কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে?

বাতের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন? আপনি কি জানেন, আমাদের খাদ্যাভ্যাস যেমন বাতের ব্যথা বাড়ানোর খাবার সেবনের মাধ্যমে বাতের জটিলতায় অবদান রাখে, তেমনি আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের সঙ্গে বাতের ব্যথার এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক জ্বালাপোড়া খাবার যেমন শাক-সবজি এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ সমুদ্রিক মাছ বাতের ব্যথা কমানোর সহায়ক।

আপনার প্লেটে কি আছে তা শুধু আপনার শারীরিক ওজনই নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যের ওপরেও গভীর প্রভাব ফেলে। খাবারে প্রদাহনাশক উপাদানের বাড়াবাড়ি বাতের ব্যথা বাড়াতে পারে, যেমন চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের অধিক গ্রহণ। দই এবং চীজ যেমন কিছু দুধের পণ্য, সাদা চাল, উচ্চ বিষয়ক কার্বোহাইড্রেট, এবং মদ ও কফির মতো পানীয় বাতের ব্যথার জটিলতা বাড়িয়ে তোলে। হাল আমলের গবেষণা অনুযায়ী, খাদ্য তালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিয়ে, এবং শারীরিক সচেতনতা বজায় রেখে, বাতের ব্যথা হ্রাসের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব।

Contents show

বাত এবং খাবারের সম্পর্ক

বাংলাদেশে অনেকেই বাতের সমস্যায় ভোগেন, যা প্রায়ই বংশগত, পুষ্টি সংক্রান্ত কারণে বা আরো অনেক চাপ ও জীবনযাপনের ধরনের কারণে হতে পারে। বাতের সমস্যা এবং খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরী যা ব্যক্তির সার্বিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বাত কী?

বাত হল এক ধরণের অটোইমিউন রোগ যাতে শরীরের নিজস্ব টিস্যু বা সন্ধিস্থলগুলি প্রদাহিত হয়ে ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই ব্যথা মূলত বাতের ব্যথা এবং ডায়েট এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সাধন করা যেতে পারে।

খাবারের ভূমিকা

খাদ্যাভ্যাস বাতের প্রভাব প্রতিরোধ করতে এবং ব্যথা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাত প্রতিরোধকারী খাবার যেমন প্রচুর ফল এবং শাকসবজি, সমুদ্র মৎস্য যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, এবং সামান্য মাংস ও ডেইরি পণ্য খাওয়া উচিত। এছাড়া চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

  • সমৃদ্ধ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের খাবার যেমন সালমন, টুনা ইত্যাদি।
  • অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণাবলীযুক্ত খাবার যেমন টমেটো, বাঁধাকপি, ব্রকোলি ইত্যাদি।
  • প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ধারক খাদ্য যেমন বেরি, বাদাম এবং বীজ।

এগুলির নিয়মিত গ্রহণ শরীরে বাতের প্রভাব কমিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। বাতের ব্যথায় ভোগাকে উপকারিতা দিতে সচেতন খাদ্যাভ্যাস ও পরিমিত আহারের উপর জোর দেওয়া হয়।

গবেষণায় প্রমাণিত খাবার

গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, বাজারে পাওয়া মুদির দোকানের খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বাতের ব্যথা বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এসব খাবারে থাকা রাসায়নিক এবং প্রদাহজনক উপাদান শরীরের যে কোনো প্রদাহ বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা বাতের ব্যথা সমস্যার মূল কারণ বাড়ায়।

আরও পড়ুনঃ  চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায়

মুদির দোকানে পাওয়া অসুবিধাজনক খাবার

অনেকেই জানেন না যে মুদির দোকানে পাওয়া বহু খাবার যেমন চিপস, কুকিজ, এবং ফ্রোজেন খাবারগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান থাকে যা বাতের ব্যথার খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত।

প্যাকেজড খাবারের প্রভাব

প্যাকেজড খাবারগুলি, যা প্রক্রিয়াজাত খাবার হিসেবে পরিচিত, তাদের রাসায়নিক সংরক্ষণাগারগুলি ও প্রদাহজনক উপাদান বাতের ব্যথাকে বৃদ্ধি করে।

  • রিফাইন্ড সুগার
  • হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ
  • ট্রান্স ফ্যাট

এই উপাদানগুলি আরও বেশি মাত্রায় মুদির দোকানের এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়, যা বাতের ব্যথা বাড়ানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।

সুগন্ধযুক্ত তেল এবং মশলা

সিগারেট ও চর্বিযুক্ত মশলাদার খাবার বাতের ব্যথা বাড়ানোর অন্যতম কারণ। এই খাবারগুলি শরীরে প্রদাহ তৈরি করে, যা বাতের ব্যথাকে আরো প্রকট করে তোলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রদাহনাশক তেলের ব্যবহারের পরামর্শ দেন, যা ব্যথা নিরাময়ে সহায়ক।

সিগারেটের প্রভাব

সিগারেট ধূমপান হচ্ছে সিগারেট এবং বাতের ব্যথার বিস্তারে অন্যতম এক বড় কারণ। নিকোটিন এবং বিষাক্ত উপাদানসমূহ যেমন সূজন এবং ক্ষতিকর প্রদাহ তৈরি করে, এতে করে ব্যথা বাড়তে থাকে এবং ফলস্বরূপ বাতের ব্যথা আরও প্রকট হয়।

মশলা এবং বাতের ব্যথা

মশলাদার খাবার অনেক সময় বাতের ব্যথাকে তীব্র করে তোলে, কারণ এতে থাকা ক্যাপসাইসিন যেমন ক্ষণস্থায়ী স্বস্তি দেয়, তেমনি প্রদাহকেও উসকে দিতে পারে। এর বিপরীতে, প্রদাহনাশক তেল যেমন ইউক্যালিপ্টাস তেল, ল্যাভেন্ডার তেল বা চা গাছের তেল প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ হ্রাস করে এবং ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।

  • সিগারেট পরিহার করা
  • প্রদাহ বিরোধী খাবার গ্রহণ
  • প্রদাহনাশক তেলের নিয়মিত ব্যবহার

এই উপায়গুলি নিয়মিত মেনে চললে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সার্বিক জীবনযাত্রা আরও সুস্থ হবে।

দুধ এবং দুধের পণ্য

দুধ ও দুধের পণ্য যেমন দই এবং চীজ, সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির জগতে অপরিহার্য। এসব খাবার নিয়মিত গ্রহণের মাধ্যমে বাতের ব্যথা হ্রাস পায় এবং চীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহ বাড়ে। এগুলোতে থাকা উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি হাড়ের গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের প্রদাহনমূলক অবস্থার উন্নতি ঘটায়।

দুধের প্রভাব

দুধ ও বাতের ব্যথা নিয়ে গবেষণা বলছে, দুধের নিয়মিত গ্রহণ বাতের ব্যথা এবং হাড় সংক্রান্ত অসুখ হ্রাস করতে সাহায্য করে। এর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি শরীরের মধ্যে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হাড়কে মজবুত করে। ফলে বাতের প্রভাব কমে এবং জীবনযাত্রা উন্নত হয়।

দই এবং চীজের বিষয়

  • দই এবং বাতের প্রতিকার: দই প্রদাহ হ্রাসে অত্যন্ত কার্যকর যা বাতের ব্যথা হ্রাসে সহায়তা করে। এর প্রোবায়োটিক উপাদান প্রদাহ নিরাময়ে অবদান রাখে।
  • চীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা: চীজ প্রোটিনের এক অনন্য উৎস, যা মাংসপেশির গঠন ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও এটি ভিটামিন B12-এর ভাল উৎস, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

সারাংশে, দুধ ও দুধের পণ্য আমাদের দৈনন্দিন আহারের এক অপরিহার্য অংশ যা বাতের প্রতিকার এবং সার্বিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধির দিক থেকে অমূল্য। এগুলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে নিয়মিত গ্রহণ উচিত।

আরও পড়ুনঃ  রেড ব্লাড সেল বেশি হলে কি হয়?

চিনি এবং মিষ্টি খাবার

মিষ্টি খাবার এবং চিনি যুক্ত আহার উপাদান অ্যার্থ্রাইটিস এবং বাতের ব্যথা সমস্যার সঙ্গে জড়িত প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। উদাহরণ সরূপ, মিষ্টি খাবারের নিয়মিত অত্যধিক সেবন আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলিকে আরও প্রকট করতে পারে। এই ধরণের খাবারের মাধ্যমে শরীরে তৈরি হওয়া উচ্চ শর্করায় শরীরের প্রদাহ মূলত বাড়ে, যা বাতের ব্যথা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

শরীরের উপর চিনির প্রভাব

ঠিক কি হয় যখন আপনি অতিরিক্ত চিনি খান? প্রথমত, চিনি প্রদাহজনক প্রক্রিয়া উদ্দীপিত করে, যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি প্রধান কারণ। এছাড়াও, চিনি স্থুলতা ও স্নায়ুরোগ, যেমন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে, যা পরোক্ষভাবে বাতের ব্যথা ও অন্যান্য সামাজিক অবস্থার উপসর্গ বৃদ্ধি করতে পারে।

মিষ্টির বিকল্পসমূহ

  • মধু: প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং প্রদাহ হ্রাসকারী বৈশিষ্ট্যসহ।
  • স্টেভিয়া: চিনির তুলনায় কম ক্যালোরি, ব্লাড সুগার বৃদ্ধি না করে মিষ্টি প্রদান করে।
  • খেজুর: উচ্চ আয়রন, প্রোটিন এবং ডায়েটারি ফাইবারের একটি ভাল উৎস।

প্রাকৃতিক মিষ্টি উপাদান হিসেবে চিনির বিকল্প গ্রহণ করা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় যোগ দিতে পারে এবং বাতের ব্যথাও হ্রাস করতে পারে। এগুলি শারীরিক প্রদাহ হ্রাস করে যা মিষ্টি ও আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য মূল্যবান। সুতরাং, চিনি ও বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাসে প্রাকৃতিক বিকল্প অন্তর্ভুক্তি একটি স্মার্ট পদক্ষেপ হতে পারে।

রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার

আমাদের খাদ্যাভ্যাস সরাসরি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে সংযুক্ত। বিশেষ করে, লাল মাংস ও আর্থ্রাইটিস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং বাতের ব্যথা বিষয়ে গবেষণা আমাদের অনেক তথ্য উপলব্ধ করেছে।

লাল মাংসের প্রভাব

লাল মাংসে থাকা উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও আয়রন যেমন শক্তি যোগান দেয়, তেমনি এটি জয়েন্ট এবং টিস্যুতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই প্রদাহ আমাদের চলাফেরার সময় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যারা আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। উচ্চ মাত্রার আয়রন কার্টিলেজের ক্ষয় বৃদ্ধি করে তা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের প্রভাব বাড়িয়ে তোলে।

প্রক্রিয়াজাত মাংসের প্রভাব

প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকা উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম, প্রিরজারভেটিভ এবং অ্যাডেড সুগার শরীরের ইনফ্লামেশন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। যার ফলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগীদের ব্যথা আরও বাড়তে পারে। ইনফ্লামেশন প্রদাহ শরীরের বিভিন্ন অংশে স্থায়ী ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে, যা জয়েন্টের ব্যথা বাড়িয়ে তোলে।

  • লাল মাংস ও আর্থ্রাইটিস: অনুমোদিত খাদ্য তালিকা থেকে একটি বিকল্প হিসাবে ফ্যাটি ফিশ গ্রহণ করা উচিত যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উত্স।
  • প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং বাতের ব্যথা: প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা এবং টাটকা ফল ও শাকসবজির ব্যবহার বাড়ানো।

সবচেয়ে বিদিত, সঠিক খাবারের পছন্দ এবং নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ও বাতের ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।

সামুদ্রিক খাবার

সামুদ্রিক খাবার, বিশেষ করে মাছ, যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, আর্থ্রাইটিস এবং বাতের ব্যথা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী। এই খাবারগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী যা আর্থ্রাইটিস সহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে।

কিছু মাছের স্বাস্থ্যকর প্রভাব

বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন রুই, টুনা এবং স্যালমন এসবের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে যা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা হ্রাস করে।

আরও পড়ুনঃ  লিভার রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

কাঁকড়া এবং চিংড়ির হারবাল প্রভাব

  • কাঁকড়া এবং চিংড়ি যদিও পুষ্টিকর সামুদ্রিক খাবার, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই খাবারগুলি প্রদাহ এবং এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। সে কারণে এগুলি খাওয়ার আগে সাবধানতা প্রয়োজন।

  • যাদের আর্থ্রাইটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কাঁকড়া এবং চিংড়ি খাওয়াটা সীমিত করা উচিত।

সামগ্রিকভাবে, মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, তা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে, এবং বাতের ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অন্যান্য শোধনাবিধি

আর্থ্রাইটিস ও বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা অপরিসীম। এ প্রসঙ্গে গ্লুটেন এবং বাতের প্রতিরোধ এবং সয়াবিন ও আর্থ্রাইটিস বিশেষ উল্লেখযোগ্য দুটি ধারণা। আসুন, গ্লুটেন ও সয়াবিন জাতীয় খাবার কীভাবে আর্থ্রাইটিসে প্রভাব ফেলে তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।

গ্লুটেন যুক্ত পদার্থ

গবেষণা বলছে, গ্লুটেন যুক্ত খাবারের উপাদান অনেক সময় শরীরে প্রদাহ তৈরি করে, যা বাতের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তোলে। গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট অনুসরণ করলে অনেক সময় আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ হ্রাস পায়, বিশেষ করে যারা গ্লুটেনে সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে।

সয়াবিন এবং বিশেষ খাবার

সয়াবিন একটি উচ্চমানের প্রোটিনযুক্ত খাবার যা শরীরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। সয়া প্রোটিন এবং সয়া আইসোফ্লাভোনস আর্থ্রাইটিস সংক্রান্ত প্রদাহ এবং ব্যথা হ্রাসে কার্যকরী হতে পারে। যদিও সয়াবিন খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্তির পূর্বে কোনো সম্ভাব্য অ্যালার্জি বা সহনশীলতা অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত।

  • গ্লুটেন বাতের প্রতীক্ষায় কাজ করতে পারে যদি সংবেদনশীলতা থাকে।
  • সয়াবিন প্রোটিন আর্থ্রাইটিসের ব্যথা এবং প্রদাহে উপকারী হতে পারে।

তবে প্রতিটি খাবারের প্রভাব ব্যক্তি ভিত্তিক পার্থক্যপূর্ণ হতে পারে, তাই খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক থাকা উচিত। সবসময় নিজের চিকিৎসক বা পুষ্টি বিশারদের সাথে পরামর্শ করে নিজের জন্য সেরা খাদ্যাভ্যাসের সন্ধান করুন।

জীবনযাপন এবং খাবার

জীবনযাপনের ধরন এবং আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলো বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে এবং আরও কার্যকরী উপায়ে উন্নীত করার জন্য খুবই জরুরি। একটি সুষম খাবারদাবার এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম শরীরের ওজন যৌক্তিক রাখে, যা স্থূলতা ও বাতের ব্যথা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ব্যায়াম এবং আর্থ্রাইটিস নিয়ে করা গবেষণা বলে যে, নিয়মিত ব্যায়াম হাড় এবং মাংসপেশীর শক্তি বাড়ায়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হিপ ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমায়।

ব্যায়াম এবং স্থূলতা

ব্যায়াম হিপ এবং জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারীর ফলাফলকে উন্নত করে যা অনেকে মনে করেন যে অস্থিসন্ধির সর্বশেষ সমাধান হিসেবে। নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে জয়েন্টের চারপাশের মাংসপেশীগুলো শক্তিশালী হয় এবং জোড়গুলোর উপরে শিফট হওয়া ভার কমানো সহজ হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যবহার

মানসিক স্বাস্থ্য সঠিক রাখার জন্য শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস জরুরি। শরীরে যথেষ্ট ভিটামিনের প্রচুরতা রেখে, বিশেষ করে ভিটামিন সি, টিস্যু মেরামত এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তাই গ্রাজুয়াল জয়েন্ট পেইন অনুভব করার সাথে সাথেই অর্থোপেডিশিয়ানের কাছে যাওয়া উচিত।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button