় মোট ১৭টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যে স্টেশনগুলো ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত। যার মধ্যে উত্তরা থেকে কামালাপুর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার পথ আবৃত।

সুবিধাসমূহ

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন যাত্রীদের যাতায়াতকে আরও নিরাপদ এবং সুবিধাজনক করতে লোড হচ্ছে বিভিন্ন সুবিধার সমন্বয় করে। মিরপুর ১১ সুবিধাসমূহ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার, যা স্টেশনটিকে সকলের কাছে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে।

মেট্রো স্টেশন সুবিধা আরও অন্তর্ভুক্ত করে টিকেট বিক্রয় মেশিন, যা যাত্রীদের সময় সাশ্রয় করতে এবং টিকেট কিনতে সহায়ক।

  • প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার: স্টেশনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
  • অটোমেটিক টিকেট বিক্রয় মেশিন: মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন সুবিধাসমূহ এর মধ্যে অন্যতম, যা দ্রুত টিকেট গ্রহণ সম্ভব করে।
  • ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: নিরাপত্তা এবং সহজ যাতায়াতের জন্য সুনির্দিষ্ট ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।
  • ক্রসওভার ফ্যাসিলিটি: যাত্রীদের রেলপথ অতিক্রম করার জন্য নিরাপদ এবং সুবিধাজনক ক্রসওভার ফ্যাসিলিটি স্থাপন করা হয়েছে।

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন এর সুবিধাসমূহ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের যাতায়াত দ্রুত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হয়। মেট্রো স্টেশন সুবিধা সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনকে সহজতর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি শহরের ব্যস্ততম স্থানগুলোর মধ্যে একটি।

ভাড়ার তালিকা

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ভাড়ার তালিকাটি ভ্রমণকারীদের তথ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখি বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য মিরপুর ১১ স্টেশন থেকে ভাড়ার পরিসীমা কেমন।

মিরপুর ১১ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ভাড়া

  • মিরপুর ১১ থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা।
  • মিরপুর ১১ থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত ভাড়া ৪০ টাকা।
  • মিরপুর ১১ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ভাড়া ৬০ টাকা।

এই ভাড়ার তালিকা যাত্রীরা সহজেই মেট্রোরেলের স্টেশনে উপলব্ধ ভাড়া নিয়ন্ত্রণ বুথ হতে জানতে পারবেন। মিরপুর ১১ ভাড়ার তালিকা এবং মেট্রোরেল ভাড়ার দ্রুত পরিবর্তন হওয়ায় যাত্রীরা নিয়মিত এই ভাড়ার তালিকা অনুসরণ করবেন।

আরও পড়ুনঃ  গণভবন

Mirpur 11 Metro Station

Mirpur 11 Metro Station, যা ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় অবস্থিত, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এই স্টেশনটি ২৩°৪৫′০৫″ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৩′৩৪″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। Mirpur 11 Metro Station প্রতি দিন প্রায় ১ মিলিয়ন যাত্রী সেবার ক্ষমতা রয়েছে এবং এটি চালু হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে।

যুক্ত মালিকানা এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এবং এটি পরিচালনা করে DMTCL। স্টেশনটির বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থাও ঝুঁকিমুক্ত, কারণ এটি ১,৫০০ V DC ওভারহেড ক্যাটেনারি ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

এছাড়া, Mirpur 11 Metro Station ঢাকা মেট্রোর MRT লাইন ৬ অংশ হিসাবে কাজ করে, যা Pallabi, Mirpur 10 এবং Kazipara এর মত স্টেশনগুলির সাথে সংযোগ প্রদান করে। এছাড়া ভবিষ্যতে Tongi পর্যন্ত সম্প্রসারণ প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য সাইড প্ল্যাটফর্ম এবং দুটি ট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনটি একটি এলিভেটেড স্থাপনা যার তিনটি প্ল্যাটফর্ম লেভেল রয়েছে এবং এটি হুইলচেয়ার ব্যবহারের জন্যও উপযোগী। თუმცა, সেখানে কোনো পার্কিং বা সাইকেল সুবিধা নেই।

Mirpur 11 Metro Station থেকে যাত্রীরা সহজেই BRTC বাসের মাধ্যমে শহরের অন্যান্য প্রান্তে যেতে পারেন, যা এই স্টেশনকে আরও সংযুক্ত এবং সুবিধাজনক করে তোলে। Dhaka Metro Station এর সাথে সংযোগের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হয়।

স্টেশনের সংযোগ এবং যোগাযোগ

মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন এমআরটি লাইন ৬-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ঢাকা মেট্রোরেল সংযোগের একটি কেন্দ্রবিন্দু, যা বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সহজে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। মিরপুর ১১ সংযোগের মাধ্যমে, যাত্রীরা ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত এবং নিরাপদে পৌঁছাতে পারেন।

বিভিন্ন স্টেশনের সাথে সংযোগ

মেট্রোরেল লাইন ১, ২ এবং ৬-এ অবস্থানরত মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন ১২টি পাতাল এবং ৯টি উড়াল স্টেশনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন অংশের সংযোগ প্রদান করে। এমআরটি লাইন ৬-এ ১৭টি স্টেশন রয়েছে যা যাত্রীদের জন্য অফুরন্ত সংযোগ সুবিধা দেয়।

মেট্রোরেলের ৩য় পর্যায়ে ২০২৬ সালে সম্পন্ন হবে, যেখানে লাইন ১, ২ এবং ৪-এর মধ্যে আন্তঃবদলের সুবিধা থাকবে। এর ফলে ঢাকা মেট্রোরেল সংযোগের উন্নতি ও সুবিধা বাড়বে। প্রস্তাবিত লাইন ৬-এর দ্বিতীয় অংশ ২০২৩-এ শেষ হবে, যা মিরপুর ১১-এর সংযোগ আরও সুদৃঢ় করবে।

ভিডিও মনিটরিং ও স্বয়ংক্রিয় টিকেট বিক্রয় যন্ত্র ব্যবহার করে মেট্রোরেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। মিরপুর ১১ মেট্রো স্টেশন এবং অন্যান্য স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য Communication Based Train Control System (CBTC) সংযুক্ত হয়েছে। এই সংযোগ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি যাত্রীদের নির্ভরযোগ্য এবং আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button