আয়ুষ্মান খুরানা
আয়ুষ্মান খুরানা, এক বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ভারতীয় অভিনেতা, গায়ক, এবং লেখক, যিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ এ জন্মগ্রহণ করেন খুরানা, এবং ২০২৪ সালে তিনি ৪০ বছর পূর্ণ করবেন। তার ক্যারিয়ার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আয়ুষ্মান বহু পুরস্কার জিতেছেন যেখানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের উল্লেখ বিশেষভাবে করা যায়।
আয়ুষ্মান খুরানার জীবনীতে বিশাল সফলতার অধ্যায় গুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি “অন্ধাধুন” এর জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন, যা বাণিজ্যিক এবং সমালোচকদের উভয় মঞ্চেই বড় সফলতা অর্জন করেছে। তাছাড়া “বদহাই হো”, “আর্টিকেল ১৫” এবং “বালা” সহ তার অন্যান্য সিনেমাগুলিও বক্স অফিস হিট হয়েছে এবং সমালোচকদের প্রদান করেছে উষ্ণ সাড়া। আয়ুষ্মান খুরানা জীবনী ও তার সিনেমা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং তিনি ফরবস ইন্ডিয়ার টপ ১০০ সেলিব্রিটিদের মধ্যে ২০১৩ এবং ২০১৯ সালে এবং টাইমস ১০০ ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল কেতাবেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
শৈশব ও প্রাথমিক জীবন
আয়ুষ্মান খুরানা, যিনি বর্তমানে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, ১৯৮৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব এবং প্রাথমিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি এখানে কাটে। আয়ুষ্মান খুরানা শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী এবং প্রতিভাশালী ছিলেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
চণ্ডীগড়ে বেড়ে ওঠা আয়ুষ্মান খুরানা তার শিক্ষার প্রাথমিক স্তর এখানেই শুরু করেন। একটি সুশৃঙ্খল পরিবারে বেড়ে ওঠার ফলে তিনি মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার গুরুত্ব শিখেন। তার বাবা পি খুরানা একজন জ্যোতিষী ছিলেন এবং মা পূণম খুরানা ছিলেন একজন গৃহবধূ। পরিবারের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব থাকায় আয়ুষ্মান খুরানা শৈশব থেকেই প্রথাগত শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
শিক্ষা ও পড়াশোনা
আয়ুষ্মান খুরানা চণ্ডীগড়ের সেন্ট জন্স হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। তার শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি একাধিক ফিল্ডে অংশগ্রহণ করেন, যেমন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, থিয়েটার, এবং সঙ্গীত। এরপর তিনি চণ্ডীগড়ের ডি এ ভি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এখানেই তার থিয়েটারের প্রতি গভীর অনুরাগ গড়ে ওঠে এবং নাট্যচর্চায় অধিক মনোনিবেশ করেন।
প্রারম্ভিক ক্যারিয়ার
আয়ুষ্মান খুরানার প্রারম্ভিক ক্যারিয়ার অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যেখানে তিনি রেডিও জকি এবং টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তার যাত্রা শুরু করেন।
রেডিও জকি হিসেবে শুরু
আয়ুষ্মান খুরানা তার পেশার শুরু করেন রেডিও জকি বা আরজে হিসেবে। তিনি প্রথমে বিখ্যাত রেডিও শো “মর্নিং শো” এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তায় আসেন। তার কণ্ঠ ও প্রাণবন্ত উপস্থাপন শৈলী শোর শ্রোতাদের অনন্য আকর্ষণ করে। আয়ুষ্মান খুরানা আরজে হিসেবে তার অবদান, তাকে ছোটবেলা থেকেই শব্দ ও কথার মাধ্যমে মানুষের মন জয়ে সাহায্য করেছিল।
টেলিভিশন উপস্থাপনা
রেডিওতে সাফল্যের পর, আয়ুষ্মান খুরানা দ্রুত তার প্রতিভার পরিসর বৃদ্ধি করে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে। তিনি “ইন্ডিয়া’স গোত ট্যালেন্ট” এবং “মিউজিক মহা যুদ্ধ”-এর মতো জনপ্রিয় শোতে উপস্থাপনা করেন। তার প্রাকৃতিক ও আন্তরিক উপস্থাপনা স্টাইল তাকে টেলিভিশন দর্শকদের প্রিয়মুখ করে তুলেছিল। আয়ুষ্মান খুরানা আরজে এবং টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে সৃষ্ট প্রতিটি অর্জনই ছিল তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের একটি ভিত্তিস্থাপন।
বলিউডে প্রবেশ ও সাফল্য
আয়ুষ্মান খুরানা ২০১২ সালে ভিকি ডোনার চলচ্চিত্র এর মাধ্যমে বলিউডে প্রথম পদক্ষেপ রাখেন। শুজিত সরকার পরিচালিত এই সফল চলচ্চিত্রটি আয়ুষ্মানের অভিনয়জীবনের মাইলফলক হয়ে উঠেছিল।
ভিকি ডোনার
ভিকি ডোনার চলচ্চিত্রে আয়ুষ্মানের চরিত্রটি একজন স্পার্ম ডোনারের জীবন ও সংঘাতকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার জন্য তিনি বিশাল সমাদর লাভ করেন এবং অসামান্য অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা পুরস্কার অর্জন করেন। চলচ্চিত্রে তার চমত্কার পারফরম্যান্স বলিউডে তার অবস্থান দৃঢ় করে তুলেছে।
ব্যাপক জনপ্রিয়তা
ভিকি ডোনার চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর আয়ুষ্মান খুরানা বলিউডে একের পর এক হিট চলচ্চিত্র উপহার দিতে সমর্থ হয়েছেন। তার অভিনীত চরিত্রগুলো দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার সাথে মিলে, যা সাধারণ মানুষের সাথে তার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অর্জিত জনপ্রিয়তা তাকে বলিউডের শীর্ষ অভিনেতাদের মধ্যে অবস্থান করতে সাহায্য করেছে, এভাবেই আয়ুষ্মান বলিউড সাফল্য অর্জন করেছে।
সামাজিক সচেতনতামূলক চরিত্র
আয়ুষ্মান খুরানা বলিউডে সামাজিক সচেতনতামূলক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। এমন কিছু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন যেগুলি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করে, যেমন আর্টিকেল ১৫ চলচ্চিত্র এবং আন্ধাধুন চলচ্চিত্র।
আর্টিকেল ১৫
আর্টিকেল ১৫ চলচ্চিত্র এর মাধ্যমে আয়ুষ্মান সামাজিক সচেতনতা বাংলায় তুলে ধরেছেন। এই চলচ্চিত্রটি ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ১৫ এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যা কাস্ট ভিত্তিক বৈষম্য নিষিদ্ধ করে। আয়ুষ্মান এখানে একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকা পালন করেছেন, যিনি দুটি দলিত মেয়ের হত্যার তদন্ত করছেন। এই চলচ্চিত্রটি সামাজিক অসঙ্গতি ও অবিচার প্রদর্শনের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের মেসেজ ছড়াতে সহায়ক হয়েছে।
আন্ধাধুন
আন্ধাধুন চলচ্চিত্র এ আয়ুষ্মান খুরানা একজন পিয়ানো বাদক যিনি চোখের সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও মার্ডার মিস্ট্রিতে জড়িত হয়ে পড়েন। এই চলচ্চিত্রটি কেবলমাত্র একটি থ্রিলার হিসেবেই নয়, বরং চোখের সমস্যায় ভোগা মানুষদের জীবনের সংগ্রামের প্রতিফলনও। এখানে আয়ুষ্মান সামাজিক সচেতনতা এবং দায়িত্ব প্রত্যক্ষ করেছেন যা নিয়ে প্রশংসা লাভ করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
আয়ুষ্মান খুরানা তার অভিনয় জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও বিশেষভাবে আলোচিত। তাহিরা কাশ্যপের সাথে তার সম্পর্ক এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই পর্বে আমরা আয়ুষ্মান খুরানার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরব।
তাহিরা কাশ্যপের সাথে বিবাহ
আয়ুষ্মান খুরানা এবং তাহিরা কাশ্যপের প্রেম ও বিবাহের গল্প বলিউডে খুব জনপ্রিয়। তাহিরা কাশ্যপ একজন লেখিকা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁদের প্রেমকাহিনী কলেজ জীবন থেকে শুরু হয় এবং ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন। তাহিরা কাশ্যপ জীবন সংগ্রামে এক মহাযোদ্ধা, কারণ তিনি ২০১৮ সালে স্তন ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে সুস্থতা অর্জন করেন। আয়ুষ্মান খুরানার ব্যক্তিগত জীবন তাহিরা কাশ্যপের সাথে গভীরভাবে জড়িত এবং তারা একে অপরকে সবসময় সমর্থন করে এসেছেন।
সন্তান ও পারিবারিক জীবন
আয়ুষ্মান খুরানা এবং তাহিরা কাশ্যপের দুটি সন্তান রয়েছে। তাদের এক পুত্র এবং এক কন্যা। যেনিয়া এবং ভিরাজভীরকে নিয়ে তারা সুখী পারিবারিক জীবন যাপন করেন। আয়ুষ্মান খুরানা ব্যক্তিগত জীবন প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন, যেখানে তার সন্তানদের সাথে কাটানো মধুর মুহূর্তগুলি দেখা যায়। পরিবারের প্রতি আয়ুষ্মান খুরানার ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা বলিউডের বাইরে এক বিশেষ উদাহরণ স্থাপন করেছে।
আয়ুষ্মান খুরানার গান
আয়ুষ্মান খুরানা কেবল বলিউডের অভিনেতা হিসেবেই নয়, সঙ্গীত জগতেও তাঁর প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। তাঁর গানের প্রতিভা বিভিন্ন জনরায় ছড়িয়ে আছে, এবং তাঁর সঙ্গীত প্রেমিকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। আধুনিক প্রেম ও বিচ্ছেদ নিয়ে তাঁর সঙ্গীত শৈলী অনন্য ও সৃষ্টিশীল।
‘পানি দা রঙ’
আয়ুষ্মান খুরানার অন্যতম জনপ্রিয় গান হল ‘পানি দা রঙ’। এই গানের মাধ্যমে আয়ুষ্মান খুরানা সঙ্গীত জনরায় তাঁর পা রাখেন। ‘পানি দা রঙ’ গানটি ছবির দুনিয়ায় তাঁর বিশেষ সম্মাননা অর্জন করে এবং তাঁকে শ্রেষ্ঠ পুরুষ প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়। এই গানটির হৃদয়গ্রাহী সুর এবং কথায় প্রেমের গভীরতা ফুটে উঠেছে, যা শ্রোতাদের মন জয় করেছে।
অন্যান্য গান
- ‘শাদি ওয়ালি নাইট’: এই গানটি বিবাহের আনন্দ ও মজার মুহূর্তগুলির স্মরণ করিয়ে দেয়।
- ‘মিট্টি দি খুশবু’: গ্রাম্য জীবনের সাদামাটা স্নেহ ও ভালবাসার প্রমাণ এই গান।
- ‘নজম নজম’: রোমান্সের এক নতুন আঙ্গিকে তৈরি হয়েছে এই গানটি।
- ‘মায়েরি’: এটি প্রেমাসংক্রান্ত গান, যা মানুষের মনকে শেষ করে দেয়।
আয়ুষ্মান খুরানা সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সকলকে নিজেস্ব সঙ্গীত জগতে নিয়ে যান, যা শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। তাঁর গানগুলো শুধু বিনোদনই নয়, হৃদয়ের গভীরে পৌঁছতে সক্ষম হয় এবং অধিকাংশ সময়ে গভীর আবেগে ডুবে যেতে বাধ্য করে।
নতুন ধারার চলচ্চিত্র
আয়ুষ্মান খুরানা সবসময়ই তার অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তিনি বলিউডে বেশ কিছু নতুন ধারার চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প বলেছেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং বৈচিত্র্যময় চরিত্রের সৌজন্যে, তিনি বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছেন।
শুভ মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান
শুভ মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান চলচ্চিত্রটি আয়ুষ্মানের অন্যতম সাহসী প্রয়াস হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি ভারতীয় সমাজে সমকামীতা নিয়ে প্রচলিত ট্যাবু ভাঙার সাহসিকতা দেখিয়েছে। আয়ুষ্মানের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সমালোচক এবং সাধারণ দর্শকদের। যারা বলিউডের প্রথাগত ধারার বাইরে গল্প শুনতে চান, তাদের জন্য এই চলচ্চিত্রটি এক বিশেষ উপহার।
ড্রিম গার্ল
ড্রিম গার্ল চলচ্চিত্র আয়ুষ্মানের অভিনয় জীবনে আরেকটি মাইলফলক। এখানে তিনি পুরুষ চরিত্রে থেকে নারীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরেছেন, যা সাধারণত কল্পনাাতীত ছিল। এই সিনেমাটি তার অভিনয় প্রতিভার বিভিন্ন দিককে প্রদর্শন করেছে। ড্রিম গার্ল চলচ্চিত্র এর মাধ্যমেও তিনি সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণার বিরোধিতা করেছেন এবং এসব ফিল্মের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তার পথে দর্শকদের নিয়ে গেছেন।
আয়ুষ্মান খুরানার প্রতিটি নতুন ধারার চলচ্চিত্রই দর্শকদের কাছে একেকটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে। তার ভবিষ্যৎ প্রজেক্টগুলো যেমন সঙ্গী ভূতেরা, আরো চমকপ্রদ এবং ব্যতিক্রমী হতে চলেছে, যেখানে বলিউডে নতুনভাবে গড়ে তোলার ইঙ্গিত রয়েছে।
সমালোচনা ও বিতর্ক
আয়ুষ্মান খুরানা, বলিউডের একজন প্রতিভাধর অভিনেতা, তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করলেও সমালোচনা ও বিতর্ক থেকে মুক্ত থাকতে পারেননি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের বিভিন্ন অভিনেতাদের বিরুদ্ধে যে বিতর্ক উঠেছিল, তাতে আয়ুষ্মান খুরানাও জড়িয়ে পড়েন। সুশান্তের মৃত্যুর পর আয়ুষ্মানকে ‘চাপলুস আউটসাইডার’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। অভিনেতা কমল রশিদ খান তিনটি কারণে আয়ুষ্মানকে বলিউডে সমর্থিত হিসাবে উল্লেখ করেন: বলিউডে টিকে থাকার প্রয়াস, যশ রাজ ফিল্মসের সাথে তার সম্বন্ধ এবং সুশান্ত সিং রাজপুতের সাথে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
সুশান্তের অভিনেত্রী বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর একটি ইমোজি পোস্ট করার পর আয়ুষ্মান খুরানা সুশান্তের ভক্তদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হন। এছাড়াও, কঙ্গনা রানাউত ও তাপসী পান্নু সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, যেখানে কঙ্গনা বিভিন্ন অভিনেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন। তাপসী পান্নু প্রকাশ্যে বলিউডের স্বজনপ্রীতি নিয়ে কথা বলেন এবং আউটসাইডার-ইনসাইডার বিষয়ক বাস্তবতার বিশদ প্রদান করেন, যার মধ্যে আয়ুষ্মান খুরানার নামও উঠে আসে।
এছাড়া, ‘চন্ডীগড় করে আশিকী’ নামে একটি সিনেমা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, যেখানে আয়ুষ্মানের চরিত্র নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও আয়ুষ্মান খুরানা তার অভিনীত চরিত্রগুলোতে নতুন ভাবনা আনতে চেয়েছেন, তবুও এই ধরনের বিতর্ক তার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলেছে। বলিউডে তার সমালোচনা ও বিতর্কের ইতিহাস তাকে মতামতের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখে।