বীর্য না ফেললে কি হয়?
বীর্য না ফেলার প্রভাব নিয়ে অনেকের মধ্যে মিশ্রিত ধারণা ও উদ্বেগ রয়েছে। বীর্য সংরক্ষণের ফলাফল শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বিচার করলে, বিভিন্ন গবেষণা ও ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে বিভিন্ন সমস্যা ও প্রভাবের ইঙ্গিত মেলে। পূর্বে প্রাপ্ত হাদিস ও শাস্ত্রীয় আলোচনা অনুসারে, পানির পবিত্রতা ও অপবিত্রতা নিয়ে আলোচনা মানুষের শারীরিক ও যৌন স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরী হয়ে ওঠে।
অকাল বীর্যপাত এমন একটি সমস্যা যা যৌন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে এবং বীর্য সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি ও এর ফলাফল বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন। শারীরিক প্রভাব তথা মানসিক বিঘ্ন উপেক্ষা করে একান্ত অনিচ্ছাকৃত অবস্থায় বীর্যপাত আটকে রাখার ফলে হতে পারে নানা জটিলতা। স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উপযুক্ত জ্ঞান ও চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা অপরিহার্য।
বীর্য ও তার প্রয়োজনীয়তা
বীর্যের মৌলিক গুরুত্ব বুঝতে গেলে বিস্তারিত আলোচনা অপরিহার্য। এর প্রভাব প্রজনন ক্ষমতা, যৌন জীবন এবং সার্বিক শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় গভীরভাবে মিশে আছে। বীর্য শুধুমাত্র যৌন সুখ প্রদানের জন্য নয়, জীবনধারা ও প্রজননের অভিযাত্রায় একটি অন্যতম উপাদান হিসাবে গণ্য হয়।
বীর্যের উপকারিতা
বীর্যের প্রাথমিক গুরুত্ব প্রজনন ক্ষমতায় অবদান রাখা। প্রজনন প্রক্রিয়ায় বীর্য সুস্থ ও সক্রিয় শুক্রাণু সরবরাহ করে, যা প্রজননে অপরিহার্য। এছাড়া, যৌন জীবনে বীর্যের ভালো মান ও পরিমাণ যৌন সঙ্গীদের মধ্যে আত্মতৃপ্তি বাড়ায়, যা শারীরিক ও মানসিক সুখের অনুভূতি তৈরি করে।
শরীরের জন্য বীর্যের ভূমিকা
বীর্যের গুণমান ও স্বাস্থ্য সরাসরি পুরুষের সার্বিক স্বাস্থ্যের প্রতিফলন। এটি শরীরের হরমোনাল ব্যবস্থাপনা, যেমন টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, সাথে সাথে যৌন উত্তেজনায় ভূমিকা রাখে। উন্নত বীর্যের গুণমান শরীরের প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে সহায়তা করতে পারে, হরমোন স্তর বজায় রাখতে ও বিভিন্ন শারীরিক কার্যক্রিয়ার উন্নতিতে সহায়ক হয়।
সব মিলিয়ে, বীর্যের গুরুত্ব একজন ব্যক্তির যৌন স্বাস্থ্য, প্রজনন ক্ষমতা, এবং সাধারণ ভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অপরিসীম। সচেতনতা ও সঠিক জ্ঞান এই সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি এনে দিতে পারে।
বীর্য সংরক্ষণ: কি ঘটে?
বীর্য সংরক্ষণ বা বীর্য না ফেলার প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রক্রিয়ায়, যৌন স্বাস্থ্য এবং পুরুষের সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর বীর্য সঞ্চয়ের প্রভাব বিবেচনা করা প্রয়োজন। বীর্য না ফেলার ফলে কিছু ক্ষেত্রে বীর্য সংরক্ষণের সুবিধা থাকলেও, এর কিছু সম্ভাব্য অসুবিধাও রয়েছে।
বীর্যের সঞ্চয়
সঞ্চিত বীর্য শরীরের বিভিন্ন হরমোনের স্তর এবং শরীরের অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে প্রভাব ফেলতে পারে। বীর্য সঞ্চয়ের প্রভাবে পুরুষের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা শারীরিক শক্তি ও উদ্দীপনায় অবদান রাখে।
শরীরে পরিবর্তন
বীর্য সংরক্ষণ করার ফলে পুরুষদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে। যেমন, টেস্টোস্টেরনের বৃদ্ধি ঘটলে মানসিক দৃঢ়তা ও শারীরিক উদ্দীপনা অনুভূত হতে পারে। তবে, অনেক গবেষণা থেকে এও দেখা যায় যে, অত্যধিক বীর্য সংরক্ষণ যৌন জীবনে অসুবিধা এবং চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
শারীরিক প্রতিক্রিয়া
বীর্য না ফেলার পরের শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলি ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তিতে পরিণত হতে পারে। এই প্রতিক্রিয়াগুলো কখনও কখনও শারীরিক অসুবিধা এবং চাপ ও অস্বস্তির অনুভূতি জাগাতে পারে, যা সাময়িক হতে পারে।
অস্বস্তি ও চাপ
বীর্য না ফেলার ফলে উৎপন্ন চাপ ও অস্বস্তি একটি নির্দিষ্ট শারীরিক অসুবিধা তৈরি করতে পারে। এই রকম চাপ মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি করতে পারে এবং সমগ্র শারীরিক অবস্থা নেগেটিভভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে, যদি বীর্য না ফেলার সিদ্ধান্তটি মানসিক অবসাদ বা চাপের কারণে নেওয়া হয়, তাহলে শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলি আরও প্রকট হতে পারে।
সুস্থতার প্রভাব
দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক ও মানসিক চাপ অবশ্যই সাধারণ সুস্থতায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে, প্রায়শই ধারণা করা হয় যে মাঝে মাঝে বীর্য ফেলতে না পারা হতে পারে এক ধরনের শারীরিক এক্সারসাইজ যা প্রোস্টেট স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব। গবেষণা মতে, নিয়মিত বীর্যত্যাগ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমতে পারে। অতএব, শারীরিক অসুবিধা ও চাপ অবস্থানগুলো মোকাবিলা করা এবং সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারা জরুরী।
মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাব
শারীরিক অভ্যাস এবং বিশেষ করে আত্মসন্তুষ্টির মাত্রার উপর নির্ভর করে, মানসিক স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন দিক প্রভাবিত হতে পারে। ব্যক্তির মনের অবস্থা যেমন উদ্বেগ এবং আত্মবিশ্বাস আচরণের পরিবর্তনে প্রকাশিত হয়, তেমনি সার্বিক জীবনযাত্রার গুণগত মান উন্নতি বা অবনতির দিক নির্ধারণ করে।
উদ্বেগের অনুভূতি
অতিরিক্ত আত্মসন্তুষ্টি থেকে উদ্বেগ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এই সমস্যাগুলি ব্যক্তির কর্মক্ষমতা, সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। উদ্বেগ তৈরির প্রক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সীমাবদ্ধ মনোবল এবং আত্ম-সংশয়ে পরিণত হতে পারে।
আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তন
অন্যদিকে, আত্মসন্তুষ্টির সঠিক মাত্রা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিকভাবে অধিক সক্রিয় ও প্রভাবশালী হওয়া সম্ভব হয়। আত্মবিশ্বাসের এহেন উন্নতি সফল ও সুখী জীবন যাপনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
বীর্য না ফেললে যৌন জীবন
যৌন জীবন একটি জটিল ও বহুমাত্রিক বিষয় যা বিভিন্ন উপাদানে প্রভাবিত হয়। বীর্য না ফেলার অভ্যাস বা ঘটনা যৌন জীবনের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং যৌন সন্তুষ্টির দিক দিয়ে।
যৌন আকাঙ্ক্ষার পরিবর্তন
বীর্য না ফেলার ফলে মানুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল পুরুষ দীর্ঘদিন বীর্য সংরক্ষণ করে, তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা অন্যান্য পুরুষদের তুলনায় কম থাকতে পারে। এটি তাদের যৌন জীবনে নানাবিধ চাপ ও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সন্তুষ্টির অভাব
যৌন সন্তুষ্টি হচ্ছে সুখী যৌন জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান। একাধিক গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, যারা বীর্য সঞ্চয় করে বেশি দিন পার করে দেন, তাদের যৌন সন্তুষ্টির মাত্রা কম থাকতে পারে। যৌন জীবনের এই অসন্তুষ্টি তাদের মানসিক অবস্থা ও সম্পর্কের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সব মিলিয়ে, বীর্য না ফেলার প্রভাব যৌন জীবনে গভীর ও বিস্তৃত। যৌন সন্তুষ্টি ও আকাঙ্ক্ষা উভয়ই অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, যা জীবনযাত্রার অন্যান্য দিকেও প্রভাব ফেলে। যৌন আকাঙ্ক্ষা ও সন্তুষ্টির উপর গভীর নজর রাখা এবং নিয়মিত যৌন স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।
স্বাস্থ্যগত সমস্যা
যেহেতু সুস্থ জীবনযাপনের লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করা, তাই বীর্যধারণ এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। বিশেষ করে, প্রোস্টেট স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা গুলির সাথে এর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোস্টেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব
প্রোস্টেট গ্রন্থি, যা পুরুষদের মূত্রনালীর প্রথমাংশে অবস্থিত, বীর্যধারণ এর ফলে প্রদাহজনিত জটিলতায় ভুগতে পারে। এই প্রদাহ প্রোস্টেটের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা প্রোস্টেটাইটিস বা অন্যান্য প্রোস্টেট-জনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যান্য স্বাস্থ্যের জটিলতা
বীর্যধারণ শুধু প্রোস্টেট স্বাস্থ্য নয় বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্য জটিলতাসমূহে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন- যৌন চাপ বা মনোব্যাধি, যা উৎপন্ন হতে পারে বীর্য না ফেলার মানসিক চাপ থেকে। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী বীর্যধারণ যৌন অক্ষমতা বা অন্যান্য যৌন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ
- যৌন অক্ষমতা
- মনের চাপ
সর্বোপরি, স্বাস্থ্য জটিলতা এবং প্রোস্টেট স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি সচেতনভাবে মোকাবেলা করতে হলে, নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ এবং যথাযথ পরীক্ষা প্রয়োজন। এটি আপনাকে সম্ভাব্য জটিলতাগুলির প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা এবং প্রতিকার করার সুযোগ দেবে।
বীর্যের সঞ্চয়ের সুবিধা
প্রাচীন সময় থেকেই বীর্য সঞ্চয়ের বহু সুবিধা অনুসন্ধান করা হয়ে আসছে। শারীরিক এবং মানসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল শক্তি বৃদ্ধি এবং উদ্দীপনা। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
শক্তি ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি
বীর্য সঞ্চয় করলে তা বিভিন্ন উপায়ে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। শরীর একটা অপ্রয়োজনীয় নিঃসরণ যাতে ব্যয় না হয় সেটি রক্ষা করে। একটি স্থিতিশীল শক্তি স্তর থেকে দিন শুরু করার ফলে, সারা দিন ধরে মানুষ আরও বেশি প্রাণবন্ত এবং সক্রিয় থাকতে পারে।
প্রাকৃতিক উপায়ে শক্তি ধরে রাখা
প্রাকৃতিকভাবে শক্তি ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন অভ্যাস ও কৌশল থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ধ্যান, যোগব্যায়াম, এবং সঠিক পুষ্টি এই তালিকার শীর্ষে থাকতে পারে। ধ্যান এবং যোগব্যায়াম মন এবং শরীরকে রিল্যাক্স করে, যা শক্তি সংরক্ষণে সহায়ক। পুষ্টিকর খাবার শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তোলা।
- নিয়মিত যোগব্যায়াম করা।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।
সব মিলিয়ে, বীর্য সঞ্চয়ের সুবিধা এর মধ্যে শক্তি বৃদ্ধি ও উদ্দীপনা মৌলিক। এই পদ্ধতির ফলে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হয়।
সতর্কতা: কখন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন?
বীর্য না ফেলার ফলে যদি ক্রনিক অসুবিধা বা আকস্মিক উপসর্গ দেখা দেয়, তবে আপনার উচিত তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই গুরুতর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির ইঙ্গিত বহন করতে পারে, যা অবহেলা করা উচিত নয়।
ক্রনিক স্ত্রেফার অস্বস্তি
দীর্ঘ মেয়াদী অস্বস্তি যেমন পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা বা অস্বাভাবিক সংকোচন, যদি বন্ধ না হয় এবং ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
অন্যান্য লক্ষণ
- প্রস্রাবে ব্যথা অথবা রক্তপাত
- অসাধারণ বা অস্পষ্ট নির্গমন
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা শারীরিক দুর্বলতা
- জ্বর যা সাধারণ অসুখের লক্ষণ নয়
সময়মতো সতর্কতা অবলম্বন করা এবং নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এই উপসর্গগুলির কারণ ও চিকিৎসা নির্ণয়ে অপরিহার্য। সঠিক সময়ে চিকিৎসা প্রদান করা, গুরুতর জটিলতা এড়াতে পারে এবং সুস্থতাকে দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে।
প্রাকৃতিক সমাধান ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস
নিয়মিত ও সঠিক খাদ্যাভাস এবং মানসিক শান্তির প্র্যাকটিস হিসেবে রিলাক্সেশন পদ্ধতি আমাদের জীবনে অপরিহার্য। এই সমস্ত উপায়ে আমরা প্রাকৃতিক সমাধান অবলম্বন করে আরও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গড়ে তুলতে পারি।
খাদ্য ও পুষ্টি
- স্বাস্থ্যকর খাবার: ফলমূল, শাকসবজি, পুষ্টিকর দানাশস্য এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা।
- অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
- চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা।
রিলাক্সেশন প্র্যাকটিস
- প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন অনুশীলন করে মানসিক শান্তি অর্জন।
- দীর্ঘক্ষণ কাজের পর ছোট ছোট বিরতি নিয়ে বিশ্রাম নেওয়া।
- রাতে যথেষ্ট ঘুম এবং নিয়মিত শরীরচর্চা।
এইভাবে প্রাকৃতিক সমাধানের মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস অনুসরণ করে এবং মানসিক শান্তি লাভের জন্য প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমরা আরও সুস্থ এবং পরিপূর্ণ জীবনযাত্রার দিকে অগ্রসর হতে পারি।
নিজেকে সুস্থ রাখা
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ফিটনেস ও শরীরচর্চা অপরিহার্য। এই শারীরিক ক্রিয়াকলাপগুলো না শুধু মানসিক চাপ কমায়, বরং ফিটনেস উন্নতিতেও সাহায্য করে। শরীরচর্চা হ্রদয় ও রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে, যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির কার্যকারৃতা উন্নতি ঘটায়।
ফিটনেস এবং শরীরচর্চা
শরীরচর্চা ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা উন্নত করে থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম যেমন যোগা, সাঁতার কাটা, এবং হাঁটা হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ফিটনেস রুটিনটি প্রত্যেকের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনুকূলিত হওয়া উচিত, যাতে সেটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক চাহিদা মেটাতে পারে।
- যোগ এবং মেডিটেশন মানসিক শান্তি এবং ফোকাস বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- অ্যারোবিক ব্যায়াম হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- ভারোত্তোলন মাংসপেশির স্বাস্থ্য এবং বোন ডেনসিটি বৃদ্ধি পায়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া ফিটনেস ও স্বাস্থ্যের অপর একটি স্তম্ভ। যথেষ্ট ঘুম শরীরকে পুনর্নির্মাণ ও পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয়, যা ব্যায়ামের পর খুবই জরুরী। বিশ্রামের অভাব যেমন চাপ এবং মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি করে, তেমনি দৈহিক ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম চাপমুক্তি ও মানসিক স্থিরতার প্রচার করে।
- প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো।
- ঘুমের আগে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য বিঘ্নজনক ডিভাইস থেকে দূরে থাকা।
- ঘুমের পরিবেশ শান্ত ও আরামদায়ক করে তোলা।
সার্বিকভাবে, নিয়মিত শরীরচর্চা ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম সুস্থ জীবনযাপনের দুটি মূল কাঠামো যা সবাইকে অনুসরণ করা উচিত।
য
পুরুষ প্রজননতন্ত্রের গঠনে রয়েছে ২টি কর্পোরা ক্যাভার্নোসা, ১টি কর্পোরা স্পঞ্জিয়াম এবং ইরেক্টাইল কলা, যেখানে ৬০ বছরের উর্ধ্বে ৮০% পুরুষ ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে আক্রান্ত। অন্যদিকে, মহিলাদের প্রজননতন্ত্রে আছে ক্লিটোরাল ইরেক্টাইল কলা, যা সেক্সুয়াল উত্তেজনায় রক্তে ভর্পূর হয়, এবং ৫২% পুরুষের ইরেক্টাইল সমস্যা ঘটে। পরস্পর যৌন উত্তেজনায় প্যারাসিম্প্যাথেটিক একটিভিটির প্রভাব প্রাধান্য পায়, যাতে NO হচ্ছে মূল নিউরোট্রান্সমিটার।
ফার্মাসিউটিক্যাল হস্তক্ষেপ, যেমন PDE5 ইনহিবিটরস, মহিলাদের বাহ্যিক জেনিটালিয়ার ফিজিয়োলজিক্যাল প্রতিক্রিয়ায় সহায়তা করে। গোপী কৃষ্ণ দুই সপ্তাহ অন্তর দুই বার যৌন মিলনের উপদেশ দিয়েছেন, যা কুণ্ডলিনী শক্তির জাগরণের জন্য নিরাপদ বিবেচিত। যেসব ব্যক্তি উচ্চতর চেতনার কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব অনুভব করেছেন, তারা বয়স হওয়ার পরে অনেক সময় তাদের অতীত যৌন সক্রিয়তার জন্য অনুশোচনা করেছেন।
শুক্রাণু সংরক্ষণের কৌশল প্রচলিত যৌন জীবন এবং শক্তি সংরক্ষণের প্রয়োজনের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে এক উপায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যৌন সম্পর্কগুলি এবং উচ্চতর চেতনা অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া উভয়ের জন্য এই কৌশলের অধ্যয়ন ফলপ্রসু পথ প্রদান করতে পারে। শুক্রাণু সংরক্ষণের দক্ষতা শারীরিক ব্যথা, সম্পদের ক্লান্তি এবং মস্তিষ্কের সাপোর্টের জন্য আবশ্যক এলিক্সিরের অপচয় রোধ করে, সেক্সুয়াল অন্বেষণ এবং নতুন আনন্দের অনুভূতি।