অদিতি রাও হায়দারী

অদিতি রাও হায়দারী একজন প্রতিষ্ঠিত বলিউড অভিনেত্রী এবং দক্ষ শিল্পী। তাঁর জন্ম ২৮শে অক্টোবর, ১৯৮৫ সালে হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানায়। অদিতি রাও হায়দারি বায়োগ্রাফি এ উঠে আসে যে তিনি একটি তেলুগু পরিবারে জন্মগ্ৰহণ করেছিলেন। শৈশব থেকেই শিল্পের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল।

বলিউডে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ২০০৬ সালের মালয়ালম ছবি “প্রজাপতি”। এর পর থেকে তিনি পিছনে ফিরে তাকাননি। ২০১১ সালে তিনি হিন্দি ছবি “ইয়ে সালি জিন্দেগি”-তে অভিনয় করেন এবং সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে স্ক্রিন পুরস্কার জিতে নেন। অদিতি রাও চলচ্চিত্র এবং অদিতি রাও পার্সোনাল লাইফ এর উপর ভিত্তি করে আরো অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় ছবি “পদ্মাবৎ”-এ তাঁর মেহরুনিসার চরিত্রটি এখনও মনে রাখার মত।

প্রারম্ভিক জীবন ও পরিবার

অদিতি রাও হায়দারীর প্রারম্ভিক জীবন ছিল হায়দ্রাবাদে। তিনি হায়দ্রাবাদের জন্মগ্রহণ করেন, এবং তাঁর এই শহরটি তাঁর শৈশবের স্মৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। অদিতি রাও পরিবার ছিল একটি রাজকীয় পরিবার, যা তাঁকে একটি বিশেষ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে নিয়ে যায়। তাঁর পিতা এহসান হায়দারী এবং মাতা বিদ্যা রাও ছিলেন তাঁর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

অদিতি রাও হায়দারি প্রারম্ভিক জীবন কাটিয়েছেন হায়দ্রাবাদে। এই শহরের সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং রাজকীয় ধারা তাঁকে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নত হতে সাহায্য করেছে। অদিতি রাও পরিবার একটি সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক পরিবেশে বড় হয়েছে, যা তাঁকে একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হয়েছে।

অদিতি রাও হায়দারীর বাবা-মা তাঁকে যত্নসহকারে পূর্ণ করেছেন, যা তাঁকে সারাজীবনের জন্য শক্তি জোগিয়েছে। হায়দ্রাবাদে জন্ম নেওয়া এবং বড় হওয়ার সময় তিনি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা তাঁর জীবন এবং ক্যারিয়ারে অসামান্য অবদান রেখেছে।

শিক্ষা ও প্রাথমিক জীবন

অদিতি রাও হায়দারি শিক্ষা জীবন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষার পর উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে যান দিল্লীর বিখ্যাত লেডি শ্রীরাম কলেজে।

আরও পড়ুনঃ  রাজ কাপুরের জীবনী ও কর্মজীবন - এক আলোচনা

লেডি শ্রীরাম কলেজ

লেডি শ্রীরাম কলেজে অধ্যয়নকালে অদিতি তাঁর শৈক্ষিক জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চেতনা উন্নত করেন। এই কলেজটি তার জন্য শুধু শৈক্ষিক ক্ষেত্রে নয়, সাংস্কৃতিক ভাবে পূর্ণত্বের অভিজ্ঞতা প্রদান করে। অদিতি রাও হায়দারি শিক্ষা জীবনের এই অধ্যায়টি তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করে।

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরুর সময়

अদिति রাও হিায়দারি তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০০৭ সালে, মালয়ালম চলচ্চিত্র ‘प्रजापति’ দিয়ে। এই সিনেমাটি তাঁর প্রাথমিক সাফল্য লাভ করে এবং পরবর্তীতে হিন্দি ड়িेশ-সिनামায় শখেশ অতীত হয়ে ওঠে।

प्रजাপति

অদিতি রাও হিায়দারি ২০০৭ সালে মালয়ালম চলচ্চিত্র ‘प्रजাপति’ দিয়ে তাঁর অভিনয় যাত্রা শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রটি তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং প্রাকাশ্যে আনে। ডজাতি রাও হিায়দারি চলখ-চিত্র ब্খারিয়ার সময় থেকেই তিনি তার দক্ষতার বিষয়ে প্রশংসিত হন।

হসেघसखठব

মালয়ালম চলচ্চিত্রের পর, अদিতि প্রবেশ করেন হিন্দি ড়িेশ-সिनামায় শखেশ এবং সেখানে ‘ইয়ে সালি জিন্দেগি’ নিয়ে প্রভাবিত করেন দর্শকদের। এই চলচ্চিত্রটি তাঁকে পার্শ্ব অভিনেত্রীর স্ক্রিন এ্যাওয়ার্ড এনে দেয় এবং তাঁর অভিনেত্রী হিসেবে অবস্থান সমাজে মজবুত করে। অদিতির এই সিনেমাটি তাঁকে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়, যা তাঁর পরবর্তী কেরিয়ারের জন্য একটি মোড় পরিবর্তনের সময় হয়।

Aditi Rao Hydari এর পরিচিত চলচ্চিত্র

অদিতি রাও হায়দারী তাঁর প্রতিভা এবং বহুমুখী অভিনয়ের কারণে বলিউডের দরবারে সুপরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে পদ্মাবত, রকস্টার এবং মার্ডার 3 অন্যতম। এই ছবিগুলিতে তাঁর উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

পদ্মাবত: অদিতি রাও হায়দারী অভিনীত ‘পদ্মাবত’ চলচ্চিত্রটি তাকে ব্যাপক পরিচিতি ও খ্যাতি এনে দেয়। দীপিকা পাড়ুকোন ও শাহিদ কাপুরের সঙ্গে সমকক্ষ হয়ে তিনি এই চলচ্চিত্রটিতে অনন্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।

রকস্টার: ‘রকস্টার’ চলচ্চিত্রটিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে অদিতির অভিনয় দর্শকদের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। এই চলচ্চিত্রে তাঁর নিখুঁত অভিনয় দক্ষতা অস্বাভাবিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে, যা অদিতি রাও চলচ্চিত্র তালিকা আরও মজবুত করেছে।

মার্ডার 3: থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে তার অসাধারণ অভিনয় ‘মার্ডার 3’ এর কাহিনীকে চমৎকার রূপ দেয়। অভিনয়ের জন্য তাঁর প্রাপ্ত প্রশংসা তাকে চলচ্চিত্র জগতের শীর্ষে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  শাহরুখ খান: বলিউডের কিং খান এর জীবন কাহিনী

অদিতির এই সমস্ত চলচ্চিত্রে নিখুঁত অভিনয় প্রদর্শনের ফলে বলিউডে তার অবস্থান সুসংহত হয়েছে এবং তাঁর পেশাদারি দক্ষতা আরও নানা কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করেছে। Aditi Rao চলচ্চিত্র তালিকা নির্দিষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তিনি চলচ্চিত্র জগতের এক প্রতিভাবান অভিনেত্রী।

বিশেষ চলচ্চিত্র ও ভূমিকাগুলি

অদিতি রাও হায়দারী চলচ্চিত্র জগতে এবং সমালোচকদের মাঝে একটি আলাদা পরিচয় লাভ করেছেন তার বিভিন্ন বিশেষ ভূমিকার জন্য। তার বিশেষ চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল পদ্মাবৎ মুভি এবং খাস ছবি, যেখানে তার অভিনয় দক্ষতা অত্যন্ত প্রশমিত হয়েছে।

পদ্মাবৎ

অদিতি রাও হায়দারীর জীবনের অন্যতম সেরা বিশেষ চলচ্চিত্র হল পদ্মাবৎ মুভি, যেখানে তিনি মেহেরুন্নেসার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রটি তার অভিনয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য পালক যোগ করেছে। পদ্মাবত মুভি দর্শকদের মনোজ্ঞকরে এবং বিপুল জনপ্রিয়তায় এসেছে। তাঁর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।

খাস ছবি

অদিতি রাও অভিনিত একটি বিশেষ চলচ্চিত্র হলো খাস ছবি, যে চলচ্চিত্রটি তার অভিনয় ক্ষমতাকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে গিয়েছে। খাস ছবি তে তার অভিনয় দর্শকেরা প্রশংসা করেছেন এবং এই ভূমিকা তাকে সমালোচকদের কাছেও আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। অদিতি রাও অভিনিত বিশেষ চলচ্চিত্রের তালিকায় খাস ছবি একটি উল্লেখযোগ্য নাম।

গায়িকা ह

শুধুমাত্র একজন সফল অভিনেত্রী নয়, অদিতি রাও হায়দারী একজন প্রতিভাবান গায়কাও। অদিতি রিয়ার জ়্ হায়দারী গায়কা হিসেবে তাঁর দক্ষতা দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন। অদিতির গান নানা চলচ্চিত্রে এক নতুন মাত্রা এনেছে।

অভিনয়ের পাশাপাশি, ডদিতির গান শোনা যায় তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে। যেমন, ‘ও মেরে মাহি’ গানটি তাঁর কণ্ঠে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়েছে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে গোছানো গানগুলো শ্রোতাদের মন জয় করেছে এবং তাঁর শিল্পীসত্ত্বাকে আরো বিস্তৃত করেছে।

অদিতির গান তাঁর ভক্তদের মধ্যে পরিস্ফুটিত হয়েছে এবং এই প্রতিভার জন্য তিনি পেয়েছেন জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা। বিশেষ করে, তাঁর গান ‘ললেনা’ একটি কালজয়ী গান হিসেবে শ্রোতাদের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত।

অদিতির রিয়ার জ়্ হায়দারী গায়কা হয়ে ওঠার যাত্রাপথে তিনি ব্যতিক্রমী প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। তার গায়কির কৃতিত্ব নানা অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ও প্রমানিত হয়েছে। এভাবেই অদিতির গান তাঁকে অগণিত শ্রোতার কাছে একটি প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আরও পড়ুনঃ  সুরিয়া (অভিনেতা)

বিয়ে ओं ব্যক্তिगत জীবন

অदি�ि यি�ि রाओ কি�।রি ब�।ি�াन জীबন ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর বিয়েটি শুরুর সময় থেকেই একটি আকর্ষণীয় ঘটনা হয়ে ওঠে।

अदিতি राव ভারতীর এবং অ�ि রाο’র বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় দুই জায়গায়। প্রথমত তারা রাজস্থানে এবং তারপরে তেলেঙ্গানায় বিয়ে করেন।

অনুষ্ঠানগুলোতে বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা, ফারাহ খান, দুলকুয়ার সালমান সহ আরও অনেক বিশিষ্টব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

অদিতি রাও হায়দারি প্রথমে লাল লেহেঙ্গা সেট এবং পরে সাদা ও কালো শারারা সেট পরেছিলেন, যখন সিদ্বার্থ প্রথমে আইভারি এবং সোনার শেরওয়ানি স্যুট এবং তার পরে সম্পূর্ণ কালো শেরওয়ানি স্যুট পরীছিলেন।

अदि�ि यि�ि राओ कি�।রি ব�।ि�ान জীबन এবং সিদ্বার্থের বিয়ের উদযাপন ককটেল পার্টির মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে অতিথিরা ছবি তুলেন এবং আনন্দ উপভোগ করেন।

দম্পতি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১-এ একটি ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় অনুষ্ঠানে গাঁটছড়া বাঁধেন, যেখানে কেবল তাদের নিকটাত্মীয় ও প্রিয়জনরা উপস্থিত ছিলেন।

তাদের প্রেমের গল্প শুরু হয় ২০২১ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র ‘মহাসমুদ্রম’ এর সেট থেকে।

vas।�শ�≈অ�ি ্ঙ�ि.

অদিতি রাও হায়দারী শুধু তার অভিনয়ের জন্যই নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও অনেক সমর্থক এবং অনুগামী আছে। হায়দারী বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছেন, যাকে তিনি তার জীবনের অন্যতম প্রিয় স্থান বলে মনে করেন। বেঙ্গালুরুর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক প্রসার তাকে অত্যন্ত আকৃষ্ট করেছে।

জীবনের নির্দিষ্ট সময়

বেঙ্গালুরুর জীবনে ও বাসস্থান অনেকের কাছেই আদর্শ হয়ে উঠেছে। �ি�ি रि�ि�ি �ি�িং এবং পারিবারিক জীবন নিয়ে অদিতি রাও হায়দারী তার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছেন এখানে।

অদিতি প্রায়শই তার পরিবারের সাথে প্রাণবন্ত মুহূর্ত শেয়ার করেন এবং শ্যুটিং শিডিউল থেকে বিরতি নিয়ে বেঙ্গালুরুতে পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। �ি�ि�и �ি�ি ষি�ি�и সহ তিনি স্থানীয় সংস্কৃতি এবং দৈনন্দিন জীবনের আনন্দগুলি পূর্ণ উপভোগ করেন।

এই দিকটি তাকে অনেক ক্ষেত্রে আবারও সাধারণ জীবনের সাথে যুক্ত করেছে এবং তার ভক্তরা উপলব্ধি করতে পারে যে তিনি কেবল সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও কতটা প্রাঞ্জল ও আনন্দময়। অদিতি এমন একজন যিনি তার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবন নিখুঁতভাবে সঞ্চালন করতে পারেন এবং বেঙ্গালুরুর এই পরিবেশ তাকে সেই সুযোগই করে দিয়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button