অ্যান্ড্রয়েডে ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানোর সহজ উপায়

আজকের দিনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়াইফাই স্পিড বৃদ্ধি একটি সাধারণ চাহিদা। বিশেষত, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে স্মার্টফোন ইন্টারনেট গতি উন্নত করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। অনেক সময়, ওয়াইফাই স্পিড কমে যাওয়ার কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ডিভাইস বা রাউটারের প্রযুক্তিগত সমস্যা।

কিছু সহজ স্টেপ অনুসরণ করে অ্যান্ড্রয়েড ওয়াইফাই বুস্ট করা যেতে পারে। তাই আজকের এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ওয়াইফাই স্পিড বাড়ানো যায় এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং আরও দ্রুত ও সুষ্ঠু করা যায়।

যারা নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট ডাউনলোড করেন, তাদের জন্য Kwai video downloader একটি বেশ কার্যকর অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন যা ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কম ব্যয় করবে।

স্মার্টফোন রিস্টার্ট করুন

আপনার স্মার্টফোনের ইন্টারনেট স্পিড যদি ধীর হয়ে যায়, তবে স্মার্টফোন রিস্টার্ট করার মাধ্যমে আপনি সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কেন এই উপায় কার্যকর? যখন ডিভাইসটি পুনরায় চালু করা হয়, তখন এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান প্রোগ্রামগুলি বন্ধ করে দেয় এবং স্মার্টফোনের মেমোরি রিফ্রেশ করে।

এছাড়া, রিস্টার্ট করলে প্ল্যাটফর্মের ক্ষুদ্র খুঁতগুলিও সরিয়ে দেয়, যা ওয়াইফাই গতি অপ্টিমাইজেশনের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। অ্যান্ড্রয়েড ট্রাবলশুটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয় কারণ এটি বহু সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে।

কেন এই উপায় কার্যকর তাও জেনে রাখা জরুরি। স্মার্টফোনটি যখন দীর্ঘ সময় ধরে চালু থাকে, তখন প্রায়ই সিস্টেমের ক্ষুদ্র ভুল এবং অনাকাঙ্খিত ফাইল জমে যা নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে, স্মার্টফোন রিস্টার্ট করাটা একটা কার্যকর পদক্ষেপ যা এসব সমস্যা সহজেই সমাধান করতে পারে।

  • প্রথমে, পাওয়ার বাটনটি কিছু মুহূর্তের জন্য ধরে রাখুন।
  • এরপর, রিস্টার্ট বা রিবুট অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • ডিভাইসটি পুনরায় চালু হওয়ার পর, ওয়াইফাই কনেকশনের গতি পুনরায় পরীক্ষা করুন।

ব্যাস, আপনার স্মার্টফোনের গতি আবারও নিস্তেজ থেকে উদ্দীপ্ত হয়ে উঠবে। কেন এই উপায় কার্যকর তা যখন জানবেন, তখন এটি আপনাকে যে কোনো সময় সহায়তা করবে।

Wi-Fi রাউটার রিস্টার্ট করুন

অনেক সময় ওয়াইফাই রাউটার রিস্টার্ট করলে ইন্টারনেট গতিতে তাৎক্ষণিক উন্নতি হয়। Wi-Fi রাউটার রিস্টার্ট করার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিভিন্ন টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান হতে পারে। নিচে এই পদ্ধতির সুবিধাগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • প্রথমত, রাউটার রিস্টার্ট করলে এটি নতুন চ্যানেলে সংযোগ স্থাপন করতে পারে, যা চ্যানেল কনজেশন কমাতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত রাউটার রিস্টার্ট করার ফলে ইন্টারনেটের বিঘ্নিত গতি উন্নত হয়। প্রতিদিন অন্তত একবার রাউটার রিস্টার্ট করার সুপারিশ করা হয়।
  • রাউটারের স্থিতি পরীক্ষা করার জন্য একটি সাম্প্রতিক সার্ভে অনুযায়ী, ৮১% Apple ডিভাইস ইন্টারনেট সিগনালগুলোতে নিরাপত্তা সতর্কতা প্রদান করে।
  • জানে, ৯২% নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা রাউটারের firmware আপডেট সুপারিশ করেন। এটি নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সহযোগিতা করে।

Wi-Fi রাউটার রিস্টার্ট করার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করার পরে, ইন্টারনেট গতি উন্নতি পরীক্ষা করার জন্য fast.com বা speedtest.net এ চেকিং করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে সঠিক সুপারিশ মেনে চললে, আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ক্রমাগত উন্নত হবে।

রাউটার এবং ডিভাইসের মাঝে সিগনাল ব্লকেজ কমান

Wi-Fi সিগনাল অপ্টিমাইজেশন করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। রাউটারের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করলে আপনি সহজেই সিগনাল ব্লকেজ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সংকেতের অবরোধ দূর করতে নীচের কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন:

  • রাউটারের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ: রাউটারের অবস্থান এমনভাবে নির্ধারণ করুন যাতে করে ঘরের প্রতিটি কোণ থেকে সংকেত কার্যকরভাবে পৌঁছতে পারে। উচ্চতায় রাখুন এবং মাঝখানে স্থাপন করুন যাতে সিগনাল সব দিকে সমানভাবে ছড়িয়ে যায়।
  • প্রত্যেক থেকে দূরে থাকুন: ধাতব বস্তু, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং জরাজীর্ণ স্থান থেকে রাউটার সরিয়ে রাখুন কারণ এগুলো সিগনালের বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
  1. সুবিধাজনক স্থান নির্বাচন: যেই স্থানটি ঘরের মাঝখানে এবং বাড়ির সদস্সরা বারবার পাড়ি দেয় এমন স্থানে রাখা উচিত।
  2. সঠিক উচ্চতা: রাউটারকে এমন উচ্চতায় রাখুন যাতে তা বাধাহীনভাবে সিগনাল প্রেরণ করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ  ডুয়াল অ্যাপ ব্যবহার করার সম্পূর্ণ গাইড

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই রাউটারের সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করে সিগনাল ব্লকেজ কাটিয়ে উঠুন আর পুরাপুরি Wi-Fi সেবা উপভোগ করুন।

ফর্গেট করে Wi-Fi নেটওয়ার্ক আবার অ্যাড করুন

ফর্গেট করা এবং পুনরায় অ্যাড করার প্রক্রিয়া Android ডিভাইসের ইন্টারনেট স্পিড উন্নত করতে একটি কার্যকর পদ্ধতি।

Wi-Fi নেটওয়ার্ক ফর্গেট করার মাধ্যমে যেকোন রকম ত্রুটি বা তথ্যের জটিলতা মুছে যায় এবং নতুন করে সংযোগ পেতে সহজ হয়। এছাড়া, ফর্গেট করা এবং পুনরায় অ্যাড করার প্রক্রিয়া Wi-Fi কানেকশন রিফ্রেশ করতে এবং নেটওয়ার্কের সাথে পুনরায় দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

প্রথমে, Settings মেনুতে যান এবং Wi-Fi অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে আপনার বর্তমান সংযুক্ত নেটওয়ার্কটি সিলেক্ট করে “Forget” শতাংশ করুন। এরপর, আবার সেই নেটওয়ার্কটি নির্বাচিত করে পাসওয়ার্ড দিয়ে পুনরায় কানেক্ট করুন। এই সহজ প্রক্রিয়া নেটওয়ার্ক স্ট্যাবিলিটি বৃদ্ধি করে এবং ইন্টারনেট স্পিড উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে।

অনেক Android ফোন ব্যবহারকারী এই সমস্যার মুখোমুখি হন যে তাদের ইন্টারনেটের গতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। আনুমানিক ৭৫% ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে ফোনের ক্যাশ মেমোরির কারণে তাদের ইন্টারনেট স্পিড ধীর হয়ে যায়। আবার, ৬০% ব্যবহারকারী অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করে এবং ৫০% ব্যবহারকারী অটো-আপডেট বন্ধ করে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর চেষ্টা করেন।

তবে, ফর্গেট করা এবং পুনরায় অ্যাড করার প্রক্রিয়া একটি সাধারণ এবং কার্যকর পদ্ধতি যা নতুন করে নেটওয়ার্ক সংযোগ পেতে এবং নেটওয়ার্কের ত্রুটিগুলি মিটাতে সহায়ক।

এছাড়াও, EPB গ্রাহকরা উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন এবং তাদের Smart Net Plus বর্তমান নেটওয়ার্ক মনিটরিং, স্পিড টেস্ট এবং সিগন্যাল স্ট্রেংথ পরীক্ষা করার জন্য আপস চালু করে, যা গ্রাহকদের ইন্টারনেট স্পিড উন্নতিতে সাহায্য করে।

ফাইনালি, ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে Wi-Fi নেটওয়ার্ক ফর্গেট করে পুনরায় অ্যাড করার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে দেখুন এবং নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা বাড়ান।

স্মার্টফোনের মোটা প্রোটেকটিভ কভার খুলে ফেলুন

আপনার স্মার্টফোন থেকে মোটা প্রোটেকটিভ কভার খুলে ফেললে Wi-Fi সিগনালের গুণমান উন্নত হতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম বা ধাতব কভারগুলি বিশেষ করে Wi-Fi সিগনাল প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসুন দেখি কভার সরানোর উপায় এবং এর সুফল:

  1. প্রথমেই, হাতের নখ দিয়ে কভার সরানোর উপায় হলো অ্যালুমিনিয়াম বা ধাতব কভার ধীরে ধীরে টেনে তোলা। দ্রুত কাজ করলে কভার বা ফোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  2. দ্বিতীয়ত, আপনি নরম প্লাস্টিক কভার ব্যবহার করতে পারেন, যা তুলনামূলকভাবে সহজেই খোলা সম্ভব। এক্ষেত্রে মোবাইল সুরক্ষা ও সিগনাল আবরোধও হ্রাস পাবে।
  3. সবশেষে, ডিভাইসের Wi-Fi সিগনাল পরীক্ষা করুন, মোটা প্রোটেকটিভ কভার খুলে ফেললে সিগনালগুলির স্থিতিশীলতা ও গতি উন্নত হবে।

স্মার্টফোন কভার সরানোর উপায় সম্পর্কে জেনে, আপনি সহজেই আপনার Wi-Fi সিগনালের গুণমান উন্নত করতে পারেন এবং ডিভাইসের বর্তমান সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবেন।

How to Boost WiFi Speed on Android

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে Wi-Fi স্পিড বুস্ট করতে চাইছেন? এখানে কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হল যা আপনার শেয়ারিং অভিজ্ঞতাকে নিখুঁত করে তুলতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে কুকিজ এনাবল করার পদ্ধতি | কম্পিউটার টিপস

দৃঢ় নির্দেশনা এবং কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি সহজেই অ্যান্ড্রয়েডে ওয়াইফাই গতি বৃদ্ধি করতে পারবেন, যা নিচে উল্লেখিত:

  • সিগনাল স্ট্রেন্থ পরীক্ষা করুন: আপনার ফোনের Wi-Fi সিগনাল যদি -50 থেকে -79 dBm হয় তবে এটি দুর্দান্ত। কিন্তু যদি এটি -90 থেকে -107 dBm হয় তবে গতি কম হতে পারে।
  • ফোন রিস্টার্ট করুন: মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করলে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায় এবং নেটওয়ার্ক রিফ্রেশ হয়।
  • এয়ারপ্লেন মোড চালু ও বন্ধ করুন: কয়েক সেকেন্ডের জন্য এয়ারপ্লেন মোড চালু করলে এবং আবার বন্ধ করলে, এটি আপনার নেটওয়ার্ক রিসেট করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।
  • ফোন এবং রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করুন: বিস্তৃত কভারেজ এবং উন্নত নিরাপত্তা পেতে, আপনার ফোন ও রাউটারের সফটওয়্যার সঠিকভাবে আপডেট করা প্রয়োজন।
  • Wi-Fi হটস্পট ব্যান্ড সুইচ করুন: Wi-Fi স্পিড বুস্ট পেতে আপনার ফোনের সেটিংসে ২.৪GHz ও ৫GHz ব্যান্ডের মধ্যে পরিবর্তন করতে পারেন।
  • ক্যাশ ক্লিয়ার করুন: অ্যানড্রয়েড ব্রাউজারের ক্যাশ ফাইলগুলি নিয়মিত ক্লিয়ার করলে ইন্টারনেট গতি উন্নত হতে পারে।
  • ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করুন: যে সকল অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ড এ রিসোর্স ব্যবহার করছে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত যাতে নেটওয়ার্ক গতি বৃদ্ধি পায়।

অ্যান্ড্রয়েডে ওয়াইফাই গতি বৃদ্ধি সহজ এবং কার্যকরী পদ্ধতির মাধ্যমে সম্ভব। তাই, আজই এই পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন এবং আপনার নেটওয়ার্ক সংযোগ উন্নত করুন।

স্মার্টফোনের সব সেটিংস রিসেট করুন

অ্যাপ বা সিস্টেমের সমস্যা নিরসনে এবং ডিভাইসের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে রিসেটিং এর জন্য প্রাথমিক সতর্কতা নিতে হবে। স্মার্টফোন সেটিংস ফ্যাক্টরি রিসেট করা হলে ডিভাইসটি সম্পূর্ণরূপে নতুন অবস্থায় ফিরে আসে এবং এতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলির সমাধান হয়।

  1. প্রথমে, আপনার ডেটা ব্যাকআপ নিন। রিসেট করার মাধ্যমে ডিভাইসের সমস্ত ডেটা মুছে যাবে।
  2. তারপর, Settings এ গিয়ে System সেকশনে প্রবেশ করুন এবং Reset Options এ ক্লিক করুন।
  3. এখানে, Erase all data (factory reset) অপশন সিলেক্ট করুন।
  4. রিসেট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে কিছু সময় লাগবে; ডিভাইসটি পুনরায় চালু হলে সব সেটিংস ফ্যাক্টরি অবস্থায় ফিরে আসবে।

রিসেটিং এর জন্য প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে, কারেন্ট ডাটা ব্যাকআপ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রিসেট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ডিভাইসের ইন্টারনেট স্পিড এবং সিস্টেমের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হবে। স্মার্টফোনের সব সেটিংস পুনরায় কনফিগার করে, আপনি ডিভাইসের সেবা ও কার্যকরিতা বাড়ানোর সক্ষমতা প্রাপ্ত করবেন।

রাউটারের Firmware আপডেট চেক করুন

আপনার রাউটারের Firmware আপডেট চেক করা অত্যন্ত জরুরি। রাউটারের নতুন Firmware আপডেট সাধারণত নিরাপত্তা উন্নয়ন, বাগস সংশোধন এবং নেটওয়ার্ক কার্যক্ষমতা বাড়ায়। নতুন আপডেট পেলে তা ইন্সটল করা হলে আপনার ওয়াইফাই স্পিডও বাড়তে পারে। নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার রাউটারের Firmware আপডেট চেক করতে পারেন:

  1. প্রথমে রাউটারের অ্যাডমিন প্যানেলে লগইন করুন। সাধারণত URL হয় http://192.168.0.1
  2. ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন (ডিফল্ট লগইন শংসাপত্র হলো “admin/admin”)।
  3. এখন কানফিগারেশন বা ম্যানেজমেন্ট মেনু থেকে Firmware আপডেট অপশনটি খুঁজে বের করুন।
  4. রাউটারের সাইট থেকে ফার্মওয়্যার ফাইল ডাউনলোড করে তা আপলোড করুন এবং আপডেট প্রক্রিয়া শুরু করুন।
  5. আপডেট প্রক্রিয়া শেষে রাউটারটি পুনরায় চালু করুন।

আপডেটের পরে আপনার ইন্টারনেটের গতি ও সুরক্ষায় সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করুন। আপনার রাউটারের Firmware আপডেট চেক করা মাধ্যমে হওয়া এইসব উন্নতি আপনার নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও স্পিড অপটিমাইজেশনে সহায়ক হবে।

রাউটারের Firmware আপডেটের সাথে সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখুন:

  • রাউটারটি প্রায়ই ২.৪GHz এবং ৫GHz উভয় ফ্রিকোয়েন্সিতে সম্প্রচার করতে পারে।
  • নতুন Firmware আপডেট হলে মালওয়্যারের দ্বারা হওয়া ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের সমস্যা কমে যেতে পারে।
  • আপনি আপনার রাউটারের ওয়াই-ফাই সিগনালের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রাউটারের হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করতে পারেন।
  • ডিফল্ট রাউটার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • মাল্টিপল ওয়াই-ফাই ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুনঃ  ডেভেলপার অপশন চালু করার সহজ উপায় | Android/iOS

আপডেট চেক করতে ভুলবেন না, কারণ এটি আপনার ওয়াইফাই স্পিড অপটিমাইজেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ভালো রেঞ্জ ও ফিচার সহ নতুন রাউটার কিনুন

আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের গতি এবং কভারেজ নিশ্চিত করতে একটি নতুন এবং উন্নত রাউটার কেনা একটি চমৎকার সমাধান হতে পারে। কীভাবে একটি নতুন রাউটার নির্বাচন করবেন তার জন্য নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:

  • রেঞ্জ এবং কভারেজ: উচ্চ-পারফরমেন্স রাউটার নির্বাচন করুন, যা বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ভাল কাভারেজ সরবরাহ করে।
  • স্পিড আন্ড প্যারফরমেন্স: এমন রাউটার বেছে নিন যা উচ্চ গতি এবং উন্নত পারফরমেন্স প্রদান করতে সক্ষম।
  • ফিচার: নতুন মডেলের রাউটারগুলোর মধ্যে আকর্ষণীয় ফিচার যেমন ডুয়াল-ব্যান্ড এবং MU-MIMO টেকনোলজি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ব্র্যান্ড: বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড যেমন ASUS, TP-Link, Netgear বা Linksys এর মধ্যে নির্বাচন করুন।

আধুনিক জীবনযাত্রায় ইন্টারনেটের গুরুত্ব এতটাই বেশি যে অধিকাংশ পরিবারই একটি সঠিকভাবে কাজ করা যায় এমন Wi-Fi সংযোগের বড় প্রয়োজন। কীভাবে একটি নতুন রাউটার নির্বাচন করবেন তা জানতে হলে অবশ্যই এই বিষয়গুলাই মনোযোগ দিতে হবে।

রাউটার কেনার সময় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফার্মওয়্যার আপডেট চেক করা, যা রাউটারটির সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করতে সহায়ক। যদি আগের সব সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে একটি নতুন রাউটার কিনে আপনার নেটওয়ার্কের মান উন্নত করা ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে।

ব্রডব্যান্ডের স্পিড দেখে নিন

আপনার ইন্টারনেটের গতি কমে যাচ্ছে? চিন্তা নেই, ব্রডব্যান্ড স্পিড টেস্ট করে বর্তমান ইন্টারনেট গতি জানা খুবই সহজ। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আপনাকে আপনার নেটওয়ার্কের বাস্তব পারফরমেন্স মাপতে এবং কোনো সমস্যা চিহ্নিত করতে সাহায্য করতে পারে। সাধারণত, বাংলাদেশে সাধারণত চীনা ব্র্যান্ডের রাউটারের স্পিড ১৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত বলে বিজ্ঞাপিত হয়, যদিও দেশের বর্তমান নেট লাইন স্পিড প্রায় ১২ এমবিপিএস।

মূলত, উচ্চমূল্যের রাউটারগুলি, বিশেষত চীনা ব্র্যান্ডের, নির্দিষ্ট করা স্পিড এবং সিগনাল শক্তি দিতে সক্ষম হয়, যা ওরিজিনাল ব্র্যান্ডের রাউটারের তুলনায় বিভিন্ন মূল্যে বর্ধিত হয়। সর্বোত্তম সিগনাল বুস্টিং এর জন্য রাউটারের ফার্মওয়্যার আপগ্রেড করার পরামর্শ দেয়া হয়। নতুন ফার্মওয়্যার পারফরমেন্স বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন বাগ ঠিক করার জন্য উপযোগী।

বেস্ট পারফরমেন্সের জন্য রাউটারের সঠিক অবস্থান নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাউটারের এমনভাবে স্থান নির্ধারণ করা উচিত যাতে সমগ্র বাড়িতে সমান ও ভাল সিগনাল বিতরণ নিশ্চিত হয়। এছাড়াও, রাউটারের ফ্রিকোয়েন্সি এবং সফটওয়্যার সেটিংস অ্যাডজাস্ট করে পারফরমেন্স অপটিমাইজ করা যায়। দ্বৈত ব্যান্ড রাউটারগুলি সেরা পারফরমেন্স দেয় যখন ২.৪GHz ব্যান্ডের বদলে ৫GHz ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।

বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড খরচ কমানোর জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জানুয়ারি ২০১১ তে রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, ব্যান্ডউইথের খরচ কমানো হবে। এর ফলস্বরূপ, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে এবং সেবা উন্নত করতে খরচ আরও কমানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৯০% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন, যাদের গতি গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় অনেক কম, যেমন ৪ থেকে ৫ কেবিপিএস।

আন্তর্জাতিক মানের সাথে তাল মিলিয়ে, সরকার ব্রডব্যান্ডের স্পিড টেস্ট এবং ইন্টারনেট গতি জানা সহজতর করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। সঠিক এবং কার্যকর স্পিড এবং ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ISP ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button