তথ্য কি কত প্রকার?
আমাদের চারপাশে প্রচুর তথ্যের ধরন ও প্রকারভেদ রয়েছে, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবন ও কাজে অপরিহার্য। পাঁচ প্রধান বিভিন্ন তথ্য সূত্র-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে উৎস অনুসারে তথ্য, প্রকৃতি অনুসারে তথ্য, সময় অনুসারে তথ্য, প্রক্রিয়াকরণের ধরন অনুসারে তথ্য এবং উদ্দেশ্য অনুসারে তথ্য। জ্ঞান, উপাত্ত বা বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত এই তথ্যগুলো ভ্রান্ত হতে সাবধান হতে হবে, কারণ এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমীক্ষা প্রতিক্রিয়া, সরাসরি পর্যবেক্ষণ হতে প্রাথমিক তথ্য, প্রতিবেদন বা প্রকাশিত নিবন্ধগুলি হচ্ছে গৌণ তথ্য; সংখ্যাধারিত অথবা বর্ণনাভিত্তিক তথ্য নির্দেশ করে প্রকৃতি অনুসারে তথ্যের উৎস; আবার পরিবর্তনশীল বা অপরিবর্তনীয় তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্ন সময় অনুসারে তথ্যের পরিধির মধ্যে পড়ে। অঙ্কিত ডাটা থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত ডাটা পর্যন্ত প্রক্রিয়াকরণের ধরনের তথ্য আমাদের সিদ্ধান্ত নির্ধারণ, গবেষণা এবং জ্ঞান সৃষ্টির সহায়তা করে। এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে আমরা সক্ষম হই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে, যা একটি সংস্থার সরকারি বিধি-বিধান, ঋণ প্রাপ্যতা, অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং তার চারপাশের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত সংজ্ঞানীয় হতে পারে।
তথ্যের সংজ্ঞা ও গুরুত্বপূর্ণতা
তথ্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী, এটি নির্দিষ্ট ঘটনা বা বিষয়ের সম্পর্কিত জ্ঞান যেটি যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় প্রকাশিত হয়ে শ্রোতাদের উপকারে আসে। এতে করে, তথ্যের গুরুত্বপূর্ণতা বুঝতে পারি ভালভাবে। যেমন Claude Shannon বলেছেন, তথ্য যোগাযোগের এক মৌলিক হৃদিষ্ট প্রকাশ। এই ধারণা হতে মুখ্য তিন শিক্ষণ বুঝতে পারি:
- তথ্যের সংজ্ঞা তার উৎস, ব্যবহার, এবং প্রভাব উপাত্ত নিরূপণ করে।
- তথ্যের গুরুত্বপূর্ণতা এটি জ্ঞান সৃষ্টি ও যোগাযোগের গুণাবলী বাড়ায়।
- তথ্য যোগাযোগ, শিক্ষা, এবং গবেষণার মুখ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে।
ভাল মানের তথ্যের প্রয়োজন, যাচাই-বাচাই এবং ব্যবহারের ধারণা আমাদের সামাজিক ও পেশাগত জীবনে অপরিহার্য।
তথ্যের ভিত্তি
তথ্যের ভিত্তি হলো তার উৎস। বিভিন্ন ধরনের উৎস থেকে তথ্য প্রাপ্ত হয় যেমন: প্রাথমিক উৎস, গৌণ উৎস, এবং তৃতীয়ক উৎস। উৎস জানা ও যাচাই করাও তথ্যের গুরুত্বপূর্ণতাকে বোঝায়।
তথ্যের ব্যবহার
তথ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন শিক্ষা, ব্যবসায়, গবেষণা, ও জনসংখ্যা প্রয়োগের ধারায়। তথ্য দ্বারা জ্ঞান সৃষ্টি হয় এবং সেই সাথে মানুষের অভিজ্ঞতা বাড়ানো এবং নির্ণয় সাহায্য করে।
এইভাবে, তথ্য শুধু তথ্য নয়, এটি জ্ঞান সৃষ্টির এক অন্যতম মাধ্যম, যা সমাজের প্রগতি ও বিকাশ সাধন করে।
তথ্যের প্রধান প্রকারভেদ
আধুনিক গবেষণায় তথ্যের প্রকারভেদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিভাগে, আমরা প্রাথমিক তথ্য এবং গৌণ তথ্য-এর ধরণ ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করব।
প্রাথমিক তথ্য
প্রাথমিক তথ্য হচ্ছে সেই তথ্য যা সরাসরি উৎস থেকে সংগৃহীত হয়। এটি গবেষকদের নিজস্ব পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা প্রাপ্ত হতে পারে। এমন তথ্য সাধারণত:
- সাক্ষাৎকার
- জরীপ
- পরীক্ষাগারের পরীক্ষা
এই ধরনের তথ্য যেহেতু মূল উৎস থেকে আসে, তাই এটি তথ্যের প্রকারভেদ হিসেবে অত্যন্ত বিশ্বস্ত ধরা হয়।
গৌণ তথ্য
গৌণ তথ্য বলতে আমরা সেই তথ্যকে বুঝি, যা প্রথমিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়। এই তথ্য নিম্নোক্ত উৎসগুলি থেকে প্রাপ্ত হতে পারে:
- বইয়ের পুনর্মূল্যায়ন
- গবেষণা পত্রিকা
- বিবিধ গণমাধ্যম
গৌণ তথ্য গবেষণা ও শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে সহায়ক থাকে যখন প্রাথমিক উৎস সরাসরি প্রযোজ্য না হয়, এ কারণে এটি তথ্যের প্রকারভেদ হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পুনরায় ব্যবহারে কাজে দেয়।
গুণগত এবং পরিমাণগত তথ্য
সমসাময়িক গবেষণা ক্ষেত্রে গুণগত তথ্য এবং পরিমাণগত তথ্যের প্রয়োগ অপরিহার্য। এই দুই ধরনের তথ্য তথ্যের বিশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে গবেষণাকে আরো সূক্ষ্ম ও নির্ভুল করে তোলে। নীচে আমরা এই দুটি ধরনের তথ্যের বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্ব বিশদ ভাবে আলোচনা করবো।
গুণগত তথ্যের বৈশিষ্ট্য
গুণগত তথ্য, যা প্রায়ই অনুভূতিভিত্তিক এবং বর্ণনামূলক হয়, গভীরতর বোঝাপড়া এবং মতামতগুলির অন্তর্নিহিত কারণ উদ্ঘাটনে সহায়ক। এটি মূলত সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ, এবং মানসম্মত তথ্যের বিশ্লেষণ প্রণালীর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। গুণগত তথ্য ব্যবহার করার একটি বড় সুবিধা হলো এটি যে কোনো বিষয়ের উপর গভীর এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সরবরাহ করে, যা সাধারণত পরিমাণগত তথ্যে প্রাপ্ত হতে পারে না।
পরিমাণগত তথ্যের গুরুত্ব
অপরদিকে, পরিমাণগত তথ্য সংখ্যাগত আকারে প্রকাশ পায় এবং এটি সাধারণত জরিপ, পরীক্ষা, এবং পোলগুলির মতো পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। পরিমাণগত তথ্যের প্রধান গুরুত্ব হলো এটি ব্যাপক জনসংখ্যার উপর তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বিশ্লেষণ সম্ভব করে তোলে, যা বৃহত্তর পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ এবং সাধারণীকরণে সহায়ক। এই ধরনের তথ্য প্রায়ই দ্রুত সংগ্রহ করা যায় এবং এটি সিদ্ধান্ত নির্ণয়ের প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও কার্যকর করে তোলে।
সংক্ষেপে, গুণগত তথ্য এবং পরিমাণগত তথ্য উভয়ই গবেষণার একটি অপরিহার্য অংশ, এবং উভয়ের সাহায্যে তথ্যের বিশ্লেষণ আরও যথাযথ এবং বিস্তৃত হতে পারে। ভবিষ্যতে গবেষণার ক্ষেত্রে, এই দুই পদ্ধতির সমন্বয় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
শ্রেণীবিভাগ অনুসারে তথ্যের প্রকারভেদ
তথ্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং তাদের আয়োজন তথ্যের বিন্যাসে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। তথ্যের শ্রেণীবিভাগ হচ্ছে এই প্রক্রিয়ার এক অন্যতম দিক, যেটি তথ্যকে আরও সুবিন্যস্ত ও বোধগম্য করে তোলে।
ক্রমিক তথ্য
ক্রমিক তথ্য হলো সেই সব তথ্য, যা ক্রমানুসারে সাজানো হয়। এই ধরনের ক্রমিক তথ্য সাধারণত সময়, তারিখ, ঘটনাপ্রবাহ অথবা অন্যান্য মানদণ্ড অনুসরণ করেছে। এই পদ্ধতির মূল সুবিধা হলো তথ্যটি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা সহজ হয় এবং কোন নির্দিষ্ট সময়কাল বা ঘটনা অনুসন্ধান করা যায় খুবই দ্রুত।
শ্রেণীকৃত তথ্য
অন্যদিকে, শ্রেণীকৃত তথ্য হল এমন তথ্য যা ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণী অনুসারে বিন্যাসিত হয়। এই প্রকারের তথ্যের বিশেষ গুণ হলো এটি বিষয়ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ অনুসরণ করে, যা ব্যবহারকারীদের তারা যা খুঁজছেন তা সহজে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে, তথ্য আরও সঠিকভাবে শ্রেণীবিভক্ত হয়, যা তুলনা ও মূল্যায়নে সাহায্য করে।
সব মিলিয়ে, তথ্যের শ্রেণীবিভাগ এবং এর অধীন বিভিন্ন প্রকারের যেমন ক্রমিক তথ্য এবং শ্রেণীকৃত তথ্য তথ্যকে আরও ব্যবহারিক ও কার্যকরী করে তোলে, যা গবেষণা, শিক্ষা, ব্যবসা এবং দৈনন্দিন কাজে অমূল্য সহায়তা প্রদান করে।
সম্পাদনা ও অ-সম্পাদিত তথ্য
সঠিক তথ্যের উৎস হিসেবে সম্পাদিত তথ্য ও অ-সম্পাদিত তথ্য দুটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি তথ্য যখন সম্পাদনা মাধ্যমে পরিশোধিত হয়, তা হয়ে ওঠে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য। তবে, অ-সম্পাদিত তথ্য অনেক সময় তাৎক্ষণিক এবং তাত্পর্যপূর্ণ থাকে। সম্পাদনা এবং অ-সম্পাদিত তথ্যের মাঝে যে সম্নতি থাকে তা তথ্যের কাঠামো নির্ধারণে সহায়ক।
সম্পাদনার প্রক্রিয়া
সম্পাদিত তথ্যের প্রক্রিয়া বেশ কঠিন এবং বিশাল দায়িত্বপূর্ণ। পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ, এবং যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে যে তথ্য তৈরি হয়, তা শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাহায্যকারী হয়। যেমন একটি প্রতিবেদন বা গবেষণা প্রবন্ধে যত্ন সহকারে তথ্য সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়।
অ-সম্পাদিত তথ্যের উদাহরণ
- র আগামী ঘটনার ভিডিও ফুটেজ যা কোনো সম্পাদনা ছাড়াই প্রচারিত হয়।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রথমিক পরিসংখ্যান যা তথ্যের গভীর বিশ্লেষণ ছাড়া প্রকাশ পায়।
- সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের উত্থাপিত মতামত এবং চিত্র, যা অনেক সময় তথ্যের কাঠামো ছাড়াই চিত্রিত হয়।
এই উদাহরণগুলো দেখিয়ে দেয় যে, অ-সম্পাদিত তথ্য অনেক সময় দ্রুত ও সহজে প্রাপ্য হয়, যা জনগণের জন্য তাৎক্ষণিক তথ্যের একটি উৎস হতে পারে।
মৌলিক তথ্য ও উপদেষ্টা তথ্য
বর্তমান যুগে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ধারা ও ব্যবস্থা নিত্য নতুন মাত্রা অর্জন করছে। এই প্রেক্ষাপটে, মৌলিক তথ্য ও উপদেষ্টা তথ্য দুই প্রকার তথ্যই একটি প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিভাবে এই দুই ধরনের তথ্য পরিচালনা ও ব্যবহার করা হয়, তা নির্ভর করে ডাটা বিশ্লেষণের উপর।
মৌলিক তথ্যের গঠন
মৌলিক তথ্য হলো সেই সমস্ত ডেটা, যা সরাসরি উত্স থেকে সংগৃহীত হয়ে থাকে এবং যা অপরিবর্তিত ও অকৃত্রিম থাকে। এই প্রকার ডেটা পরবর্তীতে বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, জনগণনা তথ্য, সার্ভে ডেটা, বা প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্য।
উপদেষ্টা তথ্যের ভূমিকা
উপদেষ্টা তথ্য হলো সেই সমস্ত ডেটা যা মৌলিক তথ্য থেকে বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয় এবং যা বিভিন্ন স্তরের সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়ায় পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণে এবং সামগ্রিক রণনীতি গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। উপদেষ্টা তথ্য যেমন বাজার গবেষণা রিপোর্ট, ব্যালান্স শিট বিশ্লেষণ, এবং প্রতিযোগিতা অধ্যয়ন থেকে পাওয়া উপাত্ত ধারণ করে থাকে।
সংক্ষেপে, মৌলিক তথ্য এবং উপদেষ্টা তথ্য উভয়ই তথ্য-নির্ভর সংস্থাগুলির জন্য অপরিহার্য এবং ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এদের সঠিক ব্যবহার একটি প্রতিষ্ঠান বা বিজনেসের সফল সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বশর্ত।
অনুসন্ধানী তথ্য
অনুসন্ধানী তথ্য হলো সেই বিশেষ ধরণের তথ্য, যা নির্দিষ্ট গবেষণা অথবা প্রজেক্টের জন্য সংগ্রহ করা হয়। এই প্রকারের তথ্য সংগ্রহের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বাসযোগ্য এবং সুষ্ঠু তথ্য প্রদান করা, যা নিয়মিত সিদ্ধান্ত নির্ণয় ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য
উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন: নতুন ধারণা উদ্ভাবন, সাংবাদিকতা, বা বাজার গবেষণা। এই তথ্যের মাধ্যমে, গবেষকরা তাদের গবেষণা পদ্ধতি অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করতে পারেন।
তথ্য সংগ্রহের কৌশল
সফল গবেষণা পদ্ধতি নির্ভর করে সঠিক ও নির্ভারিত তথ্য সংগ্রহের উপর। একজন গবেষক হিসেবে নিম্নলিখিত কৌশলগুলি অবলম্বন করতে পারেন:
- প্রাথমিক উৎস থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ, যেমন: সাক্ষাৎকার, জরিপ, এবং পর্যবেক্ষণ।
- গৌণ সূত্রগুলির ব্যবহার, যেমন: পূর্ববর্তী গবেষণাপত্র ও প্রকাশিত তথ্য।
- ডিজিটাল ডাটাবেস এবং অনলাইন সূত্রগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ।
এই কৌশলগুলি মিলিতভাবে অনুসন্ধানী তথ্যের মৌলিকতা এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করে থাকে।
প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত তথ্য
সমাজে তথ্যের আদান-প্রদান প্রক্রিয়া দ্বারা নানা ধরনের জ্ঞান ও উপাত্ত ছড়িয়ে পরে। এর মধ্যে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয় এবং কিছু তথ্য আবার মৌখিক বা অন্যান্য মাধ্যমে অপ্রকাশিত থাকে। প্রকাশিত তথ্য মানুষের বুঝে নেওয়ার জন্য অনেক বেশি সহজগম্য। অন্যদিকে, অপ্রকাশিত তথ্যও সমাজের অনান্য অংশের মধ্যে অগ্রাধিকার পায় যার রয়েছে বিশেষ গূঢ় মান।
প্রকাশ
২০২৩ সালের WBPSC ক্লার্কশিপ নিয়োগের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু পদের সঠিক ঘোষণা না হলেও, এটি শিগগিরই প্রকাশিত হবে। এর অনলাইন আবেদনের প্রক্রিয়া ৮ই ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে শুরু এবং ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে। পদটির জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রয়েছে পার্ট-১, পার্ট-২ এবং একটি টাইপিং পরীক্ষা। কর্মস্থল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বেছে নেওয়া হবে। আরো বিস্তারিত জানার জন্য আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট www.wbpsc.gov.in পরিদর্শন করতে হবে।
একটি বই যার প্রকাশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেটির বিষয়ে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা হলো ১৭০, ওজন প্রায় ২৫০ গ্রাম। এর মাত্রা হলো ২০.৩ x ২৫.৪ x ৪.৭ সেন্টিমিটার এবং ‘পেনসিল’ প্রকাশনী দ্বারা ৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে প্রকাশ করা হয়েছে। এই বই বাংলা ভাষায় লিখিত এবং ভারতে প্রকাশ পেয়েছে, প্যাকেজিং করেছে মুম্বই, ভারতের ওয়ান পয়েন্ট সিক্স টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড। এই ধরনের প্রকাশিত তথ্য বাজারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর উপাত্ত প্রদান করে।