মুহাম্মদ ইউনূস

মুহাম্মদ ইউনূস, একটি নাম যা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন, বাথুয়া, ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নিজের জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছিল হাটহাজারী, চট্টগ্রামে। মুহাম্মদ ইউনূস এর অসাধারণ কার্যকলাপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, যার মাধ্যমে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন।

গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগের মাধ্যমে দরিদ্র বাঙালি নাগরিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ দেয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণ ব্যাংক অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে; ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ প্রায় ১১২টি পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছে। মুহাম্মদ ইউনূস এর সমাজিক উদ্যোগ গ্রীন ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে এই মডেল প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন।

Contents show

প্রাথমিক জীবন ও পরিবার

মুহাম্মদ ইউনূস জন্মেছিলেন ২৮ জুন ১৯৪০ সালে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তার প্রাথমিক জীবন ও শৈশব কেটেছে চট্টগ্রামের সৌন্দর্যময় গ্রামাঞ্চলে। তার শৈশবকালে ব্রিটিশ ভারতের নাগরিকত্ব এবং পরে পাকিস্তানি নাগরিকত্বের প্রভাব ছিল, যেগুলির কারণে তার পারিবারিক জীবন ও শিক্ষার উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে।

শৈশব ও শিক্ষা

মুহাম্মদ ইউনূসের শৈশবকালে তার শিক্ষার শুরু হয়েছিল চট্টগ্রামেই। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, পরে বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান এবং ১৯৭১ সালে সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এই প্রাথমিক শিক্ষাজীবন তার জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মূল ভিত্তি স্থাপন করে।

পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন

মুহাম্মদ ইউনূসের পারিবারিক জীবনে তার সংযুক্তি ছিল শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণ সমর্থনময়। তার পরিবারের প্রভাব ও সহযোগিতা তাকে শিক্ষায় এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছিল। এছাড়াও, তার পারিবারিক জীবনের অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তীতে সামাজিক ব্যবসাক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পে ঝোঁক দেয়। চট্টগ্রামের শৈশবের স্মৃতিগুলি এবং পারিবারিক জীবনের বুনন তার জীবনব্যাপী প্রেরণার মূলে কাজ করেছে।

আরও পড়ুনঃ  মুকেশ আম্বানি

শিক্ষা ও একাডেমিক ক্যারিয়ার

মুহাম্মদ ইউনূসের একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে এবং শেষ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে এবং অর্থনৈতিক শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মুহাম্মদ ইউনূসের শিক্ষার প্রথম ধাপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে তিনি বিএ ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এই সময় তিনি অর্থনৈতিক শিক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন।

ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ সমাপ্ত করার পর মুহাম্মদ ইউনূস উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যান। ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সময়কাল তাঁরে অর্থনীতির গভীরে আরও নিবিড়ভাবে প্রবেশ করতে সহায়তা করে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা

যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি সমাপ্ত করার পর মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এখানেই তিনি ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ ও গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ধারণা বিকাশ করেন, যা আজ গোটা বিশ্বে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য মডেল হিসেবে পরিচিত।

Muhammad Yunus এর গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৪ সালে দেশের দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংক ধারণার সূচনা করেন। তত্ত্ব ও পরিকল্পনায় ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ যেমন ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে শুরু করে, প্রতিবন্ধকতাও দেখা দেয়। এতে বর্তমানের অসামান্য সফলতা ও স্বীকৃতি এলো বিশেষ করে ব্যাংকটির সামাজিক ব্যবসা প্রকল্পের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ফলশ্রুতি।

ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ

প্রথম দিকে গ্রামীণ ব্যাংক এর ধারণা নিয়ে অন্যান্য ব্যাংকগুলোর প্রতিরোধের সম্মুখীন হন ড. ইউনূস। তবে, ক্ষুদ্রঋণ মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালের ২ অক্টোবর সরকারী সহায়তায় ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী গ্রামীণ দরিদ্রদের সাহায্য করা।

ব্যাপক প্রভাব ও সফলতা

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক এর ২,৫৬৮ শাখা রয়েছে এবং এটির সদর দপ্তর ঢাকায়। ব্যাংকটি ২৩,০৩৮.২৮ মিলিয়ন টাকা বা ২৩৩.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বার্ষিক আয় তৈরি করে, যা ভারপ্রাপ্ত সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। ৯৬.৮১% নারী ঋণগ্রহণকারী যাচাই করে প্রমাণ করেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার পরিবারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। ২০২২ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক বিশ্বের ৬৪টি দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকও অন্তর্ভুক্ত। ২০০৬ সালে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করে, যা ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের অসাধারণ প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে।

নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন

২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক। এই পুরস্কার তাদের ক্ষুদ্রঋণ এবং সামাজিক ব্যবসায়ের সফল উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৭৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে মাইক্রোক্রেডিট এর ধারণা চালু করে। এই উদ্যোগ গ্রামের দরিদ্র ও ভূমিহীন নারীদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুনঃ  বাইনান্স

২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনের পরে, মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে, ইউনূস বিভিন্ন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন এবং আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য হন। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, ইউনূসের সঙ্গে সরকারের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তী সময়ে তার পদত্যাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গ্রামীণ ব্যাংক কেবলমাত্র ক্ষুদ্রঋণই নয়, বাড়ি ঋণ, মৎস্য খামার এবং সেচ প্রকল্পসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য অন্যান্য দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রে একই মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অসামান্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ইউনূস, সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ নাম হয়ে উঠেছেন।

পরবর্তীকালে সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার অসাধারণ দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রচুর অবদান রেখেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেন যা তার পূর্ববর্তী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আরও বিস্তৃত হয়।

গ্রামীণ আমেরিকা ও গ্রামীণ ফাউন্ডেশন

গ্রামীণ আমেরিকা এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে সামাজিক ব্যবসার একটি মডেল প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামীণ আমেরিকা উন্নত বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আশ্চর্যজনক সফলতা অর্জন করেছে। গ্রামীণ ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা গ্লোবাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিভিন্ন সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগ

  • ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিক মুক্তি দেওয়া।
  • স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসার প্রসারে ক্রমবর্ধমান উদ্যোগ।
  • নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রোগ্রাম।

এই সকল সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দারিদ্র্য হ্রাসে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন এবং গ্রামীণ আমেরিকা ও গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি টেকসই এবং কার্যকর মডেল।

সাম্প্রতিক প্রভাব ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৪ সালের মাঝামাঝি মনোনীত হওয়ার পর, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সমবায় সমিতি কাকে বলে?

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে প্রথম ১০০ দিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই সময়কালে, দেশের রপ্তানি ৭% বৃদ্ধি পেয়েছে সেপ্টেম্বরে এবং অক্টোবরে ২০% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি অবৈধ অর্থের প্রবাহ বন্ধ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে সম্পদের পাচার প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জোর দেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ঘটনা

অন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সাথে বৈঠকসহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে অধ্যাপক ইউনূস বৈঠক করেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে অধ্যাপক ইউনূস ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। খ্যাতিমান সাবেক রাষ্ট্রদূত বশীর আহমেদ জানান, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বিভিন্ন সম্পর্কের উন্নয়ন এবং সহযোগিতার প্রচেষ্টাগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করেছে।

পুরস্কার ও সম্মাননা

মুহাম্মদ ইউনূস শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কারই পাননি, জীবনে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তাঁর কর্মযজ্ঞ, বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার জন্য, বিশ্বজুড়ে তাকে উচ্চ প্রশংসায় সিক্ত করেছে।

বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার

বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা, যা খাদ্য ও কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদান করা হয়। মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৮৭ সালে অসাধারণ সমাজসেবা এবং ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন।

গান্ধী শান্তি পুরস্কার

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, ভারত সরকার ১৯৯৮ সালে মুহাম্মদ ইউনূসকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। তার ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে, যা এই সম্মাননার কারণ ছিল।

প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল

১৯৭৮ এবং ১৯৮৪ সালে যথাক্রমে প্রেসিডেন্টের পুরস্কার এবং র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে সম্মানিত হওয়ার পর, মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুরস্কার এবং ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০২১ সালের মধ্যে, তিনি প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন।

২০২১ সালে, মহাশক্তি উদ্ভবের জন্য জাতিসংঘ ফাউন্ডেশন তাকে গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। এই সম্মাননা পূর্বে বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, কফি আন্নান, বান কি মুন এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো ব্যক্তিত্বদের প্রদান করা হয়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button