কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ?

কোমর ব্যথা একটি সাধারণ অভিযোগ, যা বহু ব্যক্তির জীবনযাপনে বাধা দেয়। প্রায় ৯০% কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে শল্য চিকিৎসা অপ্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, কারণ ব্যথা নিজে নিজে উন্নতি লাভ করে। তবে, স্লিমানীয় কাজের প্রকৃতি, দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, অনুপযুক্ত ভঙ্গিমা এবং সেডেন্টারি জীবনযাপনের কারণে সফ্টওয়্যার পেশাজীবীদের মধ্যে কোমর ব্যথা প্রচলিত। সম্প্রতি গবেষণা থেকে জানা গেছে, ধূমপান এবং কোমর ব্যথার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়া, মাধ্যাকর্ষণের বল, এবং হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে কোমর ব্যথা প্রসবের কিছু দিন আগে অবধি অনুভূত হতে পারে।

ব্যথার স্মারকচিহ্ন হিসেবে, কোমর ব্যথার লক্ষণ হিসেবে মাংসপেশির চাপ, ডিস্ক সমস্যা, এবং হাড়ের অবস্থান পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি উল্লেখযোগ্য। কোমর ব্যথা কেন হয় সে বিষয়ে মেরুদণ্ডের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এবং এম.আর. আই. স্ক্যানের মতো উপযুক্ত পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে কিছু কারণ নির্ণয় করা সহজ। অতএব, কোমরের ব্যথার কারণ ও লক্ষণ অনুসারে চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Contents show

কোমর ব্যথার সাধারণ কারণগুলি

কোমর ব্যথা বর্তমান সমাজে একটি প্রচলিত সমস্যা হয়ে উঠেছে, যা বিভিন্ন কারণে উদ্ভূত হতে পারে। এই ব্যথা জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। নিম্নলিখিত বিভাগগুলি কোমর ব্যথার কিছু সাধারণ কারণ তুলে ধরে:

মাংসপেশীর চাপ ও স্ট্রেন

মাংসপেশীর টান বা চাপ হল কোমর ব্যথার একটি প্রধান কারণ। অত্যধিক শারীরিক কার্যক্রম, ভুল পদ্ধতিতে ওজন তোলা, অথবা অস্থির বসার ভঙ্গিমা কোমরের মাংসপেশীগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা কোমর ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

ডিস্কের সমস্যা

মেরুদণ্ডের ডিস্ক ব্যথা মূলত মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলির অবক্ষয় বা ক্ষতির ফলে ঘটে। ডিস্ক ফেটে যাওয়া বা স্পীত ডিস্ক হলে তা নার্ভের উপর চাপ দিয়ে কোমর ব্যথা সৃষ্টি করে।

হাড়ের অবস্থান পরিবর্তন

আমাদের হাড় এবং জয়েন্টগুলির বিবর্তনের ফলে যদি অবস্থান পরিবর্তন হয় তবে এটি হাড়ের সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানায়, যা কোমর ব্যথার একটি কারণ হতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলি ভারী উত্তোলন অথবা আকস্মিক চোট পাওয়ার ফলে ঘটতে পারে।

আমাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপের মধ্যে যাতে সহজেই এই সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে, তাই সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে এগুলি প্রতিরোধ করা উচিত। সুস্থ জীবনধারা এবং সঠিক শারীরিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোমর ব্যথার পূর্বাভাস দিয়ে সাহায্য করতে পারে।

কোমর ব্যথার সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণ

কোমর ব্যথা অনেকাংশে একটি সাধারণ অসুবিধা হলেও, এর পিছনে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা কাজ করতে পারে। প্রায়শই, কোমর ব্যথার সাথে কিছু অতিরিক্ত লক্ষণ যেমন তীব্র ব্যথা, পেশী দুর্বলতা, এবং শরীরের নিচের অংশের শীতলতা দেখা দেয়।

আরও পড়ুনঃ  পিরিয়ড না হলে কি কি সমস্যা হয়?

তীব্র ব্যথা এবং অস্বস্তি

স্নায়ুর সমস্যা এবং মেরুদণ্ড সংক্রান্ত জটিলতায় তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, যা কোমর থেকে পা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথা কখনও কখনও চালাকলা, বসা অথবা হাঁটার সময় আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে।

পেশী দুর্বলতা

পেশী দুর্বলতা বিশেষ করে মেরুদণ্ডের নীচের অংশে প্রভাব ফেলে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত চাপ, দীর্ঘমেয়াদে বসে থাকা বা ভুলভাবে শারীরিক কাজ করার ফলে হতে পারে। পেশী দুর্বলতা শরীরের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সামান্য কাজেও ক্লান্তি অনুভূত হয়।

শরীরের নিচের দিকে শীতলতা

মেরুদণ্ডের সমস্যা বা স্নায়ুর সমস্যা এর ফলে পায়ের নিচের দিকে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটি প্রায়ই পায়ের নিচের দিকে শীতলতা এবং সংবেদনশীলতার হ্রাস ঘটায়।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রভাব

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনেক শারীরিক ও মানসিক অস্বাস্থ্যের কারণ হতে পারে, যার মধ্যে কোমর ব্যথা এবং অবসাদ অন্যতম। এই জীবনযাত্রা না কেবল শারীরিক পেশীগুলির উপর প্রভাব ফেলে, বরং মানসিক স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

অবসাদ এবং অলসতা

অনিয়মিত ঘুমের চক্র, অত্যধিক মানসিক চাপ, এবং শারীরিক অনুশীলনের অভাবে অবসাদ এবং অলসতা বাড়তে থাকে। এই মানসিক অবস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে এক ধরনের অস্বাস্থ্যকর চক্র তৈরি করে, যা কোমর ব্যথা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

ভুল ভঙ্গি এবং কাজের অভ্যাস

দীর্ঘকাল ধরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা বা অসঠিক ভঙ্গিতে কাজ করার ফলে কোমরে চাপ পড়ে। এতে কোমরের মাংসপেশীগুলি দুর্বল হয়ে যায় এবং কোমর ব্যথা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও, ভুল ভঙ্গি শিরদাঁড়ায় অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা কোমর ব্যথার একটি বড় কারণ হতে পারে।

তাই, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এবং সঠিক ভঙ্গি অবলম্বন কোমর ব্যথা প্রতিরোধে অত্যন্ত জরুরি। কর্মক্ষেত্রে বা ঘরে বসার সময় প্রায়ই বিরতি নেওয়া, মাঝে মাঝে হাঁটা এবং সচেতনভাবে শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখা উচিৎ।

বয়স এবং কোমর ব্যথার সম্পর্ক

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক পরিবর্তনহাড়ের রোগ কোমর ব্যথা সৃষ্টির একটি প্রধান কারণ হয়ে ওঠে। এটি বিশেষ করে বয়স্ক জনগোষ্ঠীতে দেখা দেয়, যেখানে প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভুগতে থাকেন। বয়স এবং কোমর ব্যথার এই সম্পর্কটি ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যায় যখন হাড় ক্ষয় এবং অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে।

বৃদ্ধিতে শারীরিক পরিবর্তন

শারীরিক পরিবর্তন যেমন অস্টিওপোরোসিস এবং মেরুদণ্ডের ডিস্ক পরিবর্তনের ফলে কোমর ব্যথা হতে পারে। এসকল পরিবর্তন ব্যথা নির্ণয় ও চিকিৎসায় জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে।

হাড়ের রোগের প্রবণতা

হাড়ের রোগ যেমন স্পন্ডাইলাইটিস বা আর্থ্রাইটিস হলো অন্যতম প্রধান কারণ যা বয়সের সাথে সাথে কোমর ব্যথাকে তীব্র করে তোলে। এসকল হাড়ের রোগ শারীরিক মুভমেন্টকে বিঘ্নিত করে তুলে এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে কষ্টসাধ্য করে তোলে।

সার্বিকভাবে, বয়স এবং কোমর ব্যথা একে অপরের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। বয়সের প্রভাবে শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি এবং হাড়ের রোগজনিত সমস্যা বাড়ার কারণে কোমর ব্যথা অবধারিত এবং প্রায় সকলেরই সামনে আসে। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক কসরত ও সঠিক ডায়েট মেনে চলা, এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

কোমর ব্যথার বিভিন্ন প্রকার

কোমর ব্যথা সাধারণত দুই প্রকারে ভাগ করা হয়: তীব্র ব্যথা এবং দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথা। এক্ষেত্রে, তীব্র ব্যথা হলো হঠাৎ করে উপস্থিত যা কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। অন্যদিকে, দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথা হলো তীব্র পর্যায়ের পরে যা মাস বা বছরজুড়ে ব্যথা অব্যাহত থাকে।

আরও পড়ুনঃ  রক্তে ইনফেকশন কেন হয়?

তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা

তীব্র ব্যথার কারণে মানুষ হঠাৎ করে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করে থাকেন, যা সচারাচর কোনো দুর্ঘটনা বা অপ্রত্যাশিত আঘাতের ফলে হতে পারে। অপরপক্ষে, দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথা সাধারণত শরীরের বিবর্তনিক অবস্থান বা ভুল ভঙ্গিমার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কারণে হতে থাকে।

স্নায়ুর সমস্যার কারণে ব্যথা

স্নায়ুর সমস্যা থেকে যে ব্যথা সৃষ্টি হয় তা বিভিন্নভাবে বোঝা যায়। স্নায়ুতে চাপ পড়া, স্নায়ুজনিত ইনফেকশন বা চোটজনিত কারণে কোমরের নানাবিধ সমস্যা হতে পারে, যা কোমরে চাপ দিয়ে ব্যথার সৃষ্টি করে।

  • তীব্র ব্যথার কারণে অনেক সময় হাটা-চলায় অসুবিধা হয়।
  • দীর্ঘস্থায়ী কোমর ব্যথা জীবনযাত্রার মানের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।
  • স্নায়ুর সমস্যা থেকে হওয়া ব্যথা অনেক সময় ঔষধ ও চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

এমন সব ক্ষেত্রে পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত যেখানে ব্যথা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে বা বারবার ফিরে আসে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে কোমর ব্যথা

কোমর ব্যথার বিভিন্ন কারণ আছে, যার মধ্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থাগুলো অন্যতম। এই সমস্যাগুলো অবহেলায় পড়লে ব্যথা আরও জটিল রূপ নিতে পারে।

হরমোনের সমস্যা

হরমোনের অস্বাস্থ্য কখনও কখনও কোমর ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এন্ডোমেট্রিওসিস, যা প্রায়শই 30 থেকে 40 বছর বয়স্ক মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়, কোমরের নিম্নাংশে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। যৌথ হরমোন সমস্যা এবং প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানো অবস্থা কোমর ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

যাৎল এবং পেটের রোগ

পেটের রোগও কোমর ব্যথা সৃষ্টি করে থাকে। যেমন, পিত্তথলির পাথর বা পেটের অলসার মতো সমস্যা যখন তীব্র হয়, তখন তা কোমরের তলায় ব্যথা হিসাবে পরিলক্ষিত হতে পারে। এমন অবস্থা কোমর ব্যথা চিকিৎসার জন্য নির্ণায়ক হতে পারে, এবং সঠিক চিকিৎসা হাসিল করা জরুরি।

এই ধরনের চিকিৎসাজনিত কারণগুলি ব্যথার উৎস সনাক্ত এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করার দিকে আমাদের নজর দেয়ার অনুরোধ করে।

কোমর ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা

কোমর ব্যথা যখন আপনার দৈনন্দিন কাজকে ব্যাহত করে, তখন প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কিছু সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এর মধ্যে প্রাথমিক সাহায্য এবং ব্যথানাশক ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত থেরাপি কোমর ব্যথার সাময়িক উপশম প্রদান করতে পারে।

বিশ্রাম এবং শীতলথের ব্যবহার

  • প্রথম দুই থেকে তিন দিন পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া।
  • ব্যথায় শীতল প্যাক অথবা উষ্ণ প্যাকের ব্যবহার, যেমন: বরফ দিয়ে শীতল প্যাক অথবা গরম পানির ব্যাগ।

ব্যথানাশক ওষুধের ভূমিকা

কোমর ব্যথায় ভুগলে ব্যথানাশক ওষুধ একটি প্রাথমিক সাহায্য হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ব্যথা মুক্তির জন্য সহায়ক:

  • ব্যথানাশক ওষুধ যেমন ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট ডোজ অনুসরণ করা।

উল্লেখ্য, কোমর ব্যথা চিকিৎসা পরিকল্পনা রোগীর ব্যথার ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। অতএব, যে কোনো চিকিৎসা শুরু করার আগে একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কেমন চিকিৎসা পদ্ধতি লাগে

কোমর ব্যথা মোকাবিলায় বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়, যার মধ্যে প্রধান হল ফিজিওথেরাপি এবং অত্যন্ত প্রয়োজনে কোমর ব্যথা সার্জারি

আরও পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের সতর্কতা

ফিজিওথেরাপি

বেশিরভাগ কোমর ব্যথা রোগীর জন্য ফিজিওথেরাপি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়। এই পদ্ধতি মাংসপেশী ও লিগামেন্টগুলোকে শক্তিশালী করে, যা কোমর ব্যথাকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফিজিওথেরাপির অধীনে, রোগীদের বিভিন্ন ধরনের মুভমেন্ট এক্সারসাইজ এবং ম্যানুয়াল থেরাপি প্রদান করা হয়, যা কোমর ব্যথা উপশমে বিশেষভাবে কার্যকর।

সার্জারির প্রয়োজন হলে কি হবে

যদি কোমর ব্যথা গুরুতর হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ না করে, তাহলে কোমর ব্যথা সার্জারি বিবেচনা করা হয়। সার্জারি সাধারণত শেষ অপশন হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটা ডিস্ক হের্নিয়েশন বা স্পাইনাল স্টেনোসিসের মতো গুরুতর অবস্থার উপশমে কার্যকর। সার্জারি প্রক্রিয়াটি উচ্চতর মেডিকেল পদ্ধতির অধীনে সম্পন্ন হয় যেখানে যত্নসহকারে সমস্যাজনিত হিসাবে চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলি চিকিৎসা করা হয়।

কোমর ব্যথা প্রতিরোধের উপায়

কোমর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা কারও জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্যা নিরসনে সচেতন পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। সুস্থ জীবনযাত্রা এবং নিয়মিত ব্যায়াম এই সমস্যাটির প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক কার্যকলাপ

কোমর ব্যথা প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। ব্যায়াম মাংসপেশি ও স্নায়ুকে শক্তিশালী করে, যা কোমর ব্যথা হ্রাস পাওয়ার একটি প্রধান উপায়। তালিকা অনুযায়ী, নিম্ন ব্যায়ামগুলো বিশেষ কার্যকর:

  • হাঁটা
  • সাইক্লিং
  • সাঁতার
  • যোগা

সঠিক বসার ভঙ্গি

দীর্ঘক্ষণ সঠিক না বসলে কোমরে চাপ পড়ে যা কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। একটি ভালো চেয়ার যা মেরুদণ্ড সমর্থন করে, এবং প্রায়শই বিরতি নেওয়া প্রয়োজন।

মনে রাখতে হবে, কোমর ব্যথা প্রতিরোধ সাধারণ কিছু ধরনের ব্যায়াম এবং জীবনযাপনের কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব। সুতরাং, একটি সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাত্রা অবলম্বন করে এই ধরণের সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব।

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

আমাদের স্বাস্থ্য সব সময়ই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। কোমর ব্যথা হলে অনেক সময়েই আমরা ঘরোয়া উপচারে ভরসা রাখি। কিন্তু এমন কিছু লক্ষণ থাকে যা আমাদের তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে বাধ্য করে।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও সংকেত

যেকোনো ধরণের ব্যথা যদি অতিরিক্ত সময় ধরে স্থায়ী হয়, তাহলে এ নিয়ে ভাবতে বাধ্য করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, লিম্ফ নোড ফুলে গেলে এটি সংক্রমণ, ক্যান্সার বা অটোইমিউন অবস্থার সূচক হতে পারে। ফোলা লিম্ফ নোড যদি ১০ দিনের বেশি তীব্র থাকে তাহলে অতিসত্তর ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

মাথার পেছনের দিকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা যেমন টেনশন হেডেক, মাইগ্রেন, অক্সিপাইটাল নিউরালজিয়া অথবা খারাপ ভঙ্গির জন্য হয়ে থাকে। যদি এর সাথে বমি বমি ভাব, আলো বা শব্দে বেশি সংবেদনশীলতা হয়, অথবা মাথার পিছনে ব্যথা সহ্য করা যাচ্ছে না, তাহলে এই সমস্যাগুলির পেছনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। মাথার পিছনের ব্যথা হলে পেশীর কঠোরতা, দৃষ্টিতে সমস্যা অনুভব হতে পারে, এবং নিউরোলজিকাল বা ফিজিক্যাল পরীক্ষার পাশাপাশি MRI স্ক্যান জরুরি হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, হায়দ্রাবাদের বাঞ্জারা হিলস, হাইটেক সিটি, মুশীরাবাদ, নামপাল্লি, মালাকপেত, বিশাখাপত্তনমের ভুবনেশ্বর রেপুর রামনগর, নাগার্জুন হেলথ সিটি, ইন্দোরের ছ. সাম্ভাজীনগর, কায়া কেয়ার মাল্টিস্পেশালিটি ক্লিনিক, শ্রীনগর কলোনি কেয়ার মেডিকেল সেন্টার, তোলিচৌকি ইত্যাদি স্থানে এ ধরনের চিকিৎসা সেবাগুলি উপলব্ধ। তাই ঘরে বসে অনুমান করে আপনার জন্য কি ভালো সে সিদ্ধান্ত না নিয়ে, সময়মতো চিকিৎসকের কাছে যাওয়া শ্রেয়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button