হার্টবিট কত হলে স্বাভাবিক?

হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নির্ধারণে স্বাভাবিক হার্ট রেট এক অন্যতম মাপকাঠি। হৃদস্পন্দনের হার বুঝতে এবং সুস্থ হার্ট হেলথ নিশ্চিত করার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রেস্টিং হার্ট রেট প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বারের মধ্যে পরিমাপ করা হয়।

অন্যদিকে, শিশুদের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের হার কিছুটা ভিন্ন, প্রায় প্রতি মিনিটে ৭০ থেকে ১০০ বার ধরে নেওয়া হয়। এই সাধারণ পরিসীমার বাইরে হৃদস্পন্দনের হার, যেমন প্রতি মিনিটে ১০০ বারের বেশি হলে ট্যাকিকার্ডিয়া এবং ৬০ বারের কম হলে ব্রাডিকার্ডিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হৃদরোগের বিভিন্ন জটিলতার সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে। এই পরিমাপে ধূমপানের প্রভাব, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, এবং স্বাস্থ্যবান্ধব খাদ্যাভ্যাসের মতো বিষয়গুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Contents show

স্বাভাবিক হার্ট রেটের সংজ্ঞা

হৃদয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্ণয় করতে ও স্বাস্থ্যের মান পরিমাপ করতে হার্ট রেটের গুরুত্ব অপরিসীম। রেস্টিং হার্ট রেট একটি মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে যা কোনো বেশি শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই হার্টের বিট সংখ্যা গণনা করে।

হার্ট রেট কী?

সাধারণত, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন মাপ হৃদপিণ্ডের প্রতি মিনিটে সঞ্চালিত বিট সংখ্যাকে বোঝায়। এই মাপজোক শারীরিক স্বাস্থ্যের একটি অন্যতম সূচক হিসেবে কাজ করে। ব্রাডিকার্ডিয়াট্যাকিকার্ডিয়া হলো দুই প্রকারের অবস্থা যা হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত গতি দ্বারা চিহ্নিত।

কীভাবে হার্ট রেট মাপা হয়?

হার্ট রেট মাপার জন্য বিভিন্ন ডিভাইস ও পদ্ধতি রয়েছে যেমন, ঘড়ি ও ফিটনেস ট্র্যাকার। এছাড়াও, স্থায়ী রেস্টিং হার্ট রেট মাপতে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে মাপা উচিত। নিচের পয়েন্টগুলি হার্ট রেট মাপার পদ্ধতি সম্পর্কে আরও ধারণা দেয়:

  • পেশীসংক্রান্ত কর্মের পূর্বে একটি বিশ্রামের অবস্থায় হৃদস্পন্দন মাপুন।
  • নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মনোনিবেশ রেখে নাড়ির গতি অনুভব করুন।
  • ব্যায়াম বা তীব্র শারীরিক কর্মকাণ্ডের পরে হার্ট রেটের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করুন।

ব্যাখ্যা অনুসারে, হার্ট রেটের স্বাস্থ্যগত প্রভাব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর রাখে যা সাধারণত হৃদস্পন্দনের সামান্য পরিবর্তন দ্বারা সনাক্ত করা যায়।

আরও পড়ুনঃ  কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে?

স্বাভাবিক হার্ট রেটের পরিসীমা

হৃদস্পন্দনের স্বাভাবিক হার ব্যক্তির বয়স, শারীরিক অবস্থা, এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে। প্রাপ্তবয়স্ক হার্ট রেট এবং শিশু হৃদস্পন্দন এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হলে, নিয়মিত হার্ট হেল্্থ মনিটরিং অত্যন্ত জরুরি।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক হার্ট রেট

প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদস্পন্দনের নির্দিষ্ট হার রয়েছে যা সাধারণত প্রশান্তিমূলক অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই প্রাপ্তবয়স্ক হার্ট রেট বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে, যেমন- ব্যায়াম, উত্তেজনা, বা বিভিন্ন হার্ট সমস্যা।

শিশুদের জন্য স্বাভাবিক হার্ট রেট

শিশুদের হৃদস্পন্দনের হার তাদের বয়সের উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত প্রতি মিনিটে ৭০ থেকে ১০০ বার পর্যন্ত হতে পারে। শিশু হৃদস্পন্দন নির্ণয় করার জন্য নিয়মিত হার্ট হেল্্থ মনিটরিং গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর সাধারণ স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং সম্ভাব্য হৃদরোগ সনাক্ত করতে সহায়ক।

  • প্রাপ্তবয়স্কদের রেস্টিং হার্ট রেট: ৬০ – ১০০ বিট প্রতি মিনিট
  • শিশুদের রেস্টিং হার্ট রেট: ৭০ – ১০০ বিট প্রতি মিনিট

হৃদস্পন্দনের এই হার শারীরিক কার্যকলাপ, মানসিক অবস্থা, ও স্বাস্থ্যের অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলোর উপর ভিত্তি করে সবসময় পরিবর্তিত হতে পারে। তাই, নিয়মিত হৃদস্পন্দন পরিমাপ ও মনিটরিং অত্যন্ত জরুরি।

হার্ট রেটের পরিবর্তন

হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন কারণে ঘটে থাকে। এই পরিবর্তনগুলি আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নিম্নে শারীরিক কার্যকলাপ এবং আবেগের কীভাবে হার্ট রেট প্রভাবিত করে তা আলোচনা করা হল।

শারীরিক কার্যকলাপের প্রভাব

শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের সময় আমাদের হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায়, যা অতিরিক্ত অক্সিজেনের চাহিদা সামলানোর জন্য প্রয়োজন। এটা হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণে এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে, যখন ব্যায়ামের পরে হার্ট রেট স্বাভাবিক হারে ফিরে আসে।

  • কম তীব্রতার ব্যায়াম যেমন হাঁটা সাধারণত হার্ট রেটকে মৃদুভাবে বৃদ্ধি করে।
  • উচ্চ তীব্রতার ব্যায়াম যেমন দৌড়ানো অথবা ওজন তোলা দ্রুত এবং স্পষ্টভাবে হার্ট রেট বৃদ্ধি করে।

আবেগের প্রভাব

দুশ্চিন্তা, আনন্দ, ভয় বা উত্তেজনা মতো আবেগগুলি আমাদের অটোনমাস নার্ভাস সিস্টেমকে প্রভাবিত করে, যা হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি করে। এই ধরণের পরিবর্তন হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

  • পজিটিভ আবেগগুলি যেমন আনন্দ এবং ভালোবাসা হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি সাময়িকভাবে হার্ট রেটও বাড়ায়।
  • নেগেটিভ আবেগগুলি যেমন চাপ এবং ভয় হৃত্
  • য়ের মতো অসুখ থাকলে, এবং দ্রুত চিকিৎসা করাতে হয় এমন অবস্থায় হার্ট রেটের বেড়ে যাওয়া আবেগের প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

হার্ট রেট মাপার উপায়

সঠিক হার্ট রেট মনিটরিং শারীরিক স্বাস্থ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। হৃদস্পন্দন মেপে দেখা জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ  বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়?

ঘড়ি ও ফিটনেস ট্র্যাকার

ঘড়ি এবং ফিটনেস ট্র্যাকারগুলি হার্ট রেট মাপার অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। এসব ডিভাইসের মধ্যে অধিকাংশই হার্ট মনিটরিং ডিভাইস হিসেবে কাজ করে, যা পরিধানকারীর কলাইয়ের মাধ্যমে নিরন্তর হৃদস্পন্দন মেপে দেখা সক্ষম।

  • এগুলি সাধারণত ব্লুটুথ সংযুক্তি সহ আসে, যাতে অ্যাপের মাধ্যমে ডেটা অ্যাক্সেস করা যায়।
  • কিছু উচ্চশ্রেণীর মডেলে চাপ ও ব্যায়ামের পর্যায়ের অনুযায়ী হার্ট রেটের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলী থাকে।

ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার

ফিটনেস প্রযুক্তি আধুনিক সময়ের উপহার যা নিত্যনতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আরও উন্নত হচ্ছে। ডিজিটাল হার্ট মনিটরিং ডিভাইস যেমন এক্সেট্রেডিজিটাল এলইডি’র মাধ্যমে হার্ট রেট পরিমাপের সঠিকতা বৃদ্ধি করেছে।

  • এরা সহজে বোঝা যায় এবং ব্যবহার করা সহজ।
  • সংবেদনশীল সেন্সরগুলি দিয়ে সজ্জিত, যা চলাফেরার সময় এবং বিশ্রামে উভয় পরিস্থিতিতেই হার্ট রেট মাপতে পারে।

মোট কথা, হার্ট রেট মাপার নতুন প্রযুক্তিগত উপায়ের সহায়তায় স্বাস্থ্য পরিচর্যা আরও সহজ এবং কার্যকর হয়ে উঠছে।

হার্ট রেট এবং স্বাস্থ্যের সম্পর্ক

হৃদস্পন্দনের হারের সঙ্গে স্বাস্থ্য নির্ণয়ের সম্পর্ক গভীর ও জটিল। সাধারণত, একজন পূর্ণবয়স্কের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করা। এক্ষেত্রে, হৃদস্পন্দন বাড়া বা কমা হার্ট ডিজিজের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।

হৃদযন্ত্রের অসুখের সূচক

অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বিভিন্ন ধরণের হৃদযন্ত্রের অসুখের একটি সূচক হতে পারে, যেমন ট্যাকিকার্ডিয়া বা ব্রাডিকার্ডিয়া। বিশ্বজুড়ে খুব সূক্ষ্মভাবে মানুষের মৃত্যুহার এবং বিভিন্ন ধরণের হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ বিচার করা হলে দেখা যায় যে, প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এই ধরণের হৃদযন্ত্রের অসুখের শিকার।

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব

মানসিক চাপ দৈনিক জীবনের অন্যতম একটি প্রভাবশালী উপাদান যা সরাসরি হৃদস্পন্দন বাড়াতে পারে। মানসিক দুশ্চিন্তা, অ্যাঙ্ক্সাইটি, এবং আবেগীয় উঠানামা হৃদস্পন্দনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব ফেলে। বুঝতে পারলে যে এসব পার্থক্যের নেপথ্যে স্বাস্থ্য নির্ণয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

একটি সুস্থ জীবন যাপনের জন্য হৃদস্পন্দনের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সচেতনতা অপরিহার্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এর নিয়ন্ত্রণ হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে, এবং একটি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে।

স্বাস্থ্যের অবস্থার ভিত্তিতে হার্ট রেটের পার্থক্য

হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন হল প্রতি মিনিটে হৃদযন্ত্র কতবার সংকুচিত হয়, এবং এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও জৈবিক অবস্থান অনুযায়ী ভিন্ন হয়। এই বিবর্ণীতে, আমরা বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় হার্ট রেট এবং বয়সের সাথে হার্ট রেট এর পরিবর্তন এবং চিকিৎসা ও হৃদস্পন্দনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।

গর্ভাবস্থা এবং হার্ট রেট

গর্ভাবস্থা একটি মহিলার জীবনের সময় যখন তার শরীরে বহু পরিবর্তন হয়। গর্ভাবস্থায় হার্ট রেট সাধারণত বৃদ্ধি পায়, এর কারণ হল শরীরকে আরও রক্ত সরবরাহ করতে হয়, যাতে গর্ভস্থ শিশু পুষ্টি ও অক্সিজেন পেতে পারে। সাধারণত, মহিলাদের হার্ট রেট গর্ভাবস্থায় 10-20 বিট প্রতি মিনিট বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ডায়াবেটিস মুক্তির উপায় - সহজ টিপস

বয়স ও চিকিৎসার প্রভাব

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বয়সের সাথে হার্ট রেট পরিবর্তন হয় এবং এটি সাধারণত কমে যায়। তবে, কোনো বিশেষ চিকিৎসা অবস্থার কারণে, যেমন হৃদরোগ বা হাইপারটেনশন, চিকিৎসা ও হৃদস্পন্দনের প্রভাবে হার্ট রেট অনিয়মিত হতে পারে অথবা ভিন্নরূপ নিতে পারে।

অনিয়মিত হার্ট রেট

অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হৃদ্যন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ঘটে থাকা ব্যাঘাতকে বোঝায়, যা সাধারণত বেশ কয়েকটি উপসর্গ দ্বারা চিহ্নিত হয়। অনিয়মিত হার্ট রেট মনিটরিং এবং সঠিক চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে এই সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

অস্বাভাবিক হার্ট রেটের লক্ষণ

  • হৃদযন্ত্রে অনিয়মিত ধড়ফড় অনুভূতি হওয়া।
  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি।
  • শ্বাসকষ্ট, চক্কর আসা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • দ্রুত হার্ট রেট ৬০ বীটের নিচে বা ১০০ বীটের উপরে উঠে যাওয়া।

চিকিৎসকের সাথে আলোচনা প্রয়োজন

যদি আপনার অনিয়মিত হৃদস্পন্দন লক্ষ্য করেন, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত। চিকিৎসক BGMEA Health Complex বা অন্য কোনো স্বীকৃত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি সুপারিশ করতে পারেন:

  1. ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG)।
  2. হোল্টার মনিটর।
  3. ইকোকার্ডিওগ্রাম।
  4. অন্যান্য পরীক্ষা যেমন থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট।

নির্দিষ্ট পরীক্ষা ও চিকিৎসা নির্ধারণের মাধ্যমে হার্ট রেট মনিটরিং এবং প্রতিকারের পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব। সময়োপযোগী চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণের কৌশল

বাংলাদেশে প্রতিবছর নন-কমিউনিকেবল রোগজনিত মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক হৃদরোগের কারণে ঘটে, এবং এই রোগে তিন মিলিয়ন মানুষ প্রভাবিত হয়। তামাক সেবনের জন্য বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৯ মিলিয়ন মানুষ হার্ট ডিজিজে মারা যায়, বাংলাদেশে তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগে প্রায় ২৭৭,০০০ মৃত্যু ঘটে। শারীরিক ফিটনেস এবং মেন্টাল হেলথ উন্নত করতে শারীরিক ব্যায়াম এবং মনোযোগের প্রয়োগের উপর জোর দিয়েছেন গবেষকরা।

শারীরিক ব্যায়াম

৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য শারীরিক ব্যায়ামের সময় হৃদস্পন্দন ১০৯ থেকে ১২৯ বিট প্রতি মিনিট রাখার অভিমত দিয়েছেন গবেষকরা। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের জন্য মধ্যম থেকে উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম সপ্তাহে অন্তত তিনবার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা সর্বাধিক হার্ট রেটের ৭৭% থেকে ৯৩% অর্জনের লক্ষ্যে।

মনোযোগ ও মেডিটেশন

মেন্টাল হেলথ এবং আত্মময়তার বিকাশ ঘটানোর জন্য এবং হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মেডিটেশন এবং মনোযোগমূলক কৌশলগুলি অত্যন্ত কার্যকর। মনোযোগ এবং মেডিটেশন প্রক্রিয়া হৃদস্পন্দন হ্রাস করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button