মুখে বরফ দিলে কি ক্ষতি হয়?

গরমকালে প্রচন্ড তাপে মুখের ত্বকের জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তিকর সেনসেশন কমাতে অনেকে মুখে বরফ ঘষার পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। যদিও এই পদ্ধতি সাময়িক শীতলতা ও সতেজতা এনে দেয়, দীর্ঘক্ষণ ধরে মুখে বরফ ঘষলে ত্বকের প্রতি এর ক্ষতিকর প্রভাবের সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না। ত্বকের যত্নে বরফের সামান্য হিমেল প্রভাব যেমন উপকারী, তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

বরফের উপকারিতা একদিকে যেমন লক্ষ লক্ষ মানুষের ত্বকের যত্নে প্রধান্য পাচ্ছে, মুখে বরফ প্রভাব অপরদিকে আবার ত্বক পরিচর্যায় নতুন কিছু সংশয়ের সৃষ্টি করছে। সেই সন্দেহের মেঘ সরিয়ে স্পষ্ট করতে ও মুখের ত্বকের জন্য বরফের ব্যবহার কতটা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর এ বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হবে এই আলোচনায়। বিশেষত গরম আবহাওয়ায় বরফের সরাসরি ব্যবহার এবং সেরা ত্বকের যত্নের অন্যান্য উপায়গুলির সম্বন্ধে জানা যাবে।

Contents show

বরফের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক

বরফের ব্যবহারের ধারণা অনেক প্রাচীন এবং যুগ যুগ ধরে এর ব্যবহার ত্বকের যত্নে প্রচলিত রয়েছে। ত্বকে বরফের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায় যে এটি ত্বক সতেজ করার নিখুঁত উপায় এক। তবে, এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও আছে যা জেনে রাখা দরকার।

ত্বকের উপর বরফের প্রভাব

বরফ ত্বকের রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে যা তাত্ক্ষণিকভাবে ত্বকের লালচে ভাব কমিয়ে দেয় এবং ত্বককে সতেজ করে। এছাড়া, এটি রক্তচাপ কমানো এবং পানির জমাট বেঁধে যাওয়ার ব্যাপারেও কার্যকর।

কি কারণে বরফ ব্যবহার করা হয়?

  • ত্বকের লালচে ও প্রদাহযুক্ত অঞ্চল ঠাণ্ডা করতে
  • ত্বককে তাত্ক্ষণিক সতেজ এবং উজ্জ্বল করতে
  • ত্বকের রোমছিদ্রগুলোকে সংকুচিত করে ত্বকের বর্ণনা উন্নত করা

বরফ কিভাবে ত্বককে সতেজ করে?

কোল্ড থেরাপি হিসেবে পরিচিত, এই প্রক্রিয়া ত্বকে বরফ মালিশ করা হয়, যা ত্বক সতেজ করা সহ বিভিন্ন উপকার প্রদান করে। এটি ত্বকের অভ্যন্তরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে ত্বক তার স্বাভাবিক ক্ষমতা ফিরে পায় এবং অধিক উজ্জ্বল ও সতেজ দেখায়।

আরও পড়ুনঃ  পিরিয়ডের সময় কি মিলন করা যায়?

মুখে বরফ দেয়ার সঠিক পদ্ধতি

মুখে বরফ প্রয়োগের নিয়ম মেনে বরফ লাগানো ত্বকের যত্নের একটি অভিনব পদ্ধতি। উপযুক্ত পদ্ধতিতে বরফ প্রয়োগ করলে ত্বকের জন্য এটি ভীষণ উপকারী। নিচে বরফ দেয়ার ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো:

প্রথমে কি করতে হবে?

বরফ মুখে লাগানোর আগে এটিকে পাতলা কাপড়ে, যেমন সুতি বা মসলিনে জড়িয়ে নিতে হবে। এতে করে পরিষ্কার বরফ সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে না এসে ত্বকের উপর আস্তে আস্তে গলতে থাকবে।

কতক্ষণ বরফ লাগাতে হবে?

বরফ দেয়ার পদ্ধতি অনুসারে, মুখে বরফ লাগানোর সময়কাল সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মতো হওয়া উচিত। এই সময়ের মধ্যে বরফ আস্তে আস্তে ত্বকের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

বরফ লাগানোর পর কি করবো?

বরফ দেয়ার পর ত্বক ধুয়ে নিতে হবে এবং কোমল মুখ মুছার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন। এরপরে, মুখে লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন মইস্চারাইজার বা সিরাম ব্যবহার করতে পারেন, যা ত্বককে আরও হাইড্রেটড রাখবে।

এভাবে মুখে বরফ লাগানো ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে খুবই কার্যকর। তাই, মুখে বরফ লাগানোর সময়কাল এবং পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলুন এবং সুন্দর ত্বক পেতে এই নিয়মগুলো অবলম্বন করুন।

ত্বকের ধরণের উপর বরফের প্রভাব

বরফের প্রয়োগ বিভিন্ন ধরণের ত্বকের উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। নিম্নলিখিত অধ্যায়ে, আমরা তেলতেলে ত্বক, শুষ্ক ত্বক, এবং সংবেদনশীল ত্বকে বরফ ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করব।

তেলতেলে ত্বক

তেলতেলে ত্বকে বরফ ব্যবহারের ফলে ত্বকের উপর স্বল্পমাত্রায় তেল উৎপাদনের পরিমাণ কমে এবং ছিদ্রগুলি সংকুচিত হয়। এটি ব্রণ সৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস করতে পারে এবং ত্বকের মাধ্যমে তাজা অনুভূতি সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।

শুষ্ক ত্বক

শুষ্ক ত্বকে বরফের প্রভাব খুব সাবধানে ব্যবহার করা উচিত। বরফ প্রায়শই ত্বকের আর্দ্রতার পরিমাণ কমাতে পারে, যা শুষ্ক ত্বককে আরও রুক্ষ ও প্রদাহযুক্ত করতে পারে। এমন ক্ষেত্রে বরফের সাথে ময়শ্চারাইজার বা অন্যান্য আর্দ্রকারী উপাদানের সংমিশ্রণ করে ব্যবহার উত্তম।

সংবেদনশীল ত্বক

সংবেদনশীল ত্বকে বরফ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা প্রয়োজন। খুব ঠান্ডা বরফ সংবেদনশীল ত্বকের প্রদাহ, লালচে ভাব ও অস্বস্তি সৃষ্টির কারণ হতে পারে। তাই, সংবেদনশীল ত্বকে বরফ ব্যবহারের আগে এটি মুখের ত্বকের একটি ছোট অংশে টেস্ট করা উচিত।

বরফ ব্যবহার করার সময় যা জানা জরুরি

বরফ আমাদের ত্বকের যত্নে এক অপরিহার্য উপাদান হতে পারে, তবে এর বরফ অতিরিক্ত ব্যবহার এবং বরফ ব্যবহারের সতর্কতা সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। নিরাপদ এবং কার্যকরী উপায়ে বরফের ব্যবহার করতে গেলে কিছু মৌলিক বিষয় জানা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতি

বরফ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এবং অনিয়মিত ভাবে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ত্বকে রেডনেস, চুলকানি, এবং স্পর্শকাতরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা ত্বকের দ্রুত বার্ধক্যজনিত লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে বরফের সঠিক ব্যবহার না করা হলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে পারে এবং শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুনঃ  চিরতরে সাইনাস নিরাময়ের উপায়

রোগ প্রতিরোধে কি লক্ষণ থাকতে পারে?

  • বরফ স্যাঁতসেঁতে ত্বকে লাগানো থেকে সাময়িক প্রদাহ হতে পারে।
  • যদি বরফের অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়, তবে ত্বকের অস্বস্তি বৃদ্ধি পাওয়া দেখা যেতে পারে।
  • বরফের অপব্যবহার ত্বকের জ্বালা ও পোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

বরফ নিরাপদ রখতে হবে কিভাবে?

  1. বরফকে সরাসরি ত্বকে না দিয়ে, পাতলা কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুড়ে নিন।
  2. বরফ প্রয়োগের সময় সবসময় এক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাখুন; প্রায় ২০ সেকেন্ড।
  3. প্রত্যেক বরফ প্রয়োগের পর ত্বক পরিষ্কার করুন এবং যেহেতু ত্বকের সতেজতা বজায় রাখতে পারে তাই ধীরে ধীরে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান।

বরফের পরিবর্তে কি ব্যবহার করা উচিত?

ত্বকের সতেজতা এবং শীতলতা বজায় রাখার জন্যে বরফের ব্যবহার একটি জনপ্রিয় কৌশল। তবে, অনেক সময় বরফের সরাসরি প্রয়োগ ত্বকে ভালো ফল দিতে পারে না এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে। এর পরিবর্তে, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে যা ত্বকের জন্য আরও সুরক্ষিত এবং উপকারী।

এ্যালোভেরা

এ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রদাহ কমাতে, ময়েশ্চারাইজ করতে এবং সনবার্ন থেকে রাহাত দিতে সাহায্য করে।

কুমড়োর বীজ

কুমড়োর বীজের তেল ত্বকের জন্য একটি অসাধারণ পুষ্টিকর উপাদান। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধকারী উপাদান হিসাবে কাজ করে।

গোলাপ জল

গোলাপ জলের উপকারিতা অনেক। এটি ত্বককে পরিষ্কার করে, টোন করে এবং ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গোলাপ জলের সুগন্ধি মানসিক শান্তি প্রদান করে।

  • এ্যালোভেরা জেলের প্রয়োগ সময়ে ত্বক যেন পরিষ্কার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
  • কুমড়োর বীজের তেল ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে ত্বকের এক কোণে টেস্ট করে নিন।
  • গোলাপ জল সরাসরি ত্বকে স্প্রে করে দিন নিয়মিত।

বরফ ব্যবহারের সাধারণ ভুলগুলি

বরফের ব্যবহারে অনেক সময়েই বেশ কিছু সাধারণ ভুল হয়ে থাকে, যা আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই ভুলগুলো চিহ্নিত করা এবং তাদের সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি।

অত্যধিক সময় বরফ ব্যবহার

অনেকেই বরফের অত্যধিক প্রয়োগ করে থাকেন, যা ত্বকের জন্য অতিরিক্ত ঠাণ্ডা প্রভাব ফেলে। এটি ত্বকের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে।

সরাসরি বরফ রাখা

সরাসরি ত্বকে বরফ রাখা একটি সাধারণ বরফ ব্যবহারের ভুল হয়। বরফকে সরাসরি ত্বকে লাগানোর ফলে বরফের জ্বলন সমস্যা হতে পারে, যা ত্বকের পোড়া সদৃশ অবস্থা সৃষ্টি করে।

ভুল উপাদান ব্যবহার করা

অনেক সময় বরফ সংরক্ষণের ভুল হয়ে থাকে, যেমন বরফের সাথে অযৌক্তিক উপাদান মিশ্রণ করা। এর ফলে ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এবং এলার্জি বা র‌্যাশের সৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির পদ্ধতি?

সঠিক নিয়ম মেনে বরফ ব্যবহার করা এবং উপরে উল্লিখিত ভুলগুলি এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। এতে বরফ ব্যবহারের সুফল পেতে পারি এবং ত্বকের ক্ষতির ঝুঁকি কমানো যায়।

বরফের সাথে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার

প্রাকৃতিক উপাদান যেমন লেবুর রস, শশা, এবং মধু বরফের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা ত্বকের সতেজতা এবং পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রক্রিয়াটি না শুধু ত্বককে সোজা উপকার দেয়, বরং প্রাকৃতিক উপাদানের বেশিরভাগ পুষ্টিগুণ এবং গুণাগুণ ত্বকে সরাসরি পৌঁছে দেয়।

লেবুর রস

লেবুর রস একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতে এবং লেবুর রসের গুণাগুণ ত্বককে টোন করে। একটি বরফ প্রয়োগে লেবুর রসের সঙ্গে মিশ্রিত করে ব্যবহার করা হলে ত্বকের দাগ দূরীকরণে সাহায্য করে।

শশা

শশার পুষ্টিগুণ আর্দ্রতা যোগান দেয় এবং ত্বকে শীতলতা প্রদান করে। বরফ কিউব তৈরির সময় শশা রস যুক্ত করলে, এটি ত্বকে জলীয় স্তর বৃদ্ধি পায়, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সহায়ক।

মধু

মধুর স্কিন কেয়ার উপকারিতা অসাধারণ, যা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টিজের জন্য পরিচিত। মধু মিশ্রিত বরফ ব্যবহার করে ত্বকে আর্দ্রতা সরবরাহ করা সহ ছোট ক্ষত এবং ব্রণের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।

নিয়মিত এই উপাদানগুলির সঙ্গে বরফ মিশ্রিত প্যাক ব্যবহার করে একটি সুস্থ এবং সতেজ ত্বক অর্জন করা সম্ভব, যা শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং ত্বককে প্রাণবন্ত ও তরতাজা রাখে।

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার সময় বরফ ব্যবহার

আবহাওয়া অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন বাতাস স্যাঁতসেঁতে হয়। এই ধরণের পরিবেশে ত্বকের উপর বরফের ব্যবহার অনেক সময়ে স্বস্তি প্রদান করতে পারে, কিন্তু এর সুবিধা ও ঝুঁকি উভয়ই রয়েছে। ত্বকের প্রতি বরফের প্রভাব বিচার করা অপরিহার্য, যাতে করে ত্বক সতেজ এবং সুরক্ষিত থাকে।

গরম আবহাওয়ায় বরফের উপকারিতা

গরম আবহাওয়ায় বরফ ত্বককে শীতল করে এবং রোদ থেকে আসা উত্তাপে থেকে ত্বককে প্রশমিত করে। বরফ লাগানোর মাধ্যমে ত্বকের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে ত্বক আরও প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল দেখায়। যদিও, বরফ সরাসরি ব্যবহারের ফলে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি হতে পারে, তাই প্রয়োগের সময় সতর্ক থাকা জরুরি।

বরফ ব্যবহারে স্বাস্থ্যের সমস্যা

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়, যখন ত্বক ইতিমধ্যে নির্জীব ও শুষ্ক অনুভূত হয়, বরফের অতিরিক্ত ব্যবহার আরও ক্ষতি করতে পারে। ভিটামিন এ, ডি, ও ই’র অভাবে চুলকানি, শুষ্ক ত্বক, এবং ফাটল হতে পারে। জিঙ্কের অভাব সৌরিয়াসিস, এটোপিক ডার্মাটাইটিসের মতো ত্বক সমস্যা উদ্ভুত করে থাকে। সুতরাং, বরফের ব্যবহার অত্যন্ত যত্নসহকারে ও পরিমিত হওয়া উচিত। আবহাওয়া অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নিতে হলে প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button