ধর্মেন্দ্র

ধর্মেন্দ্র, পুরো নাম ধরম সিং দেওল, ভারতীয় সিনেমার জগতে এক অনন্য নাম। ২৪৭টিরও বেশি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ধর্মেন্দ্র একটি মাইলস্টোন স্থাপন করেছেন বলিউডের তারকা হিসাবে। তার দীর্ঘ ছয় দশকের ক্যারিয়ারে, তিনি ভারতীয় সিনেমায় একের পর এক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন।

২০১২ সালে, ধর্মেন্দ্রকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রজগতে আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯৭ সালে বলিউডের প্রতি তার অনবদ্য অবদানের জন্য ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র যেমন ‘শোলে’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘যাদোঁ কি বারাত’, এবং ‘চুপকে চুপকে’ ধর্মেন্দ্রের জীবনীর অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Contents show

ধর্মেন্দ্রর প্রাথমিক জীবন

ধর্মেন্দ্রর জীবনের শুরু থেকেই ব্যতিক্রম আর অসাধারণ। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। ধর্মেন্দ্রর জন্ম খুব সাধারণ একটি পরিবারে হয়েছে, যেখানে শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব ছিল অত্যন্ত বেশি। তার পরিবার তাকে সবসময় উৎসাহ দিয়েছে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে।

জন্ম ও পরিবার

ধর্মেন্দ্রর জন্ম পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় হয়েছিল। তার বাবা কেয়া সিং ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক এবং মা সতী কউর ছিলেন ঘরশ্রমিকা। প্রাথমিক পাঠ্য শেষ করার পর তিনি লাল্টন কালান গ্রামের সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে ধর্মেন্দ্রর শিক্ষা তাকে সামনের জীবনের জন্য প্রস্তুত করেছিল।

শিক্ষা জীবন

ধর্মেন্দ্রর শিক্ষা জীবনের শুরু হয়েছিল লাল্টন কালানের সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং অধ্যয়নে আগ্রহী ছিলেন। স্কুলের দিনগুলোতেই তিনি রুপালী পর্দার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই আগ্রহই তাকে পরে ফিল্ম জগতে পৌঁছাতে প্রেরণা জুগিয়েছিল।

প্রথম ফিল্মফেয়ারে আগ্রহ

ধর্মেন্দ্রর স্কুল জীবনের শেষ দিকে তিনি ফিল্মের প্রতি গভীর আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তার শিক্ষার পাশাপাশি ফিল্মফেয়ারের প্রতি এই আগ্রহ তাকে বলিউডের পথে যাত্রা শুরু করতে সাহায্য করেছিল।

Dharmendra: ক্যারিয়ারের শুরু

ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ার বলিউডের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। আমরা তার চলচ্চিত্রিক যাত্রার অন্যতম মাইলফলকগুলি নিয়ে আলোচনা করছি, যা তাকে এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে।

প্রথম চলচ্চিত্র

ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রথম বড় সুযোগ আসে ১৯৬০ সালে, যখন তিনি “Dil Bhi Tera Hum Bhi Tere” ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাওয়া শুরু হয় এবং সিনেমা জগতে একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করেন।

আরও পড়ুনঃ  অনিকা কবির শখ: বাংলা সিনেমার উজ্জ্বল তারকা

প্রথমদিকের সফলতা

ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ার ত্বরান্বিত হয় নিজের প্রথমদিকের ছবিগুলির সাফল্যের মাধ্যমে। ১৯৬৬ সালে “Phool Aur Patthar” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ধর্মেন্দ্র ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পান। এরপর থেকে তার চলচ্চিত্রের সাফল্য অব্যাহত থাকে এবং ৭০-এর দশকে তিনি বলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেতা হয়ে ওঠেন।

মীনা কুমারীর সাথে জুটি

ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ার আরো উজ্জ্বল হয়েছিল মীনা কুমারীর সাথে তার সফল জুটির কারণে। “Main Bhi Ladki Hoon,” “Kaajal,” এবং “Purnima” এই ছবিগুলিতে মীনা কুমারীর সাথে অভিনয় করেন এবং তাদের রসায়ন বলিউডে অনেক প্রশংসা পায়। এই জুটি ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায় এবং তাকে আরও প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

ধর্মেন্দ্রর জনপ্রিয় চলচ্চিত্র

ধর্মেন্দ্র, যাঁকে ভালোবেসে ‘গরমিত’ নামেও ডাকা হয়, ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর অসামান্য অভিনয়শৈলী এবং চরিত্রের গভীরতা তাঁকে বলিউডের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। চলুন, তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের দিকে নজর দেওয়া যাক।

‘ফুল অর পাত্থার’

১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফুল অর পাত্থার ধর্মেন্দ্রর জন্য একটি বিশাল সফলতা হয়ে আসে। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন মীনা কুমারী। তিনি এই চলচ্চিত্রে তাঁর শক্তিশালী অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করেছেন এবং এটি ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

‘শোলে’

১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শোলে ধর্মেন্দ্রর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র। সঞ্জীব কুমার, অমিতাভ বচ্চন, এবং হেমা মালিনী সহ তৎকালীন সময়ের কিংবদন্তী অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ হিট হত। ধর্মেন্দ্রর ‘বীরু’ চরিত্রটি আজও দর্শকের হৃদয়ে অক্ষত আছে।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

  • রাজা জানী
  • সীতা অর গীতা
  • শরাফত
  • পাত্থার অর পায়েল

ধর্মেন্দ্রর চলচ্চিত্রভান্ডারে এমন আরও অনেক সময়াতীত চলচ্চিত্র রয়েছে যা দর্শকের হৃদয়ে চিরকালীন স্থান করে নিয়েছে।

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা

ধর্মেন্দ্র কেবলমাত্র প্রতিভাবান অভিনেতা নন, তিনি একটি সফল চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। বলিউড প্রযোজনা ক্ষেত্রে তার অবদান উল্লেখযোগ্য, যা তাকে একটি প্রধান প্রতিভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অভিনেতা হিসেবে তার বিশাল ভক্তকূল থাকলেও, ধর্মেন্দ্র প্রযোজনা জগতে তাকে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে।

ধর্মেন্দ্রর প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলি

ধর্মেন্দ্র প্রযোজনা হওয়া বেশ কয়েকটি ছবির মাধ্যমে বলিউড কে সমৃদ্ধ করেছেন। ‘গাতার’, ‘দিল্লাগি’, এবং ‘যমলা পাগলা দিওয়ানা’ সহ একাধিক সফল চলচ্চিত্র তার প্রযোজনায় আলো দেখেছে। এই ছবিগুলি শুধু জনপ্রিয়তাই অর্জন করেনি, বরং বক্স অফিসে চমৎকার সাফল্যও পেয়েছে। এগুলির মধ্যে ‘গাতার’ যেন ধর্ম ও ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক যুগান্তকারী উদাহরণ।

আরও পড়ুনঃ  উর্ফি জাবেদ

ধর্মেন্দ্র বলিউড প্রযোজনা জগতে তার দক্ষতা এবং নিত্যনতুন বিষয়বস্তুর নির্বাচনের জন্য পরিচিত। তিনি সবসময়ই সাধারন দর্শকদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী গল্প তুলে ধরেছেন। তার প্রযোজনার চলচ্চিত্রগুলি নতুন প্রজন্মের বলিউড নির্মাতাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর সম্পর্ক ও প্রযোজনার সমন্বয়ও সেই সময়ের অন্যতম আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। তাঁদের বিবাহ এবং যৌথ কাজ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে এবং একাধিকবার তাঁরা অভিনয় এবং প্রযোজনার মাধ্যমে স্পষ্ট করে তুলেছেন যে তাদের বন্ধন কতটা মজবুত। ‘তু হাসিন ম্যাঁয় জওয়ান’ ফিল্মে উভয়ের একত্র পর্দায় আনা সেই যুগ মনে করিয়ে দেয়।

ধর্মেন্দ্রর প্রযোজনা এমন এক অধ্যায় যা বলিউডের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার, ধর্মেন্দ্র প্রযোজনা দশকে দশকে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও প্রভাব বিস্তার করবে।

রাজনীতিতে ধর্মেন্দ্র

ধর্মেন্দ্র শুধু চলচ্চিত্র জগতেই সফল নন, তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে তার দৃশ্যমান প্রভাব রেখেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পক্ষে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার রাজনৈতিক যাত্রা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা

ধর্মেন্দ্র রাজনীতি এবং নেতৃত্বের দক্ষতাতে নিজেকে প্রতিস্থাপন করেছেন। সাংসদ ধর্মেন্দ্র তার কার্যকালীন সময়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোনিবেশ করেছেন। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং আইনের ক্ষেত্রে তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের ২০ জুন ধর্মেন্দ্র প্রমাণ করেছেন যে, তার দক্ষতা শুধু আদর্শিক নয়, কর্মক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হয়।

সাংসদ হিসেবে পাঠ

সাংসদ ধর্মেন্দ্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কাজ করেছেন। সম্প্রতি, তিনি একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন যা NT পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সমস্যাগুলি সমাধান করবে। এই কমিটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবে, যা NT পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা আকর্ষণীয় ও নির্ভুল করার লক্ষ্যে কাজ করবে। এছাড়াও, সাংসদ ধর্মেন্দ্র UGC NET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেখানে তিনি অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের কথা ব্যক্ত করেন।

ধর্মেন্দ্র রাজনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং তিনি তাঁর ভূমিকায় নৈতিক ও সঠিক থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই নানা কাজ তাকে ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন

ধর্মেন্দ্র ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই মিডিয়ার আগ্রহের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রথম বিবাহ প্রকাশ কউরের সাথে হয়েছিল এবং তাদের চার সন্তান রয়েছে। ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় বিবাহ ঘটে হেমা মালিনীর সাথে, যিনি বলিউডের “ড্রীম গার্ল” নামেও পরিচিত।

প্রথম বিবাহ ও সন্তান

ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী, প্রকাশ কউরের সাথে তাঁর বিবাহিত জীবন শুরু হয়েছিল। তাঁদের পরিবারে চার সন্তান: সানি দেওল, ববি দেওল, অজিতা এবং বিজয়েতা। প্রথম বিবাহের পরেও তাদের পরিবারের সংগঠন এবং সম্পর্ক সন্তোষজনক ছিল।

হেমা মালিনীর সাথে বিবাহ

ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর প্রেম এবং পরবর্তী বিবাহ নিয়ে বলিউডে দীর্ঘদিন আলোচনা চলেছে। হেমা মালিনীকে বিয়ে করার জন্য ধর্মেন্দ্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কারণ তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। হেমা মালিনীর সাথে বিবাহিত জীবন শুরু হয় এবং তাদের দুই কন্যা: ইশা দেওল এবং আহানা দেওল। যদিও তারা একসাথে থাকেন না বর্তমানে, ধর্মেন্দ্র সবসময়ই হেমা এবং তাঁদের সন্তানদের প্রতি সমর্থনশীল ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  আমির খান

হেমা মালিনী প্রথম স্ত্রীর দায়িত্ব এবং নিজের সন্তানদের সাথে ধর্মেন্দ্রর প্রতি সবসময়ই ভরসা রেখেছেন। ধর্মেন্দ্র ব্যক্তিগত জীবন নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেলেও, আজও তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক মিডিয়া এবং তাঁর ভক্তদের মধ্যে আলোচিত। সাম্প্রতিক সামাজিক মাধ্যম পোস্ট দ্বারা জানা গেছে, ধর্মেন্দ্র একটি পা চোট পেয়েছেন উত্সব অনুষ্ঠান চলাকালীন, কিন্তু তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে ওঠার পথে রয়েছেন।

সমসাময়িক সময়ে ধর্মেন্দ্র

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র তার অসাধারণ কর্মজীবন অনুসরণ করে এখনও সক্রিয় রয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সম্প্রতি ধর্মেন্দ্র স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আপডেটগুলির জন্য তার ভক্তরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

শারীরিক অবস্থা

ধর্মেন্দ্রর বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল। কিছুদিন আগে ধর্মেন্দ্র আপডেট অনুযায়ী, তাকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক কার্যাবলী

বর্তমান সময়ে ধর্মেন্দ্র প্রধানত তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এবং কৃষিকাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়াও, তিনি নতুন প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজেও জড়িত রয়েছেন। ধর্মেন্দ্র স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন।

ধর্মেন্দ্রর প্রভাব ও উত্তরাধিকার

ধর্মেন্দ্রর অবদান ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে অমূল্য রয়ে গেছে। তিনি তার অভিনয়, ব্যক্তিত্ব এবং ক্ষমতার মাধ্যমে একাধিক প্রজন্মের অভিনেতা ও প্রযোজকদের প্রভাবিত করেছেন। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তার সাফল্যের ছাপ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।

অন্যান্য অভিনেতাদের উপর প্রভাব

ধর্মেন্দ্র শুধুমাত্র একজন সফল অভিনেতা হিসেবেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না; তিনি একাধিক নবাগত অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের জন্য একজন মেন্টর হিসাবে কাজ করেছেন। সালমান খান এবং আমির খানের মতো তারকেরা ধর্মেন্দ্রকে তাদের আইকন বলে মনে করেন এবং তার অভিনয়ের কৌশলগুলি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। বলিউডের বহুমুখিতাও তিনি বাড়িয়ে তুলেছেন, যা অভিনয়ের নতুন সীমা তৈরি করেছে।

বলিউডে ধর্মেন্দ্রর উত্তরাধিকার

ধর্মেন্দ্রর উত্তরাধিকার শুধুমাত্র বলিউডেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার পরিবারেও প্রকাশ পায়। তার দুই পুত্র সানি এবং ববি দেওলও চলচ্চিত্র জগতে নিজেদের সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাছাড়া, ধর্মেন্দ্রর নাতনি কৃতি দেওলও তার পিতামহের পেশাদার পথ অনুসরণ করছেন। তার আবেগ, দৃঢ়তা এবং অনন্য অভিনয় দক্ষতার কারণে ধর্মেন্দ্রর উত্তরাধিকার দীর্ঘস্থায়ী এবং গভীর হবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button