বিপাশা বসু

বিপাশা বসু বায়োগ্রাফি সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে, প্রথমেই উঠে আসে তার ভারতীয় বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভের গল্প। ৭ জানুয়ারি ১৯৭৯ সালে নয়াদিল্লিতে এক বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিপাশা। মডেলিংয়ে তার অসামান্য দক্ষতার জন্য ১৯৯৬ সালে ফোর্ড গোদ্‌রেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যা তাকে নিউইয়র্কে মডেলিংয়ের প্রশিক্ষণে পাঠায়। 

বিপাশা বসু ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০১ সালে যখন তিনি ছবি “আজনবি”-তে তার প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। এই ছবিতেই তিনি লাভ করেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, যা তার অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা ও প্রতিভার সাক্ষ্য দেয়। পরবর্তীতে “রাজ” ও “জিসম” ছবির মাধ্যমে তিনি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হন। এই অভিনেত্রীর জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে বিপাশা বসু নিউজ সারাবিশ্বের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ জাগিয়ে রাখে।

Contents show

প্রাথমিক জীবন ও শৈশব

বিপাশা বসুর জন্ম নয়াদিল্লিতে হয়েছিল। ছোটবেলার সময় থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং সাহসী। বিপাশা বসুর পরিবারে আরও দুই বোন বিদিশা ও বিজয়েতা রয়েছে। তিন বোনের মধ্যে বিপাশা দ্বিতীয়। তাদের বাবা ছিল একজন প্রকৌশলী এবং মা ছিলেন একজন গৃহিণী। বিপাশা বসুর শৈশব কেটেছে পরিবারের উষ্ণ আপন মনোরম পরিবেশে।

জন্ম ও পরিবার

বিপাশা বসুর পরিবার সব সময় সাপোর্টিফ ছিল। তার বাবা-মা তার প্রতিভার প্রতি আশাবাদী এবং তাঁকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করতেন। শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি তার পরিবার সব সময় তাকে মডেলিং এবং অন্যান্য সৃজনশীল কার্যকলাপে উৎসাহিত করতেন।

শিক্ষাজীবন

বিপাশা বসুর শিক্ষাজীবনের শুরু নয়াদিল্লিতে হয়েছিল। তিনি এক বয়ান করেন, যেখানে বলেন যে তার শিক্ষাজীবন ছিল খুবই আনন্দময় ও স্মরণীয়। সেই সময়েই তিনি তার প্রবল আগ্রহ এবং মেধা অনুধাবন করেন। শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি বিপাশা বসু বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। পরবর্তীতে, তিনি মডেলিংয়ে মনোনিবেশ করেন এবং তার প্রতিভাকে আরো শাণিত করেন।

মডেলিং ক্যারিয়ারের শুরু

বিপাশা বসু মডেলিং ক্যারিয়ার শুরুর দিকে এক উল্লেখযোগ্য মোড় নেন যখন তিনি ১৯৯৬ সালে ফোর্ড গোদ্‌রেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। এই প্রতিযোগিতা শুধু তার শৈল্পিকতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করে না, বরং তাকে মডেলিং জগতে এক নতুন পরিচিতি দেয়। বিপাশা বসু মডেলিং এর জন্য অন্যতম পরিচিত নাম হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ  কাজল আগরওয়াল

ফোর্ড গোদ্‌রেজ সিন্থল সুপারমডেল প্রতিযোগিতা

১৯৯৬ সালে, ফোর্ড গোদ্‌রেজ সিন্থল থেকে আয়োজন করা সুপারমডেল প্রতিযোগিতা বিপাশার জন্য ছিল এক বিশেষ মাইলফলক। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার পরই মূলত তার মডেলিং ক্যারিয়ারের দরজা খুলে যায়। সেই সময় থেকে তিনি মডেলিং জগতে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করেন।

নিউইয়র্কে মডেলিং প্রশিক্ষণ

প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করার পর, বিপাশা বসু নিউইয়র্কে অবস্থিত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে মডেলিং এর উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। সেই প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা তার ভবিষ্যৎ মডেলিং ক্যারিয়ারের শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে সহায়ক হয়। বিপাশার মডেলিং ক্যারিয়ার বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়।

বলিউডে প্রথম পদার্পণ

বিপাশা বসু তার বলিউড যাত্রা শুরু করেন ২০০১ সালে মুক্তিযুদ্ধ “আজনবি” ছবি দিয়ে। এই ছবির মাধ্যমে তিনি বলিউডে নিজের প্রতিষ্ঠা তৈরি করেন এবং তাকে প্রতিভাবান অভিনেত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিপাশা বসু আজনবি সিনেমা তাকে বিভিন্ন সম্মাননা অর্জনে সহায়তা করে, যা তাকে আগামী দশকে সাফল্যের পথ দেখায়।

প্রথম ছবি “আজনবি”

বিপাশা বসুর বলিউড ডেবিউ আজনবি ছবিতে তাকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়, যা তাকে অনেক দর্শকের দরবারে প্রিয় হতে সাহায্য করে। অক্ষয় কুমার, ববি দেওল এবং করিনা কাপুরও ছিলেন এই ছবিতে। পারফরম্যান্সে তার স্বতন্ত্রতা এবং দৃঢ়তা ছবিতে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল।

“টক্করী দোঙ্গা” এবং “রাজ” ছবিতে অভিনয়

আজনবি ছবির পর বিপাশা বসু তেলুগু ছবি “টক্করী দোঙ্গা” তে অভিনয় করেন, যা ২০০২ সালে মুক্তি পায়। এরপর তিনি হরর-থ্রিলার ছবি “রাজ” এ অভিনয় করেন, যা তার ক্যারিয়ারকে আরও শক্তিশালী করে। রাজ চলচ্চিত্র ছিল বিপাশা বসুর অন্যতম প্রধান সফল ছবি, যা তাকে বলিউডে একটি স্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই ছবির সাফল্যের ফলে তিনি অনেক ভৌতিক ছবির জন্য ডাক পান।

বিপাশা বসুর সেরা চলচ্চিত্র

বিপাশা বসু তার অভিনয় জীবন শুরু থেকেই অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য বিখ্যাত। তার অসংখ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে কিছু সেরা কাজ তাকে বলিউডের শীর্ষ নায়িকাদের মধ্যে স্থান দিয়েছে। এখন আমরা তার কিছু উল্লেখযোগ্য ছবির কথা আলোচনা করবো।

“জিসম” এবং সাফল্য

২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া জিসম সিনেমা বিপাশা বসুর ক্যারিয়ারের একটি অন্যতম মাইলফলক। এই ছবিতে বিপাশা তার অভিনয়ের দক্ষতা প্রমাণ করেন এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বিপাশা বসু সিনেমা বললেই জিসমের কথা সবার আগে মনে আসে। তিনি এই ছবির মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নেন এবং বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেন। তার অভিনয় ক্যারিয়ারে এই ছবিটি একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল, যা তাকে বলিউডের একজন প্রথমসারির অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

আরও পড়ুনঃ  শাকিব খান

“রেস” ও অন্যান্য হিট সিনেমা

বিপাশার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো রেস চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটিও ছিল একটি ব্যবসায়িক সফল ছবি এবং বিপাশা তাদের অভিনয় নৈপুণ্যে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। রেস ছাড়াও তিনি আরও অনেক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন, যেমন “ধুম ২”, “অজনবি”, “ফুটপাথ” ইত্যাদি। এর মাধ্যমে বিপাশা হিট সিনেমা হিসেবে তার পরিচিতি আরও বিস্তৃত হয়।

এই তথ্যগুলো থেকে বোঝা যায় যে বিপাশা বসুর কাজ শুধু জনপ্রিয়তাই এনে দেয়নি, ব্যাপক বাণিজ্যিক সফলতাও লাভ করেছে এবং তার সাফল্যের গল্প বলিউডে একটি প্রেরণামূলক নজির স্থাপন করেছে।

“Bipasha Bose” এবং তার অভিনয় দক্ষতা

বিপাশা বসু বলিউডে তার সাফল্যকে একটি নিজস্ব মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছেন তার অভিনয় দক্ষতার জন্য। তার অভিনয় প্রতিভা এবং মঞ্চে উপস্থিতি সমানভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং মনোনয়ন

বিপাশা বসু ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার মনোনীত হয়েছেন, এটি তার দক্ষতার প্রমাণ। বিভিন্ন ভূমিকায় তার অনবদ্য অভিনয় বিপাশা অ্যাওয়ার্ডস-এর জুরি দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে।

সমালোচকদের প্রশংসা

সমালোচকরা সর্বদা বিপাশা বসুর অভিনয় সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করেছেন। তার প্রতিটি চরিত্রাভিনয় বিপাশা বসু সমালোচনা এবং বিপাশা প্রশংসার সূচনা করেছে আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের কাছে। এই মূল্যায়ন প্রমাণ করে যে তার অভিনয় দক্ষতা সত্যিই অসাধারণ।

ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্ক

বলিউডের আলোচিত এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা বসুর ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কের গল্প সবসময় মিডিয়ার আলোচনায় থাকে।

করণ সিং গ্রোভার সাথে বিবাহ

২০১৬ সালের ৩০শে এপ্রিল বিপাশা বসু করণ সিং গ্রোভারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিপাশা বসু এবং করণ সিং গ্রোভার এর বিবাহ মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা তৈরী করে। এই জুটির রোমান্টিক কাহিনী ও বিবাহ অনুষ্ঠান বলিউডে ছিল আলোচিত এক ইভেন্ট। এই বিবাহ ছিল বিপাশার দ্বিতীয় বিবাহ। করণ সিং গ্রোভারের সাথে তাদের সম্পর্কের গভীরতা ও বন্ধুত্ব বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

পূর্বের সম্পর্ক এবং জীবন

বিপাশা বসুর ব্যক্তিগত জীবন বেশ রঙিন ছিল। তার পূর্বের সম্পর্কের মধ্যে বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহামের সাথে ৯ বছরের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তিনি দিনো মোরিয়া এবং রানা দগ্গুবাটির সাথেও রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়েছিলেন। বিপাশা বসু সবসময়ই তার সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা ছিলেন এবং মিডিয়ার নজরে থাকতেন। তাঁর এই সাহস এবং সততার জন্য তিনি ভক্ত এবং সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হন।

মা হওয়ার যাত্রা

বিপাশা বসুর মা হওয়ার যাত্রা ছিল অত্যন্ত আবেগময় এবং চ্যালেঞ্জিং। বিপাশা গর্ভাবস্থা সময়ের বিভিন্ন মুহুর্তগুলি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করেছেন এবং তার ভক্তদের সাথে যুক্ত থেকেছেন।

আরও পড়ুনঃ  নানি (অভিনেতা)

মাত্রা ও গর্ভাবস্থার গল্প

বিপাশা গর্ভাবস্থা কালের অনেক ছবি এবং ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট প্রথম মনে করেন যে, তিনি মা হতে চলেছেন। তার বেবি শাওয়ার ইভেন্ট থেকে শেয়ার করা ছবি, যেখানে তারা ঐতিহ্যবাহী বাংলা পোষাক পরেছিলেন, বিশেষ নজর কাড়ে। বিপাশা মা হওয়ার যাত্রা নিয়ে তিনি অনেক পোস্ট করেছেন, যেখানে তার উচ্ছ্বাস এবং খুশির মুহুর্তগুলিকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছিলেন।

মেয়ে দেবীর জন্ম

২০২২ সালের ১২ নভেম্বর বিপাশা এবং করণ সিং গ্রোভার তাদের কন্যা দেবী বসু সিং গ্রোভারকে স্বাগত জানান। জন্মের কিছু সময় পর, দেবীর হার্টের একটি সমস্যা (Ventricular Septal Defect) ধরা পড়ে এবং তিন মাসের মধ্যে অপারেশন করা হয়। সার্জারি সফল হলেও, বিপাশা এবং তার পরিবারের জন্য এটি ছিল একটি অভিজ্ঞতা যা গভীর চিন্তা ও উদ্বেগের দ্বারা চিহ্নিত হয়।

সার্জারিটি ছয় ঘণ্টা ধরে চলে এবং এটা সঠিক সময়ে করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের জন্য ছিল কঠিন। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে, বিপাশা ও তার পরিবার স্বস্তি পায়। এই অপারেশনটি তাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে রইল এবং বিকাশ এবং বিপাশা মা হওয়ার যাত্রা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করল।

বিজ্ঞাপন এবং সঙ্গীত ভিডিও

বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিপাশা বসু শুধুমাত্র চলচ্চিত্রের জন্যই বিখ্যাত নন, তিনি বিজ্ঞাপন এবং সঙ্গীত ভিডিওতে তার অবিস্মরণীয় উপস্থিতির জন্যও পরিচিত। তার ক্যারিয়ারে, তিনি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন যা বিশেষ করে ৯০-এর দশকে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

টি-সিরিজ এবং অন্যান্য মিউজিক ভিডিও

বিপাশা বসু মিউজিক ভিডিওতে প্রথম ব্রেক পান টি-সিরিজ প্রযোজিত একটি গানে। এই মিউজিক ভিডিওগুলি তার ফিল্ম ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তাকে বিশাল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। উল্লেখযোগ্য কিছু গানের মধ্যে রয়েছে “না তুম জানো না হাম” এবং “বীপ বিপ বিপ”। বিপাশা বসুর গ্ল্যামারাস উপস্থিতি এবং নৃত্যশৈলী এই মিউজিক ভিডিওগুলিকে দর্শকদের প্রিয় করে তোলে। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছেন, যা তার ফ্যান বেসকে আরও বিস্তৃত করেছে। বিপাশা বসু মিউজিক ভিডিওতে নিয়মিত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, বিশেষত টি-সিরিজের সাথে।

ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট

বিপাশা বসু বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি যেমন পণ্য এবং পরিষেবার বিজ্ঞাপন করেছেন, তেমনি ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও কাজ করেছেন। বিপাশা বসুর ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের মধ্যে রয়েছে ক্লিনিক অল ক্লিয়ার, লাক্স, প্যানাসনিক, এবং মাইক্রোম্যাক্স মোটরস। তার স্টাইল, গ্ল্যামার, এবং ক্যারিশমা তাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারে অনেক জনপ্রিয় করে তুলেছে। বিপাশা বসু বিজ্ঞাপন জগতে একটি উল্লেখযোগ্য নাম, যার উপস্থিতি ব্র্যান্ডগুলির বাজারে প্রভাব ফেলেছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button