আলসারের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন

আলসারের প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে গেলে একটি অস্বস্তির বিষয় হলো পেটের মাঝ বরাবর জ্বালাপোড়া ও ভোঁতা ব্যথার উপস্থিতি। বাংলাদেশের অনেকেই পেটের আলসারের কারণে ভোগে। হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ, এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধের ব্যবহার, ধূমপান এবং অ্যালকোহলের অতিরিক্ত গ্রহণ এবং জাঙ্ক ফুডের মতো উচ্চ অ্যাসিডিক খাবারের অত্যাধিক সেবন হলো পেটের আলসারের সাধারণ কারণ।

আলসার চিহ্নিতকরণ করা অত্যন্ত জরুরি, কেননা রক্তবমি অথবা কালো, আঠালো পায়খানা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের লক্ষণ হতে পারে, যা দ্রুত চিকিৎসার দাবি করে। সময়মত আলসারের সঠিক চিকিৎসা না পেলে এই লক্ষণগুলি শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে, যা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনযাপনে বাধা দেয়। স্ট্রেসের প্রভাব সরাসরি আলসারের সৃষ্টি না করলেও এর লক্ষণগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আরোগ্য লাভে বিলম্ব ঘটাতে পারে।

Contents show

আলসার কি?

আলসার খুব সাধারণ একটি রোগ যা পাকস্থলী অথবা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশে ঘটে। এর মূল কারণ হিসেবে হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া এবং নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগসের ব্যবহার চিহ্নিত হয়েছে। এই রোগ গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার এর মতো প্রকারভেদে বিভক্ত।

আলসারের সংজ্ঞা

এক বা একাধিক ঘা যা পাকস্থলী অথবা পাকস্থলীর পরবর্তী ক্ষুদ্রান্ত্রের মিউকোজা অঞ্চলে তৈরি হয়, তাকে আলসার বলা হয়। এটি সাধারণত এক ধরনের ব্যথাপূর্ণ অবস্থা এবং অস্বস্তিকর উপসর্গ দ্বারা চিহ্নিত হয়।

আলসারের বিভিন্ন প্রকার

  • গ্যাস্ট্রিক আলসার: এই ধরণের আলসারের ঘা সাধারণত পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠে ঘটে।
  • ডিওডেনাল আলসার: এটি দ্বাদশান্ত্রে ঘটে, যা পাকস্থলীর পরবর্তী প্রথম খণ্ড।

উভয় ধরণের আলসারের ধরন খুব ব্যথাদায়ক হতে পারে এবং যথাযথ চিকিৎসা না পেলে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি।

আলসারের সাধারণ লক্ষণ

আলসার ব্যথা একটি প্রধান নির্দেশক যা বিশেষ করে পেটের উপরিভাগে তীব্র অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই ব্যথা যখন অসহ্য হয়ে ওঠে, তখন তা ক্ষুধামন্দা ঘটাতে পারে, যা পুষ্টির অভাব এবং শরীরের সাধারণ স্বাস্থ্যের অবনতি ডেকে আনতে পারে।

পেটে ব্যথা

আলসার যখন পেটের প্রাচীরে ঘটে তখন পেটের উপরিভাগে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়। এটি সাধারণত খাওয়ার পর শুরু হয় এবং কখনো কখনো খালি পেটেও হতে পারে। ব্যথা মূলত অম্বল অথবা খাওয়ার নাড়ির এলাকায় অনুভূত হয়।

ক্ষুধার অভাব

ক্ষুধামন্দা প্রায়শই আলসারের একটি সাধারণ লক্ষণ। বিশেষ করে যদি খাবার খাওয়ার পর পেটের উপরিভাগে ব্যথা উপস্থিত হয়, এটি খাওয়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুনঃ  ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি

ব্যথার সময়কাল

আলসারের ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে একাধিক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সূচিত ব্যথা হয়তো নির্দিষ্ট কোন খাবার খাওয়ার পর বা খালি পেটে বাড়তে পারে। ব্যথার মাত্রা ও স্থায়িত্ব একজন রোগী থেকে অন্য একজন রোগীতে ভিন্ন হতে পারে।

আলসারের গুরুতর লক্ষণ

গুরুতর আলসারের লক্ষণগুলি অনেক সময়ে প্রাণঘাতী জটিলতা ডেকে আনতে পারে, যার মধ্যে প্রধানত রক্তপাত অন্যতম। এ ধরনের জটিলতাগুলি না চিহ্নিত করে উপেক্ষা করা খুব বিপজ্জনক হতে পারে।

রক্তপাতের প্রবণতা

আলসারের কারণে রক্তপাত মূলত পেটের উপরিভাগে অস্বস্তি চিহ্নিত করা যেতে পারে। এরূপ অবস্থায় পেটে অত্যধিক ব্যথা, রক্তবমি, বা রক্তমিশ্রিত বমি হতে পারে। পেটের ভেতরের ক্ষত থেকে রক্তপাত আলসারের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হিসেবে পরিগণিত হয়।

অন্যান্য অঙ্গের সমস্যা

  • রক্তপাতের কারণে বিভিন্ন অঙ্গে প্রভাব পড়তে পারে, যেমন লিভার এবং প্যানক্রিয়াস।
  • গুরুতর জটিলতা যেমন প্রাণঘাতী জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে সাময়িক বা স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
  • অন্ত্রের বিকার, যেমন অন্ত্রের ছিদ্র হওয়া, যা তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

আলসারের গুরুতর লক্ষণগুলি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা এবং নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে মোকাবেলা করা জরুরি। আলসার যদি গুরুতর পর্যায়ে উপনীত হয়, তবে তা প্রাণঘাতী হতে পারে, এমনকি সেটি ‘রক্তপাত’ আকারে প্রকাশ পেতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পেটের আলসারের লক্ষণ

পেটের নিচের অংশে ব্যথা যা আলসার পেটের নিচের অংশে প্রবণতা প্রকাশ করে তা এক উদ্বেগজনক সহ্য করার মতো অবস্থা। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত খাদ্য গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবারগুলো খেলে।

পেটের নিচের ব্যথা

আলসার পেটের নিচের অংশে ব্যথা অনুভূত হওয়া মাত্রই আমাদের চিকিৎসা নেয়া উচিত। এই ব্যথা ক্রমাগত বা প্রায়কালিক হতে পারে, এবং অনেক সময় অসহ্য হয়ে ওঠে।

গ্যাস এবং হজমের অসুবিধা

গ্যাসের সমস্যাপেট ফাঁপা হজমের প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে, যা অনেক সময় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পেটে গ্যাস জমে গেলে তা পেট ফাঁপা অবস্থায় পরিণত হয় এবং বিভ্রান্তিকর ঢেঁকুর উপস্থিত হতে পারে যা খুবই অস্বস্তিকর।

  • ভারি খাবার খাওয়ার পরে বৃদ্ধি পায় এই সমস্যা।
  • ঢেঁকুর আসা, বা খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া৷
  • হঠাৎ করেই পেটের ওপরের অংশ ফাঁপা ও উত্থিত হয়ে যাওয়া।

এমনিতে এই ধরনের লক্ষণগুলি হালকা হলেও যথেষ্ট অস্বস্তিকর হতে পারে, তবে তা যদি প্রায়শই ঘটে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অ্যাসিডে আলসার ও লক্ষণ

অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিক অবস্থা সহ নানান পাকস্থলীর সমস্যা বাংলাদেশে প্রচুর দেখা যায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বুক জ্বালা সাধারণত হজমের সমস্যা থেকে উদ্ভূত হয়। এগুলি পেটের ভেতরের অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণে হয়ে থাকে যা পাকস্থলীর ভেতরের প্রদাহ ও আলসার সৃষ্টি করতে পারে।

এসিড রিফ্লাক্স

এসিড রিফ্লাক্স হচ্ছে ক্ষারের মতো অম্লের গলা পর্যন্ত উঠে আসা একটি অবস্থা, যা কখনো কখনো বুক জ্বালা বা নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় অস্বস্তি তৈরি করে। এটি প্রায়ই অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, চা বা কফি খাওয়ার পরে ঘটে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  দ্রুত ব্রংকাইটিস সারানোর উপায়

বুকজ্বালা

বুক জ্বালা হলো বুকের মধ্যে পোড়াপোড়া অনুভূতি যা খাবারের প্রতি অসাবধানতা বা অনিয়মিত খাদ্যাভাসের ফলে প্রায়ই দেখা যায়। এসিডিটির লক্ষণ হিসেবে পরিচিত এই বুক জ্বালা রাতের বেলা বা শুয়ে থাকার সময় বৃদ্ধি পায়।

এসিডিটি এবং বুক জ্বালা থেকে নিরাময় পেতে সঠিক খাদ্যাভাস ও জীবনযাত্রা অত্যন্ত জরুরি। অ্যান্টাসিড বা বদহজমের ঔষধ সাময়িক ভাবে এসিডিটি নিরাময়ে সহায়ক হলেও, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, অ্যালকোহল এবং ধূমপান পরিত্যাগ, এবং নিয়মিত ব্যায়াম দীর্ঘমেয়াদী সমাধান করতে পারে। অ্যাসিড সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সামগ্রিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

ছিদ্রযুক্ত আলসারের লক্ষণ

ছিদ্রযুক্ত আলসার একটি গুরুতর চিকিৎসা অবস্থা যা তীব্র ব্যথা, অস্বস্তি এবং অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পারে। এই অবস্থার উপসর্গগুলি বুঝতে ও তাদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জানা জরুরি।

প্রলাপ ও শ্বাসকষ্ট

ছিদ্রযুক্ত আলসার সাধারণত পেটের মাঝে ব্যথা দিয়ে শুরু হয়, যা হঠাৎ করে তীব্র এবং অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। এই ব্যথা প্রায়ই শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন করলেও কমে না। ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব এবং প্রলাপের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যা জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা ইঙ্গিত করে।

জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন

ছিদ্রযুক্ত আলসারের ক্ষেত্রে, দেরি ছাড়া জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ করা অপরিহার্য। এটি পেটের মধ্যে অঙ্গগুলির ভিতরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়, যা জীবন-হানিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। সাধারণত, অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছিদ্রটি মেরামত এবং আক্রান্ত অঞ্চল পরিষ্কার করা হয়।

এই লক্ষণগুলি আবির্ভাব হলে, অবহেলা না করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। ছিদ্রযুক্ত আলসারের জটিলতা এড়াতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন নিশ্চিত করতে আগে থেকে সচেতন থাকা এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরি।

শিশুদের মধ্যে আলসারের লক্ষণ

শিশুদের মধ্যে আলসারের লক্ষণ চেনার মাধ্যমে আমরা তাদের স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতি তাৎক্ষণিকভাবে সচেতন হতে পারি। এই লক্ষণগুলি বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে, যেমন বমি ভাব এবং শিশুদের মেজাজের পরিবর্তন

বমি ভাব

শিশুদের আলসার লক্ষণ হিসেবে বমি ভাব অনেক সময় লক্ষণীয় হয়। পেটে অস্বস্তি বা অম্লতার কারণে এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায়। বমি ভাব শিশুদের দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রভাব ফেলতে পারে, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

আচরণগত পরিবর্তন

শিশুদের মেজাজের পরিবর্তন ও আলসারের লক্ষণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুধামান্দ্য, অবসাদ, অস্থিরতা, বা আগ্রহের অভাব শিশুর আচরণে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই ধরণের পরিবর্তন সাধারণত অনুভূত হয় যেখানে শিশুরা স্বাভাবিকভাবে খেলা করতে বা সামাজিক মেলামেশায় অংশ নিতে অনীহা প্রকাশ করে।

সব মিলিয়ে, শিশুদের আলসার লক্ষণ যেমন বমি ভাবশিশুদের মেজাজের পরিবর্তন, শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। অভিভাবকদের উচিত এসব লক্ষণ যথাযথভাবে মনিটর করা এবং যেকোনো বিচ্যুতি লক্ষ্য করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

মহিলাদের আলসারের লক্ষণ

মহিলারা যখন মহিলাদের আলসার এর প্রভাবে পড়েন, তখন তাদের এর লক্ষণগুলো বিস্তারিতভাবে বোঝা জরুরি। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল মাসিক চক্রে পরিবর্তন এবং গর্ভাবস্থায় আলসার এর প্রকাশ।

আরও পড়ুনঃ  নিতম্ব কি? নিতম্ব সম্পর্কে জানুন

মাসিক চক্রে পরিবর্তন

মাসিক চক্রের বিশৃঙ্খলাকারী প্রভাব অনেক সময় মহিলাদের আলসারেরএকটি প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে। চক্রের অনিয়মিততা, প্রবল বা খুব হাল্কা রক্তপাত এর ফলে অসুবিধা দেখা দেয়।

গর্ভাবস্থায় আলসারের লক্ষণ

গর্ভাবস্থায়, গর্ভাবস্থায় আলসার হলে পেটের উপরিভাগে ব্যথা, অস্বস্তি, বমি বমি ভাব এবং খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেতে পারে। এই অবস্থায় নারীদের অনেক সময় গুরুতর লক্ষণ যেমন অতিরিক্ত রক্তপাতের মতো জটিলতা দেখা দেয়ে থাকে।

সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা নিয়ে গর্ভাবস্থায় আলসার এবং মহিলাদের আলসারের খুঁটিনাটি সহজে আবিষ্কার এবং চিকিৎসা করা সম্ভব। এদের জন্য নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি।

আলসার যাচাই

আলসারের নির্ণয়ে প্রধান ভূমিকা রাখে আলসারের ডাক্তারি পরীক্ষা এবং রোগীর মেডিকেল ইতিহাস। এই প্রক্রিয়ায়, বিভিন্ন ধরণের শারীরিক পরীক্ষা ও ল্যাবরেটরি টেস্ট সমূহ চালানো হয়, যাতে করে আলসারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। এ থেকে কীভাবে শারীরিক পরীক্ষা ও মেডিকেল ইতিহাস গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ডাক্তারি পরীক্ষা

হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ইনফেকশন সনাক্তকরণের জন্য রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা দিতে হয়, যেমন:

  • ইউরিয়া ব্রেথ টেস্ট
  • স্টুল অ্যান্টিজেন টেস্ট
  • H. pylori অ্যান্টিবডি টেস্ট

এগুলোর প্রতিটি পরীক্ষা আলসারের নির্ণয়ে অত্যন্ত সহায়ক।

মেডিকেল ইতিহাস

রোগীর মেডিকেল ইতিহাস তাঁর পূর্বের স্বাস্থ্য রেকর্ড ও চিকিৎসার ইতিহাস নিরীক্ষণ করে আলসারের নির্ণয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ইতিহাস থেকে চারিত্রিক উপসর্গ ও পেটের বিকারের তথ্য পাওয়া যায়, যা চিকিৎসক আলসার নির্ণয়ের বিষয়ে ভালো ধারণা পেতে সাহায্য করে।

তাই, সঠিক নির্ণয় ও কার্যকর চিকিৎসার জন্য, আলসারের ডাক্তারি পরীক্ষা এবং পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল ইতিহাস জানা অপরিহার্য।

আলসার প্রতিরোধের উপায়

আলসার একটি প্রচলিত পেটের সমস্যা, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ ভোগেন। আলসারের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্ব এক অনুপস্থিত বিষয়। প্রায়শই এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধ যেমন ইবুপ্রোফেন এবং ন্যাপ্রক্সেনের ব্যবহার, ধূমপানের অভ্যাস, মদ্যপান এবং স্ট্রেস আলসারের বিকাশের পেছনে দায়ী হয়ে থাকে। এসব ফ্যাক্টর এড়ানোর মাধ্যমে এবং হেলিকোব্যাক্টের পাইলোরি ব্যাকটেরিয়াকে সঠিকভাবে চিকিৎসা করে আলসারের প্রতিরোধ সম্ভব।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

ধূমপান এবং মদ্যপানের উপাদান আলসার প্রতিরোধে অবদান রাখতে পারে। উন্নত স্বাস্থ তৈরির জন্য, যথেষ্ট ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ হ্রাসের উপায় অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। পেপটিক আলসারের ব্যাপকতা বিশ্বব্যাপী ২.৪% থেকে ৬.১% এর মধ্যে রয়েছে বলে, সচেতনতা এবং প্রতিরোধ পদ্ধতি অধিকার জরুরি।

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

স্পাইসি খাবারের ব্যবহার কমানো, সময়োচিত খাওয়া-দাওয়া, এবং হেলিকোব্যাক্টের পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে সম্পূর্ণ চিকিৎসা নেওয়া আলসার প্রতিরোধে কার্যকর। কলা, তাজা জুস, নারকেল, প্রোবায়োটিকস, রসুন, স্ট্রবেরি এবং বাঁধাকপি যুক্ত খাবার আলসার নিরাময়েও সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার, যেমন কাজু, বাদাম, মাছ খাওয়াও আলসার প্রতিরোধে সহায়ক। এই সব বিধিনিষেধ মেনে চলা প্রয়োজনীয় যা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটাকে আরও সহজ করে দেয়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button