অ্যান্ড্রয়েডে স্ক্রিন টাইম চেক করার উপায় জানুন
বর্তমান সময়ে, অনেকেই অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে কাটান, ফলে নিজেদের অজান্তেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে সময় দিতে পারেন না। অ্যান্ড্রয়েড স্ক্রিন টাইম চেক করার মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন প্রতিদিন কতটা সময় আপনার মোবাইল ফোনে ব্যয় হচ্ছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রিন টাইম মনিটরিং টুল, যা আপনাকে আপনার ডিভাইস ব্যবহারের সঠিক ধারণা দেবে এবং দৈনন্দিন জীবনে ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করবে। এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে কিছু কার্যকর অ্যান্ড্রয়েড টিপস দেখাবো, যা আপনাকে স্ক্রিন টাইম মনিটরিং করতে সাহায্য করবে।
মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতা এবং এর গুরুত্ব
বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইলের গুরুত্ব অপরিসীম। মোবাইল প্রবণতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত এবং এর প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। কর্মজীবন থেকে ব্যক্তিগত যোগাযোগ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মোবাইল ডিভাইসগুলি একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
মোবাইলে সময় ব্যয়ের কারণ
মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কাজ সহজেই সম্পন্ন করতে পারি যা ডিজিটাল জীবনযাত্রা কে আরো কার্যকর করে তোলে। গবেষণায় দেখা যায় যে, মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইল ফোনে ব্যয় করে।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার-এর মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য মানুষ দীর্ঘ সময় ব্যয় করে।
- কাজের প্রয়োজন: বিভিন্ন প্রফেশনাল অ্যাপ যেমন ইমেল, জুম মিটিংস ইত্যাদি দৈনিক কাজের অংশ।
- বিনোদন: ইউটিউব, নেটফ্লিক্স বা গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে বিনোদনের জন্য অনেক সময় ব্যয় করা হয়।
মোবাইলের সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সম্পর্ক
মোবাইলের গুরুত্ব শুধু স্বল্প সময়ের জন্য নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইলের সাথে আমাদের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, আমাদের সব কাজের জন্য এটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
- যোগাযোগের মাধ্যম: ফোন কল, মেসেজ এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে আমরা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগ রাখি।
- জরুরি সহায়তা: মেডিকেল ইমার্জেন্সি বা যেকোনো ধরনের জরুরি সহায়তার প্রয়োজনে মোবাইল অত্যন্ত কার্যকর।
- তথ্য সংগ্রহ: তথ্য খোঁজা এবং দ্রুত উত্তর পাওয়ার ক্ষেত্রে মোবাইল অপরিগণ্য।
মোটের উপর, মোবাইল প্রবণতা এবং ডিজিটাল জীবনযাত্রা আমাদের জীবনের ধারা পরিবর্তন করেছে এবং এটি একাধারে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অ্যান্ড্রয়েডে স্ক্রিন টাইম চেক করার গুরুত্ব
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন একটি অপরিহার্য সংযোজন হয়ে উঠেছে। একে ব্যালেন্সড রাখার জন্য স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল ওয়েলবিইং কেন গুরুত্বপূর্ণ
ডিজিটাল ওয়েলবিইং আমাদের ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব দেয়। এটি আমাদের ডিজিটাল স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে এবং প্রয়োজনে স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে সহায়তা করে। আমরা যাতে বেশি সময় ডিজিটাল ডিভাইসে কাটিয়ে আমাদের জীবনের অন্য দিকগুলি উপেক্ষা না করি, সেইজন্য ডিজিটাল ওয়েলবিইং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফোন ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য কেন জানবেন
ফোন ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। এটি আমাদের স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি ডিজিটাল স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রকৃত এবং ভার্চুয়াল যোগাযোগের মধ্যে ব্যালেন্স রাখা। ডিজিটাল ওয়েলবিইং সম্পর্কিত তথ্য জানার এবং তা ব্যবহারের ফলে আমরা আমাদের জীবনের মান উন্নত করতে পারি।
How to Check Screen Time on Android
অ্যাপের সাহায্যে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের স্ক্রিন টাইম জানতে পারবেন খুব সহজেই। স্ক্রিন টাইম চেক করার জন্য Android OS এর in-built tool হিসেবে Digital Wellbeing কার্যকর একটি সফটওয়্যার। এই টুলের মধ্যে রয়েছে ডেটা দেখার এবং স্ক্রিন ব্যবহারের পদ্ধতি বিশ্লেষণ করার বিভিন্ন অপশন।
Digital Wellbeing অ্যাপ ব্যবহার
Digital Wellbeing অ্যাপটি ব্যবহার করলে আপনি জানতে পারবেন কোথায় আপনি সময় বেশি ব্যয় করছেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন কতবার ফোন আনলক করেছেন এবং কোন কোন অ্যাপে কত সময় ব্যয় করেছেন। আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন স্ক্রিন টাইম এবং সেট করতে পারবেন অ্যাপ টাইমার, যা নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে অ্যাপ ব্যবহারের উপর সীমা আরোপ করবে। এই অ্যাপটি ফোনের বেডটাইম মোড ফিচার চালু করে গান্ধী বা কালো করে রাখবে, ফলে চোখের ওপর কম প্রভাব পড়বে এবং ডু নট ডিস্টার্ব মোড এনাবল করবে।
Parental Control অপশন ব্যবহার
Parental Control অপশন ব্যবহার করে পিতামাতারা সহজে তাদের শিশুদের ফোন ব্যবহারের উপর নজর রাখতে পারবেন। এর সাথে থাকা Family Link অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার সন্তানের স্ক্রিন টাইম চেক করতে পারবেন, সময়ের সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে কিছু অ্যাপ নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন। Digital Wellbeing এর Parental Control অপশন সহায়ক প্রমাণ হবে আপনার সন্তানের সঠিক ব্যবহারের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে।
নিজের অ্যান্ড্রয়েডে স্ক্রিন টাইম দেখতে হলে যা করতে হবে
স্ক্রিন টাইম সেটিংস দেখতে হলে প্রথমে প্রয়োজন প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ। এতে খুব সহজেই আপনার দৈনন্দিন ফোন ব্যবহারের তথ্য জানতে ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। নিচে বিস্তারিত ধাপগুলো দেওয়া হলো:
ফোনের সেটিংসে প্রবেশ করুন
প্রথমেই আপনার ফোনের সেটিংস মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় অপশনগুলো খুঁজে বের করুন। আপনার ফোনের সেটিংসে ঢোকার জন্য সরাসরি হোম স্ক্রিন থেকে সেটিংস আইকন চাপুন।
‘Digital Wellbeing and Parental Control’ খুঁজুন
সেটিংস মেনুতে ঢোকার পর এখানে ‘Digital Wellbeing and Parental Control’ অপশনটি খুঁজে বের করুন। এই অপশনটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের ব্যবহারের সকল বিস্তারিত তথ্য যেমন কোন অ্যাপ কতটা সময় ব্যবহার হচ্ছে, ফোন কতবার আনলক হচ্ছে ইত্যাদি দেখতে পারবেন। ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে আপনি মোবাইল ব্যবহারের উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবেন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার ও লক আনলক নিরীক্ষণ
এরপর, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আরো বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ যেমন, স্পেস ব্যবহার করতে পারেন যা সম্পূর্ণ ব্যবহারের তথ্য দেয়। এভাবে আপনি নিজের স্ক্রিন টাইম সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে সচেতন হতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড টিপস অনুসরণ করে নিজেকে আরো দক্ষ ভাবে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
Digital Wellbeing সেটআপ করুন
আপনি যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে Digital Wellbeing সেটিংস ঠিকভাবে সেটআপ করতে চান, তাহলে প্রথমেই প্রোফাইল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার ডিভাইসের ব্যবহার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা, এবং সেই তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ডিভাইস ব্যবহারের সঠিক পর্যালোচনা করা সহজ হবে। এখানে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো কিভাবে প্রথমবার প্রোফাইল সেটআপ করবেন এবং বিভিন্ন ডেটা এবং গ্রাফ দেখতে পারবেন।
প্রথমবারে প্রোফাইল সেটআপ
প্রথমবারে প্রোফাইল সেটআপ করার জন্য, Digital Wellbeing সেটিংস-এ প্রবেশ করে আপনার প্রোফাইলের বেসিক তথ্য পূরণ করুন। একবার প্রোফাইল সেটআপ হলে, আপনি দিনের স্ক্রিন টাইম, সাপ্তাহিক রিপোর্ট এবং আপনার ডিভাইসে কতটুকু সময় ব্যয় করা হয়েছে তার বিস্তারিত দেখতে পারবেন।
বিভিন্ন ডেটা এবং গ্রাফ দেখুন
প্রোফাইল সেটআপ করার পরে, আপনি আপনার স্ক্রিন টাইমের গ্রাফ, প্রতিদিনের ডেটা ম্যানেজমেন্ট, এবং নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারের সময়কাল দেখতে পারবেন। Digital Wellbeing সেটিংস-এ এই ডেটা ও গ্রাফিকাল উপস্থাপনা দেখতে পাবেন, যা আপনার মোবাইল ব্যবহারের উপর একটি পরিষ্কার ধারণা প্রদান করবে এবং আপনাকে কার্যকরভাবে আপনার সময় ব্যবস্থাপনা করতে সাহায্য করবে।
স্ক্রিন টাইম ব্যবহারের তথ্য প্রাপ্তি
স্ক্রিন টাইম রিপোর্ট এবং এন্ড্রয়েড ভার্সন অনুযায়ী কিভাবে আপনার স্ক্রিন টাইম বিশ্লেষণ করবেন তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দৈনিক, সাপ্তাহিক, এবং মাসিক তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের তথ্য সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
গোল গ্রাফ থেকে বিস্তারিত তথ্য
গোল গ্রাফ থেকে বিস্তারিত স্ক্রিন টাইম রিপোর্ট পাওয়া যায়। এটি সাধারণত দৈনিক, সাপ্তাহিক, এবং মাসিক ব্যবহারের তথ্য প্রদান করে। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যের মাধ্যমে সহজেই জানতে পারে কোন অ্যাপ বা ফিচার তারা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন।
- প্রতিদিন কত সময় মোবাইল ব্যবহার হচ্ছে
- সপ্তাহে কোন দিনগুলোতে বেশি ব্যবহার হয়েছে
- মাসিক ভিত্তিতে ব্যবহারের প্যাটার্ন
এছাড়াও, এন্ড্রয়েড ভার্সনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন টুল এবং সেটিংস ব্যবহার করে গ্রহণকৃত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা যায়।
এন্ড্রয়েড ভার্সনের উপর ভিত্তি করে স্ক্রিন টাইম দেখার পদ্ধতি
স্ক্রিন টাইম রিপোর্ট দেখতে এন্ড্রয়েড ভার্সনের উপর ভিত্তি করে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অনেক এন্ড্রয়েড ভার্সনেই ‘Digital Wellbeing’ এবং ‘Parental Control’ এর মত ফিচার ব্যবহার করা যায়। উন্নত নিরাপত্তা প্যাচ স্তরের মাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এই রিপোর্টগুলো পেতে পারেন।
- ফোনের সেটিংসে প্রবেশ করুন
- ‘Digital Wellbeing and Parental Control’ অপশনটি খুঁজে বের করুন
- সেখানে গিয়ে বিস্তারিত স্ক্রিন টাইম রিপোর্ট দেখতে পারেন
এই তথ্যগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের ওপর আরও কনট্রোল রাখতে সহায়তা করে এবং তাদের জন্য একটি সুষম জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
অ্যাপ টাইমারের সুবিধা
আজকের ডিজিটাল যুগে, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য অ্যাপ টাইমার অত্যন্ত কার্যকরী। এটি বিভিন্ন অ্যাপের জন্য দৈনিক সময় সীমা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে, যা আমাদের মোবাইল ব্যবহারের উপর থাকা আসক্তিকে কমিয়ে আনতে পারে। নিচে কিছু সুবিধার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল।
অ্যাপ ব্যবহারের সময় সীমা নির্ধারণ
অ্যাপ টাইমারের মাধ্যমে আপনি প্রতিটি অ্যাপের জন্য নির্দিষ্ট সময় সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন। এটি নিশ্চিত করে যে আপনি প্রয়োজনের বাইরে অ্যাপগুলোতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন না। উদাহরণস্বরূপ, জনপ্রিয় অ্যাপ NetGuard এবং NetPatch Firewall ব্যবহারকারীদের মধ্যে চমৎকার রেটিং পেয়েছে, যা দেখায় এই ধরনের অ্যাপ টাইমার যুক্ত অ্যাপগুলো কতোটা কার্যকরী হতে পারে।
- NetGuard: 8.3 রেটিং সহ 36 রিভিউ
- NetPatch Firewall: 9.4 রেটিং সহ 3 রিভিউ
একটি সময় সীমা স্থাপন করে আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজগুলোতে আরও মনোযোগ দিতে পারবেন। অ্যাপ টাইমার সেটআপ করলে, অ্যাপ ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা সহজ হয় এবং এটি মোবাইল আসক্তি মোকাবেলায় সহায়ক প্রমাণিত হয়।
গ্রেস্কেল মোড ব্যবহার
গ্রেস্কেল মোড একটি বিশেষ ফিচার যা আপনার ফোনের কালার স্কিমকে পরিবর্তন করে সরল গ্রে শেডে পরিণত করে। এই মোড মোবাইল ব্যবহার কমানোর একটি প্রায়োগিক কৌশল যা আপনার অ্যাপ ব্যবহারের প্রলোভন কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে কালার ফুল স্ক্রীন আমাদের প্রলোভন বৃদ্ধি করে, আর গ্রেস্কেল মোড সেই প্রলোভনকে নির্মূল করতে সাহায্য করে।
যেমন AppBlock অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে 8.5 রেটিং সহ 12 রিভিউ আছে এবং এটি সহজেই গ্রেস্কেল মোড সেটআপ দ্বারা অ্যাপ ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। গ্রেস্কেল মোড ব্যবহারে আপনার চোখের উপর চাপও কম পড়ে, ফলে মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে চোখের ক্লান্তি কমে যায়।
অতএব, গ্রেস্কেল মোড এবং অ্যাপ টাইমারের সমন্বয় আপনার মোবাইল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে।
গুগল ক্রোমে ব্যবহৃত সময় পর্যবেক্ষণ
আপনার অনলাইন অভ্যাস এবং সময় ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে গুগল ক্রোম স্ক্রিন টাইম ট্র্যাক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট টাইম ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন কতটা সময় কোন ওয়েবসাইটে কাটাচ্ছেন তা নির্ধারণ করতে পারবেন। এটি আপনাকে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর আরও বেশি সচেতন করে তুলবে এবং ডিজিটাল ওয়েলবিং অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
ওয়েবসাইটে কাটানো সময়ের বিস্তারিত
গুগল ক্রোমে ওয়েবসাইটে কাটানো সময়ের বিস্তারিত জানতে আপনি সহজেই Chrome Extensions ব্যবহার করতে পারেন, যেমন “StayFocusd” বা “Web Timer”। এই এক্সটেনশনগুলি আপনাকে জানাবে আপনি প্রতিদিন কত সময় প্রতিটি ওয়েবসাইটে কাটিয়েছেন। গুগল ক্রোম স্ক্রিন টাইম খুব দ্রুত এবং সহজে মনিটর করার জন্য এসব এক্সটেনশন অত্যন্ত কার্যকর।
ওয়েবসাইট ভিজিটের সময় সীমাবদ্ধ করুন
আপনার সময় ম্যানেজমেন্ট এবং ডিজিটাল ওয়েলবিং উন্নতির জন্য ওয়েবসাইট ভিজিটের সময় সীমাবদ্ধ করা খুবই প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন এক্সটেনশনের সাহায্যে আপনি প্রতিদিন কতক্ষণ কোন ওয়েবসাইটে কাটাবেন তা পূর্বনির্ধারিত করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, “StayFocusd” আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর ওয়েবসাইট ব্লক করতে দেবে, যা আপনাকে ফোকাস ধরে রাখতে এবং সময় ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করবে।