প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয়?

প্রস্রাবের সংক্রমণ, যা সাধারণত ইউরিনারি ইনফেকশন নামে পরিচিত, ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যেই বেশ প্রচলিত এক সমস্যা। বিভিন্ন নির্বাচিত খাবার এবং খাদ্যাভ্যাস এই ইউরিনারি ইনফেকশন ডায়েটের অংশ। এমন সময়ে একটি সঠিক প্রস্রাবে সংক্রমণের খাবার তালিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যান বলছে, ক্র্যানবেরি জুস প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির প্রতিরোধ করে, যেখানে D-mannose নামক উপাদান ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধ করতে পারে। ইয়োটিআই খাদ্যাভ্যাসে জোর দেওয়া উচিত পরিমিত পানি পান এবং ভিটামিন সি, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলমূল এবং সবজিতে, যেগুলির নিয়মিত গ্রহণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং ইউটিআই প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সিংহভাগ মানুষের পক্ষে প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ খাওয়া শুরু করা প্রবণতা রয়েছে, কিন্তু অতিরিক্ত ওষুধের ব্যবহারের ফলে ইউটিআই চিকিৎসায় ড্রাগ প্রতিরোধী সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ইউরিনারি ইনফেকশন ডায়েটে শাকসব্জি যেমন ব্রকোলি এবং ফল যেমন পেঁপে, যারা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, এদের কার্যকারিতা রয়েছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে। ইউটিআই সময়ে, সাইট্রাস ফল এবং টমেটোর মতো অ্যাসিডিক ফল এবং উচ্চ মশলাযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা জরুরি। নিয়মিত ৩ লিটার পানি পান এবং জটিল কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়, যাতে শরীরে চিনি পরিণতি সহজে না হয়।

Contents show

প্রস্রাবে ইনফেকশনের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

প্রস্রাবে ইনফেকশন বা ইউটিআই এক ধরনের সাধারণ সমস্যা, যা বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি প্রায়ই মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশের ফলে হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কিছু ইউরিনারি ইনফেকশন লক্ষণ এবং মূত্রপথ সংক্রমণ কারণ রয়েছে যা এই সমস্যায় সচেতনতা বাড়াতে পারে।

প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ

  • প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভূতি।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব তাগিদ, তবে পরিমাণে কম।
  • প্রস্রাবে অস্বাভাবিক গন্ধ বা রঙ পরিবর্তন।
  • তলপেটে ব্যথা বা অস্বস্তি।

কারণসমূহ

  1. জৈবিক কারণ: মূলত ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ ঘটে, যা অন্ত্র থেকে মূত্রনালীতে ছড়িয়ে পড়ে।
  2. অনুপযুক্ত হাইজিন: অপর্যাপ্ত জেনিটাল হাইজিন পন্থা অবলম্বন করা।
  3. মূত্র স্থিতি বিঘ্ন: মূত্র প্রবাহে বাধা পড়লে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  4. জল পানের পরিমাণ: অপর্যাপ্ত জল পান করা।

রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া

ইউটিআই ডায়াগনসিস সাধারণত লক্ষণ এবং চিকিৎসকের পরীক্ষার মাধ্যমে হয়ে থাকে। রোগীকে বিস্তারিত ইতিহাস নেওয়া এবং প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যা ইউটিআই ডায়াগনসিস কনফার্ম করতে সাহায্য করে। প্রস্রাবের নমুনার গুরুত্ব এখানে অপরিসীম, কারণ এটি ইনফেকশনের মাত্রা এবং এর জীবাণু সংক্রমণের ধরন নির্ধারণ করে।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় কেন?

উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস

প্রস্রাব সংক্রান্ত ইনফেকশন চিকিৎসায় সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা অপরিসীম। এ সংক্রান্ত সমস্যায় কিছু খাদ্য উপাদান যেমন পানি পান করা, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং প্রোবায়োটিক খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাদ্যাভ্যাস গুলি শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে থাকে এবং ইনফেকশন হ্রাসে সহায়তা করে।

পানির গুরুত্ব

প্রস্রাবে ইনফেকশনে সম্মুখীন হলে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। প্রচুর পানি পান করলে মূত্রনালী ও ব্লাডার ভালোভাবে পরিষ্কার হয়, যা ব্যাকটেরিয়াকে বাড়ার অনুকূল পরিবেশ প্রদান করে না।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার যেমন কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, এবং ক্যাপসিকাম ইউরিনারি ট্র্যাক্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং ইনফেকশন রোধ করতে সহায়ক। এগুলি শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে তোলে।

প্রোবায়োটিকসের উৎস

প্রোবায়োটিক খাবার যেমন দই এবং ছানা শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে উন্নতি করে এবং হজম ব্যবস্থাকে সহায়তা করে। এই খাদ্যাভ্যাস মূত্রনালীর ইনফেকশনের পুনরাবৃত্তি হ্রাস করে, এবং স্বাস্থ্যকর মূত্রথলি গঠন করা৷

বাদ দেওয়া খাবারসমূহ

প্রস্রাবে ইনফেকশনের সময় কিছু খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। এই খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন, এলকোহল, মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, যা মূত্রনালীর সংক্রমণ বিকাশে বাড়তি উত্তেজনা সংযোগ করতে পারে। সুতরাং, ক্যাফেইন বর্জন, এলকোহল মুক্ত ডায়েট, এবং সুগার ফ্রি খাবার গ্রহণ করা উপকারী।

ক্যাফেইন ও এলকোহল

  • কফি এবং চায়ের মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
  • এলকোহল যেমন বিয়ার, ওয়াইন বা হার্ড ড্রিঙ্কস গ্রহণ না করাই ভালো।

মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত ফুড

  • চিনি এবং চিনিযুক্ত পানীয় এবং খাবার এড়ানো জরুরি।
  • চকোলেট, কুকিজ, কেক এবং অন্যান্য মিষ্টি আইটেম এড়িয়ে চলুন।

টমেটো এবং মশলা

  • টমেটো এবং টমেটো ভিত্তিক সস যেমন কেচাপ এবং মারিনারা সসের ব্যবহার কমান।
  • মশলাদার খাবার যেমন ভারতীয়, মেক্সিকান যা আপনার মূত্রনালীকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে, সেগুলি এড়িয়ে চলা ভালো।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে এসব খাবার বাদ দিয়ে আরও স্বাস্থ্যকর এবং নিরামিষ খাবার যেমন ফলমূল, শাকসবজি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।

স্বাস্থ্যকর পানীয়ের তালিকা

প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধে এবং চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর পানীয় অত্যন্ত উপকারী। এই পানীয়গুলো শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং ইউরিনারি ট্র্যাকটে সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

কয়েকটি উপকারী পানীয়

  • ক্র্যানবেরি জুস: এটি ব্লাডারের ব্যাকটেরিয়ায় বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
  • কমলা ও লেবুর জুস: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে।
  • নারিকেল পানি: হাইড্রেশন বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী।

গরম পানি ও লেবুর পানি

গরম পানির উপকারিতা অসাধারণ। এটি পরিপাক তন্ত্র এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্টকে সচল রাখে। লেবুর পানি পান করলে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হয় যা কিডনির পাথর প্রতিহত করতে পারে।

খেজুর জল ও নারকেল পানি

খেজুর জল মিনারেলের অন্যতম উৎস, যা মেটাবলিজম বাড়ায়। নারকেল পানি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং হাইড্রেটেড রাখে শরীরকে। এই ধরণের পানীয় দেহের স্বাস্থ্য সংরক্ষণে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে গণ্য হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি?

ফলমূলের ভূমিকা

প্রস্রাবে ইনফেকশন মোকাবেলায় ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে, হাইড্রেটিং ফ্রুটসভিটামিন-সি ফ্রুটস শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।

পানি জাতীয় ফল

হাইড্রেটিং ফ্রুটস অত্যন্ত জরুরি যা শরীরকে প্রচুর পানি সরবরাহ করে। এই ধরনের ফল যেমন তরমুজ ও শসা শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেট করে থাকে। যা ইনফেকশনের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও উপকারী।

  • তরমুজ: প্রচুর পানি ধারণ ক্ষমতার কারণে তরমুজ একটি উত্তম হাইড্রেটিং ফ্রুট
  • শসা: এটি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীর হালকা ও ফুরফুরে থাকে।

ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল

ভিটামিন-সি ফ্রুটস শরীরের ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে তোলে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আমলকি, কমলা, এবং লেবু এর মতো ফলগুলি প্রস্রাবে ইনফেকশনের প্রতিরোধ ও চিকিত্সায় সাহায্য করে।

  • আমলকি: ভিটামিন সি’র একটি সমৃদ্ধ উৎস যা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
  • কমলা ও লেবু: এগুলি ভিটামিন সি ছাড়াও ফাইবারে ভরপুর যা হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং ডিটক্সিফাই করে।

সবমিলিয়ে, হাইড্রেটিং ফ্রুটস এবং ভিটামিন-সি ফ্রুটস প্রস্রাবে ইনফেকশন সামলানোর জন্য ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে এই ফলগুলির নিয়মিত গ্রহণ অনুশীলন করা উচিত।

শাকসব্জির গুরুত্ব

আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় শাকসবজির ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে সবুজ শাকসবজির উপকারিতা অনস্বীকার্য। এসকল শাকসব্জি মূলত আমাদের শরীরের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

সবুজ শাকসবজি

সবুজ শাকসবজির মধ্যে স্পিনাচ, কলার্ড শাক, পালং ইত্যাদি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এগুলো ভিটামিন এ, সি এবং কে, লৌহ, ফলেট এবং ফাইবারের অসাধারণ উৎস, যা আমাদের রক্তনালী ও হৃদপিণ্ডের প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে।

মূলা ও গাজর

মূলা এবং গাজরের স্বাস্থ্যগুণ বহুমুখী। গাজর চোখের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি হার্ট ও লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে, বিশেষ করে তাদের উচ্চ পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিনের কারণে। এদিকে, মূলা হজমশক্তি উন্নত করা, পেট ফাঁপা কমানো এবং লিভার এবং পিত্তথলির সাফাইয়ে কার্যকরী।

একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যানে এই শাকসবজিগুলির নিয়মিত অন্তর্ভুক্তি, বিশেষ করে যদি আপনি মূত্রনালী সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি প্রদাহ হ্রাস করে এবং সার্বিকভাবে শরীরকে ক্রিয়াশীল এবং উদ্দীপিত রাখতে সহায়তা করে।

সঠিক প্রোবায়োটিক খাবার

প্রোবায়োটিক খাবার হিসেবে দই ও ছানা খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। একজন স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তির জন্য প্রোবায়োটিক খাবার গুলির উপকারিতার সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী।

দই

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই-এর নানাবিধ দই উপকারিতা আছে, যা শরীরের পাচন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। দই ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য পাথজেনিক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

ছানা

ছানা একটি উৎকৃষ্ট প্রোবায়োটিক খাবার যা ছানা স্বাস্থ্য গুণ সমৃদ্ধ। এটি প্রোটিনের একটি ভালো উৎস এবং এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ভিটামিন বি জাতীয় উপাদানও থাকে, যা হাড়ের গঠন ও দৃঢ়তার জন্য জরুরী। ছানা খাওয়ার ফলে শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়, এবং এর প্রোবায়োটিক গুণাগুণ অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

  • প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক উপাদান হিসেবে দই ও ছানা উপকারিতা অনেক।
  • দই এবং ছানা খাওয়ার ফলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সমতা বজায় থাকে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত দই ও ছানা খাওয়া উপযুক্ত।
আরও পড়ুনঃ  বাচ্চাদের রক্তে ইনফেকশন কেন হয়?

সার্বিকভাবে, দই এবং ছানা যেমন প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক খাবার হিসেবে উল্লেখযোগ্য, তেমনি এর উপকারিতা স্বাস্থ্য সংরক্ষণে অবদান রাখে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে এই দুই খাবারের সংযোজন আমাদের শরীরিক ও আত্মিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।

সীমিত মাংস খাওয়া

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আয়োজনে লো ফ্যাট মাংস এবং চিকেন ও মাছের ডায়েট স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী। এই ধরণের ডায়েট শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

চিকেন ও মাছের উপকারিতা

চিকেন এবং মাছ প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস হিসাবে পরিচিত, যা মাংসপেশীর গঠন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অপরিহার্য। বিশেষত, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন, টুনা, এবং পমফ্রেট, হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় অবদান রাখে। এই ধরণের লো ফ্যাট মাংস ও মাছ খাওয়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক।

মাংস পরিহার করার সময়

  • ইউরিন ইনফেকশনের সময়: এই সময় অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস বা লো ফ্যাট মাংস না খেয়ে প্রাথমিকতম ডায়েট বিশেষ করে চিকেন ও মাছের ডায়েট গ্রহণ করা উচিত।
  • রেড মাংস পরিহার: যে কোনো ধরণের উচ্চ চর্বিযুক্ত লাল মাংস পরিহার করা ভালো, কারণ এটি শরীরে প্রদাহের প্রবণতা বাড়াতে পারে।

চিকেন ও মাছের ডায়েট বিবেচিত হয় যখন লো ফ্যাট মাংস এবং পুষ্টিগুণের ব্যবস্থাপনায় আদর্শ সামঞ্জস্য সাধন প্রয়োজন। স্বাস্থ্যজীবনে একটি সঠিক এবং ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট গ্রহণ একটি উচ্চাভিলাষ।

হেলথ সাপ্লিমেন্টস

সুস্থ থাকতে এবং প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধে ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্টের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মিনারেল সাপ্লিমেন্ট এবং ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নির্বাচনে সচেতন থাকা এবং সঠিক সাপ্লিমেন্টস গাইড অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলের মাধ্যমে আমাদের শরীর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা নানা সংক্রমণ ও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট

ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট যেমন রিবোফ্লেভিন, যা রিবোফ্লেভিন-সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণত পরীক্ষা না করা হলেও, EGRAC মান দ্বারা ঘাটতি নির্ধারণ করা হয়। উপযুক্ত রিবোফ্লেভিনের অবস্থা প্রাপ্তিতে EGRAC এর মূল্য ১.২ এর কম হলেই আদর্শ। সেলেনিয়ামের উপাদান, যা শরীরের সেলেনোপ্রোটিনের আকারে থাকে, তা হাড়ের পেশিতে প্রায় ২৮% থেকে ৪৬% পর্যন্ত থাকে। প্লাজমা বা সিরাম সেলেনিয়াম ঘনত্ব যদি ৮ মাইক্রোগ্রাম (mcg)/dL অথবা বেশি হয়, তাহলে সেটিকে স্বাস্থ্যকর ব্যক্তিদের জন্য যথেষ্ট ভাবে নির্ধারণ করা হয়।

হেলথ সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজনীয়তা

বিশেষত, বর্ষাকালে প্রস্রাবে ইনফেকশনের মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেকেই উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরপরই দ্রুত ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন। এরকম অবস্থায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, লেবু, এবং ঋতুভেদে পাওয়া বেরিগুলি প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রতিদিন ৩ লিটার পানি পান করা ব্যাকটিরিয়া বের করে দেওয়ার এবং প্রস্রাবে ইনফেকশন রোধে সাহায্য করে। সঠিক ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট নিয়মিত গ্রহণ আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে অসামান্য সাপোর্ট যুগান্তে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button