আউটসোর্সিং কি?

আউটসোর্সিং এমন এক আধুনিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরের কাজ যেমন—ওয়েব ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন — বাংলাদেশের মতো উন্নত দেশগুলো থেকে কম খরচে সম্পন্ন করানো হয়। ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষতা ও কর্মদক্ষতা খাটিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী একটি ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।

বাংলাদেশ সরকার শিক্ষিত বেকারদের জন্যে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হিসেবে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে গার্মেন্টস শিল্পের পরই তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ইন্টারনেটের এই যুগে নতুন যুগের পেশাজীবীরা তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী একটি বাজার তৈরি করছেন যেখানে তারা উন্নত দেশ হতে কাজ পেয়ে থাকেন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি বৃহৎ অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকেন।

Contents show

আউটসোর্সিং এর সংজ্ঞা

আউটসোর্সিং, যা প্রায়শই বহিঃউৎসায়ন হিসেবে পরিচিত, হল একটি ব্যবসা প্রক্রিয়া যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কাজগুলি বা সেবাগুলি তৃতীয় পক্ষের বহিঃস্থ প্রতিষ্ঠানের কাছে চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর করে। এর মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠানটি তার সংস্থানগুলি আরও কার্যকরী উপায়ে ব্যবহার করতে পারে, যা খরচ হ্রাস এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে।

আউটসোর্সিং এর মূল ধারণা

এর মূল ধারণা হল প্রাথমিক ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের বাইরের কোনো দক্ষ সংস্থাকে নিয়োগ দেওয়া যা কোম্পানিকে কোর ক্ষেত্রগুলোতে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়, যা উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হয়ে থাকে।

ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্ব

ব্যবসায়ে আউটসোর্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কৌশল হিসেবে গণ্য হয়, কারণ এটি সম্পদ ব্যবহারকে আরও কার্যকর করে তোলে এবং বাজারে প্রতিষ্ঠানের স্পর্ধা বাড়ায়। এটি বিশেষত ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বেশি ফলপ্রসু, যেখানে তারা অর্থ সাশ্রয় করতে এবং দক্ষ থেকে আরও দক্ষতর হতে পারে।

উদাহরণ ও বাস্তব প্রয়োগ

উদাহরণ স্বরূপ, একজন স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার যিনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টে দক্ষ, তারা বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে থাকেন এবং দক্ষতার সাথে প্রযুক্তিগত সমাধান সরবরাহ করেন। এছাড়াও, কোম্পানিগুলি তাদের কাস্টমার সার্ভিস, আইটি সাপোর্ট, হিসাবরক্ষণ কাজগুলি আউটসোর্স করে থাকে। এর ফলে তারা সেবার মান উন্নত করতে পারে এবং ব্যয় কমাতে পারে, যা অবশ্যই আধুনিক ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় তাদেर একটি সুস্থ অবস্থান এনে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  CEO কী? একটি কার্যকর ব্যবসার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব ও ভূমিকা

আউটসোর্সিং এর ইতিহাস

আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার ইতিহাস হলো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সামলানোর এক অভিনব উপায়ের বিবর্তন। এই প্রক্রিয়ার ধারণা বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তন এবং অভিনবত্বের মাধ্যমে গতিশীল রূপ লাভ করেছে।

1970 এর দশকের প্রথম দিক

আউটসোর্সিং ভাবনাটি প্রাথমিকভাবে 1970 এর দশকের শুরুতে ধারণা গ্রহণ করে। এই সময়ে, প্রথমবারের মতো “Outsourcing” শব্দটি ব্যাবহার হয় এবং কর্পোরেট আমেরিকা তাদের অ-মূলধারার কার্যকলাপ বাহ্যিক উৎসমূখী করতে শুরু করে।

1990 এর ডিজিটাল বিপ্লব

১৯৯০ এর দশকে ডিজিটাল বিপ্লব আউটসোর্সিং শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। ইন্টারনেটের আবির্ভাব এবং তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী বাজারে কাজের সঞ্চালনার নতুন পন্থাগুলি সৃষ্টি করেছে।

বর্তমান যুগের পরিবর্তন

২১ শতকে প্রবেশ করার সাথে সাথে আউটসোর্সিং আরও জটিল এবং মানবিক পরিষেবার দিকে মনোযোগী হয়েছে। আজ, বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত এবং ফিলিপাইন আউটসোর্সিং সেবার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে উন্নত দক্ষতা এবং কম খরচে সেবা প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

আউটসোর্সিং এর প্রকারভেদ

আউটসোর্সিং এর প্রকারভেদ বিস্তারিত আলোচনায় মুখ্য তিনটি ধারা হিসেবে গণ্য করা যায় যা শিল্পের উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। এই তিন ধারা হলো- কাজের আউটসোর্সিং, পরিষেবা আউটসোর্সিং এবং উৎপাদন আউটসোর্সিং।

কাজের আউটসোর্সিং

বিশ্বায়নের এই যুগে, কাজের আউটসোর্সিং ব্যাপক পরিসরে প্রচলিত হয়েছে যেখানে কোম্পানিগুলো তাদের আইটি, মার্কেটিং, লেখালেখির কাজগুলো অন্য সংস্থা অথবা দেশের কাছে আউটসোর্স করছে। এর ফলে তারা বর্ধিত দক্ষতা ও খরচ হ্রাস পেতে সক্ষম হচ্ছে।

পরিষেবা আউটসোর্সিং

পরিষেবা আউটসোর্সিং সাধারণত গ্রাহক পরিষেবা, একাউন্টিং এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করে। এই প্রকৃতির আউটসোর্সিং কোম্পানির ওপর থেকে ব্যাপক ব্যবস্থাপনাগত চাপ লাঘব করে এবং নির্দিষ্টতার উন্নতি ঘটায়।

উৎপাদন আউটসোর্সিং

উৎপাদন আউটসোর্সিং হলো যখন কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য উৎপাদনের জন্য অন্য সংস্থা বা দেশকে নিযুক্ত করে। এর মাধ্যমে তারা উৎপাদন খরচ কমাতে ও প্রক্রিয়াজাতকরণে দক্ষতা বাড়াতে পারে। ইলেকট্রনিক্স ও পোশাক শিল্পে এই ধরণের আউটসোর্সিং খুবই জনপ্রিয়।

আউটসোর্সিং এর সুবিধা

আউটসোর্সিং ব্যবসার জগতে একটি অপরিহার্য কৌশল হয়ে উঠেছে, যেটি নানা ধরনের সুবিধা প্রদান করে। খরচ কমানো, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিশেষজ্ঞ দল প্রচলন— এই তিনটি মূখ্য উপকারিতা হয় আউটসোর্সিং এর।

খরচ কমানো

বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার জন্য আউটসোর্সিং বর্তমানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। উন্নত দেশগুলিকে ছাড়িয়ে কম উন্নত অথবা উন্নয়নশীল দেশে সেবা সরবরাহের মাধ্যমে দ্রুত এবং সাশ্রয়ীভাবে কাজ সম্পন্ন করা যায়। এটি মূলত কার্যকর হয়ে ওঠে জটিল এবং অনিয়মিত কাজের ক্ষেত্রে, যেখানে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের পরিবতে খরচ অনেক কম পড়ে।

আরও পড়ুনঃ  বসুন্ধরা গ্রুপ

দক্ষতা বৃদ্ধি

আউটসোর্সিং ব্যবসার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে থাকে দুইভাবে—সময় সাশ্রয় এবং দক্ষতার মান উন্নয়ন। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রাফিক ডিজাইনের মতো কাজগুলি বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে অন্য দেশে আউটসোর্স করা হয়ে থাকে, যাতে মান এবং দক্ষতা দুটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে।

একটি বিশেষজ্ঞ দলের প্রচলন

আউটসোর্সিং ব্যবসায়কে বিশ্বজুড়ে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত কর্মীদের সাথে যুক্ত করার একটি অসাধারণ সুযোগ তৈরি করে। স্পেশালাইজড কাজে বিশেষজ্ঞ দল গঠন করে নির্দিষ্ট কাজের জন্য সেরা মানের কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয়। এতে করে কোম্পানির মান ও রেপুটেশন উন্নত হয় যা দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টি এবং ব্যবসায়িক সফলতা নিশ্চিত করে।

আউটসোর্সিং এর অসুবিধা

আউটসোর্সিং অনেক সুবিধা এনে দেয় ঠিকই, কিন্তু এতে কিছু অসুবিধাও রয়েছে যা প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। এই অসুবিধাগুলি বোঝা এবং তাদের সাথে মোকাবিলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিরাপত্তা ঝুঁকি

আউটসোর্সিং করা কাজের সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা ঝুঁকি অন্যতম। প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্য বাইরের হাতে চলে যাওয়ার ভয় থাকে, যা ব্র্যান্ডের গুণমান এবং ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

গুণগত মানের সমস্যা

অনেক সময় বাইরে থেকে নেওয়া সেবার মান নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। কাজের গুণমান নিয়ে সমঝোতা করতে হয় যা পরবর্তীতে স্বল্প মানের পণ্য অথবা পরিষেবা প্রদানের দিকে নিয়ে যায়।

সংস্কৃতি বিভেদের সমস্যা

আউটসোর্সিং প্রায় সময়ই বিভিন্ন দেশের মধ্যে হয়ে থাকে, যেখানে সংস্কৃতি বিভেদ অনুভূত হতে পারে। এই বিভেদ যোগাযোগের বাধা সৃষ্টি করে, যা কাজের মান এবং দক্ষতা উভয়কেই ক্ষুন্ন করে।

অসুবিধাগুলি সত্ত্বেও, যথাযথ পরিকল্পনা ও সচেতনতা দ্বারা এগুলি মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে ফ্রিল্যান্সিং মাকে ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এর সুস্থ ব্যবহার দ্বারা আর্থিক উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব।

আউটসোর্সিং কিভাবে কাজ করে

আউটসোর্সিং এর কার্যকারিতা তার সুবিন্যস্ত প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির মাধ্যমে প্রকাশ পায়, যা নির্দিষ্ট প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার সাথে পরিপূর্ণভাবে সংহতি সাধন করে থাকে। এই প্রক্রিয়ার মূল চালিকাশক্তি হলো একটি সুসংহত ও স্পষ্ট চুক্তি, যা উভয় পক্ষের দায়িত্ব ও অধিকারগুলিকে নির্দেশ করে।

সম্পর্কিত উদ্যোগ

আউটসোর্সিং সাফল্যের জন্য সঠিক উদ্যোগ নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, Fiverr, Upwork, এবং Freelancer মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করে যেখানে তারা তাদের পেশাগত পোর্টফোলিও প্রদর্শন করতে পারে এবং সঠিক প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পারে।

প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি

  • প্রাথমিক চুক্তি: চুক্তি প্রনয়নের মাধ্যমে কাজের পরিধি, সময়সীমা, মূল্য নির্ধারণ, এবং গুণগত মানের শর্তাদি নিষ্পত্তি করা হয়।
  • প্রক্রিয়া অনুসরণ: নির্বাচিত আউটসোর্সিং পদ্ধতি অনুসরণ করে কাজের নির্দিষ্ট ধাপগুলি পরিচালিত হয়, যেমন প্রকল্প পরিচালনা, ফিডব্যাকের সংগ্রহ, এবং চূড়ান্ত বিতরণ।
  • মূল্যায়ন ও সংশোধন: পরিশেষে, প্রদত্ত কাজের মান এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি মূল্যায়ন করা হয়। প্রয়োজনে, সংশোধন চালু করা হয়।
আরও পড়ুনঃ  বাইনান্স

এর ফলে, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতির সঠিক অনুসরণ, জোরালো চুক্তি পরিচালনা, এবং গুণমান নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম সামগ্রিক আউটসোর্সিং কর্মকাণ্ডের সাফল্য নিশ্চিত করে।

সফল আউটসোর্সিং কৌশল

আউটসোর্সিং ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য কিছু মৌলিক কৌশল রয়েছে যা প্রয়োগ করলে সম্ভাবনাময় ফলাফল পাওয়া সম্ভব। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে সফল আউটসোর্সিং কৌশল, অংশীদার নির্বাচন, এবং লক্ষ্য নির্ধারণ

সঠিক অংশীদার নির্বাচন

একজন যোগ্য আউটসোর্সিং অংশীদারের নির্বাচন যে কোন প্রকল্পের সাফল্যের মূলচাবিকাঠি। ভালো অংশীদার নির্বাচনের মাধ্যমে খরচ এবং সময় উভয়ই সাশ্রয় করা সম্ভব হয়, যা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং সফটওয়্যার উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ

প্রকল্পের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য স্পষ্ট করে নির্ধারণ করা উচিত যাতে সকল পক্ষ নির্দিষ্ট কর্মপন্থা অনুসরণ করতে পারে। এটি আউটসোর্সিং অংশীদারের সঙ্গে সুনিয়ন্ত্রিত সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক হয় এবং মানসম্পন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করে।

যোগাযোগের কৌশল

  • নিয়মিত ও স্পষ্ট যোগাযোগ: প্রকল্পের অগ্রগতি এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলি নিয়ে নিয়মিত আলোচনা প্রয়োজন।
  • টেকনোলজি ব্যবহার: যোগাযোগের জন্য আধুনিক টুলস ও টেকনোলজির প্রয়োগ করা উচিত।
  • সমস্যা সমাধান: যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তুত থাকা ও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করা।

পরিশেষে, একটি সফল আউটসোর্সিং কৌশল প্রয়োগ করে অংশীদার নির্বাচন, লক্ষ্য নির্ধারণ, এবং কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে সাফল্যের পাথেয় তৈরি করা সম্ভব।

আউটসোর্সিং ও প্রযুক্তির সম্পর্ক

বর্তমান সময়ে, আউটসোর্সিং শিল্পে প্রযুক্তির এক অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির উন্নতির মাধ্যমে এখন সারা বিশ্বের সাথে যেকোনো ধরণের কাজের বিনিময় অত্যন্ত সহজ হয়ে গেছে। এসকল প্ল্যাটফর্মের মধ্যে, ক্লাউড কম্পিউটিং বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা কর্মক্ষেত্রে দূরত্বকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

প্রযুক্তির ভূমিকা

আউটসোর্সিং অপারেশনের মধ্যে প্রযুক্তি স্বচালিত ও সংগঠিত প্রক্রিয়ার জন্য শক্তিশালী মাধ্যম। এর মাধ্যমে না শুধুমাত্র কন্টেন্ট লেখা বা কপিরাইটিং এর কাজ করা হয়, বরং গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট, সামাজিক মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, এবং ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ক্ষেত্রগুলিও পরিচালিত হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রভাব

ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সাহায্যে বিশ্বজুড়ে ডেটা স্টোরেজ ও এক্সেসের সহজতা নিশ্চিত করে তোলা হয়েছে, যা অবস্থান নির্বিশেষে কাজের মান ও গতি বাড়িয়েছে। ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার সামঞ্জস্য, ডেটা এন্ট্রি এবং সমস্ত প্রকার প্রশাসনিক কাজের জন্যও ক্লাউড কম্পিউটিং এক আদর্শ সমাধানের পথ দেখিয়েছে। ফলে, এটি আউটসোর্সিং শিল্পের বিকাশ এবং দক্ষতা উন্নতিকে এক অবাধ্য গতিপথে নিয়ে গেছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button