পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়?
মাহিলা স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা নিত্য নিম্নের অংশ, যার মধ্যে পিরিয়ড সবচেয়ে প্রাধান্য পায়। বাংলাদেশের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে এই ধরণের ধারণা যে, পিরিয়ডের সময় টক খাবার গ্রহণ করলে তা শারীরিক প্রভাব অর্থাত্ রক্তপাত বৃদ্ধি করতে পারে। তবে বিজ্ঞানী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, এই ধারণার কোন প্রমাণিত ভিত্তি নেই এবং টক খাবার এবং পিরিয়ডের মধ্যে সরাসরি কোনো সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
অন্যদিকে, বেশিরভাগ মহিলাদের পিরিয়ডের পূর্বে ও চলাকালীন সময়ে পেটে ব্যথা বা ক্র্যাম্পস অনুভব করার কথা প্রচলিত আছে। এই সময় সঠিক ও সুষম ডায়েট অত্যন্ত জরুরি, উদাহরণস্বরূপ আদা চা কিংবা ধনে জলের মতো নিরাময়কারী প্রক্রিয়া বেদনা হ্রাসে সাহায্য করে। ফাস্ট ফুড, লবণাক্ত জাতীয় খাদ্য এবং অত্যধিক ক্যাফেইন বা অ্যালকোহলের সেবন মাহিলাদের আবেগীয় এবং শারীরিক সুস্থতায় প্রভাব ফেলতে পারে, এই ধরণের পরামর্শ পীরিয়ডের খাবার গ্রহণের সময় উপকারী হয়।
টক খাবারের বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনা
টক খাবার, যেমন টক দই বা টক ফল, আমাদের দৈনন্দিন ডায়েটে একটি স্বাস্থ্যকর উপাদান হিসেবে পরিগণিত হয়। বিশেষ করে, পিরিয়ডের সময় ডায়েট নির্বাচন করার সময় এই ধরনের খাবারের উপকারিতা এবং সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে জানা খুবই জরুরি।
টক খাবারের উপকারিতা
টক দই সহ টক খাবারগুলোতে প্রোবায়োটিকের উপস্থিতি প্রভাবিত করে টক খাবার উপকারিতা হিসেবে অগ্রগণ্য। এগুলি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। গর্ভাবস্থায় টক দই খাওয়ার সুফল হিসেবে মাতৃস্বাস্থ্য ও গর্ভধারণের ফলাফলে উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
টক খাবারের ক্ষতিকারক দিক
যদিও টক খাবারের অনেক পুষ্টিগুণ আছে, তবে বিশেষ করে পিরিয়ডের সময় খুব বেশি লবণ সম্বলিত টক খাবার, যেমন আচার কিংবা ক্যানড খাবার, গ্রহণ করলে ব্লিডিং বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও, টক খাবার ক্ষতি হিসেবে, এই ধরণের খাবার থেকে সোডিয়াম এবং চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পিরিয়ডের সময়ের ডায়েটে হাই ফাইবার যুক্ত খাবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং হোল গ্রেইন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা বেশি উপকারী হতে পারে।
পিরিয়ড এবং খাদ্য
পিরিয়ডের সময় মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরিবর্তিত হয়। এ সময় পিরিয়ডে খাদ্য নির্বাচনে বিশেষ মনোযোগী হতে হয় যাতে শরীরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়।
পিরিয়ডের সময় শরীরের প্রয়োজনীয়তা
হরমোনের উত্থান-পতনের ফলে পিরিয়ডের সময় শরীরের একাধিক চাহিদা পরিবর্তন হয়। যেমন আয়রনের প্রয়োজন বাড়ে, তাই আয়রন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার যেমন শাক-সবজি, মাংস, ও ডিম গ্রহন করা উচিত।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ ও চিকেন।
- ফলমূল এবং হাই ফাইবারের খাবার যেমন বিনস, বাদাম।
সঠিক খাবারের নির্বাচন
পিরিয়ডে যেহেতু শরীর বিশেষ ধরনের চাপের মুখোমুখি হয়, তাই খাদ্যের সাথে পিরিয়েডের অনেক বিষয় জড়িত। পুষ্টিকর এবং সঠিক খাদ্যের নির্বাচন শারীরিক সামঞ্জস্য বজায় রাখে এবং মানসিক স্পষ্টতা বজায় রাখে।
- পানি এবং অভ্যন্তরীণ পথ্য স্বাস্থ্যকরভাবে বজায় রাখার জন্যে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন।
- চিনি ও ফ্যাট কম খাবার গ্রহণ করে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
পিরিয়ডের সময় পিরিয়ডে খাদ্য নির্বাচনের ফলে শরীরের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।
টক খাবারের প্রভাব
টক খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে নানান প্রভাব পরতে পারে, বিশেষত হরমোন পরিবর্তন এবং পেশী সংকোচনের কারণে। এই ধরণের খাবার যেহেতু অম্লীয় প্রকৃতির হয়ে থাকে, তার মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্প এবং পেশী সংকোচনের উপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে।
হরমোনে পরিবর্তন
টক খাবারের অত্যধিক গ্রহণের ফলে হরমোন বার্তাতে প্রভাব পড়তে পারে, যা মেনস্ট্রুয়াল চক্রে নানান পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যদিও এর পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়, তবে হরমোন বার্তার হেরফের পিরিয়ডের অনিয়ম এবং অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
পেশী সংকোচন
টক খাবারে থাকা অতিরিক্ত লবণাক্ততা পেশী সংকোচন বাড়িয়ে দেয়, যা মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্পসকে আরো প্রকট করে তোলে। এর ফলে পিরিয়ডের সময় অনেক নারী বেশি ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব করে।
পিরিয়ডের সময় টক খাবারের প্রভাব সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া এবং নিজের শরীরের চাহিদা মতো সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা আবশ্যক, যাতে শারীরিক সমস্যা কমে।
পেটে অস্বস্তি অনুভূতির কারণ
পিরিয়ড ডায়েট কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা বুঝতে গেলে মেনস্�্রুয়াল বেড়া সময়ে পেটের অস্বস্তির বিভিন্ন দিক আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। খাবার এবং তার গুণাগুণ পিরিয়ডের সময় হরমোনের প্রভাব এবং শারীরিক স্বাস্থ্যে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে।
টক খাবার এবং পেটের ব্যথা
পিরিয়ডের সময় অনেকেরই পেটের অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়, যা কখনো কখনো অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। টক খাবার, যেমন সাইট্রাস ফল বা ভিনেগার জাতীয় খাবার, এসিডিটি বাড়িয়ে পেটের মধ্যে জ্বালাভাব সৃষ্টি করে যা পেটের অস্বস্তি আরও বাড়াতে পারে। তাই এসময় টক খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত।
পেটের সমস্যাগুলি সমাধান
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: পিরিয়ড ডায়েটে ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন শাক-সবজি ও ফল অন্তর্ভুক্ত করা, হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে, যা পেটের অস্বস্তি হ্রাস করতে পারে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা: পানি হজমে সহায়তা করে এবং পেটে গ্যাস তৈরির পরিমাণ কমাতে পারে, তাই পিরিয়ডের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
- হালকা ব্যায়াম: হালকা যোগব্যায়াম বা হাঁটা পেটের অস্বস্তি কমাতে এবং মনকে প্রফুল্ল রাখতে সহায়ক।
এই উপায়গুলো মেনে চললে, মেনস্�্রুয়াল বেড়া সময়ে পেটের অস্বস্তি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
জরুরি পুষ্টি উপাদান
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ একটি অন্যতম উপাদান। বিশেষ করে, পিরিয়ডের সময় শরীর অতিরিক্ত ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণের জন্য বাড়তি যত্ন নিতে হয়। এই সময়ে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার শরীরের জৈবিক ক্রিয়াকলাপকে সহজতর করে, যা এনার্জি বাড়ানোর সাথে সাথে সাধারণ ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে।
ভিটামিন ও মিনারেলের গুরুত্ব
ভিটামিন সি, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, এটি শরীরে আয়রন শোষণে সহায়তা করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। অন্যান্য মিনারেল যেমন ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক, পিরিয়ডের সময়ে মাসিক ব্যথা হ্রাস করতে এবং মনোযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন সি এবং এনার্জি বাড়ানো
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলা, লেবু, আমলকী, স্ট্রবেরি এবং শসা পিরিয়ডের সময় বাড়তি এনার্জি প্রদান করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে। এই খাবারগুলি রক্তাল্পতা যা মাসিক চক্রের সময় প্রায়শই দেখা দেয়, তার প্রতিরোধ করে এবং শরীরকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তোলে। সঠিক পুষ্টি অনুসরণ করে ভিটামিন সি ও মিনারেল শরীরের জন্য জরুরি উপাদান হিসেবে কাজ করে।
টক খাবারে উপস্থিত অ্যাসিড
টক খাবার সাধারণত উচ্চ অ্যাসিডিক মাত্রায় পরিপূর্ণ থাকে, যা খাবারের পিএইচ মাত্রায় বিশেষ প্রভাব ফেলে। এই অ্যাসিডের উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং বিভিন্ন সময়ে বৈচিত্র্যময় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যাসিডের প্রভাব
অ্যাসিডের প্রভাব শরীরের পরিপাক তন্ত্রে বিশেষত্ব দেখায়। টক খাবারগুলো শরীরের অ্যাসিডিক মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা কখনো কখনো অম্লতা, গ্যাস বা অন্যান্য পেটের সমস্যাকে উত্তেজিত করতে পারে। তবে, সঠিক পরিমাণে গ্রহণ এবং ব্যবহারের মাধ্যমে, এই অ্যাসিডের প্রভাব সংশোধন করা সম্ভব।
খাদ্যের পিএইচ স্তর
খাদ্যের পিএইচ মাত্রা খাবারের গুণগত মান এবং পুষ্টিমান নির্ধারণ করে। উচ্চ অ্যাসিডের পিএইচ স্তর বজায় রাখা খাবার পেটের লাইনিংয়ে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে যা অস্বস্তির কারণ। অন্যদিকে, সুষম খাদ্যের পিএইচ বজায় রাখার মাধ্যমে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
অতএব, টক খাবারের অ্যাসিডিক মাত্রা এবং পিএইচ স্তর বুঝে শুনে নির্বাচন করা উচিত, যাতে শরীরের প্রতিকূল প্রভাব এড়ানো যায়।
পিরিয়ডে মানসিক স্বাস্থ্য
পিরিয়ডের সময় নারীর শরীরের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যেও বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটে থাকে। এই সময়ে মুড সুইং এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়, যা প্রায়ই উদ্বেগ এবং মানসিক অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এমন অনেক খাদ্য ও পানীয় রয়েছে যা এই মানসিক প্রভাবগুলোকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
টক খাবারের মানসিক প্রভাব
- টক খাবার যেমন সাইট্রাস ফ্রুটস এবং টোক দই খাবার দ্বারা পিরিয়ডের সময় মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
- এই সব খাবারের অ্যাসিডিক প্রকৃতি মুড সুইং এবং মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনুভূতি এবং পরিবর্তন
পিরিয়ডের সময়, নারীরা প্রায়ই মুড সুইং এবং মানসিক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন অনুভব করেন। এই পিরিয়ডের মানসিক প্রভাবগুলি একজন নারীর কাজ, সম্পর্ক ও সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং যথাযথ পুষ্টি সহায়তা দ্বারা এই প্রভাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগ-ব্যায়াম করে মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করা যেতে পারে।
- যথাযথ ঘুমের অভ্যাস এবং মানসিক চাপ কমানোর কৌশলগুলি অবলম্বন করা উচি�্।
খাদ্য পরিকল্পনা পরামর্শ
পিরিয়ডের সময় সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে, খাদ্য পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করা অপরিহার্য, যেমনটা একটি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থেকে সহায়তা পেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর বিকল্প
পিরিয়ডের সময় শরীরের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করা উচিত। যেমন:
- উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার যা পেট স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাক-সবজি ও মাংস, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক।
- পানি ও তরল খাবারের পরিমাণ বাড়ানো, যা দেহের হাইড্রেশন নিশ্চিত করে।
নিয়মিত খাওয়ার কৌশল
নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে খাদ্য পরিকল্পনা একটি অপরিহার্য উপাদান। নিম্নলিখিত কৌশল অনুসরণ করা উচিত:
- দিনে একাধিক ছোট ছোট খাবার গ্রহণ করা।
- প্রতিটি খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য রাখা।
- খাবারের সময় ঠিক রাখা এবং রাতের খাবার ঘুমের অন্তত তিন ঘণ্টা আগে শেষ করা।
এই ধরনের নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং পিরিয়ডের সময় অস্বস্তি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
টক �্খাবারের �্ময়�্সীমা
টক খাবার গ্রহণের সময় ও তর উচিত সময় জানতে হলে আমাদের প্রথমে আবহাওয়া ও শরীরের চাহিদার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। যেমন, ডায়েট সচেতনতা অনুসারে গরমের দিনে টক খাবার গ্রহণ করা উপযোগী, কারণ এটি শীতলতা প্রদান করে।
কখন টক খাবার শরীরে উপকারী
টক খাবার যেমন লেবু, আমলা, টমেটো ইত্যাদি ভিটামিন সি’র ভাল উৎস হিসাবে পরিচিত। এই ধরনের খাবার শরীরে প্রদাহ কমানো সহ কোষের সুরক্ষায় সহায়ক, যা উপযোগী খাবারের সময় বিশেষ করে গরমে বা ফ্লুর মৌসুমে গ্রহণ করা উচিত।
যে সময়ে টক খাবারের অনুপযোগিতা প্রকট
- খালি পেটে টক খাবার না খাওয়া ভালো, এটি অম্লতার সৃষ্টি করতে পারে।
- রাতের খাবারের সময় টক খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
শারীরিক অবস্থা ও মৌসুম বিবেচনায় টক খাবার গ্রহণের টক খাবারের অনুপযোগিতা এবং উপযোগিতা বুঝে নিতে হবে যা আমাদের ডায়েট সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে আমাদের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।
পিরিয়�্র �্বাস্থ্য�্ম্মত অভ্যা�্
পিরিয়ড একটি নারীর জীবনের অনিবার্য অংশ এবং এই সময়ে সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থান থেকে 38 জন প্রতিভাগীর সাথে পাঁচটি ফোকাস গ্রুপ আলোচনা করে এই বিষয়ের ওপর বেশ কিছু তথ্য এবং পরামর্শ সামনে এসেছে। পিরিয়ডের সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ এবং শারীরিক ক্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
শারীরিক ক্যায়ামের গুরুত্ব
শারীরিক ক্যায়াম পিরিয়ডের সময় শরীরকে একটি সুস্থ ও সক্রিয় অবস্থায় রাখে। উচ্চ প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, পোল্ট্রি এবং শাকসবজি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত পিঠাপিঠি কমাতে সহায়ক। সুস্বাস্থ্যকর জীবনচর্চার অংশ হিসাবে নারীদেরকে দৈনিক অন্তত 2.7 লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মানসিক চাপ কমানোর উপায়
মেডিটেশন এবং যোগা মানসিক স্থিরতা এবং চাপমুক্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল ব্যবহার এড়িয়ে চলা, স্পাইসি খাবারগুলির প্রতি সতর্কতা, এবং বেশি মাত্রায় আদা বা দারুচিনি জাতীয় উদ্ভিদ গ্রহণ না করাও মানসিক চাপ কমানোর এবং পিরিয়ডের সময় স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানোর জন্য প্রস্তাবিত পদ্ধতি। এছাড়াও, সম্ভাব্য মাসিক সম্পর্কিত সাধারণ ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকা এবং সমগ্র খাবারের গ্রুপ থেকে সম্পূর্ণ ও বৈচিত্রময় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।