অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস, একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একটি জনপ্রিয় নাম। ১১ অক্টোবর ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করা অপু বিশ্বাস ২০০৬ সালে “কোটি টাকার কাবিন” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় কর্মজাত্রার সূচনা করেন। এ চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি একটি বিশাল পরিচিতি অর্জন করেন। অপু বিশ্বাস জীবনী ও কর্মজাত্রার প্রতিটি অধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের সাক্ষ্য বহন করে।

অপু বিশ্বাস শুধু তার অভিনয়েই নন, ব্যক্তিগত জীবনেও প্রচার মাধ্যমে বরাবরই থাকেন। শাকিব খানের সাথে তার বিবাহিত জীবন এবং তাদের সন্তান আব্রাম খান জয় তাদের জনপ্রিয়তার আরো একটি দিক। অপু বিশ্বাস চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ৭২ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে বাচসাস পুরস্কার এবং মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মত সম্মাননা উল্লেখযোগ্য। অপু বিশ্বাসের বাংলা চলচ্চিত্রে অবদান আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Contents show

অপু বিশ্বাসের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

অপু বিশ্বাস বাংলা চলচ্চিত্রের একজন সৌন্দর্যশীল এবং জনপ্রিয় নায়িকা। তার প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষার বিষয়ে জানলে বোঝা যায় যে তিনি কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও পরিশ্রমী ছিলেন।

জন্ম ও পরিবার

অপু বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালের ১১ অক্টোবর বগুড়া জেলায়। অপু বিশ্বাস পরিবার খুবই সংবেদনশীল ও সমর্থনশীল ছিল, যা তাকে সাফল্যের দিকে যাওয়ার পথে উৎসাহ জুগিয়েছে। তার মূল নাম ছিল অবন্তী বিশ্বাস, কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে তিনি অপু বিশ্বাস নামেই পরিচিত।

শিক্ষা জীবন

অপু বিশ্বাস শিক্ষা জীবন শুরু করেন বগুড়ার এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল থেকে। তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর, তিনি ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য। অপু বিশ্বাস পরিবার শিক্ষার প্রতি খুবই গুরুত্ব দিয়েছে, যা তাকে তার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করেছে।

অপু বিশ্বাসের অভিনয় কর্মজীবনের শুরু

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অপু বিশ্বাস একজন প্রখ্যাত নাম। তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুটা বেশ চমকপ্রদ। ২০০৬ সালে অপু বিশ্বাস প্রথম চলচ্চিত্র “কাল সকালে” দিয়ে তার অভিনয় জগতের দরজা খুলে দেন। তার অভিনয়ের দক্ষতা ও সৌন্দর্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।

প্রথম চলচ্চিত্র

অপু বিশ্বাস প্রাথমিকভাবে “কাল সকালে” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অপু বিশ্বাস অভিনয় জীবন শুরু করেন, যা তার ভক্তদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এতে অপু বিশ্বাস তার অভিনয়ের গুণাবলি প্রতিষ্ঠা করেন।

শাকিব খানের সাথে জুটি

তবে অপু বিশ্বাসের অভিনয় ক্যারিয়ার বেগবান হয় যখন তিনি অপু বিশ্বাস শাকিব খান এই জনপ্রিয় অভিনেতার সাথে একাধিক সফল চলচ্চিত্রে কাজ করেন। অপু বিশ্বাস প্রথম চলচ্চিত্র “কাল সকালে” এর পর থেকে তারা দুজনে মিলে অনেকগুলো সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন। অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান জুটি সবসময় বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয়, যা তাদের ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তাদের অভিনয় দক্ষতা এবং রসায়ন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারার সূচনা করে।

আরও পড়ুনঃ  জায়রা ওয়াসিম

অপু বিশ্বাসের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র

অপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম প্রধান একজন অভিনেত্রী, যিনি বিভিন্ন জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং চার্ম প্রতিটি চলচ্চিত্রেই দারুণভাবে ফুটে ওঠে। বিশেষ করে কিছু চলচ্চিত্র তাকে অসামান্য জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।

কোটি টাকার কাবিন

“কোটি টাকার কাবিন” চলচ্চিত্রটি অপু বিশ্বাস চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি সিনেমা। এটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালে এবং পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন। এই সিনেমায় অপু বিশ্বাসের অভিনয় দর্শকদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং এটি বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য পায়। এই চলচ্চিত্রে তার চরিত্র অবন্তি বিশ্বাস নামে পরিচিত ছিল।

ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না

“ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না” চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাসের অসাধারন অভিনয় দর্শকদের হৃদয় জয় করে নেয়। ছবিটির মুক্তির পর থেকেই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এইরকম সার্থক চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাস প্রমাণ করেছেন যে তার সম্পর্কে সব রকমের চরিত্রে অভিনয় করার সক্ষমতা রয়েছে।

নাম্বার ওয়ান শাকিব খান

অপু বিশ্বাস ও শাকিব খানের জুটি অনেক চলচ্চিত্রেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তবে “নাম্বার ওয়ান শাকিব খান” অন্যতম প্রধান। এই ছবিটিতে তাদের কেমিস্ট্রি দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং এটি বড় পরিসরে বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করে। এই চলচ্চিত্রটি অপু বিশ্বাস চলচ্চিত্রের জগতে একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।

অপু বিশ্বাসের পুরস্কার ও সম্মাননা

অপু বিশ্বাস তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের কারনে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননার অধিকারিণী হয়েছেন। তাঁর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার প্রদর্শন তাঁকে বিভিন্ন ভাবে সম্মানিত করেছেন। শুধুমাত্র চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এবং একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

বাচসাস পুরস্কার

অপু বিশ্বাসের উল্লেখযোগ্য একটি পুরস্কার হল বাচসাস পুরস্কার. তিনি “My Name is Khan” চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে এই পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনয় দক্ষতা ও চলচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারনে তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়।

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন

অপু বিশ্বাসের সফলতায় যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক তা হল তিনি ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এর মনোনয়ন লাভ করেছেন। তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও সক্রিয় পরিবেশন তাঁকে এই সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। অপু বিশ্বাস পুরস্কার পাওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রতিভার সত্যিকারের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

অপু বিশ্বাসের পুরস্কারগুলি তার প্রতিভা, পরিশ্রম ও বিচক্ষণতার ফল। বাচসাস পুরস্কার এবং মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়নগুলি অপু বিশ্বাসের একটি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পথ চিহ্নিত করেছে যে তার চলচ্চিত্র জগতে অভাবনীয় সাফল্যের গল্পের একটি অপরিহার্য অংশ।

ব্যক্তিগত জীবন

অভিনয় জীবনে বিশাল সাফল্যের পাশাপাশি অপু বিশ্বাসের ব্যক্তিগত জীবনও বেশ আলোচিত। নিজের ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তিনি পরিবারকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তার বিয়ে, সন্তান এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা সবসময়ই তার জীবনের মূল অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  অর্জুন রামপাল

শাকিব খানের সাথে বিয়ে

২০০৮ সালে অপু বিশ্বাস বিয়ে করেন বিখ্যাত অভিনেতা শাকিব খানকে। এই বিয়ে দীর্ঘদিন গোপন রাখা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আসে। অপু বিশ্বাসের ক্যারিয়ারের মতোই, শাকিব খানের সাথে বিয়ে পরবর্তী সময়েও তার জীবনের একটি বড় অংশ। যদিও ২০১৭ সালে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়, তবে এই দম্পতির সম্পর্ক সবসময়ই গণমাধ্যমের আলোচনায় থাকে।

তাদের সন্তান

অপু বিশ্বাস এবং শাকিব খানের একমাত্র সন্তান আব্রাহাম খান জয়, যিনি ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মা হিসেবে অপু বিশ্বাস সবসময়ই সন্তানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও যত্ন প্রদর্শন করেন। তিনি প্রায়ই বলেন যে, বিয়ের পর শাকিব খানের সাথে কাটানো সময় এবং আব্রাহাম খান জয়কে ঘিরে তাদের জীবনের মুহুর্তগুলো সবচেয়ে মূল্যবান ছিল। অপু বিশ্বাস তার কর্মজীবন আর সন্তানের দায়িত্ব একই সাথে পালন করে চলেছেন, যা থেকে বোঝা যায় তার পারিবারিক জীবনের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা।

Apu Biswas এর সাম্প্রতিক কাজ

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পাড়ায় অপু বিশ্বাস সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র নিয়ে বেশ আলোচিত। দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন নানা রকম সিনেমার মাধ্যমে। তার সাম্প্রতিক কাজের মধ্যে পাংকু জামাই এবং শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২ অন্যতম।

পাংকু জামাই

পাংকু জামাই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাস তার অভিনয়ের দক্ষতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ছবিটির গল্পে রয়েছে প্রেম, কমেডি এবং পারিবারিক সম্পর্কের বিভিন্ন মাত্রা। সেই সাথে এর সংগীতও দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এমনকি বলা হয়ে থাকে যে অপু বিশ্বাস সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র হিসেবে এটি একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে।

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২

শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২ মূলত সিক্যুয়েল ভিত্তিক চলচ্চিত্র যা তার প্রথম কিস্তির সফলতার পর নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমায় অপু বিশ্বাসের অভিনয়ের মাধ্যমে তার প্রতিভার আরেকটি দিক আমরা দেখতে পাই। কমেডি ও রোমান্সে ভরপুর গল্পে ছবিটি দর্শকদের দারুণ বিনোদিত করেছে। অপু বিশ্বাস সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র হিসেবে এটি দর্শকদের মধ্যে বিশাল সাড়া ফেলেছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও বিশাল বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করেছে।

অপু বিশ্বাসের সামাজিক মিডিয়া উপস্থিতি

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাসের অবদান অনস্বীকার্য। শুধু চলচ্চিত্রই নয়, সামাজিক মাধ্যমেও তার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অপু বিশ্বাস তার ভক্তদের সাথে যুক্ত থাকার জন্য একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন।

ইউটিউব চ্যানেল

অপু বিশ্বাস ইউটিউব চ্যানেলটির মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। এখানে তিনি সিনেমার ট্রেইলার, গানের ভিডিও এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকার শেয়ার করেন। তার ইউটিউব চ্যানেল অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হলেও, তিনি নিয়মিতভাবে নিজে উপস্থিত থাকেন ভিডিওগুলিতে।

ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম

অপু বিশ্বাস ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন, যেখানে তিনি তার দৈনন্দিন জীবনের অসংখ্য মুহূর্ত শেয়ার করেন। তার ভক্তদের সাথে সরাসরি আলাপচারিতা এবং লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। শুধু তাই নয়, অপু বিশ্বাস ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটিতেও নানা ফটো এবং ভিডিও আপলোড করে তার অনুসারীদের বিনোদন দেন। বর্তমানে তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের যুক্তফল অনুসারীর সংখ্যা লক্ষাধিক।

আরও পড়ুনঃ  শ্রদ্ধা কাপুর

অপু বিশ্বাসের নৃত্য শিল্পী হিসেবে পরিচিতি

অপু বিশ্বাস শুধু চলচ্চিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং নৃত্যশিল্পী হিসেবেও নিজেকে পরিচিত করেছেন। নৃত্যে তার আগ্রহ ও প্রতিভা ধৈর্যের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তাকে এ ক্ষেত্রেও খ্যাতি এনে দিয়েছে।

প্রথম নৃত্য প্রদর্শনী

অপু বিশ্বাসের প্রথম নৃত্য প্রদর্শনী হয়েছিল ঢাকায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এখানে তিনি অপু বিশ্বাস নৃত্য কৌশলের মাধুর্য তুলে ধরেন যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। তার নৃত্যশৈলীতে ছিলো বিনোদন ও ক্লাসিকাল নৃত্যের সমন্বয়, যা বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।

বুলবুল ললিতকলা একাডেমি

অপু বিশ্বাসের নৃত্যের শিক্ষার পেছনে রয়েছে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি। এখানে তিনি পেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে নিতে তিনি নিজস্ব নৃত্যশৈলী তৈরি করতে সক্ষম হন। তার নৃত্যচর্চার উৎকর্ষতা প্রথম প্রকাশ পায় ‘লাইলী মজনু’ নৃত্যনাট্যে, যা তাকে চলচ্চিত্রের বাইরেও একটি পৃথক সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

অপু বিশ্বাসের বিশেষ সাক্ষাৎকার ও বিতর্ক

অপু বিশ্বাসের অভিনয় জীবনের প্রতিটি অংশই নানা ধরনের সাক্ষাৎকার ও বিতর্কে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে, আলাপনগুলোতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছেন। অপু বিশ্বাস সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে, বিবাহের পর বা সন্তান জন্মানোর পর একজন মহিলা অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার কমে যায়—এই প্রচলিত ধারনাটি একদম ভুল।

তার জনপ্রিয়তম চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম “কোটি টাকার কাবিন”, যা ২০০৫ সালে এফ. আই. মানিক পরিচালিত এবং শাকিব খানের বিপরীতে অভিনীত। এই ছবিটির মাধ্যমে তিনি সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও, তার জীবনের অন্যতম বিতর্কিত সময় ছিল শাকিব খানের সাথে তার গোপন বিয়ে এবং সন্তানের জন্ম। তাদের বিয়ের খবরটি দীর্ঘ আট বছর গোপন রাখা হয়েছিল, যা পরে মিডিয়াতে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। অপু বিশ্বাস বিতর্ক থেকে উত্তরণে তাঁর সন্তানের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন এবং তাদের সম্পর্কের বাস্তবতাকে সামনে আনেন।

এছাড়া, অপু বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তার সন্তানের শিক্ষার উপরে গুরুত্ব প্রদান করবেন এবং তাকে বিনোদন জগতে আসার জন্য উৎসাহিত করবেন না। তিনি একজন মা হিসেবে তার ভূমিকার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন এবং তার সন্তানের সুরক্ষা ও ভবিষ্যতের জন্য অনেক চিন্তা করেন। এছাড়াও, অপু বিশ্বাস তার নাম পরিবর্তন করে ইসলামের পদবি যোগ করার কথা বিবেচনা করেছিলেন, তবে তা কেবলমাত্র প্রথাগত কাজের জন্য ব্যবহার করা হত, আইনি কোনো গুরুত্ব ছিল না।

অপু বিশ্বাসের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারগুলোতে আরও একটি বড় দিক উন্মোচিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো তাঁর নতুন চলচ্চিত্র “রাজনীতি”, যা আগামী ঈদে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সব কিছুর মধ্যেও তিনি তার পেশাদার জীবন এবং ব্যক্তিগত অবস্থানকে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই কারণে, অপু বিশ্বাস সাক্ষাৎকার এবং বিতর্ক সবসময়ই বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button