অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করুন

এই আর্টিকেলে আমরা অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস কীভাবে তৈরি করা যায় তা ধাপে ধাপে শেখাবো। ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাপ্লিকেশনের পারফরম্যান্স উন্নত করার একটি প্রধান উপায়, যা ব্যবহারকারীদের অবিচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

অ্যাপ্লিকেশন পারফরম্যান্স এবং সার্ভিস ইন্টিগ্রেশন নিশ্চিত করার জন্য, অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করা অপরিহার্য। এটি একটি প্রক্রিয়া যা আপনার অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাপ্লিকেশন পারফরম্যান্সের জন্য শক্তিশালী ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস ইন্টিগ্রেশন অতি প্রয়োজনীয়। এখন আমরা অ্যান্ড্রয়েড ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস নিয়ে বিশদ পর্যালোচনা করব এবং কীভাবে একে কার্যকরভাবে তৈরি করা যায়, তা শিখব।

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস কি?

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা অ্যাপ্লিকেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করে, যেমন ডেটা আপডেট, নোটিফিকেশন পাঠানো ইত্যাদি। এই ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসগুলো সাধারণত মূল অ্যাপ্লিকেশনের সাথে যুক্ত থাকে কিন্তু সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান নয়।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে, এই Android Services চলমান থাকে ব্যাকগ্রাউন্ডে, অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রমসমূহ চালু রাখতে সাহায্য করে। একটি উদাহরণ হতে পারে মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে নতুন মেসেজ আসা মাত্র নোটিফিকেশন পাঠানোর কাজটি ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যা সময়মত নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করে।
  • ব্যবহারকারী interface থেকে আলাদা, ফলে কাজটি প্রবেশযোগ্যতা (accessibility) সংক্রান্ত সুবিধাও দেয়।
  • ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসগুলি সাধারণত কমসম্পদসম্পন্ন এবং কমপাওয়ারের কাজ করে।

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহৃত উদাহরণগুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসগুলো অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এই Android Services এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও সহজে এবং সুবিধাজনকভাবে ডিজিটাল পরিষেবাগুলো উপভোগ করতে পারেন।

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের গুরুত্ব

অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে স্ট্রিমিং অ্যাপ্স, লোকেশন ট্র্যাকিং, এবং ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন এই সমস্ত কাজগুলির জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস অনিবার্য। ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে পারলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয় এবং কার্যকারিতা বাড়ে।

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের উদাহরণ

অ্যান্ড্রয়েডে তিন ধরনের সার্ভিস পাওয়া যায়: ব্যাকগ্রাউন্ড, ফোরগ্রাউন্ড এবং বাউন্ড সার্ভিস। ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস সাধারণত সেই সময়ে চলে যখন অ্যাপটি চলছে এবং অ্যাপটি বন্ধ করলে এটি বন্ধ হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ:

  • স্ট্রিমিং অ্যাপ্স: এই সার্ভিসগুলি ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক কিংবা ভিডিও প্লে করতে সক্ষম।
  • লোকেশন ট্র্যাকিং: লোকেশন সার্ভিসগুলি ব্যবহারকারীর স্থানীয় তথ্য আপডেট রাখে যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে পারে।
  • ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন: বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন করতে পারে ব্যাকগ্রাউন্ডে, যাতে ব্যবহারকারীর তথ্য সর্বদা আপ টু ডেট থাকে।
আরও পড়ুনঃ  ডিজেবল অ্যাপগুলি চালু করার সহজ উপায়

ব্যবহারিক ক্ষেত্রে

প্রথমত, IntentService ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের একটি উদাহরণ যা দীর্ঘমেয়াদী অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত ব্যবহারকারী ইন্টারফেসের প্রতিক্রিয়াশীলতা প্রভাবিত না করে অপারেশনগুলি পরিচালনা করে। IntentService কিভাবে কাজ করে তা নিম্নরূপ:

  1. একটি নতুন ক্লাস তৈরি করুন যা IntentService কে এক্সটেন্ড করে।
  2. সার্ভিস ক্লাসে onHandleIntent() মেথডটি ওভাররাইড করুন।
  3. Intent অবজেক্ট তৈরি করে ওয়ার্ক রিকোয়েস্ট পাঠান।

IntentService বেশিরভাগই সহজ ব্যাকগ্রাউন্ড অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত হয় কারণ এটি একক ব্যাকগ্রাউন্ড থ্রেডে অপারেশন পরিচালনা করে এবং সিকোয়েন্সিয়ালি রিকোয়েস্টগুলো হ্যান্ডেল হয়।

অপর দিকে, একটি Foreground Service সবসময় সক্রিয় থাকে, এমনকি অ্যাপটি বন্ধ থাকলেও, এটি জীবিত থাকার জন্য FOREGROUND_SERVICE পারমিশন যুক্ত করতে হয় ম্যানিফেস্টে। লোকেশন ট্র্যাকিং এবং ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজেশন এর জন্য এই ধরণের সার্ভিস অপরিহার্য, কারণ এটি ব্যবহারকারীর স্থায়ী অবস্থানের তথ্য আপডেট রাখতে সহায়ক।

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করার পূর্বে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হয়। আগামী ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করার জন্য যথাযথ প্ল্যানিং, সিস্টেম অ্যানালাইসিস এবং ডিজাইন ডকুমেন্টেশন অত্যন্ত জরুরি। এসব প্রস্তুতির মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের কার্যকারিতা এবং স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করা যায়।

প্রথমেই প্ল্যানিং শুরু করার সময় লক্ষ্য করা প্রয়োজন, সার্ভিসটি কী ধরনের ফিচার ও কার্যকারিতা প্রদান করবে। যথাযথ পরিকল্পনা করলেই সার্ভিসটি কার্যকরী ও দক্ষ হয়ে উঠবে। তারপর পর্যাপ্ত সিস্টেম অ্যানালাইসিস পরিচালনা করতে হবে যাতে সার্ভিসটির প্রয়োজনীয়তা এবং সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাগুলো অনুধাবন করা যায়। এতে করে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং সমাধান করা সম্ভব হবে।

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের ডিজাইন ডকুমেন্টেশন সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। এটি সার্ভিসটির কাঠামো, ডেটা ফ্লো এবং কার্যক্রম বিশ্লেষণে সাহায্য করবে।
  • সার্ভিসের সিস্টেম অ্যানালাইসিস এর মাধ্যমে কম্প্যাটিবিলিটি এবং কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে যাতে উদ্ভাবিত যেকোনও সমস্যার সমাধান করা যায়।
  • অবশেষে, প্ল্যানিং এবং সিস্টেম অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য থেকে একটিং ডিজাইন ডকুমেন্টেশন তৈরি করতে হবে। এটি সার্ভিসটি ডেভেলপমেন্ট ফেজে উপযোগী হবে।

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সবসময় তথ্য এবং প্রমাণ ভিত্তিক প্ল্যানিং এবং সিস্টেম অ্যানালাইসিস করতে হবে। যথাযথ সময়ে ডিজাইন ডকুমেন্টেশন প্রস্তুত রাখলে ভবিষ্যতে উন্নয়নে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। ফলে আপনার সার্ভিসটি নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী হয়ে উঠবে।

প্রাথমিক সেটআপ এবং ন্যামেস্পেস ডিফাইন করুন

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করতে হলে প্রথমেই ডেভেলপমেন্ট এনভাইরনমেন্ট সেটআপ, নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং API লেভেল চেকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হয়।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে প্রাইভেট ব্রাউজিং করার সহজ উপায়

ডেভেলপমেন্ট এনভাইরনমেন্ট প্রস্তুতি

শুরুতেই, IDE সেটআপ সঠিকভাবে করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ব্যবহার করা হলে, সর্বোচ্চ সংস্করণ নিশ্চিত করে ইনস্টল করুন। এছাড়া, SDK এবং অন্যান্য মাত্রিক টুলগুলি আপডেট রাখুন। নিচে ডেভেলপমেন্ট এনভাইরনমেন্ট প্রস্তুতি উল্লেখ করা হলো:

  • Android Studio ইনস্টল ও কনফিগারেশন
  • SDK টুলস আপডেট
  • গ্রেডল ডিপেন্ডেন্সি সেটআপ

নিরাপত্তা এবং অনুমতির ভ্যারিফিকেশন

নিরাপত্তা প্রোটোকল বজায় রেখে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস চালাতে হলে নির্দিষ্ট অনুমতি নিতে হয় এবং API লেভেল চেক করতে হয়। নিম্নলিখিতগুলোতে নজর দেওয়া উচিত:

  1. userdata.xml ফাইল বা অন্যান্য গোপনীয় তথ্য নিরাপদ রাখা
  2. অনুমতির ভ্যারিফিকেশন, যেমন INTERNET, FOREGROUND_SERVICE
  3. API স্তরের সামঞ্জস্যতা পরিমাপ ও নিশ্চিতকরণ

অ্যান্ড্রয়েড JobScheduler শুধুমাত্র API 23 এবং তার উপরে ব্যবহার করা উচিত, কারণ API 21 এবং API 22 তে কিছু সমস্যা রয়েছে। Firebase Job Dispatcher একটি প্রতিবিকল্প সরবরাহ করে, তবে এটি Google Play Services এর উপর নির্ভরশীল।

How to Create a Background Service in Android

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করতে গেলে দুটি প্রধান ধাপ হল: একটি সার্ভিস ক্লাস তৈরি করা এবং তা অ্যাপ ম্যানিফেস্টে যুক্ত করা। এই ধাপে, আপনি কিভাবে একটি সার্ভিস ক্লাস তৈরি করবেন এবং তা অ্যাপের ম্যানিফেস্টে যুক্ত করবেন তা শিখবেন। সঠিক ক্লাস ডিফাইনেশন এবং ম্যানিফেস্টের সঠিক কনফিগ্যুরেশন নিশ্চিত করা জরুরি।

সার্ভিস ক্লাস তৈরি করুন

প্রথমে, একটি নতুন ক্লাস তৈরি করুন যা সার্ভিসের অবজেক্ট হিসেবে কাজ করবে। সাধারণত এটি Service ক্লাসের সাবক্লাস হিসেবে কাজ করে। এই ক্লাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মেথড রয়েছে যেমন onStartCommand(), onBind(), onCreate(), এবং onDestroy()

  1. আপনার সার্ভিস ক্লাসকে Service বা এর কোনো বিদ্যমান সাবক্লাস থেকে এক্সটেন্ড করুন।
  2. কী মেথড গুলো ওভাররাইড করুন যেমন onStartCommand(), যা সার্ভিসের শুরু এবং পুনঃশুরু করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  3. মেমরির কমতি হলে সার্ভিস বন্ধ রোধ করতে Service.START_STICKY ব্যবহার করুন।
  4. একটি separate thread ব্যবহার করে সার্ভিসের কাজ রাখতে পারেন যাতে তা বাধা না পায়।

অ্যাপ ম্যানিফেস্টে সার্ভিস যুক্ত করুন

অ্যান্ড্রয়েড ম্যানিফেস্টে সার্ভিস যুক্ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি সার্ভিসকে সিস্টেমের কাছে নিবন্ধিত করে এবং সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়।

  • প্রথমে, আপনার ম্যানিফেস্ট ফাইলে <service> ট্যাগ যুক্ত করুন যা <application> ট্যাগের ভিতরে থাকবে।
  • প্রত্যেক সার্ভিসের জন্য, android:name এবং android:exported অ্যাট্রিবিউট নির্দিষ্ট করুন।
  • যদি আপনার অ্যাপ API level 26 বা তার চাইতে উচ্চতর টার্গেট করে, তবে নিশ্চিত করুন যে সার্ভিসটি পেছনের প্ল্যানেও কাজ করতে পারবে এমন অনুভূতিতে নির্ধারিত।
আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েডে লাইটনিং ইয়ারপডস ব্যবহার করুন

সঠিক ম্যানিফেস্ট কনফিগ্যুরেশন এবং ক্লাস ডিফাইনেশন নিশ্চিত করলে, আপনার অ্যাপের সার্ভিস অনায়াসে এবং সফলভাবে কাজ করবে।

ওয়ার্ক ম্যানেজার লিভ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস কনফিগার করুন

অ্যান্ড্রয়েডে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস কনফিগার করার সময় ওয়ার্ক ম্যানেজার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুল। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে টাস্ক স্কিডিউলিং এবং ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা আপনার অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

  • প্রথমে, ওয়ার্ক ম্যানেজার সেটআপ করতে আপনার প্রোজেক্টে ডিপেনডেন্সি যোগ করুন।
  • পরবর্তীতে, একটি ওয়ার্কার ক্লাস তৈরি করুন যা Worker ক্লাস এক্সটেন্ড করবে এবং doWork() মেথড ওভাররাইড করবে।
  • তৃতীয়ত, টাস্ক স্কিডিউলিং এর জন্য WorkRequest ব্যবহার করুন এবং WorkManager ইনস্ট্যান্স দিয়ে এটি এনকিউ করুন।

অ্যান্ড্রয়েড এর ওয়ার্ক ম্যানেজার ব্যবহার করে আপনি সহজেই বিভিন্ন প্রকার ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক স্কিডিউলিং করতে পারবেন যেমন, সিঙ্ক্রোনাইজেশন, ডেটা আপলোড এবং অন্যান্য লং-রানিং অপারেশন।

তাছাড়াও, ওয়ার্ক ম্যানেজার এর মাধ্যমে টাস্কগুলো নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে বা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে এক্সিকিউট করা যায়, যা আপনার অ্যাপের জন্য একটি স্মুথ এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।

কোডঃ ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস ইনিশিয়ালাইজেশন

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস ইনিশিয়ালাইজেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এই অংশে আমরা কিভাবে একটি ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস ইনিশিয়ালাইজ করতে হয় তার উপর কথা বলবো।

সার্ভিস ইনিশিয়ালাইজেশন

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস ইনিশিয়ালাইজ করার জন্য প্রথমে একটি সার্ভিস ক্লাস তৈরি করতে হবে। এই ক্লাসে onStartCommand পদ্ধতি ব্যবহার করে সার্ভিসটি শুরু হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি টেক্সট ভিউতে ক্লিক করার মাধ্যমে সার্ভিসটি চালু হয়। এখানে একটি টোস্ট মেসেজ প্রদর্শন করা হয় যা ব্যবহারকারীকে জানায় যে সার্ভিসটি শুরু হয়েছে।

কোডে intents ব্যবহার করে সার্ভিসটি শুরু এবং বন্ধ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ:

  Intent serviceIntent = new Intent(this, MyService.class);
  startService(serviceIntent);
  ...
  stopService(serviceIntent);

onStartCommand পদ্ধতির সাহায্যে START_STICKY ব্যবহার করে নিশ্চিত করা হয় যে সার্ভিসটি চলতে থাকবে। সার্ভিসটি শেষ হলে onDestroy পদ্ধতি ব্যবহার করে সার্ভিসটি বন্ধ করা হয় এবং একটি টোস্ট মেসেজ প্রদান করা হয়।

আপনার সার্ভিস কনফিগারেশন

সার্ভিস ক্লাস ইনিশিয়ালাইজ হওয়ার পরে, AndroidManifest.xml ফাইলে এই সার্ভিসটি ঘোষণা করতে হবে। এই ফাইলটি সার্ভিস ক্লাসকে অ্যাপ্লিকেশনের অংশ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ:

  <application ...>
    <service android:name=".MyService" />
  </application>

ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস তৈরি করা হলে এবং ইনিশিয়ালাইজ করা হলে, এটি স্থায়ীভাবে চলতে থাকবে, যতক্ষণ না ব্যবহারকারী বিশেষভাবে এটি বন্ধ করে। এই পদ্ধতিটি UI এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের মধ্যে ব্যবহারকারী নির্ভর ইন্টারেকশনকে আরও সহজতর করে তোলে।

এই উদাহরণটি একটি ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের কার্যকরী বাস্তবায়ন প্রদর্শন করে। আরও উন্নত কার্যকারিতার জন্য, androidx.work গ্রন্থাগারের ২.৫.০ সংস্করণ ব্যবহার করে WorkManager-এর মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড কাজগুলো পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button