গ্রামীণফোন

গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের শীর্ষস্থানীয় প্রদানকারী, যা তার অতুলনীয় ইন্টারনেট এবং কল রেটের জন্য সুপরিচিত। গ্রামীণফোন পুরো দেশে ব্যাপক সেবা সরবরাহের মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী গ্রামীণফোনের মোট রাজস্ব ছিল ৳১৫৮.৭১৬ বিলিয়ন, যা দেশের টেলিকম সেবায় তাদের আধিপত্যকে প্রতিফলিত করে। গ্রামীণফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮৪.৩ মিলিয়ন, যা বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যাপক বিস্তৃতিকে নির্দেশ করে।

গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই টেলিকম সেবা উন্নয়নে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বিশাল নেটওয়ার্ক এবং উন্নত সেবা গ্রাহকদের তৃপ্তি অর্জন করেছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম প্রিপেইড মোবাইল ফোন সেবা চালু করে এবং পরবর্তীতে EDGE, ৩জি এবং ৪জি সেবা সরবরাহের মাধ্যমে ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটায়। গ্রামীণফোনের মালিকানাধীন ২২,৫২৬টি মোবাইল টাওয়ার এই নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিতে সহযোগিতা করছে, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা পৌঁছাতে সক্ষম।

Contents show

গ্রামীণফোন পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠা

গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান কোম্পানি, ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা করার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষকে সাশ্রয়ী এবং উচ্চমানের টেলিকম সেবা প্রদান করা। এই টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে গ্রামীণফোন।

গ্রামীণফোন একটি যৌথ উদ্যোগ, যেখানে এর প্রধান অংশীদার হলো নরওয়ের টেলিনর এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকম। এই উদ্যোগের ফলে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে টেলিকম সেবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। টেলিনরের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং গ্রামীণ টেলিকমের স্থানীয় অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গ্রামীণফোন উচ্চমানের সেবা প্রদান করে আসছে। টেলিকম সেবার পাশাপাশি, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বৃদ্ধিতেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে গ্রামীণফোনের অবদান শুধু সেবা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সহ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।

গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠাতা এবং গ্রামীণ ব্যাংকের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগের ফলে গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গ্রামীণ ব্যাংক তার মাইক্রোক্রেডিট মডেলের মাধ্যমে গ্রামীণ উদ্যোগগুলোর সমর্থনে অবদানের পাশাপাশি, গ্রামীণফোনকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল সাশ্রয়ী টেলিকম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে।

এইভাবে, গ্রামীণফোন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে অনন্য উচ্চতা অর্জন করেছে এবং দেশের সবচেয়ে পছন্দের টেলিকম ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রাহকদের আস্থা এবং ভালোবাসা অর্জন করেছে।

ইতিহাস ও প্রাথমিক উদ্যোগ

গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পে একটি প্রভাবশালী নাম। এর ইতিহাস এবং প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইকবাল কাদিরের নেতৃত্ব উল্লেখ করতেই হয়। গ্রামীণফোন ইতিহাস নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করে বাংলাদেশে জিএসএম প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করার মাধ্যমে।

প্রতিষ্ঠার পটভূমি

গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট নিয়ে বলতে গেলে ১৯৯৭ সালে ডাঃ মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইকবাল কাদিরের নেতৃত্বে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিসরে ছিল প্রায় ২৫৬৮টি বাণিজ্যিক অঞ্চল। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই, মোবাইল পরিকল্পনা নিয়ে এটি ছিল যথেষ্ট দূরদর্শী। টেলিনর, গ্রামীন টেলিকম, মারুবেনি কর্পোরেশন এবং গনফোনের শেয়ারের মাধ্যমে এটি ধরেই নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন কৌশল এ ধরনের সহযোগিতামূলক ছিল।

মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা শুরু

গ্রামীণফোন বাংলাদেশে মোবাইল প্রথম পরিষেবা শুরু করে ১৯৯৭ সালে যখন দেশের অনেক মানুষ এখনও ফোন কি, তা জানতেন না। সংস্থাটি দেশের প্রথম জিএসএম প্রযুক্তি চালু করে এবং মোবাইল পরিকল্পনা প্রসারের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়।

গ্রামীণফোনের এই যাত্রা শুধু প্রযুক্তিগত দিক থেকেই নয়, ব্যবসায়ীক দিক থেকেও অত্যন্ত সফল ছিল। ২০২২ সালের হিসেবে, গ্রামীণফোনের বাৎসরিক রাজস্ব ছিল ২,৩০৩৮.২৮ মিলিয়ন টাকা এবং নীট আয় দাঁড়িয়েছে ২৩৬০.৪৯ মিলিয়ন টাকা।

বর্তমানে, গ্রামীণফোনে কাজ করছেন ১৮,২০৩ কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানটি তাদের লক্ষ্যে সফলভাবে অগ্রসর হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানটির একটি শৌর্যের নজির হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।

গ্রামীণফোনের ইতিহাস এবং গত সময়ের অবদানগুলো বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে এবং তাদের মোবাইল প্রথম পরিষেবা ও পরিকল্পনা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুনঃ  কিভাবে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করবেন (সহজ পদক্ষেপ এবং টিপস)

Grameenphone এর মালিকানা ও অংশীদারিত্ব

গ্রামীণফোনের মালিকানা ও অংশীদারিত্বের কাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে, টেলিনর গ্রুপ এই প্রতিষ্ঠানটির ৫৬% শেয়ার মালিকানা বহন করে। টেলিনর, একটি নরওয়েজিয়ান টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান, ১২টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং বৈশ্বিক গ্রাহক সংখ্যা ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি। ২০০৭ সালে টেলিনর প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জন করে এবং এই গ্রুপে ৩৫,৮০০ কর্মী কর্মরত ছিলেন।

অপরদিকে, গ্রামীণ টেলিকম ৩৪% শেয়ার মালিকানা বহন করে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা, মোবাইল সেবা গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ টেলিকমের প্রধান উদ্দেশ্য জিএসএম সেলুলার সেবা গ্রামীণ এলাকায় সহজলভ্য করা, এবং এর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য নতুন আয়ের উৎস সৃষ্টি করা।

বিশেষত গ্রামীণ টেলিকমের উদ্যোগে পরিচালিত ভিলেজ ফোন প্রোগ্রাম গ্রামীণ এলাকায় মোবাইল সেবা ব্যবহারের দ্রুত বিস্তার ঘটিয়েছে। এই প্রোগ্রামটির অধীনে স্থানীয় ফোন অপারেটরদের মাধ্যমে সেবা পৌঁছানো হয়। এই উদ্ভাবনী উদ্যোগটির জন্য গ্রামীণ টেলিকম বহু পুরস্কারও অর্জন করেছে।

শেয়ার মালিকানা এবং অংশীদারিত্বের দিক থেকে গ্রামীণফোনের বাকি ১০% শেয়ার পাবলিকলি ট্রেড করা হয়, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।

সেবা ও পণ্য সমূহ

গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য প্রদান করে থাকে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর গ্রামীণফোন ডাটা প্ল্যান এবং ভয়েস কল এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সেরা মানের সেবা প্রদান করে আসছে।

মোবাইল ইন্টারনেট ও ভয়েস সেবা

গ্রামীণফোন মোবাইল ইন্টারনেট এবং ভয়েস কল সেবা প্রদান করে আসছে বহু বছর ধরে। গ্রাহকরা বিভিন্ন প্ল্যানের মাধ্যমে তাদের ইন্টারনেট এবং ভয়েস কল সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। গ্রামীণফোন ডাটা প্ল্যান এর বিভিন্ন মূল্য এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, টুরিস্ট সিম প্যাকেজগুলিতে ৭, ১৫ এবং ৩০ দিনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং খরচ সহ প্যাকেজ উপলব্ধ।

  • ৭ দিনের বেসিক প্যাকেজ (৯৯৯ টাকা): ৩০ টাকা টক টাইম, দেশে ১২০ মিনিট, ৫০ এসএমএস এবং ১৫ জিবি বোনাস ডাটা।
  • ১৫ দিনের স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ (১৪৯৯ টাকা): ৫০ টাকা টক টাইম, দেশে ২৫০ মিনিট, ১০০ এসএমএস এবং ৩০ জিবি বোনাস ডাটা।
  • ৩০ দিনের প্রিমিয়াম প্যাকেজ (১৯৯৯ টাকা): ১০০ টাকা টক টাইম, দেশে ৪০০ মিনিট, ১৫০ এসএমএস এবং ৪০ জিবি বোনাস ডাটা।

এইসব প্যাকেজের সাথে গ্রাহকরা জিপিএইচ স্টার স্ট্যাটাসও লাভ করেন, যা তাদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে আসে।

ডিজিটাল সেবা ও অ্যাপ্লিকেশন

গ্রামীণফোনের ডিজিটাল সেবাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্কিটো, বায়োস্কোপ এবং জিপেই। স্কিটো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে গ্রাহকরা তাদের ফোন প্ল্যানকে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারেন। বায়োস্কোপ অ্যাপ্লিকেশনটি বিনোদনের জন্য বিখ্যাত, যেখানে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট স্ট্রিমিং করা যায়। জিপেই আরেকটি প্রয়োজনীয় আর্থিক অ্যাপ্লিকেশন, যা ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদানে সহায়ক।

সম্প্রতিক উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি

গ্রামীণফোন সর্বদা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দিয়ে তাদের সেবা উন্নত করে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তির মানোন্নয়নের জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে ২০২১ সালে কর পরবর্তী লাভের পরিমাণ ৯৮.৯১% বৃদ্ধি পায়। গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা *১২১# ব্যবহার করে তাদের মিনিট, ডাটা এবং এসএমএস ব্যালেন্স চেক করতে পারেন, যা একটি বড় সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও, পর্যটকদের জন্য গ্রামীণফোন টুরিস্ট সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃব্যবহারযোগ্য হয়ে যায় যদি না গ্রাহক নিজে থেকে এটি নিষ্ক্রিয় করেন।

অতএব, গ্রামীণফোন তার মোবাইল ইন্টারনেট, ভয়েস কল এবং ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশের বাজারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। গ্রামীণফোনের সেবা গ্রহণ করে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় সকল মোবাইল ও ডিজিটাল সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

গ্রামীণফোন এর নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি

বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের মোবাইল টাওয়ার স্থাপন ও পরিষেবা উন্নতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোবাইল টাওয়ার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক কভারেজ প্রসারিত করা হয়েছে। গ্রামীণফোনের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করছে।

মোবাইল টাওয়ার ও পরিসেবা

গ্রামীণফোনের মোবাইল টাওয়ারগুলো বাংলাদেশের বৃহত্তর ভৌগোলিক এলাকা আচ্ছাদন করে। এই টাওয়ারগুলো স্থাপনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও দ্রুত ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বিশেষভাবে, ৪জি টাওয়ারগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

তরঙ্গ ব্যবহার ও বিস্তৃতি পরিকল্পনা

গ্রামীণফোনের তরঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঢাকায় এবং চট্টগ্রামে ৫জি নেটওয়ার্ক ট্রায়াল পরিচালনা করে ভবিষ্যতে উন্নত সংযোগ ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামীতে বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক কভারেজ ও ডিজিটাল সংযোগ উন্নত করতে গ্রামীণফোনের নতুন পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, নতুন প্রযুক্তি যেমন এআই, ব্লকচেইন এবং রোবোটিক্স উন্নয়নে গ্রামীণফোনের উচ্চাশা রয়েছে। এসব উদ্দেশ্য পূরণে গ্রামীণফোন হুয়াওয়ে এবং জেডটিই এর সঙ্গে সহযোগিতা করছে, যা দ্রুত ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুনঃ  বিপণন কাকে বলে?

গ্রামীণফোন এর ইন্টারনেট সেবা

গ্রামীণফোন গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরণের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে ৪জি৫জি নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন মোবাইল ইন্টারনেট প্ল্যান ও প্যাকেজ। গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সুবিধা নিতে গ্রাহকদের একটি ৪জি/৫জি সক্ষম ডিভাইস ও সিম দরকার।
আমরা এখানে বিস্তারিত জানবো গ্রামীণফোনের ৪জি ও ৫জি সেবা এবং বিভিন্ন ইন্টারনেট প্ল্যান ও প্যাকেজ সম্পর্কে।

৪জি ও ৫জি সেবা সমূহ

গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ৪জি সেবা প্রদানে অন্যতম অগ্রগামী। গ্রাহকেরা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহজেই ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং ও অন্যান্য অনলাইন কার্যক্রম উপভোগ করতে পারেন। পাশাপাশি, ৫জি সেবা চালু করে গ্রামীণফোন উচ্চতর ইন্টারনেট স্পিড বিশ্বস্তভাবে দিতে সক্ষম হয়েছে। গ্রামীণফোনের ৫জি নেটওয়ার্কের সুবিধা পেতে গ্রাহকদের একটি ৫জি সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিভাইস প্রয়োজন।

মোবাইল ইন্টারনেট প্ল্যান ও প্যাকেজ

গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো বিভিন্ন মেয়াদে পাওয়া যায়, যেমন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক প্যাকেজ। প্রতিটি প্যাকেজের সুবিধা ও মূল্যের ভিন্নতা রয়েছে যাতে গ্রাহক নিজ প্রয়োজন অনুসারে বেছে নিতে পারেন:

  • ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো MyGP অ্যাপ, USSD, MFS, IVR, গ্রাহকসেবা, গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট এবং যে কোনও অনুমোদিত রিটেল ও ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে চালু করা যায়।
  • যে কোনও ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিল করতে গ্রাহকরা *121*3041# ডায়াল করতে পারেন।
  • যদি একটি প্যাকেজ পুনঃক্রয় করা হয় বা স্বয়ংক্রিয় নবীকরণ (auto-renewal) চালু করা থাকে, তাহলে পূর্বের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ভলিউম নতুন প্যাকের সাথে যোগ হবে।
  • প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হলে সর্বাধিক PayGo চার্জ হবে BDT 6.95 (VAT, SD, এবং SC অন্তর্ভুক্ত)।

oltre এটি স্মরণীয় যে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সেবা একটি সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করে যা গ্রাহকদের জীবনের মান উন্নত করে তুলেছে। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের দল বিভিন্ন সময় পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিক্ষা ও সমন্বয় সম্পাদন করে থাকে।

জিপিএল (GP) কেন্দ্রসমূহের সেবা

বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা জিপি কেন্দ্রে গ্রাহকরা উচ্চ মানের গ্রামীণফোন কাস্টমার সার্ভিস পান। জিপি কেন্দ্র মাধ্যমে গ্রাহকরা সুবিধাজনক ভরসা পেতে পারে বিভিন্ন সেবা ও তথ্যের জন্য। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল:

  • গ্রাহকদের জন্য লাইভ চ্যাট সাপোর্ট এবং টেলিফোনিক সেবা প্রদান করে।
  • পোস্টপেইড বিল প্রদান ও তথ্য চেকিং এর সুবিধা।
  • ইন্টারনেট প্যাকেজ কাস্টমাইজেশন এবং ফ্লেক্সিপ্ল্যান সুবিধা।
  • ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ও ইন্টারনেট ঋণ পরিষেবা।

জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের রেটিং ৪.৪ আউট অব ৫, প্রায় ১.৭৩ মিলিয়ন রিভিউর ভিত্তিতে যা গ্রাহকদের সন্তুষ্টির প্রমাণ। যেমন:

  • সাবা বেন্টি শোরাব উল্লেখ করেছেন, পোস্টপেইড কানেকশনের ব্যবহারকারী হলেও অ্যাপে ডাটা প্যাক কেনাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
  • খালিদ মাহমুদ অপূর্ব প্রশংসা করেছেন নেটওয়ার্ক কভারেজ, ইন্টারনেট স্পিড ও অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারফেসের। তবে ইন্টারনেট প্যাকের প্রাইসিং সম্পর্কে সতর্কতা দিয়েছেন।
  • মো. আল-মাহমুদ অ্যাপে ডার্ক থিম ও ফুল-স্ক্রিন ফিচারের পরামর্শ দিয়েছেন।

জিপি কেন্দ্রের সাথে, গ্রামীণফোন কাস্টমার সার্ভিস আরও সহজে 접근 করা এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও তথ্য পাওয়া যায়। গ্রাহকরা ইমেইল ([email protected]) বা মোবাইলে ডায়াল করে (*121*1021#) এই সেবা সম্পর্কে তাদের মতামত জানাতে পারেন।

অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বাংলাদেশে বায়োস্কোপ, হইচই, চরকি, লায়ন্সগেট, ও সনি লিভের সিনেমা, টিভি সিরিজ, লাইভ স্পোর্টস, ও খবর দেখতে পারেন।
এছাড়াও গ্রামীণফোনের প্রায় ১৫,০০০ টাওয়ার ৪জি সেবায় সক্রিয় করা হয়েছে যা ইন্টারনেট সেবাকে আরও বিস্তৃত করেছে।

গ্রাহক সংখ্যা ও সন্তুষ্টি

গ্রামীণফোন, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বর্তমানে ৮৩ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। এর মধ্যে ৪৬.৩ মিলিয়ন গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন। এতো বৃহৎ গ্রাহক সংখ্যা পালনের জন্য গ্রামীণফোনের গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বিভিন্ন প্রকার গ্রাহক সুবিধা

গ্রাহকদের সন্তুষ্ট রাখার লক্ষ্যে গ্রামীণফোন বিভিন্ন প্রকার সুবিধা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ এবং উন্নত সেবা প্রদান। মোবাইল ইন্টারনেট এবং ভয়েস কল সুবিধার মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যোগাযোগ সহজতর করেছে। এতে গ্রাহকরা সবসময় সংযুক্ত থাকতে পারছে এবং প্রয়োজন অনুসারে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করতে পারছে।

GPStar সদস্য ব্যবস্থা

GPStar সদস্য ব্যবস্থা হলো গ্রামীণফোনের লয়্যালটি প্রোগ্রাম যা গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সদস্যেরা বিশেষ ডিসকাউন্ট এবং নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন। GPStar প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রামীণফোন লয়্যালটি প্রোগ্রামে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে, যা গ্রাহকদের সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা প্রতি মাসে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ৯০.৭৯% ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। গ্রামীণফোনের অব্যাহত বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে মজবুত করার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের জন্য আরো উন্নত এবং গ্রাহকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করে আসছে।

আরও পড়ুনঃ  আউটসোর্সিং কি?

ডিজিটাল উদ্ভাবন ও ফিক্সড ওয়ারলেস সেবা

গ্রামীণফোন সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ নামে ফিক্সড ওয়ারলেস অ্যাক্সেস সার্ভিস চালু করেছে, যা ডিজিটাল রূপান্তরের পথে একটি অগ্রগতি হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এই ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা ও বসতবাড়িতে নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে, যা তারবিহীন ব্রডব্যান্ড এর ব্যবহারে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

কারণ ফিক্সড ওয়ারলেস অ্যাক্সেস সার্ভিস ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন অনলাইন অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। গ্রামীণফোন এর প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “আমরা এই সেবার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ডিভাইস এবং সংযোগে নিয়ে যেতে চাই একটি উন্নত সমাজ গড়ার দিকে।” এই নতুন সেবার মাধ্যেম ডিজিটাল বিভাজন কমানোর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য অনলাইন অভিজ্ঞতা উন্নত করা হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, উল্লেখ করেন যে ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ বাংলাদেশে কানেক্টিভিটি ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ সহায়ক হবে। অপরদিকে, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য আমরা গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আশা করি।”

এই ডিজিটাল উদ্ভাবন উদ্যোগের ফলে গ্রামীণফোনের তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব ও ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ এর লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল বিভাজন কমানো এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা।

‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাসাবাড়ি, অফিস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থানে ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং ফিক্সড ওয়ারলেস পরিষেবা প্রদান করে যাচ্ছে, যা প্রযুক্তি জগতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এর ফলে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে জুনাইদ আহমেদ পলক এবং মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এর মত নেতৃত্বগণ এর উদ্ভাবনী কার্যক্রম থেকে অপ্রত্যাশিত হলেও ইতিবাচক ফলাফল আশা করছেন।

গ্রামীণফোন এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ

গ্রামীণফোন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান টেলিযোগাযোগ সংস্থা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামীণফোন এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্ক যৌথভাবে সামাজিক উদ্যোগ এবং কমিউনিটি সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রামের মানুষদের কাছে উন্নত সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। এদের সহযোগী উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখছে।

গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এর সহযোগী উদ্যোগ

গ্রামীণফোন এর গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিচালিত উদ্যোগগুলি গ্রামের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারিত হওয়ায় গ্রামের মানুষের জন্য সামাজিক সংযোগ সহজ হয়েছে। এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ গ্রামীণ এলাকাগুলিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। একই সাথে অগ্রসরমান ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সামাজিক সংযোগ ও সেবা

গ্রামীণফোনের সামাজিক অনুশীলন এবং কমিউনিটি সেবা প্রয়াসগুলি গ্রামের মানুষের প্রযুক্তিগত জীবনমান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকর। যেমন, “জিপিফাই আনলিমিটেড” সেবার মাধ্যমে গ্রামীণফোন সাশ্রয়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে, যা দেশের ডিজিটাল বিভাজন কমাতে এবং অনলাইন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

এছাড়াও, গ্রামীণফোনের সামাজিক উদ্যোগ এলাকায় শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

গ্রামীণফোন এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সমন্বিত উদ্যোগগুলি বাংলাদেশের সোশ্যাল ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উদ্যোগগুলি কমিউনিটি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নত জীবনের সাথে একীভূত করতে সাহায্য করছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য

গ্রামীণফোন তার উন্নত প্রযুক্তি এবং অগ্রণী ডিজিটাল সেবায় বরাবরই সমৃদ্ধি ও সাফল্যের পথে ধাবিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তার বাস্তবায়িত ৪জি সেবার পরে এখন ৫জি ও অন্যান্য ভবিষ্যত টেকনোলজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৫ বছরে তারা ফাইভজির স্পেকট্রাম নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাজার প্রসার এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গ্রামীণফোন ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, টেলিনরের প্রথম কার্যক্রমের রজতজয়ন্তী উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন যা এশিয়ায় তাদের সফলতার প্রতিনিধি। গ্রামীণফোনের অঙ্গীকার হলো স্পেকট্রামের পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে আরও উন্নত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা।

গ্রামীণফোন সম্মিলিতভাবে ৫০,০০০ হাজারেরও অধিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়াল, সার্ভিসেস ও কম্পোনেন্টস প্রদর্শনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে এবং আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করবে। এটির লক্ষ্য একদিকে যেমন বাজার প্রসার করা, সেই সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো।

উন্নত টেকনোলজি এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে গ্রামীণফোন এগিয়ে চলেছে। কোম্পানির মূল লক্ষ্যে থাকে দেশ ও জনগণের সার্বিক উন্নতি, এবং নতুন প্রয়োগ ও উদ্ভাবনে তাদের বিশ্বস্ততা। এই ভাবনা নিয়ে গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে যে টেকনোলজি এবং ব্যাবসার সম্মিলিত প্রয়োগ বাংলাদেশকে একটি প্রযুক্তি নির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button