ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ?

ডেঙ্গু জ্বরের সঙ্গে আসা জ্বর অনেক সময় ৯৯ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে, এবং ৪ থেকে ৬ দিন স্থায়ী হয়ে প্লেটলেট গণনাতে পরিবর্তন আনতে পারে। অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, “দেখা গেছে যে সাধারণ সর্দি, কাশি বা শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা কে আমরা অনেক সময় সাধারণ জ্বর ভেবে ভুল করে থাকি, কিন্তু এগুলো হতে পারে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি।”

বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুর প্রভাব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এবং এশিয়া ৭০% গ্লোবাল রোগ বোঝা বহন করে। ডেঙ্গু ভাইরাস রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে, যা জীবনের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই, মশা বহন করা এডিস মশার সক্রিয় সময়ে, ভোর ও সন্ধ্যায়, বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন এবং উচ্চ পটাশিয়াম, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পেঁপে খাওয়া এবং ফোলেট যুক্ত খাবার গ্রহণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রতিরোধে এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে।

Contents show

ডেঙ্গু কি এবং তা কেন আশঙ্কাজনক?

ডেঙ্গু এমন একটি ভেক্টর-বাহিত রোগ যা মূলত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এই রোগটি তীব্র জ্বর এবং শারীরিক যন্ত্রণা সৃষ্টি করে, যা অবহেলা করলে প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষত, উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বাড়ে, যা ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।

ডেঙ্গুর সংক্রমণের কারণ

ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে থাকে যখন এডিস মশা, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক, মানুষকে কামড়ায়। এই মশাগুলি সাধারণত দিনের বেলায় সক্রিয় হয় এবং স্থির পানির উৎসে প্রজনন করে। বৃষ্টির মৌসুমে এই সমস্যা বিশেষ করে বেড়ে যায়, কারণ মশারা এক্ষেত্রে প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ পায়।

বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ

বিশ্বের অনেক গরম অঞ্চলজুড়ে, যেমন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, এবং আফ্রিকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ গুরুতর হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাংক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, যার মধ্যে অনেকেরই জীবনাশঙ্কা সৃষ্টি হয়। ফলে, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিকল্পনা এবং প্রচারে ডেঙ্গু ক্রমবর্ধমানভাবে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ  গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়

ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণগুলি

ডেঙ্গু জ্বর এক ধরনের মশাবাহিত রোগ যা প্রধানত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি বিশেষ করে উষ্ণ এবং আদ্র অঞ্চলগুলিতে প্রকট হয়ে থাকে।

প্রথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গ

ডেঙ্গুর প্রথমিক লক্ষণগুলি হলো হঠাৎ উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশি ও গাঁটে ব্যথা, বমি, এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। ডেঙ্গু উপসর্গ সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেখা দেয় এবং এই সময়কালেই রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হয়।

শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন

ডেঙ্গু রোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের নানাবিধ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, যেমন চোখ ও মুখের প্রদাহ, শরীর অত্যধিক দুর্বল হওয়া। এই পরিবর্তনগুলো প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট হয়।

  • জ্বর সাধারণত ১০৪°F (৪০°C) পর্যন্ত উঠতে পারে।
  • রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট অনেক ক্ষেত্রেই হঠাৎ কমে গিয়ে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা এবং রক্তপাতযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করে।
  • উপযুক্ত হাইড্রেটেশন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, যেমন ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক যুক্ত খাবার, রোগীর অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধে এডিস মশাদের বিস্তার রোধ করা এবং মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। প্রথমিক লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কেননা ডেঙ্গু চিকিৎসায় দেরি হলে জটিলতা আরও বাড়তে পারে।

ডেঙ্গুর গুরুতর লক্ষণগুলি

ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ গুরুতর পরিণতি নিয়ে আসতে পারে, যেমন ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এই অবস্থাগুলির মধ্যে রক্তক্ষরণ, শরীরের অন্তর্নিহিত অঙ্গগুলির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, এবং হঠাৎ রক্তচাপের অস্বাভাবিক পতন অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

দীপ্তিময়েই জন্য যত্নের প্রয়োজন

এমন অবস্থায় রোগীকে তৎক্ষণাৎ উচ্চতর মেডিক্যাল যত্নের প্রয়োজন হয়। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার-এ রক্তপাত এবং প্লাজমা নিঃসরণের ফলে শরীরে তরলের অভাব সৃষ্টি হয়, যা অতিরিক্ত নজরদারি এবং চিকিৎসার দাবি করে।

শক সিনড্রোমের লক্ষণ

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হল একটি মারাত্মক অবস্থা যা অত্যন্ত নিম্ন রক্তচাপের কারণে ঘটে, এবং রোগীর শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে। এই শক সিনড্রোম ঘটলে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

  • হঠাৎ করে রক্তচাপ পতন
  • তীব্র পেটের ব্যাথা
  • ক্রমাগত বমি
  • মারাত্মক অবস্থায় রক্তক্ষরণ

এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডেঙ্গু নির্ণয়ের পদ্ধতি

ডেঙ্গু নির্ণয় বাংলাদেশে এক জরুরি স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয়তা। এই নির্ণয় প্রক্রিয়াটি মূলত দুটি ধাপে বিভক্ত, যেখানে প্রথমে চিকিৎসার সময় একটি প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়, এবং পরে ইমিউনোলোজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় নিশ্চিত করা হয়।

চিকিৎসার সময় পরীক্ষা করা

একজন রোগী যখন ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে যায়, চিকিৎসকরা সর্বপ্রথম রক্তের নমুনা নিয়ে ডেঙ্গু এনএস১ এন্টিজেন টেস্ট এবং সাধারণ রক্ত পরীক্ষা (সিবিসি) করে থাকেন। এই পরীক্ষাগুলি ডেঙ্গু নির্ণয়ে প্রাথমিক ধারণা দেয় এবং পরবর্তী নির্ণয়ের পথ প্রদর্শন করে।

আরও পড়ুনঃ  কুকুরের কামড়ে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়?

ইমিউনোলোজিক্যাল টেস্ট

ডেঙ্গু নির্ণয়ের প্রাথমিক পরীক্ষার পর, ইমিউনোলোজিক্যাল পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষায় ডেঙ্গু ভাইরাসের IgM এবং IgG অ্যান্টিবডি চিহ্নিত করা হয়। ডেঙ্গুর IgM অ্যান্টিবডি সাধারণত প্রথম সপ্তাহে পজিটিভ হয়ে যায় এবং এটি সংক্রমণের প্রাথমিক ইঙ্গিত দেয়। IgG অ্যান্টিবডি গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদী ইমিউনিটি প্রতিফলন করে।

এই পরীক্ষাগুলির ফলাফল ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য অপরিহার্য। স্বল্প সময়ে সঠিক নির্ণয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে, রোগীর জীবন রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।

লক্ষণগুলি কখন চিনবেন?

ডেঙ্গু জ্বর থেকে উচ্চ ঝুঁকি সামলানোর জন্য প্রথমিকভাবে লক্ষণগুলি সনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। এডিস মশার কামড়ের পর প্রায় ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের শুরুতে লক্ষণগুলি দেখা দেয়। তাই, সচেতনতা ও সাবধানতা অত্যন্ত প্রয়োজন।

লক্ষণ হওয়ার সময়ের নির্ধারণ

শুরুতে হালকা জ্বর এবং শরীরে ব্যথা ডেঙ্গুর প্রারম্ভিক সংকেত। এই লক্ষণগুলোর উপস্থিতি প্রায়শই বেশি গুরুতর সমস্যার আভাস দেয়। ডেঙ্গু জ্বরের শুরুতে লক্ষণগুলি সময় মতো চিনতে না পারলে, উচ্চ ঝুঁকি এবং জটিলতার সম্ভাবনা বাড়ে।

উচ্চ ঝুঁকির উপসর্গ

  • ডেঙ্গু জ্বর যদি ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট অতিক্রম করে
  • তীব্র পেটে ব্যাথা এবং বারবার বমি
  • চামড়ায় র‌্যাশ ও চোখের পেছনে ব্যথা
  • মাথাব্যাথা, যা চোখ নড়াচড়া করলে আরও বাড়তে থাকে

এই সব লক্ষণ উচ্চ ঝুঁকি নির্দেশ করে এবং অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

প্রত্যেকটি লক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে, সঠিক সময়ে প্রতিকার এবং পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু উচ্চ ঝুঁকি সংক্রান্ত অবস্থার মোকাবেলায় সঠিক সাবধানতা ও পদক্ষেপ এই ভাইরাল অবস্থার মোকাবিলা এবং প্রতিরোধ করতে পারে।

মাতৃগর্ভে ডেঙ্গুর প্রভাব

গর্ভাবস্থায় মাতৃগর্ভে ডেঙ্গু সংক্রমিত হলে তা গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য প্রভাব ফেলে, যা মা ও ভবিষ্যৎ শিশু উভয়ের জন্যই বড় ধরণের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। গর্ভাবস্থায় মাতার দেহে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবের ফলে, শিশুর ভ্রুণে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, যা শিশুর জন্মের পরও প্রভাব ফেলতে পারে।

গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি

  • অপর্যাপ্ত পুষ্টি এবং দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষয় প্রক্রিয়া ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • গর্ভধারণের সময় ডেঙ্গু জ্বর হলে, সম্ভাব্য গর্ভপাত কিংবা প্রসাবের সময় সমস্যার আশংকা থাকে।
  • গর্ভস্থ শিশুর বিকাশে ব্যাঘাতজনক প্রভাব পড়তে পারে, যা শিশুর জন্মের পরেও তার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরিণত হয়।

সন্তান জন্মের পরে সমস্যা

  1. জন্মগত মাতৃগর্ভে ডেঙ্গুর প্রভাবের ফলে শিশুরা পুষ্টির অভাবে ভুগতে পারে, যা তাদের সার্বিক বৃদ্ধি ও বিকাশ প্রভাবিত করে।
  2. যদি গর্ভাবস্থায় মা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তবে সংক্রামিত ডেঙ্গু ভাইরাস প্রসবের পর শিশুর জন্মের প্রথম কয়েক মাসে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  3. নবজাতকের অপর্যাপ্ত শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট সম্ভব্য জটিলতাগুলির প্রতি তাকে আরও অসহায় করে তোলে।
আরও পড়ুনঃ  কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে?

এই বিশেষ নজরদারি এবং তথ্য অবতানের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু সমস্যাগুলির মোকাবেলা এবং প্রতিরোধ সম্ভব হতে পারে।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধের উপায়

ডেঙ্গু প্রতিরোধের অগ্রাধিকার হলো মশার কামড় এড়ানো এবং আশপাশের পরিবেশগত উন্নতি আনা। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার এই কৌশলগুলি তুলনামূলকভাবে সহজ, কিন্তু এগুলির কার্যকারিতা নিশ্চিত করা জরুরী।

মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায়

  • মশার দংশন প্রতিরোধক ব্যবহার করা যেমন ডিইটি-যুক্ত স্প্রে বা ক্রিম।
  • সন্ধ্যা এবং সকালের দিকে মশাদের সক্রিয়তা বেশি থাকায় এ সময় পরিষ্কার এবং বাতাস প্রবাহিত পোশাক পরিধান করা।
  • শোবার ঘর এবং বাসার জানালা-দরজায় মশারী টানিয়ে রাখা।

পরিবেশগত পরিবর্তন

  • জলাধার থেকে অপ্রয়োজনীয় জল সরিয়ে ফেলা, যাতে মশার প্রজননের উৎস না থাকে।
  • বাড়ির আশেপাশের জমে থাকা জলাভূমি পরিষ্কার রাখা।
  • জমা পানির জায়গায় মশানাশক রাসায়নিক বা তেল ছিটানো, যাতে মশা জন্মাতে না পারে।

এসব পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগ এবং নিয়মিত মনিটরিং ডেঙ্গু প্রতিরোধে অপরিহার্য। একটি সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিটি ব্যক্তির সচেতনতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরী।

চিকিৎসার বিকল্প

ভারতে ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত গ্রীষ্মের আগে এবং বর্ষাকালে চরমে পৌঁছায়, বিশেষত মার্চ থেকে জুন মাসে এবং এপ্রিলে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। ডেঙ্গু আক্রান্তের লক্ষণগুলি, যেমন – জ্বর যা তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে, শারীরিক ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, ও চোখের পিছনে ব্যাথা জনিত কষ্ট নির্ণয়ের পাশাপাশি চিকিৎসায় আধুনিক প্রতিরোধকের ব্যবহার, যেমন পারমেথ্রিন জাতীয় রাসায়নিকের পণ্য, মশা কামড় থেকে রক্ষা করে।

ঢাকা শহরে বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে ১৫১ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা সতর্ক করেছেন যে, মশার নিয়ন্ত্রণে শক্ত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি অধিকতর খারাপ হতে পারে। ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়িঘরের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ বিভিন্ন প্রতিরোধ মাপকাঠিও নিয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা এডিস মশার প্রজনন রোধে ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থির জলাশয়ে ব্যবস্থাপনার জন্য শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছেন। মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস মশার ছড়ানো এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে ঢাকা শহরে কাজ করবে বিশ মোবাইল দল। এই পরিস্থিতিতে, সচেতনতা, নিজেদের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রচারাভিযানে সক্রিয় অংশগ্রহণ আবশ্যক।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button