বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়া উচিত?

বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে প্রচলিত ধারণা অনুসারে অনেক পরিবার বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। তবে, পেট গ্যাসের প্রতিকার করতে ঘরোয়া উপায় মাত্র কয়েকটি সহজ পদক্ষেপে সম্ভব। আদায় চূর্ণ ও পানি, জোয়ানের বীজ মেশানো পানি, সহজে হজম হওয়া স্যুপ এবং ডালগুলো বাচ্চাদের পেটে ব্যথা এবং গ্যাসের অস্বস্তিতে আরাম দিতে পারে। বাচ্চাদের ডায়েটে তাজা ফলমূল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো, ফাস্ট ফুড এবং চকলেটের ব্যাবহার কমানো এবং পেট গ্যাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত খাবারগুলোর প্রতি শিশুর সংবেদনশীলতা পরিমাপ করা উচিত।

শিশুদের পরিপাকতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে ০-৩ মাস বয়সী নবজাতকদের ক্ষেত্রে, পেরেকশনের আগে পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থাকে। এই কারণে খাবার ভাগ বিভাজনে জটিলতা এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা স্বাভাবিক। তবে, ৪-৬ মাসের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পায়। এছাড়া, পেঁয়াজ, রসুন, ঝাল ও ক্যাফিন জাতীয় খাবার শিশুদের পেটে গ্যাস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এসব খাদ্য পণ্য থেকে সচেতনভাবে দূরে থাকা এবং সস্তা, সহজ হজমযোগ্য খাবারের প্রতি ঝুঁকতে হবে।

Contents show

গ্যাসের প্রবণতা কেন ঘটে?

শিশুদের মধ্যে গ্যাসের প্রবণতা মূলত বিভিন্ন শারীরিক ও খাদ্যাভাসের কারণে ঘটে। এর মধ্যে পুষ্টির অভাব, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, এবং পানির অভাব প্রধান। এই তিনটি কারণ বাচ্চাদের পেটে গ্যাস তৈরির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে এবং অনেক সময় অস্বস্তি ও ব্যথার কারণ হয়।

পুষ্টির অভাব

বাচ্চাদের পুষ্টির জন্য খাবার যথাযথ না হলে তাদের শরীরে গ্যাস তৈরির প্রবণতা বাড়ে। পুষ্টিকর খাবার না পেলে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, যা গ্যাসের সমস্যাকে আরও বাড়ায়।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে শিশুদের শরীরে গ্যাস তৈরির প্রবণতা বাড়তে পারে। ফাস্ট ফুড, চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবারগুলি শিশুদের পেটে গ্যাসের কারণ হতে পারে।

পানির অভাব

পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শিশুদের হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়, যা কখনো কখনো গ্যাস তৈরি করে। শিশুদের প্রতিদিনের পানির চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।

গ্যাস ও এর লক্ষণ

বাচ্চাদের মধ্যে গ্যাসের লক্ষণ দেখা দেওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, কিন্তু প্রায়শই এটি অবহেলিত হয়। তাদের পেটে গ্যাস জমার ফলে বাচ্চাদের পেটে ব্যথা, বুকে অস্বস্তি, এবং নানা রকম হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

  • পেট ব্যথা: এটি বাচ্চাদের পেটে ব্যথার প্রধান লক্ষণ এবং বিশেষত খাওয়ার পরে তীব্র হতে পারে।
  • বুক জ্বলা: খাবারের পরে বা শুয়ে থাকার সময়ে বুকে জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এটি বুকে অস্বস্তির একটি সূচক।
  • ঝিম ধরা: গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গেলে, বাচ্চারা অনেক সময় অবসাদগ্রস্ত অথবা ঝিমিয়ে পড়তে পারে, যা একটি উদ্বেগজনক লক্ষণ।
আরও পড়ুনঃ  গর্ভাবস্থায় কত মাসে পেট বড় হয়

বিভিন্ন কারণে বাচ্চারা এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, যেমন অপরিপক্ক পরিপাক তন্ত্র বা তাদের খাওয়ার ধরণ। এই লক্ষণগুলি চিনতে পারলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের আরাম দিতে ও গ্যাস নিরাময়ের উপায় খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।

পেট ব্যথা

বাচ্চাদের পেট ব্যথার সমস্যাটি খুব সাধারণ, যা প্রায়ই বাচ্চাদের পেটে গ্যাস জমে থাকার কারণে হয়। ব্যথার মাত্রা হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে।

বুক জ্বলা

বুক জ্বলা হল বুকে এক ধরনের অস্বস্তি, যা প্রায়ই গ্যাস থেকে উদ্ভূত হয়। এটি গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের বিপরীত প্রবাহের ফলেও ঘটতে পারে।

ঝিম ধরা

বাচ্চাদের মধ্যে ঝিম ধরা প্রায়শ একটি উপেক্ষিত লক্ষণ হতে পারে, কিন্তু এটি অবশ্যই গ্যাসের সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে।

শিশুদের জন্য নিরাপদ খাবার

বাচ্চাদের পেটের গ্যাস এবং হজমের সমস্যা সমাধানে সহজ হজমযোগ্য খাবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের হালকা খাবার এবং সহজ হজমযোগ্য রেসিপি তাদের পেটের জন্য একটি আরামদায়ক সমাধান নিশ্চিত করতে পারে।

সহজ হজমযোগ্য খাবার

শিশুদের খাদ্য তালিকায় সহজে হজম হওয়ার মতো খাবার রাখা জরুরি। যেমন সিদ্ধ সবজি, পাতলা ডাল এবং নরম ফল শিশুর হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।

স্যূপ ও ডাল

শিশুদের স্যূপ এবং ডালের মতো তরল খাবার দেওয়া উচিত যা পেটে হালকা থাকে এবং সহজেই হজম হয়। এই ধরনের খাবার না শুধুমাত্র পুষ্টিকর হয়, বরং বাচ্চার শরীরে পানির চাহিদাও পূরণ করে।

কোন ধরনের খাবার খাবেন?

  • চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি পাতলা খিচুড়ি
  • কুমড়ো ও গাজরের স্যূপ
  • হালকা মশলা সহ সবজি ভাত

খাল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি

শিশুদের খাওয়ার সময় কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা উচিত। খাবার ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ানো উচিত, যাতে খাবার সহজেই হজম হতে পারে। এছাড়াও প্রতিবার খাওয়ার পরে শিশুকে অল্প পানি পান করাতে হবে যাতে খাবার সহজে পেটে নেমে যায়।

পানির গুরুত্ব

বাচ্চাদের সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য পানির ভূমিকা অপরিসীম। বাচ্চাদের পানির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং দৈনিক পানির খরচ নির্ধারণ করতে হলে প্রথমে তাদের দেহের চাহিদা ও কার্যকলাপের পরিমাণ বিবেচনা করতে হবে।

পরিমাণ কেমন হওয়া উচিত?

প্রত্যেক বাচ্চার পানির চাহিদা তার দেহের ওজন, বয়স এবং দৈনিক কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, বাচ্চাদের কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে, শরীর চর্চা বা খেলাধুলা করলে এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

গ্যাস কমাতে সাহায্য করে

যথাযথ পরিমাণে পানি পান করলে বাচ্চাদের পাচন প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা কমে। পানি গ্যাস কমানোর জন্য একটি প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি খাদ্যকণাদের সহজে হজম করে এবং অম্লতা কমায়।

  • শারীরিক হাইড্রেশন বজায় রাখে, যা শরীরের তাপমাত্রা রেগুলেট করে।
  • বাচ্চাদের শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি কমায়।
  • স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্য অপরিহার্য।
আরও পড়ুনঃ  মুখের আলসার দ্রুত প্রাকৃতিকভাবে সারান

প্রোটিনের উৎস

বাচ্চাদের প্রোটিনের উৎস হিসেবে মুরগি, মাছ, দুধ, এবং ডাবের পানি অত্যন্ত উপকারী। এই খাবারগুলি শিশুদের পেটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমাতে সক্ষম।

মুরগি ও মাছ

মুরগি ও মাছের রেসিপি নিয়ে নানান প্রকার সৃজনশীল খাবার তৈরি করা যায় যা বাচ্চাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। মাছের রেসিপি সাধারণত আকর্ষণীয় ও স্বাস্থ্যকর হয়, যা বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় একটি উত্তম যোগান দেয়।

দুধ ও ডাবের পানি

দুধের গুণাগুণ শিশুদের পুষ্টির জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। ডাবের পানি হলো একটি প্রাকৃতিক প্রোটিনের উৎস যা শিশুদের তৃষ্ণা নিবারণে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

  • মুরগি ও মাছ রান্না করার সময় ভিন্ন ভিন্ন মসলা ও উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের খাদ্যরুচি বৃদ্ধি পায়।
  • দুধ ও ডাবের পানি প্রতিদিন বাচ্চাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা তাদের পুষ্টিগত চাহিদা পূরণ করে।

সঠিক পুষ্টির মিশেল বাচ্চাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তাদের সার্বিক বিকাশে সাহায্য করে। অতএব, এসকল খাবার নিয়মিত তাদের খাবারের তালিকায় রাখা উচিৎ।

মশলা এবং স্বাস্থ্য

প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আদা, পুদিনা এবং কাঁচা হলুদ বাচ্চাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখে। এই মশলাগুলি বিশেষ করে হলুদের উপকারিতা পেট পরিষ্কার রাখা এবং বিপাক ক্রিয়া উন্নত করায় অত্যন্ত সহায়ক।

আদা ও পুদিনা

আদা এবং পুদিনা প্রাকৃতিকভাবে পেটের গ্যাস এবং অম্লতা কমানোর জন্য এবং মুখের স্বাদ বাড়ানোর জন্য পরিচিত। এগুলি আহারের সহজ হজমে বড় ভূমিকা নেয় এবং অন্যান্য বাচ্চাদের প্রাকৃতিক খাবারের সাথে মিলিত হয়ে আরও ভালো ফলাফল প্রদান করে।

কাঁচা হলুদ

কাঁচা হলুদ তার এন্টিইনফ্লেমেটরি ও এন্টিবিয়াটিক প্রপার্টিসের জন্য সুপরিচিত। এটি প্রদাহ এবং ইনফেকশন দূরীকরণে সক্ষম, যা বাচ্চাদের পেটের সমস্যাকে অনেক কম সময়ে সারিয়ে তুলতে পারে।

  • আদা পেট ফাঁপা ও বুক জ্বালাপোড়া কমাতে উপকারী।
  • পুদিনা পেটের সমস্যা উপশম এবং ঠান্ডা লাগার সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
  • হলুদের ব্যবহারে রক্তপরিষ্কারণ এবং ক্ষত সারানোর ক্ষমতা বাড়ায়।

এসব মশলার নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে ব্যবহার শিশুর স্বাস্থ্য উন্নতির পাশাপাশি তাদের খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছা বাড়াতে পারে, যা বাচ্চাদের প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

খাবার পর কোন খাবারগুলো পরিহার করবেন

শিশুদের খাওয়ানোর সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত, বিশেষ করে খাবার পরের সময়ে। বাচ্চাদের পেটে গ্যাস ও অন্যান্য পাচনজনিত সমস্যা এড়াতে দুগ্ধজাত পণ্য, ফাস্ট ফুড, এবং মিষ্টি এর মতো খাবারগুলো পরিহার করা উচিত। এখানে কিছু বিকল্প ও সুবিধাজনক খাবারের কথা বলা হল:

দুগ্ধজাত পণ্য

  • দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প হিসেবে বাদামের দুধ (যেমন: কাঠবাদামের দুধ, সয়া দুধ) অথবা ল্যাকটোস-মুক্ত দুধ চেষ্টা করা যেতে পারে।
  • টক দই যেটা প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, তা বাচ্চাদের পাকস্থলীর স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই উপকারী।
আরও পড়ুনঃ  স্থায়ীভাবে Sciatica নিরাময়ের উপায়

ফাস্ট ফুড ও মিষ্টি

  • বাচ্চাদের ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যেমন ফলমূল, সবজির স্টিকস, বা নাটস পরিবেশন করা ভালো।
  • মিষ্টির ক্ষতি এড়াতে প্রাকৃতিক মিষ্টি যেমন মধু বা ডেটস অথবা কন্ডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করা উপযুক্ত।

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ও পাকস্থলীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে এই ধরনের ডায়েট ও খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন অত্যন্ত প্রয়োজন।

প্রাকৃতিক প্রতিকার

শিশুদের শারীরিক বিকাশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি অত্যন্ত জরুরি। একদিকে যেমন বাচ্চাদের ব্যায়াম তাদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে, অন্যদিকে ন্যাচুরাল রেমেডিস তাদের অসুস্থতা প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সাহায্য করে।

হালকা ব্যায়াম

প্রতিদিনের জীবনে হালকা কিছু ব্যায়াম শিশুদের গ্যাসের সমস্যা এবং অন্যান্য হজমজনিত অসুবিধা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যেমন:

  • খাবার পরে হালকা হাঁটাহাঁটি
  • শিশুদের পা দোলানো এবং পেটের উপর নরম মালিশ

এসব ব্যায়াম পেটে জমে থাকা অ্যাসিডিটি হ্রাস পায় এবং গ্যাস পাসে সাহায্য করে।

ঘরোয়া প্রতিকার

ন্যাচুরাল রেমেডিস হিসেবে, বিভিন্ন প্রাচীন এবং ঘরোয়া উপায়ে শিশুদের ব্যায়াম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা কিভাবে উন্নত হতে পারে তা জানা জরুরি। যেমনঃ

  • নিয়মিত উষ্ণ পানির স্নান (খেয়াল রাখতে হবে যে, পানির তাপমাত্রা শিশুর জন্য উপযুক্ত হওয়া আবশ্যক)
  • আদা এবং পুদিনা পাতার চা যা হজম দ্রুত করে এবং গ্যাস উপশম করতে ভূমিকা রাখে

এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি শিশুর জীবনযাত্রায় একটি সুস্থ ভিত্তি স্থাপন করে দিতে পারে, যা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।

নির্দিষ্ট খাবারের তালিকা

সুস্থ শিশুর বেড়ে ওঠায় পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকা অপরিসীম। বাচ্চাদের নির্দিষ্ট খাবার তালিকা তৈরি করা, যাতে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেলে, সেইসাথে তাদের পেটে গ্যাসের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কমে, অত্যাবশ্যকীয়। একটি সপ্তাহের খাদ্য পরিকল্পনায় সমন্বিত উপাদানের উল্লেখ এই নিবন্ধে উপস্থাপন করা হবে।

এক সপ্তাহের খাদ্য পরিকল্পনা

ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, যা হজমে সহায়ক, থাকবে প্রতি দিনের আয়োজনে। মাংসের বিকল্প হিসেবে মুরগি ও মাছের সঠিক পরিমাণের অন্তর্ভুক্তি আমাদের নিত্যদিনের সুস্থ খাদ্য অনুসরণ করে চলার কৌশলের একটি অংশ। প্রোটিনযুক্ত খাবার হিসেবে আমরা সপ্তাহের কয়েকদিন দই, ওটস এবং ডালিয়ার সমন্বয়ে বাচ্চাদের আহার নিশ্চিত করতে পারি।

বিভিন্ন বয়সের জন্য

দুই বছর বয়সী শিশুদের জন্য আমরা তাদের ক্রমাগত দাঁত ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সলিড খাবারের প্রতি সঞ্চালনে উৎসাহিত করি। ১৮ মাস বয়স থেকে শিশুরা স্বাভাবিকভাবে চামচ দিয়ে নিজে নিজে খাওয়া শুরু করে, এবং ২৪ মাসে তারা উচ্চতর টেবিলে বসে বড়দের সাথে নিয়মিত খাবার খায়। ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ দুগ্ধ জাতীয় পণ্য, যেমন দুধ, দই, এবং পনির, তাদের হাড়ের গঠনের জন্য জরুরি। পুষ্টিকর খাবার হিসাবে গাজর, কমলা লেবু এবং কলা সমৃদ্ধ ভিটামিনের উৎস এবং তাদের নিয়মিত মেনুতে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button