কি খেলে পাইলস ভালো হয়?

পাইলস এমন একটি রোগ যা মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি করে। পাইলসের আরোগ্যের জন্য ডা. আশিস মিত্র বলেন যে, নিয়মিত গোটা-শস্য ও ফাইবার-যুক্ত খাবার খেলে পাইলস চিকিৎসা সারানো সম্ভব। এই ধরণের খাদ্যাদি নিয়মিত পাইলসের খাদ্য তালিকায় রাখা খুব জরুরি।

যাদের পাইলসের সমস্যা আছে, তারা ভালো হওয়ার আশায় পাইলস চিকিৎসা খাবারের প্রয়োজন বোধ করেন। এই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে পাইলস আরোগ্যের পাথেয় হয়ে উঠতে পারে। তাই, পাইলসের সাথে জীবনযাপনে পানি পানের পরিমাণ বাড়ানো এবং ফাইবার-যুক্ত খাবারগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

Contents show

পাইলস কি এবং কেন এটি সমস্যা সৃষ্টি করে?

পাইলস বা হেমোরয়েডস, মূলত মলদ্বারের ভেতরে অথবা বাহিরে শিরাগুলোর প্রদাহ বা সমস্যার কারণে ঘটে। এই সমস্যা অত্যন্ত ব্যথাদায়ক হতে পারে এবং মলদ্বারের সমস্যা সৃষ্টি করে, যা দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করে।

পাইলসের প্রকারভেদ

পাইলসের মূলত দুই ধরনের প্রকার রয়েছে: অভ্যন্তরীণ পাইলস এবং বাহ্যিক পাইলস। অভ্যন্তরীণ পাইলসগুলি মলদ্বারের অভ্যন্তরে অবস্থান করে এবং এগুলি প্রায়শই অনুভূত হয় না যতক্ষণ না এগুলি প্রদাহিত বা রক্তপাতযুক্ত হয়। বাহ্যিক পাইলসগুলি মলদ্বারের চারপাশের ত্বকের উপর দেখা যায়, এবং এগুলি প্রায়ই ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে।

পাইলসের লক্ষণ

  • মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • মলদ্বার থেকে রক্তপাত।
  • মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি বা জ্বালা।

উপরোক্ত লক্ষণগুলি পাইলসের উপসর্গ হিসাবে পরিচিত, যা সঠিক নির্ণয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।

পুষ্টির গুরুত্ব পাইলসের চিকিৎসায়

পাইলস নিরাময়ের জন্য সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন পুষ্টিকর খাবার যা রেশা সমৃদ্ধ হয়, তা মল ত্যাগের সময় শরীরের চাপ কমায় এবং সাহায্য করে পাইলসের লক্ষণ নিরাময়ে।

পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকা

ডাক্তার বিশাল সাইনি জানান, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের অন্যতম উদাহরণ হল চিয়া সিড। প্রতি ২ টেবিল চামচ চিয়া সিডে প্রায় ১০ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে।

  • চিয়া সিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস যা ফ্রি র্যাডিকাল কমাতে সাহায্য করে।
  • এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

রেশা যুক্ত খাদ্যাভাস

পাইলস নিরাময়ে রেশা যুক্ত খাবার গ্রহণ জরুরি। এ জাতীয় পুষ্টিকর খাবার পানির সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাওয়া উচিত, যা ফাইবারের সর্বোত্তম কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পারে।

  • প্রতিদিন অন্তত ১ থেকে ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভেজানো জলের সাথে গ্রহণ করা উচিত।
  • এছাড়াও, মলের মাত্রা নরম করতে অন্যান্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমরুল শাক ও গোটা ডিম খাওয়া সুবিধাজনক।
আরও পড়ুনঃ  কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়?

তাজা ফল ও পাইলস

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তাজা ফল গুলোর অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে, পাইলস চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে এবং সুস্থতার খাবার হিসেবে এই ফলগুলির ভূমিকা অপরিহার্য। পাইলসের সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য ফল খাওয়া একটি নিয়মিত অভ্যাস হয়ে উঠতে পারে।

কোন ফলগুলো উপকারী?

পাইলসের ক্ষেত্রে বিশেষ করে উপকারী হয় এমন কয়েকটি তাজা ফল হলো আপেল, কাঁচা পাকা কলা, বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি এবং ব্লুবেরি। এই ফলগুলি ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা পাইলস চিকিৎসায় অবশ্যই উপকারী। ফাইবার পেট সাফ এবং মল নরম করে তোলে, যা পাইলসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ফল খাওয়ার সঠিক সময়

তাজা ফল খাওয়ার সঠিক সময় হল ব্রেকফাস্ট অথবা মধ্যাহ্ন ভোজনের মাঝামাঝি সময়। এতে ফলের পুষ্টি উপাদান সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার হয় এবং পাচনক্রিয়া ভালো থাকে। এছাড়াও, দিনের শুরুতে ফল খাওয়া সারাদিনের জন্য শরীর এবং মনকে তরতাজা রাখতে সহায়তা করে।

সব মিলিয়ে, তাজা ফল খাওয়া আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের অংশ হওয়া উচিত, যেটি পাইলস চিকিৎসা ও সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।

সবজি এবং তাদের উপকারিতা

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সবজির গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে পাইলস উপশমে বিভিন্ন ধরনের সবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। স্বাস্থ্যকর সবজি যেমন ব্রোকলি, পালং শাক, ও ক্যারট ডায়েটে সবজি হিসেবে রাখলে তা হজমে সাহায্য করে এবং পাইলসে উপশম লাভ করা সহজ হয়।

কোন সবজি খেলে উপকার হয়?

  • ব্রোকলি: এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ, যা পাইলসের প্রদাহ ও ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • পালং শাক: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ, যা মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে।
  • ক্যারট: বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ, যা মলাশয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

সবজির সঠিক প্রস্তুতি

  1. সবজি ভালো করে ধুয়ে নিন।
  2. সবজি যথেষ্ট সিদ্ধ না করে আলদা করে স্টিম করুন।
  3. অতিরিক্ত মসলা বা তেল ব্যবহার করবেন না।

সার্বিকভাবে, স্বাস্থ্যকর সবজির নিয়মিত গ্রহণ ও সঠিক প্রস্তুতি পাইলস উপশমে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি আপনার ডায়েটে সবজি সম্পদ হিসেবে যোগ করলে নিশ্চয় উপকার পাবেন।

শস্যদানা এবং পাইলস

পাইলসের অস্বস্তি ও যন্ত্রণা লাঘবে চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে, গোটা-শস্য জাতীয় খাদ্য পাইলসের খাদ্য তালিকায় একটি প্রধান উৎস হিসাবে গণ্য করা হয়।

শস্যদানার ভূমিকা

গোটা শস্য ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা পরিপাক তন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং মলত্যাগ সহজ করে। এটি পাইলস সৃষ্টির ঝুঁকি কমায় এবং আগে থেকে পাইলস থাকলে তার উপসর্গ লাঘব করে। ফাইবারের এই বৈশিষ্ট্য এটিকে পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

কোন ধরণের শস্য ভালো?

  • ওটমিল: গোটা ওটস পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সসহ প্রচুর খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ।
  • বার্লি: এই গোটা শস্য জাতীয় খাদ্য সলিউবল ফাইবারে সমৃদ্ধ যা কোলেস্টেরল হ্রাস ও পরিপাক সহায়ক।
  • ব্রাউন রাইস: ব্রাউন রাইস হজমে সাহায্য করে এবং পাইলসের খাদ্য তালিকায় ভালো একটি পছন্দ হতে পারে।

পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ উৎস থেকে ক্রয় করা এবং সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা এই খাদ্যগুলির উপকারিতা মাত্রায় বৃদ্ধি করে। সব মিলে, এগুলো পাইলসের পরিচর্যায় খুবই উপকারী।

স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং পাইলস

পাইলসের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি একটি প্রধান উপাদান। স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি পাইলসের স্বাস্থ্যকর চর্বি হিসাবে গণ্য করা হয়। এই ধরনের চর্বি পেটের ক্রিয়াকলাপ উন্নত করে এবং মল ত্যাগে সহায়ক হয়।

আরও পড়ুনঃ  রক্তে SGPT বেড়ে গেলে কি হয়?

চর্বির প্রকারভেদ

সাধারণত তিন ধরনের চর্বি পাওয়া যায়: সংতৃপ্ত চর্বি, অসংতৃপ্ত চর্বি এবং ট্রান্স চর্বি। পাইলসের চিকিৎসায় খাদ্যে চর্বি হিসাবে অসংতৃপ্ত চর্বির ভূমিকা প্রধান। এগুলি মূলত ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার যেমন মাছ, বাদাম, এবং অলিভ অয়েল।

স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়ার উপায়

  • অবশ্যই দিনে অন্তত এক বার ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন বা ম্যাকারেল খাওয়া উচিত।
  • সালাদে অলিভ অয়েল যোগ করা উপকারী।
  • স্ন্যাক্স হিসেবে নাটস এবং সীডস খাওয়া যেতে পারে, যা ভালো চর্বির উৎস

সঠিক ধরনের চর্বিযুক্ত খাদ্য পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করতে পারলে পাইলস সম্পর্কিত অবস্থা অনেক উন্নত হতে পারে এবং সার্বিক পাচন প্রক্রিয়াও ভালো থাকে।

প্রচুর পানি পান করা

পানি পান করা একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, কিন্তু এর উপকারিতা নিয়ে অনেক সময় আমরা অবহিত থাকি না। পানি পানের গুরুত্ব এবং সুস্থতার জন্য পানির ভূমিকা অপরিসীম। পানি শরীরের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপের জন্য অপরিহার্য এবং পাইলসের মতো সমস্যায় পানি পান একটি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

পানি খাওয়ার উপকারিতা

  • শরীর ও মনের পুনর্জীবন প্রদান
  • টক্সিন নির্গমনে সাহায্য করে
  • ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে
  • পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করে
  • পাইলস এবং জলপানের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, কারণ প্রচুর পানি পান করলে পাইলসের সমস্যা হ্রাস পায়

দিনে পানি কতটা পান করবেন?

একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তির প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। যদি আপনি অধিক শারীরিক পরিশ্রম করেন অথবা আপনার আবহাওয়া উষ্ণ প্রকৃতির হয়, তাহলে পানি পানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিত।

পানি পানের গুরুত্ব আরও বেশি বোধগম্য হয় যখন আপনি বুঝতে পারেন যে এটি আপনার সামগ্রিক সুস্থতাকে বজায় রাখে। সুতরাং, সুস্থতার জন্য পানির মাত্রা বজায় রাখা সবার জন্য জরুরী।

পাইলসের যন্ত্রণায় কার্যকর খাবার

পাইলস বা অর্শের সমস্যায় সাধারণত পাইলসের ডায়েট অনুসরণ করা হয় যাতে করে যন্ত্রণাদায়ক খাবার পরিহার করা হয় এবং পাইলসের যন্ত্রণা উপশমে সহায়ক খাবারগুলি গ্রহণ করা হয়।

যন্ত্রণা দূর করা খাবার

পাইলসের সমস্যায় উপকারী কিছু খাবার হলো:

  • আলু ও শসা: এগুলি প্রাকৃতিকভাবে পিত্ত এবং অন্যান্য পাচিক রস শীতল করে, যা পাইলসে ভালো কাজ করে।
  • পাতিলেবু: এর এঁটেল রসে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যা পাইলসের জ্বালা ও ফোলা কমাতে সহায়ক।
  • ওটমিল ও অন্যান্য রেশমি শস্যদানা: এগুলি নরম খাবার সরবরাহ করে, যা অন্ত্রের চাপ কমায়।

যন্ত্রণা বর্ধনকারী খাবার

কিছু খাবার পাইলসের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়, যেমন:

  • মশলাদার খাবার: অতিরিক্ত মশলা আপনার অন্ত্রপথে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, যা পাইলসের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
  • অ্যালকোহল: অ্যালকোহল রক্তনালী আরো প্রসারিত করে এবং অন্ত্রের চাপ বাড়িয়ে দেয়, যা পাইলসের পীড়াকে বাড়ায়।
  • ক্যাফেইন: চা, কফি ও এনার্জি ড্রিংকস অন্ত্রের চলাচল বৃদ্ধি করে, যা পাইলসের পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করতে পারে।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়ানো

আমাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তোলার অংশ হিসেবে প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এসব খাবার প্রায়শই উচ্চ লবণ, চিনি, এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, যা পাইলস প্রতিরোধের পক্ষে অনুকূল নয়।

আরও পড়ুনঃ  দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়

কেন প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্ষতিকর?

প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি অনেক সময় এমন রাসায়নিক যোগাযোগ রাখে, যা পেটে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং খাদ্যনালীর যত্নে বাধা দান করে। এর ফলে মলত্যাগ ক্রিয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, যা শেষ পর্যন্ত পাইলসের সৃষ্টি করতে পারে।

প্রাকৃতিক খাবারের সুবিধা

অন্যদিকে, প্রাকৃতিক খাবার যেমন তাজা ফল, সবজি এবং সম্পূর্ণ শস্য জাতীয় খাবারগুলো পাইলস প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এগুলি পর্যাপ্ত পুষ্টি ও আঁশ সরবরাহ করে, যা মলত্যাগকে সহজ করে ও পাইলসের ঝুঁকি কমায়।

  • তাজা ফল ও সবজি পেটের স্বাস্থ্য উন্নত করে
  • সম্পূর্ণ শস্য উচ্চ আঁশে পরিপূর্ণ হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে পাইলস প্রতিরোধ সহায়ক

সব মিলিয়ে, আমাদের খাদ্যাভাসে প্রাকৃতিক খাবারের অন্তর্ভুক্তি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা, পাইলস প্রতিরোধ ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নতির দুটি মূল কৌশল হিসেবে গণ্য হতে পারে।

খাবার তৈরির পদ্ধতি

সুস্থ এবং পুষ্টিকর জীবনযাপনের জন্য সঠিক খাবার প্রস্তুতি এবং রান্নার সাস্থ্যকর কৌশল অপরিহার্য। একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পরিমিত পুষ্টি এবং ভিটামিনের সঠিক সমন্বয় থাকা চাই, যা পুষ্টি ধরে রাখা-র মাধ্যমে সম্ভব।

রান্নার স্বাস্থ্যকর উপায়

  • তেল ব্যবহার করার সময় পরিমাণ নির্ধারণ করুন, বেশী তেল পুষ্টির মানকে হ্রাস করতে পারে।
  • সবজি এবং মাছ ভাপে রান্না করলে খাদ্যের পুষ্টি ধরে রাখা যায়।
  • উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ রান্না না করে মৃদু আঁচে সঠিক সময় ধরে রান্না করা উত্তম।

খাবারের যথাযথ সংরক্ষণ

  1. খাবার নির্মাণের পর তা যথাযথভাবে শীতল করে এবং আঁটসাঁট প্যাকেজিং করে ফ্রিজে রাখুন।
  2. তাজা খাবারকে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভালো থাকে এবং পুষ্টি ধরে রাখা সহজ হয়।
  3. শুকনো ও ঠাণ্ডা স্থানে শস্য ও ডাল মতো খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করুন।

যথাযথ রান্নার সাস্থ্যকর কৌশল এবং খাবার প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা যদি পুষ্টি ধরে রাখা সম্ভব করতে পারি, তাহলে অধিক স্বাস্থ্য উন্নতি এবং দীর্ঘ সুস্থ জীবন পাবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ

পাইলস চিকিত্সায় সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর প্রভাব অপরিসীম। তবে কেবল মাত্র ডায়েটের পরামর্শ মেনে চললেই যে সব সমস্যা মিটে যাবে এমনটা নয়। পাইলসের সাথে পুষ্টির সরাসরি সংযোগ রয়েছে, এবং উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সঠিক চিকিত্সা একান্ত আবশ্যক।

পাইলসের সাথে খাবারের সম্পর্ক

সঠিক আহারের মাধ্যমে পাইলসের প্রকোপ হ্রাস করা সম্ভব হলেও, কিছু কিছু ভোজ্য পদের অতিরিক্ত বা অনুপযুক্ত গ্রহণ সমস্যা আরও জটিল করে তুলতে পারে। এমনকি, অপর্যাপ্ত খাবার বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়েট অনুসরণ করলেও পাইলসের সমস্যা তীব্রতর হতে পারে। একজন চিকিৎসক আপনার শরীরের চাহিদা অনুসরে বিশেষজ্ঞ ডায়েটের পরামর্শ দিতে পারেন যা আপনার চিকিত্সা প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।

কবে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

যদি আপনার পাইলসের উপসর্গগুলির অবনতি হয়, অথবা যদি ডায়েটের পরামর্শ নিয়েও উন্নতি না হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া জরুরি। সাধারণত প্রায়শই দূষিত খাবার বা অপর্যাপ্ত খাদ্যতালিকার ফলে উন্নতির পরিবর্তে অসুস্থতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। উন্নত চিকিৎসা সুবিধা এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ যেমন Apollo Hospitals Group এ পেতে পারেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন রক্তপাতের লক্ষণ থাকলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button