হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল স্থপতি কে?

সিঙ্গাপুরের প্রসিদ্ধ রোহানি বাহারিনের মেধা ও নকশার স্পর্শে গড়ে উঠেছে তৃতীয় টার্মিনাল নকশা, যা বাংলাদেশের প্রবেশ পথে এক অসাধারণ স্থাপত্য যোগ করেছে। এই নকশা শুধু যে যাত্রীদের সুবিধার্থেই তৈরি করা হয়নি, সেই সাথে এটি যেন পুরো বিশ্বকে বাংলাদেশের উন্নতির বার্তা পৌঁছে দেয় সেদিকেও লক্ষ্য ছিল।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর স্থপতি রোহানি বাহারিন তাঁর এই নকশায় আধুনিকতা এবং কার্যকারিতার মিশেলে এক অনন্য ভিজ্যুয়াল ক্যানভাস উপস্থাপন করেছেন, যা বিমানবন্দরের প্রাঙ্গণকে সাংস্কৃতিক অনুভূতির সাথে সমৃদ্ধ করে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের সুফল অতিরিক্ত পার্চিং ক্ষমতা, উন্নত সুরক্ষা প্রস্তুতি, এবং নতুন পরিবহন প্রত্যাশা হিসেবে রুপ নিতে চলেছে।

Contents show

স্থপতির পরিচয় ও ইতিহাস

রোহানি বাহারিন, যিনি বিশ্ববিখ্যাত চাঙ্গি বিমানবন্দর নকশার স্থপতি, তার ভাবনা ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নকশাকে আশ্চর্যজনক মাত্রা দিয়েছেন। তাঁর নকশা না শুধু বাংলাদেশের স্থাপত্য নকশার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে, বরং আধুনিক ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনাকেও বাড়িয়ে তোলে।

স্থপতি কারা হন?

রোহানি বাহারিন এমন একজন স্থপতি, যিনি বিমানবন্দর স্থাপত্য এর অগ্রণী পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তাঁর নকশা প্রতিটি স্থাপত্যে যাত্রীদের সুবিধা এবং স্থাপত্যের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য্যকে সমান তালে মিলিয়ে নেয়া হয়েছে।

স্থাপত্যের গুরুত্ব

স্থাপত্য নকশা শুধু একটি ভবন গড়ে তোলার কারিগরি দিকসমূহ নয়, এটি একটি সমাজ ও তার সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে। রোহানি বাহারিনের নকশায় এ বিষয়টি গভীরভাবে মনে রাখা হয়েছে, যা প্রতিটি প্রকল্পে তার সৃজনশীলতা এবং পেশাদারিত্বকে তুলে ধরে।

বাংলাদেশের স্থপতি

রোহানি বাহারিন এর মতো স্থাপত্যের মান উন্নয়নে, বাংলাদেশের বিমানবন্দর স্থাপত্য এর স্তর উন্নীত করেছেন যা বিশ্বমানের পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাঁর কাজ অন্যান্য বাংলাদেশি স্থপতিদের জন্য অনুপ্রেরণা ও পাথেয় স্বরূপ।

৩য় টার্মিনালের পরিকল্পনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পরিকল্পনা ও বিশেষত্ব অবশ্যই যাত্রী সেবা ও দক্ষতার মান বৃদ্ধির লক্ষে করা হয়েছে। এই টার্মিনাল ডিজাইন বিমানযাত্রীদের সর্বোচ্চ সান্ত্বনা এবং কার্যকারিতা প্রদানের উপর মনোনিবেশ করেছে।

পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য

প্রথমত, টার্মিনালের পরিকল্পনা যাত্রী ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে বছরে দুই কোটি পর্যন্ত বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, আধুনিক ও বিমানবন্দর সেবা-এর মান উন্নত করা যাতে বিমানবন্দর আরও বেশি যাত্রী এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আকর্ষণ করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  চন্দ্রনাথ মন্দির

ডিজাইন এর বৈশিষ্ট্য

  • টার্মিনালের মোট আয়তন ২,৩০,০০০ বর্গমিটার যা বর্তমান টার্মিনালের দ্বিগুণ।
  • এই নতুন টার্মিনালে ১১৫টি চেঀ-ইন কাউন্টার, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, এবং ৬৪টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার রয়েছে।
  • যানবাহন চলাচল সহজ করতে টার্মিনাল ডিজাইন যেমন পার্কিং এরিয়া, গাড়ি উঠানামা এলাকা বিস্তৃত করা হয়েছে।
  • যাত্রী পরিকল্পনা ও বিশেষত্ব বজায় রেখে বৈদ্যুতিন স্বয়ংক্রিয়তা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে, নতুন টার্মিনালের এই পরিকল্পনা ও বিশেষত্ব এটিকে বিশ্বমানের একটি বিমানবন্দরে পরিণত করবে যা গ্লোবাল পর্যায়ে যাত্রী এবং বিমান পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি অনন্য মানদণ্ড স্থাপন করবে।

নির্মাণ প্রক্রিয়া

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়া একটি বহুমাত্রিক কার্যক্রম যা এতে শীর্ষস্থানীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রযুক্তি এবং নির্মাণ সময়সীমা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর রাখা হয়।

নির্মাণের সময়সীমা

২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের শেষ দিকে সমাপ্ত হবার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, প্রায় ৯০ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা নির্ধারিত নির্মাণ সময়সীমা অনুযায়ী অগ্রগতি অর্জন করেছে।

ব্যবহার করা হয়েছে কোন প্রযুক্তি?

নির্মাণ প্রক্রিয়ায় এডভান্সড উচ্চতর টার্মিনাল নির্মাণ প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে, যা স্থায়িত্ব এবং দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে। এসব প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে স্থিতিস্থাপক মাটির প্রকৌশল, উন্নত ধাতুবিদ্যা, এবং পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ উপকরণের ব্যবহার। এই প্রযুক্তি সমূহ টার্মিনাল প্রকল্পের মোট দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, সাথে সাথে নির্মাণ শেষে প্রকল্পটির অক্ষমতা হ্রাস পায়।

আর্কিটেকচারাল স্টাইল

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন সত্যিই নজর কাড়া। এর আধুনিক নকশা এবং আভ্যন্তরীণ স্থাপত্য বিশ্বমানের স্ট্যান্ডার্ডকে প্রতিফলন করে।

আধুনিক নকশার বৈশিষ্ট্য

টার্মিনালটির নকশায় টার্মিনাল আধুনিক নকশা প্রকল্পের অন্তর্গত বিমূর্ত ও সুস্পষ্ট জ্যামিতি, প্রাচুর্যময় আলোকসজ্জা, এবং উন্নত প্রৌদ্যোগিকী কার্যকরী স্থাপত্যের দর্শন ফুটিয়ে তোলে। এই নকশা দক্ষতাসহ একটি স্বচ্ছ ও স্বাগতমূলক পরিবেশ তৈরি করে থাকে।

টার্মিনালের আভ্যন্তরীণ নকশা

আভ্যন্তরীণ স্থাপত্যে আভ্যন্তরীণ স্থাপত্য এর ব্যবহার যাত্রীদের অভিজ্ঞতাকে প্রাথমিক ভাবনায় রেখেছে। মুলতবি এলাকা, অপেক্ষার লাউঞ্জ, এবং খাবার দোকানগুলোতে উন্নত মানের সাজসজ্জা ও পরিষেবা গ্রাহকদের সুবিধা এবং সান্ত্বনা নিশ্চিত করে।

  • স্পাতালোকিত পরিবেশ
  • আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা
  • শিল্পকর্ম ও আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়

এই টার্মিনালের নকশা ও আর্কিটেকচার যাত্রীদের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি।

আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর সুবিধা সমূহের এক অনন্য মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে, যা বিশ্বমানের যাত্রী সেবার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।

যাত্রী সেবার উন্নতি

এই নতুন টার্মিনালে যাত্রী সেবা উন্নতির লক্ষ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশের সমন্বয়ে বিমান যাত্রীদের অপেক্ষার সময়ও আরও আনন্দদায়ক হবে। দ্রুত চেক-ইন ও নিরাপদ সার্ভিসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, সকল যাত্রীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট এবং ফ্রি ওয়াইফাই জোন থাকবে যেখানে তারা তাদের ডিজিটাল ডিভাইসে সহজেই ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন

পরিবহন ব্যবস্থা

বিমানবন্দরের পরিবহন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি আসছে। নতুন টার্মিনাল হতে নির্ধারিত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রুট সহজলভ্য থাকবে যা শহরের প্রধান প্রধান অংশের সাথে সরাসরি সংযোগ থাকবে। এছাড়া, রাইড-শেয়ারিং সার্ভিস এবং ট্যাক্সি স্ট্যান্ডগুলিও আরও বিস্তৃত করা হবে, যাতে যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যস্থলে যাওয়া আরও সুবিধাজনক ও দ্রুততর হয়।

অবকাঠামো উন্নয়ন

বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের নতুন মাইলফলক হিসাবে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এই টার্মিনালে বড় বড় বিমান চলাচলের সুবিধা এবং উন্নত বিমানবন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি বড় উন্নয়নের দিক নির্দেশ করে।

বড় বড় বিমান চলাচল

নতুন টার্মিনালে ৩৭টি বড় বিমান পার্কিং এর ব্যবস্থা বাংলাদেশের বিমান চলাচল ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে। এই সুবিধাটি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় উভয় ধরনের ফ্লাইট অপারেশনের সম্ভাবনাকে বিস্তৃত করবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

উন্নত বিমানবন্দর নিরাপত্তা প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে যাত্রী এবং কার্গো নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। উন্নত স্ক্যানিং সিস্টেম, বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ, এবং সঙ্গতিপূর্ণ মনিটরিং ক্যামেরা সিস্টেম এই টার্মিনালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

টার্মিনালের পরিবেশগত প্রভাব

নতুন টার্মিনালের ডিজাইন ও নির্মাণের প্রযুক্তিতে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার এবং টেকসই উন্নয়ন এর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ সম্ভাব্য পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে।

প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার

টার্মিনাল নির্মাণে জৈব ভিত্তিক এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপকরণের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, নির্মাণ উপকরণগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে সংগৃহীত হবে যাতে পারিস্থিতিক ভারসাম্য বজায় থাকে।

টেকসই উন্নয়ন

  • এনার্জি সঞ্চয়ী লাইটিং সিস্টেম এবং সোলার প্যানেল
  • জল সঞ্চয় প্রকল্প যা বৃষ্টির পানি পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে জলসংরক্ষণে অবদান রাখে
  • গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন প্রাপ্তির দিকে অগ্রসরণ

এই প্রক্রিয়াগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, টার্মিনাল টি নকশা ও পরিচালনার দিক থেকে টেকসই উন্নয়ন এর একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অর্থনৈতিক প্রভাব

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রভাব গভীরভাবে পরিবর্তিত করেছে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে পরিবহন ও পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, যা চাকরির বাজার ও সামগ্রিক অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করে তুলেছে।

উদ্বোধনের ফলে কি লাভ হবে?

বিমানবন্দরের উদ্বোধনের পর থেকে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক বিদেশি এয়ারলাইন্স ও বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলো ঢাকায় তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর উৎসাহ দেখিয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

চাকরি সৃষ্টি

নতুন টার্মিনালের উদ্বোধনের ফলে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে হাজার হাজার নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিমানবন্দরের এই সম্প্রসারণ সুরক্ষা, পরিবহন, খুচরা ও অতিথি পরিচর্যা খাতে বিপুল চাকরি সৃষ্টি করেছে, যা চাকরির বাজারে এক নতুন দিগন্ত তৈরি করেছে।

  • বিমানসেবা প্রসারণ
  • পর্যটন ও হোটেল ব্যবসা উন্নয়ন
  • খুচরা বাণিজ্য ও সেবা খাতে বিস্তার
আরও পড়ুনঃ  তাজমহল বাংলাদেশ

এগুলি সবই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যেখানে নতুন মানবসম্পদ ও প্রযুক্তির ব্যবহারের দ্বারা আরো উন্নতি সম্ভব।

ভৌগোলিক অবস্থান

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানে অবস্থিত, যা তার যাতায়াত সুবিধা এবং পৌঁছানোর ক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। এই বিমানবন্দরের অবস্থান সুবিধা তাকে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের জন্য এক অনন্য সংযোগ কেন্দ্র করে তোলে।

বিমানবন্দরের অবস্থান সম্পর্কে

ঢাকার অদূরে অবস্থিত এই বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার পথ সমূহ প্রশস্ত ও সুগম। এর ভৌগোলিক অবস্থান ঢাকা শহরকে বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলির সাথে সংযুক্ত করে তোলে, যা ব্যবসা ও পর্যটনের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

যাতায়াতের সুবিধা

  • মেট্রোরেল ও ফ্লাই ওভারগুলির কার্যকারিতা, যা বিমানবন্দর পৌঁছানোর সময় অনেক কমিয়ে দেয়।
  • শহরের মাঝখানে অবস্থান করার কারণে সহজে অ্যাক্সেস যোগ্য।
  • বিভিন্ন বাস ও ট্যাক্সি সার্ভিসের উপলব্ধতা, যা যাত্রীদের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাদের গন্তব্যস্থলে নিয়ে যায়।

সারাংশে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভৌগোলিক অবস্থান এবং যাতায়াত সুবিধা এর যাত্রা দক্ষতা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থান নানা দিক থেকে নাগরিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও যাতায়াত উন্নয়নে অবদান রাখে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

বিমানবন্দরের উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য পরিকল্পনা বরাবরই দেশের অগ্রগতির প্রতীক হয়ে থাকে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভবিষ্যত্ উন্নয়নের জন্য যেসব পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে, তা আমাদের অভিযাত্রা ও বাণিজ্য দু’দিকেই মৌলিক পরিবর্তন এনে দিবে। বিমানবন্দরের মোড়ক উন্মোচন এবং নিত্যনতুন সেবা যুক্ত করার এই প্রক্রিয়া দেশের অর্থনীতিতে এক অনন্য ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়নে অগ্রাধিকার পাচ্ছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১০ বছরের আধুনিকীকরণ প্রকল্পটি।

পরের ধাপে কি আসবে?

বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ প্রকল্পের মধ্যে রানওয়ের প্রসার, যাত্রী টার্মিনাল ভবন ও কার্গো ভবনের সম্প্রসারণ, এবং বিমানবন্দরে রানওয়ের সমান্তরালে ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণের প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ধাপগুলো বাস্তবায়নের ফলে আমরা আরো উন্নত এবং টেকসই বিমানবন্দরের সাক্ষী থাকতে পারবো, যা বাণিজ্যিকভাবেও সুবিধাজনক হবে।

ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির অর্থনৈতিক প্রভাব

আর্থিক অর্থনৈতিক দিক থেকে হাজার হাজার চাকরির সৃজন ঘটবে এবং বহিঃবিশ্ব থেকে আরো বেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে। উন্নত প্রযুক্তি যেমন রাডার সেটাপ, উড্ডয়ন পথের আধুনিকীকরণ এবং বিদ্যুৎ প্লান্টের রক্ষণাবেক্ষণ এসবই সরাসরি বা পরোক্ষভাবে বিমানবন্দরের আর্থিক মানদণ্ড উন্নত করবে। বিমানবন্দরের এম/ই ডিভিশন-২ দ্বারা আপতকালীন কাজ এবং অগোচরে থাকা প্রকল্পগুলির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের বিমান পরিবহন খাত নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button