সংগঠন কাকে বলে?

সংগঠন—একটি শব্দ যা যতটা বহুমাত্রিক, ততই জীবনের অনেক ক্ষেত্রে অপরিহার্য। সংগঠনের সংজ্ঞা বলতে আমরা সাধারণত এমন একটি কাঠামোকে বুঝি, যা বিভিন্ন উপাদান ও ব্যক্তিদের একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট, সুনিয়ন্ত্রিত ও সুসংগঠিত উদ্দেশ্য পূরণে মুন্নত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যেমন এক ব্যবসায়িক সংস্থার অন্তর্গত সংগঠনাত্মক কাঠামো বিশ্লেষণ করবার সময়, আমরা দেখতে পাই কিভাবে মি. মজুমদারের মতো একজন সাধারণ ম্যানেজার ক্রমেই বড় হয়ে দুইটি বিভাগের—উৎপাদন ও বিক্রয়—বৃহত্তর দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এল. এইচ. হেনী এবং এস. পি. রবিন্সের মতো প্রতিষ্ঠানিক বিচারবিদগণ কিভাবে অর্গানাইজেশনের পরিচিতিসংগঠনের ধারণাকে ব্যাখ্যা করেছেন, তা আমাদের জানা দরকার। এই বিশ্লেষণ থেকে প্রতীয়মান—সংগঠন যেমন ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করে, ঠিক তেমনি এটি প্রশাসনিক কার্যকরণের আবশ্যকীয় চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে, যেখানে লাইন সংগঠন, লাইন ও স্টাফ সংগঠন, ফাংশনাল সংগঠন, ম্যাট্রিক্স সংগঠন এবং কমিটি সংগঠনের মত প্রণালীগুলি নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার জন্য বিনির্মিত হয়। সংগঠনের সুদৃঢ়তা ও তার গতিশীলতা সাফল্যের পথে নিত্যনতুন দিগন্তের সন্ধান করে।

সংগঠনের পরিচয়

প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যেখানে একটা প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, তাকে সংগঠন বলা হয়। একটি সংগঠনের রূপরেখা তার সংগঠনের কার্যকারিতা এবং সংগঠনের ভূমিকা-এ পরিলক্ষিত হয়, যা তার গঠন এবং ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়।

সংগঠন কী?

সংগঠন হল একটি কাঠামো যেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একত্রিত হয়। এটি হতে পারে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক, যেখানে আনুষ্ঠানিক সংগঠনগুলো পদসোপান নীতির মাধ্যমে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা বজায় রাখে এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।

সংগঠনের উদ্দেশ্য

সংগঠনের উদ্দেশ্য হল একটি সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জন, যেটা সংগ্রামী পরিস্থিতিতেও স্থায়িত্ব এবং দক্ষতা নিশ্চিত করে। এটি সাধারণত সদস্যদের সামষ্টিক মতামত নির্ভর করে এবং সংগঠনের মূল নীতি ও মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও এর ফলাফল সংগঠনের দীর্ঘ মেয়াদী উন্নতি ও বৃদ্ধির লক্ষ্যের দিকে যেতে হবে।

  • ২০১৯ সালের ৭ই জানুয়ারি স্থাপিত এই সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য সংখ্যা ছিল ৮৩।
  • বর্তমানে ৭০ জন স্থায়ী সদস্য এবং ১৫ জন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য রয়েছেন।
  • রাঘুরামপুর গ্রামে সংগঠনের পরিচালনা সামাল দেওয়ার জন্য একটি স্থানীয় কমিটি গঠিত হয়েছে।
  • বার্ষিক অনুষ্ঠানে সংগঠনের সব সদস্যদের উপস্থিতি অপরিহার্য।
আরও পড়ুনঃ  অর্থায়ন কি?

সংগঠনের প্রকারভেদ

সংগঠন বিভিন্ন আকারের ও প্রকারের হতে পারে যা তাদের লক্ষ্য ও কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে। এগুলি প্রধানত দুই ধরনের: অলাভজনক সংগঠন এবং লাভজনক সংগঠনপ্রতিষ্ঠান হিসেবেও এরা বিভিন্ন রূপে গঠিত হয় যেমন সংস্থা, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ইউনিট।

অলাভজনক সংগঠন

এই ধরনের সংগঠনগুলির মূল উদ্দেশ্য হল সামাজিক উন্নয়ন এবং দানশীলতা। এগুলির কোন মুনাফা লাভের লক্ষ্য নেই। অলাভজনক সংগঠনগুলি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কাজ করে।

লাভজনক সংগঠন

ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত এই প্রকার সংগঠনগুলি মুনাফা অর্জনে কেন্দ্রীভূত। যেমন বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক উদ্যোগ যা পণ্য এবং সেবা বিক্রি করে। এগুলির লক্ষ্য হল শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অর্থসংগ্রহ এবং বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করা।

প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা

প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা শব্দ দুটি বৈশিষ্ট্যভেদে ব্যবহৃত হয়। প্রতিষ্ঠান হিসাবে বোঝায় আরো বড় সংগঠনাত্মক অবকাঠামো, যেমন শিক্ষাগত ইনস্টিটিউশন বা সরকারি প্রতিষ্ঠান। সংস্থা অন্যদিকে আরো সাধারণ শব্দ, যা ব্যাবসায়িক বা অলাভজনক এককগুলির পরিচালনায় ব্যবহার হয়।

প্রতিষ্ঠান হওয়ার পাশাপাশি এগুলি অভিন্ন উদ্দেশ্যে একসাথে কাজ করে, যা হতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অথবা ব্যবসায় উন্নয়ন। প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলির মধ্যে এই ঐক্যবদ্ধতা তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি ও প্রভাবের পরিসর বৃদ্ধি করে।

সংগঠনের উপাদান

প্রতিটি সংগঠন তার সদস্যবৃন্দ, সংগঠনিক কাঠামো, ও পরিচালনা পদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত হয়। এই তিন উপাদান সংগঠনের মূলত্ব এবং কার্যক্ষমতা নির্ধারণে অপরিহার্য।

সদস্যগণ

সংগঠনের প্রথম এবং প্রধান উপাদান হল তার সদস্যবৃন্দ। সদস্যরা বিভিন্ন দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা নিয়ে সংগঠনে অবদান রাখে, যা সংগঠনকে তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে।

কাঠামো

সংগঠনের সংগঠনিক কাঠামো হল যে কাঠামো সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং দায়িত্ব বন্টন করে। এটি কে, কী করছে, কে কাকে আদেশ দিচ্ছে, এবং কারা একে অপরের সাথে কাজ করছে তা স্পষ্ট করে। Griffin অনুযায়ী, একটি সফল কার্য বিভাগীয়করণ সঠিক পদ্ধতিতে কাজের ভার ভাগ করে, যা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

পরিচালনা

সংগঠনের পরিচালনা পদ্ধতি নির্দেশনা, নেতৃত্ব, এবং কার্যক্রমের সমন্বয় নিশ্চিত করে। এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ নির্দেশনা এবং সংগঠনের মানদণ্ড অনুযায়ী কার্যনির্বাহ করা হয়। সফল কার্যাদির সমন্বয় সাধন একটি চ্ছিদ্রহীন, কার্যকর চলাচল তৈরি করে, যা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য

একটি সফল সংগঠন তার লক্ষ্য সেটিং এবং সংগঠনের উদ্দেশ্য স্থির করে এবং তার উপর ভিত্তি করে কার্যক্রম চালায়। এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলি সংগঠনটির সাফল্যের মূল ভিত্তি তৈরি করে।

লক্ষ্য নির্ধারণ

লক্ষ্য সেটিং হচ্ছে কোনো সংগঠনের প্রাথমিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি সঠিকভাবে হলে, সংগঠনটি তার সম্পদ ও সামর্থ্য অনুসারে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে।

  • স্পষ্ট ও মাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
  • সংগঠনের সবার সাথে লক্ষ্যগুলি শেয়ার করা।
  • সম্পদ ও সুযোগগুলির ভিত্তিতে লক্ষ্য সাজানো।
আরও পড়ুনঃ  বিশেষায়িত ব্যাংক কয়টি ও কি কি?

উদ্দেশ্যের গুরুত্ব

সংগঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে যে কেন সংগঠনটি এই লক্ষ্যগুলির দিকে যাত্রা করছে। এগুলি সংগঠনটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপের মূলনীতি নির্ধারণ করে।

  1. সংগঠনের মৌলিক মিশন এবং ভিশন স্পষ্ট করা।
  2. দীর্ঘমেয়াদি ও সংক্ষিপ্ত মেয়াদি লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে অবহিত করা।
  3. বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় পরিস্থিতিতে সঙ্গতিপূর্ণ থাকা।

সব মিলিয়ে, সফল লক্ষ্য নির্ধারণ এবং যথাযথ উদ্দেশ্যের গুরুত্ব সংগঠনকে আরও উন্নতির সোপানে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।

সংগঠনের কার্যক্রম

সংগঠনের কার্যক্রম সংগঠনের স্ট্র্যাটেজি এবং মিশনের সার্থক বাস্তবায়নের মূল কারণ। পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের এই প্রক্রিয়া সংগঠনের দক্ষতা এবং সাফল্যের প্রধান নির্ধারক।

পরিকল্পনা

পরিকল্পনা হল সুনিশ্চিত করা যে প্রতিটি কার্যক্রম সংগঠনের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। অপরিকল্পিত কার্যক্রম সাধারণত সময় ও সম্পদের অপচয় ঘটায়। সফল পরিকল্পনা সংগঠনকে তার পরিকল্পনা মোতাবেক চলতে সাহায্য করে, যা সংগঠনের সামগ্রিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বাস্তবায়ন

শুধু পরিকল্পনা করলেই হয় না, বাস্তবায়ন হল একটি সংগঠনের কার্যক্রমের অন্যতম মূল ভিত্তি। বাস্তবায়ন সফল হলে, তা পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অর্জনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে সাফল্যমণ্ডিত করে। সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সময় ও বাজেটের মধ্যে সংগঠনের স্ট্র্যাটেজি-কে কার্যকরী রূপ দেয়।

সংগঠনের নেতৃত্ব

প্রতিটি সফল সংগঠনের পেছনে একজন দক্ষ নেতা থাকেন যিনি নেতৃত্ব দ্বারা সংগঠনের দিক-নির্দেশনা এবং গতি নির্ধারণ করেন। সংগঠনের নেতার গুণাবলী এবং নেতৃত্বের ধরনের অধ্যয়ন নেতৃত্বের জ্ঞানের বিস্তৃত বিকাশে সহায়ক হয়।

নেতৃত্বের ভূমিকা

একজন নেতার প্রাথমিক কাজ হলো দৃষ্টি নির্দেশনা প্রদান করা এবং সংগঠনের প্রতি যোগ্য ব্যক্তিদের একত্রিত করে সঠিক পথের সন্ধান করা। তারা যে কোন সংকট মোকাবিলা করে সংগঠনকে আরও বৃদ্ধি ও সফলতা পরিচালনায় এগিয়ে নেয়।

নেতৃত্বের প্রকারভেদ

  1. চারিত্রিক নেতৃত্ব: এই ধরনের নেতৃত্বে, নেতা তার চরিত্রের শক্তি ব্যবহার করে অনুসারীদের অনুপ্রাণিত করেন।
  2. লৌকিক নেতৃত্ব: এটি সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী নেতৃত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া।
  3. সিট্যুয়েশনাল নেতৃত্ব: বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন রণনীতি গ্রহণ করে এই ধরনের নেতৃত্ব প্রদান করা হয়।

সফল নেতৃত্ব সংগঠনের তুলনায় অধিক দক্ষতা, কার্যক্ষমতা এবং স্থায়িত্ব সরবরাহ করে। এই প্রক্রিয়াটি না শুধু মৌলিক এবং সাংঘাতিক পরিকল্পনা বুঝতে সাহায্য করে, বরং নেতাদের চাপ ও পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য সাধনে সক্ষম করে।

সংগঠনের সাংস্কৃতিক বিষয়াবলী

প্রত্যেক সংগঠনের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও দলের মান রয়েছে, যা কর্পোরেট কালচার হিসাবে নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে। এই মানগুলি সংগঠনের সাংস্কৃতিক মান এবং দলের সম্পর্ক এবং টিম স্পিরিট গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

একটি সংগঠনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তার ঐতিহাসিক মূল্যবোধ, প্রথা এবং কর্মপদ্ধতি থেকে গঠিত হয়। এই মানগুলি সদস্যদের মধ্যে ঐক্য রক্ষা, আন্তঃক্রিয়া এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা সৃষ্টি করে একটি ইতিবাচক কর্ম পরিবেশ নির্মাণে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনঃ  একচেটিয়া বাজার কাকে বলে?

দলের মান

যেকোনো সংগঠনের দলের মান এবং টিম স্পিরিট প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ। এটি সদস্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সামঞ্জস্যতা এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করে। এই মানগুলি টিম ওয়ার্ক এবং সহযোগিতার মানসিকতা সৃষ্টি করে, যা প্রজেক্ট সম্পাদনের ক্ষেত্রে আরও উত্তম ফলাফল অর্জনে সাহায্য করে।

সব মিলিয়ে, সংগঠনের সাংস্কৃতিক মান এবং কর্পোরেট কালচার তার সাফল্যের মাপকাঠি নির্ণয় করে এবং টিম স্পিরিট বজায় রাখে। এগুলো প্রতিষ্ঠানের স্থায়িত্ব এবং বৃদ্ধিতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

সংগঠনের চ্যালেঞ্জ

প্রতিটি সংগঠন নিজস্ব বিশেষ চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করে থাকে, যার মধ্যে আর্থিক চ্যালেঞ্জ এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রধান। এসব চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবেলা ও সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর্থিক সমস্যাসমূহ

আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি সংগঠনের স্থায়িত্ব এবং বৃদ্ধির প্রধান বাধা হিসাবে দাঁড়ায়। সংগঠনের সমস্যা যেমন বাজেটের ঘাটতি, অনিয়মিত তহবিলের প্রবাহ, এবং আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যতা এই ধরনের আর্থিক ইস্যুগুলি নিয়ে আসে।

সদস্যদের দ্বন্দ্ব

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রায়ই সংগঠনের কর্মদক্ষতা ও সম্প্রীতি ব্যাহত করে। সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য, কর্তৃত্বের সংঘাত, এবং দায়িত্ব পালনে অস্পষ্টতা এসব দ্বন্দ্বের মূল কারণ হতে পারে।

এগুলির সমাধানে কার্যকর কমিউনিকেশন, টিম বিল্ডিং সেশন, এবং নিরপেক্ষ মধ্যস্থতা অত্যন্ত জরুরী। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সংগঠনগুলির অবশ্যই লক্ষ্যমূলক কৌশল এবং সুস্পষ্ট নীতি প্রনয়ন করা উচিত।

সংগঠনের উন্নয়ন ও বৃদ্ধির উপায়

সংগঠনের সফল বিকাশের জন্য ধারাবাহিক ও সুক্ষ্ম নজরদারি অপরিহার্য। সংগঠনের বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের মূলকথা হল, মানব সম্পদের উন্নয়নে নিয়োজিততা এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং এবং সামাজিক সহযোগিতা বৃদ্ধি। এই উপাদানগুলি, উন্নয়নের কৌশল হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মানব সম্পদের উন্নয়ন

মানব সম্পদ হলো সংগঠনের অন্যতম সম্পদ। জনশক্তির সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট ও নিয়মিত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা জরুরী। এজন্য, অনলাইন ফরম্যাটে উপলব্ধ অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার এবং হিউম্যান রিসোর্সেস ডিগ্রীর মতো শিক্ষামূলক অভিগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এম-ফ্লিন্টস সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রমাণ করে, সামাজিক শিক্ষার সাথে আনুষ্ঠানিক ডিগ্রীর বিনিময়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

নেটওয়ার্কিং ও সহযোগিতা

সংগঠনের পরিসর ও প্রভাব বৃদ্ধির অন্যতম অস্ত্র হল নেটওয়ার্কিং এবং সামাজিক সহযোগিতা। “বিডি ক্লিন” নামের সংগঠনের মতো স্থানীয় উদ্যোগ সামাজিক পরিবর্তনের দ্যোতনা বহন করে। এই ধরনের সংগঠন দাওয়াতি কাজে এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বেক্তিগত প্রচারিত প্রোগ্রাম এবং শক্তিশালী সম্মিলন গঠনের মাধ্যমে সারাদেশ জুড়ে নিবেদিত কাজ করে। এটি অর্থনৈতিক অবস্থা বৃদ্ধি এবং বিরোধী শক্তির তৎপরতা মোকাবেলায়ও সাহায্য করে। অহর্নিশ উদ্যোগ ও সঠিক নেটওয়ার্কিং রূপায়ণে, প্রতিটি সংগঠন আরো মজবুত ও চর্চিত হয়ে উঠতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button