CID এর পূর্ণরূপ জানুন – সহজ ব্যাখ্যা

বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বা CID একটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত সংস্থা যা দেশব্যাপী নানা অপরাধের তদন্তে জড়িত। CID এর প্রধান কার্যালয় মালিবাগ, ঢাকায় অবস্থিত এবং এই সংস্থাটি সন্ত্রাসবাদ, হত্যা, সংঘবদ্ধ অপরাধ সহ নানা ঘটনায় তদন্ত করে।

CID এর পূর্ণ রূপ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। অধিকাংশ মানুষ হয়তো জানেন না যে, সিআইডি কিভাবে অপরাধের প্রকৃত সত্য উদঘাটনে কাজ করে যা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখছে। এই আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশ CID এর ইতিহাস, কার্যাবলী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করব।

Contents show

CID কি?

CID (Criminal Investigation Department) হলো বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত বিভাগ, যা সন্ত্রাসবাদ, খুন, এবং সংগঠিত অপরাধের তদন্তে বিশেষজ্ঞ। ১৯০২ সালে বৃটিশ সরকার ভারতীয় পুলিশ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রথম CID প্রতিষ্ঠা করে।

CID এর সংজ্ঞা

CID এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, এটি মূলত অপরাধ তদন্ত বিভাগ হিসেবে কাজ করে। একাধিক দেশে এই বিভাগের নাম ভিন্ন হতে পারে, যেমন: অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে CID কে Crime Investigation Department বলা হয় এবং পশ্চিমবঙ্গে Criminal Investigation Department নামে পরিচিত। CID-এর কাজে অপরাধের তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ প্রাধান্য পায়।

CID এর গুরুত্ব

CID এর কার্যাবলী সমাজের অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়গুলির সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের মুখোশ খুলে ফেলার মধ্য দিয়ে প্রভূত গুরুত্ব বহন করে। বিভিন্ন রাজ্যে CID এর বিভিন্ন শাখা রয়েছে, যেমন CB-CID, Anti-Human Trafficking & Missing Persons Cell, Anti-Narcotics Cell, Finger Print Bureau, Criminal Intelligence Division এবং Anti-Terrorism squad। CID তদন্তে নির্ভুলতায় সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী দল গঠন করতে সহায়তা করে।

  1. CID এর সংজ্ঞা অনুযায়ী অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়।
  2. CID এর কার্যাবলী জাঙ্গিয়ার এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূলে ভূমিকা পালন করে।
  3. CID বিভাগের বিভিন্ন শাখা অপরাধ তদন্ত ও প্রতিরোধে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে।

CID এর পূর্ণ রূপ

CID এর পূর্ণরূপ হলো ‘Criminal Investigation Department’, যা বাংলায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে সিআইডি পূর্ণরূপ বলতে এই বিশেষায়িত শাখাকে বোঝায়, যা দেশের অপরাধ তদন্তের মূল দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিভাগটি বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, হত্যাকাণ্ড এবং সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের তদন্ত করে থাকে।

সম্পূর্ণ অর্থ নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশের প্রধান সিআইডি অফিসটি ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত। এই উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিভাগটি শুধুমাত্র তদন্তেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তবে ফরেনসিক সহায়তাও প্রদান করে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে ডাকাতি, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি, সম্পত্তির জন্য খুন, বীমা জালিয়াতি, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

এছাড়াও, সিআইডি পূর্ণরূপের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তারা আরও প্রচুর দায়িত্ব পালন করে। ১৯০৭ সালের ১ এপ্রিল তারিখে এই বিভাগটি প্রথম কার্যকর হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাগোত্তর পূর্ব পাকিস্তানের সিআইডি ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ  ১ বিলিয়ন সমান কত টাকা?

সিআইডির নেতৃত্বে থাকে একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, যিনি বাংলাদেশ পুলিশের দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। এই বিভাগে বিভিন্ন পদবীতেও কর্মকর্তা রয়েছেন, যেমন উপ-মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক এবং কনস্টেবল।

সিআইডি একটি প্রশংসিত বিভাগ যা ক্রমাগত সমাজের আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। অপরাধ দমন এবং তদন্তের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। সিআইডি পূর্ণরূপের বাস্তবায়নে, তারা নিয়মিত পরিশ্রম করে দেশের নিরাপত্তা ও বিচার প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করে।

CID এর ইতিহাস

CID, বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট, প্রথমে ১৯০৫ সালে ভারত সরকারের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। CID এর কবে গঠিত হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, এটি মূলত ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি হয়েছিল। CID এর ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং বহুমুখী, যা ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়েরই অপরাধ তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

CID এর জন্ম

১৯১৩ সালে বাংলায় CID প্রথম সি.ডাব্লিউ.সি এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অপরাধ তদন্তের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। স্বাধীনতার পর, ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান CID ঢাকায় নিজের কার্যক্রম শুরু করে, যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশের CID যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে।

সেক্টরে উন্নয়ন

বিগত দশকগুলোতে CID ব্যাপক উন্নয়নের সম্মুখীন হয়েছে। CID এর ইতিহাস এবং CID এর কবে গঠিত হয় এই দুটি প্রশ্নের গভীরতা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, CID আজ গণমানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। CID এর বর্তমান কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং নতুন তদন্ত পদ্ধতি যোগ হবার কারণে তারা অপরাধ দমনে যথেষ্ট দক্ষতা প্রদর্শন করে চলেছে।

CID এর কার্যকাল

CID এর প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এর কার্যকাল অত্যন্ত বিশদ এবং বিস্তৃত। CID মূলত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ যেমন ধর্ষণ, হত্যা, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত করে থাকে। এছাড়াও সংগঠিত অপরাধ, ভোগ-দখলের জন্য খুন, ইন্সুরেন্স প্রতারণা এবং অপহরণ সহ বিশেষ তদন্ত সেবাও প্রদান করে থাকে।

CID এর দায়িত্ব

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা CID এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। CID দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:

  • তদন্ত প্রক্রিয়ার যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
  • মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যদি তা অযথা হয়ে থাকে।
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা।
  • দেশের নিরাপত্তায় ভূমিকারা পালন করা এবং সদস্যদের দায়িত্ব এড়ানো থেকে বিরত রাখা।

জাতীয় অপরাধ মোকাবেলায় CID এর কার্যকাল অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ, যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

CID এর কার্যক্রম

CID এর কার্যক্রম বিভিন্ন রকমের, তাদের কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  1. তদন্ত প্রক্রিয়া: CID বিভিন্ন ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করে, যার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, হত্যা, এবং সংঘটিত অপরাধ অন্তর্ভুক্ত।
  2. তথ্য সংগ্রহ: CID তথ্যসন্ধান ও বিশ্লেষণ করে, যা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের মোকাবেলায় সহায়ক।
  3. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: অপরাধমূলক কাজকর্ম প্রতিরোধে CID অন্যান্য স্থানীয় এবং জাতীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। এছাড়া, মাদক সম্পৃক্ত অপরাধ এবং জালিয়াতি নিয়ে কাজ করা CID এর অন্যতম দায়িত্ব।

এছাড়া CID দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপরাধসংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম অত্যন্ত পেশাদারভাবে পরিচালনা করে চলেছে। এই কারণে CID কার্যকাল দেশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

CID এর গঠন

সিআইডি বাংলাদেশের পুলিশের একটি প্রধান বিভাগ হিসাবে পরিচালিত হয়, যেখানে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক তার নির্দেশনায় এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। CID গঠন নিয়ে কথা বললে, উল্লেখযোগ্য যে এটি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এবং বিভাগের মিলিত প্রচেষ্টার ফলাফল। কোনো অপরাধের তদন্ত করতে CID তার আদর্শ পদ্ধতির মাধ্যমে কার্য সম্পাদন করে।

আরও পড়ুনঃ  বুলেটিন কি?

মিডিয়াতে CID

সাধারণত, মিডিয়াতে CID অফিস গঠন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়, যা প্রায়শই ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের অধীনে অন্যান্য বিভাগগুলির সাথে সঠিক সমন্বয় সাধন করে। এই মিডিয়া উপস্থিতি CID এর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একটি আদর্শ CID অফিসের গঠন

একটি আদর্শ CID অফিস গঠন করতে বেশ কিছু মূল উপাদানের প্রয়োজন হয়:

  • যুক্তিসঙ্গত এবং সুসজ্জিত অফিস প্রাঙ্গন
  • পর্যাপ্ত আধুনিক প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম
  • বিশেষজ্ঞদের একটি দল যারা নির্ভরযোগ্য এবং প্রশিক্ষিত
  • বিভিন্ন বিশেষ ইউনিট, যেমন ফরেনসিক, সাইবার ক্রাইম এবং এন্টি-ট্রাফিকিং ইউনিট
  • সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত ল্যাব এবং তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র

CID গঠন এই সব উপাদানগুলি একত্রিত করে যেন তারা সব ধরনের অপরাধের তদন্ত কার্যকরভাবে করতে পারে।

CID এর প্রধান কার্যাবলী

বাংলাদেশে CID এর প্রধান কার্যাবলী অন্তর্ভুক্ত অপরাধমূলক ব্যাপারগুলির গভীরতর বিশ্লেষণ, প্রমাণ সংগ্রহ এবং অপরাধের তদন্ত। CID তদন্ত প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। এখানকার বিশেষজ্ঞ দলের দায়িত্ব থাকে, অপরাধের মোক্ষম তথ্য সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণ করা এবং যথাযথ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।

তদন্ত প্রক্রিয়া

CID তদন্ত প্রক্রিয়া সাধারণত বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত। প্রথমত, অভিযোগ আসার পর, তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। পরবর্তী ধাপে, প্রমাণ সংগ্রহ এবং সাক্ষী গণের জবানবন্দি নেয়া হয়। এরপরে, ফরেনসিক প্রমাণ বিশ্লেষণ করা হয়, যা অপরাধের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • আদালতে মামলা নথিভুক্ত করা
  • সাক্ষী এবং প্রমাণ যাচাই করা
  • অপরাধীদের খোঁজ এবং গ্রেফতার করা

তথ্য সংগ্রহ

CID তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া অপরিহার্য অংশ। CID তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত হয় উপাত্ত সংগ্রহ, সাক্ষ্যপ্রমাণ নিশ্চিতকরণ, এবং সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে CID আরও নিখুঁত এবং বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত পায় যা পরে তদন্তে সহায়ক হয়।

  1. আংশিক সাক্ষ্য সংগ্রহ
  2. প্রমাণের ফরেনসিক পরীক্ষা
  3. গোপনীয় তথ্য নথিভুক্ত করা

এই সমস্ত কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে নির্বাহের জন্য CID কর্মকর্তাদের কঠোর প্রশিক্ষনের মধ্যে থাকতে হয়। CID এর তদন্ত প্রক্রিয়া এবং তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিতে সবসময় সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়, যেন বিচারের ফলে অপরাধীরা সঠিক শাস্তি পায় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

CID এর সব বিভাগ

দশকের পর দশক ধরে, CID বিভাগ অপরাধ তদন্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। CID কার্যাবলী বলতে বিভিন্ন অপরাধ ভালোমত তদন্ত এবং যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি বিভাগের নির্দিষ্ট কাজ এবং দায়িত্ব রয়েছে যা CID কার্যাবলী সম্পূর্ণ করার জন্য অপরিহার্য।

বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কে জানুন

CID বিভাগ বিভিন্ন ‍সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং অপরাধ তদন্তে বৈচিত্র্যপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এখানে কিছু প্রধান CID বিভাগ উল্লেখ করা হলো:

  • ডাকাতি এবং বড় ধরনের লুটপাট তদন্ত বিভাগ
  • নকল নোট এবং প্রতারণা সম্পর্কিত অপরাধ বিভাগ
  • মাদক এবং বিষক্রিয়ার বিষয়ক অপরাধ বিভাগ
  • ভূমি দখল এবং হত্যার তদন্ত প্রদান
  • ইন্সুরেন্স প্রতারণা এবং প্রতারনা বিভাগের কার্য তথ্য
  • মোবাইল আর্থিক সেবা ও সাইবার অপরাধ

বিভাগগুলোর কার্যাবলী

প্রতিটি CID বিভাগ নির্দিষ্ট কার্যাবলী এবং দায়িত্ব পালন করে যা গুরুতর অপরাধের তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পাদন করার জন্য অপরিহার্য।

  1. ডাকাতি এবং বড় ধরনের লুটপাট তদন্ত বিভাগ: এই বিভাগ বড়ো ধরনের লুটপাট এবং ডাকাতির তদন্তে বিশেষভাবে দক্ষ।
  2. নকল নোট এবং প্রতারণা সম্পর্কিত অপরাধ বিভাগ: নকল নোট এবং প্রতারণার বিষয়ক অপরাধের মোকাবেলায় এই বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম।
  3. মাদক এবং বিষক্রিয়ার বিষয়ক অপরাধ বিভাগ: মাদক পাচার এবং বিষক্রিয়ার ঘটনা তদন্তে বিশেষায়িত।
  4. ভূমি দখল এবং হত্যার তদন্ত প্রদান: এই বিভাগ ভূমি দখল এবং হত্যার ক্ষেত্রে বিশদভাবে অনুসন্ধান এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পাদন করে।
  5. ইন্সুরেন্স প্রতারণা এবং প্রতারনা বিভাগের কার্য তথ্য: এই বিভাগ ইন্সুরেন্স প্রতারণার তদন্তে সহায়ক।
  6. মোবাইল আর্থিক সেবা ও সাইবার অপরাধ: CID এর এই বিভাগ মোবাইল আর্থিক সেবা এবং সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুনঃ  গণতন্ত্র কি? সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা

CID এর সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পর্ক

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী অংশ হল সিআইডি (Criminal Investigation Department)। সিআইডি শুধুমাত্র অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব নয়, বরং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর সাথে কাজ করে। এই সম্পর্কের মাধ্যমে আইনি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সিআইডি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জনসাধারণের নিরাপত্তা

বাংলাদেশ পুলিশের মোট কর্মচারীর সংখ্যা ২,১২,৭২৪, যারা ১,৪৮,৪৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকার জনসংখ্যার দায়িত্বে রয়েছেন। পুলিশের প্রধান কার্যালয় ঢাকার ফুলবাড়িয়ার ৬ ফিনিক্স রোডে অবস্থিত। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সিআইডির পাশাপাশি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) কাজ করে।

আইনের প্রয়োগে CID

১,২৬২ জন পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হন। সিআইডি তাদের দক্ষতায় অবদান রেখে চলেছে। বিশেষ শাখার পাশাপাশি সিআইডিও উচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দা কার্যক্রম এবং সংগঠিত অপরাধ তদন্তে কাজ করে। এছাড়া, পুলিশের একটি বিশিষ্ট ইউনিট হিসাবে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তৈরি করা হয়েছে যা সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তর্জাতি অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে। পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গুরুতর অপরাধ তদন্তে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, যেমন সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসী অর্থায়ন এবং মানি লন্ডারিং।

সিআইডি, আরএবি সহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় করে অপরাধ দমন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধ, গোয়েন্দা তথ্য প্রদান এবং সুরক্ষা বজায রাখতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

FAQ

CID এর সংজ্ঞা কী?

CID বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট হলো একটি বিশেষায়িত বিভাগ যা সন্ত্রাসবাদ, খুন, এবং সংগঠিত অপরাধের তদন্ত করে।

CID এর পূর্ণরূপ কী?

CID এর পূর্ণ রূপ হলো Criminal Investigation Department।

CID এর প্রধান দায়িত্ব কি?

CID এর প্রধান দায়িত্ব অপরাধজনিত কেস যেমন ধর্ষণ, হত্যা, ডাকাতি এবং মাদক সম্পর্কিত অপরাধের তদন্ত করা।

CID এর ইতিহাস কী?

CID প্রথমে 1905 সালে ভারত সরকারের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং 1913 সালে বাংলায় CID চালু হয়।

CID এর গঠন কিভাবে তৈরি হয়?

CID মিডিয়াতে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকে।

CID কি ফরেনসিক সেবা প্রদান করে?

হ্যাঁ, CID ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ও তদন্তকারী টিম দ্বারা অপরাধ সংক্রান্ত প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

CID এর প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?

CID এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত।

CID এর প্রধান কার্যাবলী কী?

CID অপরাধ তদন্ত, অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং ফরেনসিক সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন তদন্তমূলক কাজে বিশেষজ্ঞ।

CID এর সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পর্ক কেমন?

CID জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনের প্রয়োগে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ে কাজ করে।

CID এর কোন কোন বিভাগ আছে?

CID এর বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে, যা ডাকাতি, জাল নোট, মাদক সম্পর্কিত অপরাধ এবং প্রতারণা সহ বিভিন্ন ধরনের তদন্ত করে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button