কিডনি রোগের লক্ষণ

কিডনি রোগ যে কোনও বয়সে আঘাত হানতে পারে এবং তার লক্ষণসমূহ প্রায়শই অনাক্রম্য হয়ে উঠে। ক্লান্তি, পা ফোলা এবং নিয়মিত কাশি, যা মোসাম্মৎ শামসুন্নাহার এবং অনেকেই উপেক্ষা করেন, এগুলি আসলে ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর এর প্রারম্ভিক সংকেত হতে পারে। যদি এসব কিডনি রোগের প্রারম্ভিক লক্ষণসমূহ ঠিক সময়ে চিন্হিত করা না যায়, তবে কিডনি ডিজিজ দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি ও জটিলতার দিকে নিতে পারে।

বাংলাদেশে যেমন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ক্রনিক কিডনি ডিজিজের প্রধান কারণ হিসাবে গণ্য করা হয়, তেমনি অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান এবং অবজ্ঞা করা ক্লিনিকাল লক্ষণগুলিও গুরুত্বপূর্ণ। এসব কারণ মিলিত হয়ে শরীরের নানা ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, মানসিক কুয়াশা, এবং অস্বাভাবিক প্রস্রাব। অতএব, সময়মতো চিকিৎসা পেশাদারের পরামর্শ গ্রহণ এবং পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরী।

Contents show

কিডনি রোগের কার্য প্রক্রিয়া

কিডনির মূল ফাংশন হলো রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল বিশোধন করে বর্জ্য নিস্কাশন সাধন করা। এই বর্জ্য পদার্থগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। সুস্থ ও সক্রিয় কিডনি একজন ব্যক্তির সার্বিক স্বাস্থ্য রক্ষার এক অপরিহার্য অংশ।

কিডনির অভ্যন্তরীণ কার্যাবলী

কিডনি ফাংশনগুলি প্রধানত তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়: ফিল্টারেশন, রি-এবঝরপশন ও সিক্রেশন। এই প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে কিডনি অতিরিক্ত তরল, ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স ঠিক করে এবং হরমোনজনিত নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে।

কিডনি রোগের প্রভাব

যখন কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস পায়, যাকে আমরা কিডনি ক্ষতি বলে থাকি, তখন শরীরের ক্ষমতা বর্জ্য নিস্কাশনে ব্যাহত হয়। এটি বিভিন্ন রোগীর লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত তরল জমা, এবং শরীরে হাইপারটক্সিমিয়ার সৃষ্টি করে, যা ক্রনিক কিডনি রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

  • বিভিন্ন ধরনের ডায়াগনস্টিক টেস্ট দ্বারা কিডনি ক্ষতির মাত্রা এবং কারণ নির্ণয় করা হয়।
  • সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা দ্বারা কিডনি ফাংশন পুনর্বহালের চেষ্টা করা হয়।
  • ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন খাদ্যাভ্যাস ও পানীয়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, কিডনি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।

কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ

কিডনি রোগের প্রথম ধাপে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়, যার মধ্যে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। এই লক্ষণগুলি যদি সময় মতো চিহ্নিত করা যায় তবে চিকিৎসা শুরু করা সহজ হয় এবং কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুনঃ  শিশুদের হাম হলে কি করনীয়

গতিশীলতা ও ক্লান্তি

কিডনি রোগ যখন তার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে, তখন অন্যতম কমন লক্ষণ হল ক্রনিক ক্লান্তি। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তের মধ্যে টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা সারাদিন ধরে একটি ধরণের ক্লান্তি বোধ হতে পারে।

প্রস্রাবের পরিবর্তন

  • প্রস্রাবে সমস্যা কিডনি রোগের একটি সাধারণ লক্ষণ।

  • প্রস্রাবের রঙ এবং গন্ধের পরিবর্তন হতে পারে, যা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।

  • প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে, যা কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেমের সমস্যাকে তুলে ধরে।

খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন

ভোজনক্ষমতা পরিবর্তন হ’ল আরেকটি প্রথমিক সূচক, যা কিডনি রোগের বিকাশ নির্দেশ করে। এর ফলে ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে অথবা অপেক্ষাকৃত অল্প খাদ্য গ্রহণ করা হয়।

উপরোক্ত প্রাথমিক লক্ষণগুলির প্রতি যত্নশীল মনোযোগ দিয়ে এবং যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু করে কিডনি রোগের প্রসারকে হ্রাস করা যেতে পারে। অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

প্রস্রাবে সমস্যা

কিডনি রোগের ক্ষেত্রে প্রস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা এক প্রধান নির্দেশক। প্রস্রাব কঠিনতা, হেমাটুরিয়া এবং প্রোটিনুরিয়া এই তিনটি লক্ষণ কিডনির কার্যকারিতায় গভীর প্রভাব ফেলে।

প্রস্রাবের ঘনত্ব

প্রস্রাবে অস্বাভাবিক ঘনত্ব হতে পারে যেখানে প্রস্রাব কঠিনতা প্রকাশ পায়। এই সমস্যা থেকে কিডনির অবস্থা নির্ণয়ের পথ প্রশস্ত হয়ে ওঠে। প্রস্রাবের সাধারণ ঘনত্বের পরিবর্তন সাধারণত কিডনি ফাংশনে অস্বাভাবিকতা দেখায়।

রক্তযুক্ত প্রস্রাব

হেমাটুরিয়া অর্থাৎ রক্তযুক্ত প্রস্রাব কিডনি ড্যামেজের একটি প্রকট লক্ষণ। এর মাধ্যমে প্রায়শই পাথুরে বা ইনফেকশন প্রকাশ পায়। রক্তযুক্ত প্রস্রাব দেখা দিলে অবশ্যই উচ্চ প্রাথমিকতার সাথে চিকিৎসা খোঁজা উচিত।

ফেনাযুক্ত প্রস্রাব

প্রোটিনুরিয়া অর্থাৎ প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি যা ফেনাযুক্ত প্রস্রাবের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়। এই অবস্থা ব্যক্তির কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেমের ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়। প্রোটিনের অত্যধিক হারে প্রস্রাবে উপস্থিতি শরীরের প্রোটিনের হ্রাসকে ইঙ্গিত করে, যা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

শরীরের অন্যান্য লক্ষণ

কিডনি রোগের সাথে জড়িত প্রাথমিক লক্ষণ ছাড়াও, কিছু মারাত্মক ফিজিকাল পরিবর্তন যেমন পা ও হাতের ফোলা এবং ত্বকের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এই ধরনের লক্ষণগুলো খুবই সংকেতমূলক এবং তাদের সঠিকভাবে চিনতে পারলে তা অতিরিক্ত ক্ষতি এড়াতে সাহায্য করতে পারে।

পা ও হাতে ফোলা

  • পা ও হাতের ফোলাফোলা অত্যধিক তরল বা রক্তের সঞ্চয় থেকে হতে পারে, যা কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা হ্রাসের লক্ষণ।
  • এই ধরনের ফোলায় পেরিফেরাল এডিমা দেখা দেওয়া একটি সাধারণ ঘটনা।

ত্বকের পরিবর্তন

  • ত্বকে শুষ্কতা, পুরু হওয়া, এবং চামড়ার রং পরিবর্তন চামড়ার রোগ এর লক্ষণ হতে পারে।
  • ত্বক হতে পারে অত্যধিক চুলকানি ও প্রদাহযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ  অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

এই ধরনের লক্ষণগুলোর প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। প্রায়শই, এই লক্ষণগুলো গুরুতর কিডনি অক্ষমতা উন্নয়নের পূর্ববর্তী সংকেত হিসেবে কাজ করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ

কিডনি রোগের কারণে উন্নীত হাইপারটেনশন একটি সাধারণ সমস্যা, যা বাংলাদেশে প্রায় ২০-১৮ জন প্রতি শতাধিক লোকের মধ্যে দেখা যায়। এই উচ্চ রক্তচাপ অবস্থা ভবিষ্যতের গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।

হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ

যখন কিডনি ৮০% ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন ৮০-৯০% রোগীদের মধ্যে হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এই হাইপারটেনশন কারণে অক্ষম কিডনি প্রয়োজনীয় তরল ও মিনারেলস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যা অবধারিতভাবে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।

মাথাব্যথা

অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের একটি দ্রুত ও সাধারণ উপসর্গ হলো মাথাব্যথা। এই ধরনের মাথাব্যথা মাইগ্রেনের মতো তীব্র হতে পারে এবং অতিরিক্ত চাপ কারণে ঘটতে পারে। মাথাব্যথা যখন অন্যান্য উপসর্গের সাথে মিলিত হয়, তখন তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

হাইপারটেনশন এবং মাইগ্রেন উভয়ই কিডনির অবস্থা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সচেতনতা ও নিয়মিত মনিটরিং এই অবস্থাগুলোর পরিচালনায় অপরিহার্য। যথাযথ চিকিৎসা ও পরামর্শের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি সম্ভাব্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

ধূমপান ও অ্যালকোহলের প্রভাব

ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবনের বিভিন্ন দুষ্প্রভাব রয়েছে, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যকেই ক্ষতি করে। তামাকের কুপ্রভাব এবং অ্যালকোহলের দুষ্প্রভাব বিশেষ করে কিডনির উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলে থাকে।

কিডনি স্বাস্থ্য হুমকিতে

ধূমপান কিডনির রক্তপ্রবাহ হ্রাস করে, যার ফলে কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত হয় এবং বর্জ্য পদার্থ ঠিকমতো ফিল্টারিং প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন লিভার এবং কিডনির উপর চাপ বৃদ্ধি করে, যা কিডনি স্বাস্থ্যকে গুরুতরভাবে হুমকির মুখে ফেলে।

লক্ষণগুলো কিভাবে বাড়ে

ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষণের উদ্ভাবন এবং বাড়াতে পারে। এটি মূত্রের রঙের পরিবর্তন, অত্যধিক ক্লান্তি, এবং প্রস্রাব করার সময় অস্বস্তি তৈরি করে। এই ধরণের লক্ষণগুলি যদি লক্ষ্য করা যায়, তবে অবশ্যই যত্নশীল থাকা উচিত এবং তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকাল পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

  • ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্থ কিডনির ক্ষমতা হ্রাস পায়।
  • অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশন ঘটিয়ে কিডনি ফাংশনকে ব্যাহত করে।
  • নিয়মিত মেডিকাল চেক-আপের মাধ্যমে এই প্রভাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সব মিলিয়ে, তামাকের কুপ্রভাব এবং অ্যালকোহলের দুষ্প্রভাব এর জন্য সচেতনতা এবং সাবধানতাই পারে আপনার কিডনি সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে।

ক্লিনিকাল লক্ষণসমূহ

কিডনি রোগজনিত ক্লিনিকাল লক্ষণসমূহ অনেক সময় কিডনির ক্ষতি ও অকার্যকারিতার প্রাথমিক ইঙ্গিত দেয়। এই লক্ষণগুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত ও নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে পরবর্তী মেডিকেল অ্যাসেসমেন্টডায়াগনস্টিক টেস্ট নির্ধারিত হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  নিম্ন পিঠের ব্যথা দূর করে এমন উপায়

পরীক্ষাগারে চেকআপের প্রয়োজনীয়তা

শারীরিক অস্বাভাবিকতা যেমন মেরুদন্ডের দুই পাশে ব্যথা, রক্তপাত, অথবা তরল নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন সমস্যা পরীক্ষাগারের চেকআপের মাধ্যমে আরও গভীরভাবে বোঝা সম্ভব হয়। প্রথমিক মেডিকেল অ্যাসেসমেন্টের জন্য কিডনি ফাংশন টেস্ট, ইউরিন অ্যানালিসিস সহ বিভিন্ন ধরণের ডায়াগনস্টিক টেস্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে।

ডাক্তারের পরামর্শ

আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতির নির্ধারণে ডাক্তারের পরামর্শ অপরিহার্য। চিকিৎসক একেকটি রোগীর অবস্থান বুঝে ক্লিনিকাল লক্ষণগুলিকে সম্যক ভাবে মূল্যায়িত করে থাকেন। নিয়মিত মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট ও যথাযথ ডায়াগনস্টিক টেস্ট করে তিনি রোগের গতিপথ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি করেন।

বয়সের সাথে কিডনি রোগের সম্পর্ক

জীবনচক্র এবং কিডনি রোগের সম্পর্ক বিশেষভাবে গভীর। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিডনির স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, যেহেতু কিডনির কর্মক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে।

বয়স অতিক্রম করলেই লক্ষণ বেড়ে যাওয়া

বয়সের সাথে কিডনি স্বাস্থ্যের পরিবর্তন অনিবার্য, এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের মধ্যে কিডনি রোগের সাধারণ লক্ষণগুলো যেমন ক্লান্তি, ফোলা এবং প্রস্রাবের পরিবর্তনগুলি বেশি প্রকট হয়ে থাকে। এই লক্ষণগুলি প্রথম দিকে খুব সাধারণ মনে হলেও, সময়ের সাথে সাথে এগুলো বাড়তে থাকে এবং নির্ণায়ক হতে পারে।

সম্ভাব্য ঝুঁকি বৃদ্ধি

বয়স্ক ব্যক্তিদের কিডনি স্বাস্থ্য যত্ন নেওয়া চাই-ই। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, এমনকি পারিবারিক ইতিহাস এই ঝুঁকিগুলির মধ্যে পড়ে। আর এই সমস্ত ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণগুলির সাথে সচেতন থাকা ও নিয়মিত চিকিত্সা পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

শেষ কথা, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শী সহযোগিতা কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগ

ডায়াবেটিস মেলিটাস হল একটি দীর্ঘমেয়াদি মেটাবলিক ডিসঅর্ডার যেখানে রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর গুরুতর ঝুঁকি প্রকাশ পায়, বিশেষ করে কিডনি। ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি একটি কিডনি রোগ হিসেবে পরিচিত যা মূলত ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি বিশ্বজুড়ে কিডনির অসুখের এক মুখ্য কারণ।

ডায়াবেটিসের প্রভাব

রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রার স্থায়ী প্রভাবে কিডনির ছোট রক্তবাহী জাহাজগুলোর অবিচ্ছিন্ন ক্ষতি হয়, এটি অবশিষ্ট পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল পদার্থ কার্যকরভাবে পরিশোধন করার কিডনির সক্ষমতাকে হ্রাস করে। কিডনির স্ক্রিনিং, সচেতন সিদ্ধান্ত এবং এ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং ডায়াবেটিক কিডনি রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রস্তাবিত।

কিডনি রোগের লক্ষণ হিসাবে চিন্হিত করা

ডায়াবেটিক কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রায়ই বায়োপত্রী হয়ে থাকে কিন্তু অবস্থার আগ্রশনের সাথে ফুলা হাত পা, ক্লান্তি, বমি, প্রস্রাবের পরিমাণ পরিবর্তন যেমন লক্ষণ কিডনি ফাংশনে পরিবর্তন নির্দেশ করে। নিয়মিত মনিটরিং এবং সচেতন ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে ডিয়াবেটিক রোগীদের মধ্যে কিডনি ক্ষতি প্রতিরোধ বা বিলম্ব করতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button