শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ

প্রত্যেকেই মাঝে মাঝে শরীর গরম অনুভব করেন, তবে যখন এই শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা বেশি সময় ধরে বজায় থাকে তখন তা জ্বরের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এই রকম একটি তাপমাত্রার পরিবর্তন অনেক কারণে ঘটতে পারে: মেনোপজের সময়ে Hot Flash বা অনিদ্রার মত হরমোনাল পরিবর্তন, ৪র্থ ত্রৈমাসিকের গর্ভাবস্থার অস্বাভাবিক প্রদাহ বা PUPPP, এমনকি মেনোপজের পর হাড়ের দুর্বলতা অথবা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিও এর কারণ হতে পারে। সব বয়সী মানুষের জন্যেই এটি স্বাস্থ্যের সমস্যা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

শরীর গরম থাকা সাধারণ না বা চিকিৎসার যোগ্য, এটা নির্ধারণ করতে বিভিন্ন লক্ষণ এবং উপসর্গগুলিকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। শরীর গরম হওয়া যে একটি প্রায়শই ঘটনা, তার নিজস্ব স্বাস্থ্যের ইতিবাচক পরিচর্যার জন্য কোন বিশেষ উপায় অবলম্বন করা উচিত তা জানা অপরিহার্য। এই পর্যায়ে, আমাদের পরবর্তী দিক নির্দেশনাগুলি স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত হতে পারে।

Contents show

শরীরের তাপমাত্রা এবং স্বাভাবিক সীমা

সুস্থ শরীরের তাপমাত্রা নির্ধারণের জন্য শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বুঝতে হবে, যা সাধারণত সকালে ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং সন্ধ্যায় ৯৯.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে। এই তাপমাত্রা পরিমাপের অংশ হিসেবে, তাপমাত্রা মাপার নিয়ম অনুসরণ করা আবশ্যক।

স্বাভাবিক তাপমাত্রার মান

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও ভৌগোলিক পরিস্থিতি অনুযায়ী, শরীরের তাপমাত্রা ভিন্ন হতে পারে। তবে, সাধারণত সুস্থ অবস্থায় একজন ব্যক্তির শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬৪° ফারেনহাইট (৩৭° সেলসিয়াস) ধরা হয়ে থাকে। এই তাপমাত্রার বলয় দিনের বিভিন্ন সময়ে সামান্য পরিবর্তনশীল হতে পারে।

শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের উপায়

  • মৌখিক তাপমাত্রা: জিহ্বার নিচে থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা মাপা হয়, যা সর্বাধিক সাধারণ পদ্ধতি।
  • কানের তাপমাত্রা: ইয়ার থার্মোমিটার ব্যবহার করে কানের ভিতরের তাপমাত্রা মাপা হয়।
  • ত্বকের তাপমাত্রা: ফোরহেড থার্মোমিটার বা অন্যান্য স্কিন থার্মোমিটার ব্যবহার করে ত্বকের উপরিভাগের তাপমাত্রা মাপা হয়।
  • রেক্টাল তাপমাত্রা: এই পদ্ধতি সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যা খুবই নির্ভুল ফলাফল দেয়।

এই বিভিন্ন তাপমাত্রা মাপার নিয়ম সচেতন ভাবে অনুসরণ করলে, প্রত্যেকে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের তাপমাত্রা সঠিকভাবে মনিটর করতে পারবেন।

শরীর গরম থাকার সাধারণ কারণ

যেকোনো ব্যক্তির জীবনে শরীর গরম হওয়া বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। বিশেষত, শরীর গরমের কারণ হিসেবে পরিচিত কিছু প্রধান ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে সংক্রমণ এবং ব্যাপক শারীরিক পরিশ্রম। আক্রান্তিক জ্বর যখন ঘটে, তখন শরীরে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। এই প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুনঃ  লিভার ডিটক্স করার সহজ উপায়

সংক্রমণের লক্ষণ

  • জ্বর
  • ঠান্ডা লাগা
  • বমি বমি ভাব
  • দুর্বলতা

উপরন্তু, আক্রান্তিক জ্বর যে কোনো প্রকারের সংক্রমণ জনিত অসুখের একটি সাধারণ প্রতিফলন হিসেবে পরিচিত। যদি শরীরে অন্য কোনো উপসর্গ না থাকে, তবুও অতিরিক্ত উষ্ণতার অনুভূতি ঘটতে পারে।

শারীরিক কার্যকলাপের প্রভাব

  1. ব্যায়ামের পরে শারীরিক উষ্ণতা বৃদ্ধি।
  2. ভারী মেহনতের পর শরীর গরম হওয়া।
  3. উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘসময় কাজ করার ফলে হিট স্ট্রোক।

সব মিলিয়ে, শরীর গরমের কারণ অনেক সময়ে শারীরিক বা পরিবেশগত অবস্থানের উপর নির্ভর করে। অতিরিক্ত গরমে কাজ করা, বা শক্তিশালী শারীরিক ব্যায়াম এই ধরণের অবস্থার দুটি প্রধান উদাহরণ।

জ্বর এবং শরীর গরম থাকার সম্পর্ক

জ্বর বা উচ্চ তাপমাত্রা মানুষের শরীরে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের লক্ষণ। জ্বর সৃষ্টির কারণ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর, যেমন ইনফেকশন, ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়া, অথবা অভ্যন্তরীণ মেটাবোলিক পরিবর্তন।

জ্বর কীভাবে সৃষ্টি হয়

জ্বর সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমের সক্রিয় হওয়া। কোনো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণের ফলে শরীর প্যাথোজেনকে নির্মূল করার জন্য উচ্চ তাপমাত্রা তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটি শরীরের হাইপোথ্যালামাসে উত্তেজিত হয়ে থার্মোরেগুলেটরি সেটপয়েন্টকে উচ্চ তাপমাত্রায় ঠেলে দেয়।

জ্বরের সাথে অন্য উপসর্গ

জ্বরের সাথে অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি যেমন কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং এসব উপসর্গ বিভিন্ন রোগের সূত্রপাতের লক্ষণ হতে পারে। যেহেতু জ্বর মূলত শরীর কোনো আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য তাপমাত্রা উচ্চতর করে, তাই জ্বরের পাশাপাশি যেসব উপসর্গ উঠে আসে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট রোগের আরও ভালো নির্ধারণ করে।

  • ব্যথা ও শ্রান্তি: জ্বরের সময় পেশী ও হাড়ের ব্যথা, সাধারণ শ্রান্তি হতে পারে।
  • ভোক্ত ও অন্যান্য আবেগী প্রভাব: অনেক সময় জ্বরের সময় মানুষের খাদ্যাভ্যা�

অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা যা শরীর গরম করে

শরীর গরম থাকা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা-র লক্ষণ হতে পারে। এর মধ্যে ডিহাইড্রেশনমানসিক চাপ অন্যতম। এই সমস্যাগুলি শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করে যা শরীর গরম হয়ে যাওয়ার অনুভূতি দেয়।

ডিহাইড্রেশন

শরীরে পানির ঘাটতি ঘটলে, যা ডিহাইড্রেশন নামে পরিচিত, শরীরের তাপনিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। এটি ব্যাপক মাত্রায় ঘাম হ্রাস পাওয়ার একটি সাধারণ প্রভাব। একজন ব্যক্তি যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তাহলে তার শরীরের ভেতর তরলের অভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

দুশ্চিন্তা ও চাপ

উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা শরীরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপে প্রভাব ফেলে যা শরীর গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে। অনেক সময় চাপগ্রস্ত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের উপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ঘাম নির্গমন ব্যাহত হয়, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধির অনুভূতি দেয়।

গর্ভাবস্থায় শরীর গরম হওয়া

গর্ভাবস্থা একটি জটিল সময়, যখন শরীরের হরমোন ও মেটাবলিজমের পরিবর্তন ঘটে। এই সময়ে শরীরের অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সমস্যা খুব সাধারণ। গর্ভাবস্থায় মেলাসমা ও হিট এক্সোশনের মতো সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে, যা শারীরিক অস্বস্তি বাড়ায়।

আরও পড়ুনঃ  প্লাজমা দান করতে কত সময় লাগে?

গর্ভাবস্থায় শরীরের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটে যা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, হরমোনাল পরিবর্তন এবং শিশুর উত্পাদিত তাপ এই পরিবর্তনের পিছনে মুখ্য কারণ। তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময়ে, বাড়তি উরুতে অতিরিক্ত প্রেশার, বাড়তি পানির প্রবাহন, এবং রক্তসঞ্চালনের পরিবর্তন হয় যা গর্ভাবস্থায় গরম অনুভূতির কারণ হতে পারে।

কিভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন

  • প্রচুর পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন এড়ানো, যা গর্ভাবস্থায় তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিবেচিত হয়।
  • হালকা ও ঢিলা পোশাক পরুন: শরীরের বায়ু সঞ্চালন বাড়াতে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে।
  • ঠান্ডা পরিবেশে অবস্থান করুন: এসি রুম বা নীরব ও ছায়াযুক্ত স্থানে সময় কাটান।
  • নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ: গর্ভাবস্থায় তাপমাত্রার পরিবর্তন পরিমাপ করার জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থা একটি সহজ সময় নয়, তাই এটি জরুরী যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য সুস্থতার বিষয়ে বাড়তি যত্ন নেয়া। একটি সচেতন ও সুরক্ষিত গর্ভাবস্থার জন্য, এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করা উচিত।

শিশুদের ক্ষেত্রে শরীর গরম থাকা

ছোট শিশুদের মধ্যে শরীর গরম হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যেমন জ্বর, সংক্রমণ বা অত্যধিক গরমে পড়া। শিশুস্বাস্থ্য এবং তাপমাত্রা পরিমাপ নিয়ে সজাগ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের তাপমাত্রা মাপার পদ্ধতি

শিশুদের জ্বর পরিমাপের জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার সবচেয়ে নিরাপদ এবং সঠিক। ঘরে-বসে নির্ভুল তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য এই পদ্ধতি অতীব জনপ্রিয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কানের থার্মোমিটার ব্যবহার করাও খুবই কার্যকর, কিন্তু নবজাতক শিশুদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

শিশুদের জন্য সতর্কতা

শিশুদের শরীর গরম হওয়ার সমস্যায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি:

  • পরিষ্কার এবং শীতল পরিবেশ নিশ্চিত করা।
  • শিশুকে প্রচুর তরল পান করানো।
  • অতিরিক্ত পোশাক পরানো এড়িয়ে চলা।
  • ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
  • জ্বর থাকলে বা তার লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
  • শিশুদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা নিশ্চিত করে শিশুস্বাস্থ্য ভালো রাখা।

শিশুদের সুস্থ রাখতে ও তাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে উপরোক্ত পরামর্শগুলি অত্যন্ত উপকারী।

বয়স্কদের শরীর গরম হওয়ার কারণ

বয়স্ক মানুষদের মধ্যে শরীর গরম হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল শারীরিক এবং হরমোনজনিত পরিবর্তন। এসব পরিবর্তন শরীরের থার্মোরেগুলেশন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে, যা বয়সী মানুষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বয়সের সাথে পরিবর্তনগুলি

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের অনেক গুলি বিষয় পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে রক্ত সঞ্চালনের হ্রাস, হরমোন উত্পাদনের পরিবর্তন এবং দেহের ফ্যাট ও পেশীর অনুপাত পরিবর্তন অন্যতম। এসব কারণে বয়সী মানুষের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে বা কমতে পারে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হল বয়স্কদের জন্য অতি আবশ্যক। সঠিক ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম বয়সী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পথ প্রদর্শক। তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম, যেমন হালকা জলব্যায়াম, যোগব্যায়াম, ও হাঁটা উপকারী হতে পারে। এসব কার্যকলাপ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে এবং সার্বিক শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

খাদ্য ও পানীয়ের প্রভাব

আমাদের খাদ্যাভাসপানীয় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাত্যহিক জীবনে যে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করি, তা আমাদের শরীরের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর প্রভাব ফেলে।

আরও পড়ুনঃ  কত সপ্তাহে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যায়

পানীয়ের ভূমিকা

শরীর ঠান্ডা রাখতে অথবা গরম কমাতে পানীয়ের ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মিত ভাবে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা শরীর গরম হওয়ার অনুভূতি কমাতে সক্ষম। এছাড়াও গ্রীষ্মকালে লেবুর শরবত বা অন্যান্য প্রাকৃতিক ফলের রস শরীরকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে।

কি ধরনের খাবার শরীর গরম করে

  • মশলাযুক্ত খাবার: মশলাজাতীয় খাবার যেমন ভারতীয় কারি, মেক্সিকান চিলি বা থাই খাবার শরীর গরম করে এমন খাবার হিসেবে পরিচিত।
  • ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: চা, কফি বা শীতল পানীয়গুলো ক্যাফেইনের উপস্থিতির কারণে শরীর গরম হতে পারে।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মাংস বা ডিম জাতীয় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো হজম করতে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়।
  • মদ্যপান: অ্যালকোহল শরীরের মধ্যভাগে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধি সাধন করতে পারে।

সঠিক খাদ্যাভাস এবং পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই, নিজের খাদ্যাভাস সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পছন্দ গুরুত্বপূর্ণ।

শরীর গরম হলে কি করা উচিত

গরমের দিনগুলিতে প্রায় প্রত্যেকেই অস্বস্তিকর উষ্ণতা অনুভব করে থাকেন। যদি শরীর গরম হয়ে থাকে, তবে এমন কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা রয়েছে যা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি এই উষ্ণতার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং সম্ভাব্য জটিলতাগুলি এড়াতে পারেন।

প্রাথমিক সেবা

  • শীতল পরিবেশে থাকুন: গরম তাপমাত্রা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে হবে যাতে শরীরকে শীতল রাখা যায়।
  • প্রচুর পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন এড়াতে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পানি পান করা জরুরী।
  • হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন: হালকা রঙের কটন ফ্যাব্রিকের পোশাক পরলে আরামদায়ক অনুভূতি হয়, যা তাপ শোষণ কম করে এবং হাওয়া চলাচলকে সহায়তা করে।

চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সময়

যখন প্রাথমিক চিকিৎসা সত্ত্বেও কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায় না, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ যেমন বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা, বা শরীরে ব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। সময়মতো মেডিক্যাল পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সাধারণ উষ্ণতাজনিত অসুবিধা গুরুতর রূপ না নিতে পারে।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উপায়

শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এবং সেই অবস্থায় শরীর সহজেই নানা ধরণের অস্বস্তি অনুভব করে। এর থেকে বাঁচার জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা

আরামদায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ঘরের তাপমাত্রা ঠাণ্ডা ও শান্ত রাখার জন্য এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জন্য জানালা খুলে রাখা, এবং আলো ও উত্তাপ প্রতিফলিত করার জন্য হালকা রং এর পর্দা ব্যবহার করা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

পর্যাপ্ত পানি পান করা

দেহের জল ঘাটতিকে দূর করতে ও পর্যাপ্ত জলপান এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। পানি শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস করে, শরীর ঠাণ্ডা রাখে এবং ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। সবসময় সাথে পানির বোতল রাখা এবং নিয়মিত অন্তর অন্তর জলপান করা উচিত।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button